লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ম সম্পর্কে ইসলামের কথা-ইসলামিক টিপস

লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ম-পবিত্র কুরআন ও সহিহ হাদিস দ্বারা লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।শবই বরাত নিয়ে এবং সবই বরাতের হাদিসগুলোর বর্ণনা নিয়ে হাদিস বিশেষজ্ঞ ও ফিকহদের মধ্য যে সংশয় রয়েছে লাইলাতুল কদরের ব্যাপারে তার কোনো অবকাশ নেই। পবিত্র কুরআন নির্ভরযোগ্য হাদিস এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর লাইলাতুল কদরের জন্য গৃহীত কর্মতৎপরতা লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ম

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু SS IT BARI-ভালোবাসার টেক ব্লগ এর পক্ষ থেকে সকল পাঠকবাটিকা বন্ধুদের জানাচ্ছি আজকের কনটেন্টটি পড়ার জন্য স্বাগতম। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আমাদের আজকের কনটেন্টে ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাত লাইলাতুল কদর এর নামাজ পড়ার নিয়ম কানুন সম্পর্কে লেখা হয়েছে।

ইসলামে লাইলাতুল কদরের রাতের নামাজ কিভাবে পড়তে হয় তার নিয়ম-কানুন উল্লেখ করা আছে। তাই আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ে লাইলাতুল কদর এর নামাজের নিয়ম কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

প্রিয় পাঠক পাঠিয়েকে বন্ধুরা চলুন আজকের আলোচনা শুরু করা যাক।

লাইলাতুল কদর এর অর্থ

লাইলাতুল কদর আরবি শব্দ। শবে কদর হলো লাইলাতুল কদরের ফারসি পরিভাষা। কয়েক শতাব্দী মোঘল শাসন এবং উপমহাদেশে ফার্সি রাজকীয় ভাষা থাকার কারণে ধর্ম সাহিত্য সংস্কৃতি ও বিচার আচারের বহু ফারসি শব্দ আমাদের সংস্কৃতির সাথে একাকার হয়ে গেছে। সালাতের পরিবর্তন নামাজ, সাওমের পরিবর্তে রোজার মতো লাইলাতুল কদর এর ফারসি পরিভাষার সবে কদর সাধারণ মানুষের কাছে তাই বেশি পরিচিত।

শবে অর্থ রাত আর আরবি লাইলাতুন শব্দের অর্থ রাত রজনী। কদর অর্থ সম্মানিত, মহামান্বিত। সুতরাং লাইলাতুল কদরের অর্থ সম্মানিত রজনী বা মহামান্বিত রজনী।

লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ম

রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের যেকোনো একটি রাত হল শবে কদর বা লাইলাতুল কদরের রাত। এই রাতের ফজিলত অন্য যে কোন রাতের চেয়ে অনেক গুণ বেশি। বলা যেতে পারে এই রাত হাজার রাত অপেক্ষা উত্তম। এ রাতে যত বেশি নফল নামাজ আদায় করবেন তত বেশি সওয়াব।

লাইলাতুল কদরের রাতে যত বেশি পারেন নামাজ পড়ুন, আল কুরআন তেলাওয়াত করুন, জিকির ও দোয়া করুন। যেন আল্লাহ তাআলা আপনার আগের গুনাহ মাফ করে দেন এবং রহমত ও বরকত দান করেন। এই রাত নামাজ সহ বিভিন্ন এবাদতের মধ্য দিয়ে কাটিয়ে দিন।

তারাবির নামাজ ২০ রাকাতের একটি দলিল

দুই রাকাত করে সালাম ফিরিয়ে ন্যূনতম আট রাকাত থেকে যত সম্ভব পরা যেতে পারে সুরা ফাতিহার সাথে আপনার জন্য যে কোন সূরা মিলিয়ে পড়লেও চলবে কিছু ব্যতিক্রম নিয়মে সূরা ফাতিহার সঙ্গে ৩৩ বার সূরা আল কদর ৩৩ বার ইখলাস পড়লেও অসুবিধার কারণ নেই।

সুবাহানাল্লাহি ওয়া আলহামদুলিল্লাহ ওয়া লা ইলাহা ইন্নাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার এই দোয়া পাঠ করলে অধিক সোয়াব পাওয়া যাবে।

হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,যে ব্যক্তি চার রাকাত নামাজ কদরের রাতে আদায় করবে এবং উক্ত নামাজের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর 21 বার করে সূরা ইখলাস পাঠ করবে, আল্লাহ তা’আলা ওই ব্যক্তিকে সদ্য ভুমিষ্ট শিশুর নেন নিষ্পাপ করে দেবেন এবং বেহেশতের মধ্য এক মনোমুগ্ধকর মহল তৈরি করে দেবেন।

অপর এক হাদিসে বর্ণিত রয়েছে হযরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি কদরের রজনীতে চার রাকাত নামাজ আদায় করবে এবং উহার প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পরে সূরা কদর ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পাঠ করবে, নামাজ শেষে সিজদায় গিয়ে নিম্নের দোয়াটি কিছু সময় পাঠ করে আল্লাহর দরবারে যা ই প্রার্থনা করবে তিনি তাই কবুল করবেন এবং তার প্রতি অসংখ্য রহমত বর্ষিত করবেন।

হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাদিয়াল্লাহু হতে বর্ণিত তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসুলুল্লাহ শবে কদরের রাতে আমার কোন দোয়াটি পড়া উচিত তিনি তাকে পড়ার জন্য নির্দেশ দিলেন-

اللهم انك عفو تحب العفو فاعف عني

বাংলা উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি

বাংলা অর্থ-হে আল্লাহ!আপনি ক্ষমাশীল এবং ক্ষমা করতে ভালোবাসেন তাই আমাকে ক্ষমা করুন। (সুনানে ইবনে মাজাহ)

লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ত

লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ত আরবীতে-

نويت ان اصلي لله تعالى ركعتي صلاتي ليله القدر نفلي متوجها الى جهه الكعبه الشريفه الله اكبر

বাংলা উচ্চারণ-নাওয়াইতুয়ান ওসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা রকতাই সালাতি লাইলাতুল কদর নাফলি মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল শারিফতি আল্লাহু আকবার।

বাংলা অর্থ-আমি কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে শবে কদরের দুই রাকাত নফল নামাজ আদায়ের নিয়ত করলাম আল্লাহু আকবার।

লাইলাতুল কদরের নিয়ম সূরা

পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহ তায়ালা কুরআন নাযিল করেছেন। রমজান মাসের একটি রাতের নবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে হেরা গুহায় আল্লাহর ফেরেশতা ওহী নিয়ে এসেছিলেন। এই রাতকেই শবে কদরবা লাইলাতুল কদরের রাত বলা হয়।

তারাবি নামাজ কিভাবে এলো

সূরা দুখানের তিন নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি এই কুরআনকে এক বরকতময় রাতে অবতীর্ণ করেছি।( সূরা দুখান-৩)

গুরুত্বপূর্ণ এই রাতের ফজিলত সম্পর্কে বর্ণনা করতে গিয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা সূরা কদর নাযিল করেছেন।

انا انزلناه في ليله القدر

উচ্চারণ-ইন্না আন ঝালনা হু ফি লাইলাতুল কদর

অর্থ-আমি একে নাযিল করেছি শবে কদরে।

وما ادرى قام ليله القدر

উচ্চারণ-ওয়ামা আদরা কামা লাইলাতুল কদর

অর্থ-শবে কদর সম্বন্ধে আপনি কি জানেন?

ليله القدر خير من الف شهر

উচ্চারণ-লাইলাতুল কাদরী খাইরুম মিন আলফি শাহর

অর্থ-শবে কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।

الملائكه فيها بجوني ربهم من

كل يمر

উচ্চারণ-তানঝাঝলুল মালাইকাতু ওয়াররূহ ফিহা বিইজনী রাব্বিহিম মিন কুল্লি আমর।

অর্থ-এতে প্রত্যেক কাজের জন্য ফেরেশতাগণ ও রুহু অবতীর্ণ তাদের পালনকর্তা নির্দেশক্রমে।

سلام هي حتى مطاي الفزر

উচ্চারণ-সালা মন হিয়া হাত্তা মাতালাইল ফাজর

অর্থ-এটা নিরাপত্তা, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।

এই রাতের ফজিলত অন্য যেকোনো রাতের চেয়ে অনেক বেশি। বলা যেতে পারে এই রাত হাজার রাত অপেক্ষায় উত্তম। এ রাতে যত বেশি নফল নামাজ আদায় করবেন তত বেশি সওয়াব।

মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয়ই আমি (কুরআনকে) অবতীর্ণ করেছি এই মর্যাদাপূর্ণ রাত্রিতে (লাইলাতুল কদরে)। আর মর্যাদা পূর্ণ রাত্রি সম্বন্ধে আপনি কি জানেন? মর্যাদাপূর্ণ রাত্রি হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। ওই রাত্রিতে ফেরেশতাগণ ও রূহ (জিব্রাইল) অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিময় সেই রাত্রি ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত। (সূরা কদর)

লাইলাতুল কদরের জিকির দোয়া

হাদিসে যে দোয়া ও জিকিরের অধিক ফজিলতের কথা বলা আছে, সেগুলো থেকে কয়েকটি নির্বাচিত করে অর্থ বুঝে বারবার পরা যেতে পারে। ইস্তেগফার ও দুরুদ আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়। কমপক্ষে 100 বার ইস্তেগফার ও 100 বার দুরুদ পড়া যেতে পারে।

এই রাতে ইবাদত করার মর্যাদা সারা জীবন ইবাদত করার চেয়ে আরো অনেক গুণ বেশি। এটা এমন এক রাত যেখানে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত মহান আল্লাহর বিশেষ রহমত ও শান্তি বর্ষিত হতে থাকে।

গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন

লাইলাতুল কদরের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম। জানা যায় এ রাতে সিদরাতুল মুনতাহায় অবস্থিত অগণিত ফেরেশতা সহ হযরত জিব্রাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়ায় অবতীর্ণ হন এবং ফেরেশতারা দুনিয়ার সমস্ত অংশে ছড়িয়ে পড়েন। প্রত্যেক স্থানে স্থানে রুকু সিজদা করেন। মুমিন নর-নারীর জন্য দোয়ায় মশগুল হন।

পবিত্র এই রজনীতে মহান রাব্বুল আলামিন অসংখ্য গুনাগারকে মাফ করেন। তওবা কবুল হয়। সেই সাথে বরকতময় এই রাতে মাতা পিতা ও আত্মীয়-স্বজনের রুহের মাগফিরাতের উদ্দেশ্যে কবর জিয়ারত বা তাদের জন্য দোয়া করলে আল্লাহ পাক কবুল করেন।

সচরাচর জিজ্ঞাসা

প্রশ্নঃলাইলাতুল কদরের ফজিলত পাওয়ার উদ্দেশ্যে কি করা উচিত?

উত্তর ঃলাইলাতুল কদরের ফজিলত পাওয়ার উদ্দেশ্যে কিছু নফল ইবাদত করা নফল নামাজ আদায় করা, কোরআন তেলাওয়াত করা, তাজবি তাহলিল পাঠ করা কর্তব্য।উত্তম হলো নফল নামাজ ধীরেস্থে লম্বা কেরাত দিয়ে পড়া এবং ধীর স্থিরের রুকু সিজদা আদায় করা।

প্রশ্ন ঃ কদরের রাতের শ্রেষ্ঠ দোয়া কি?

উত্তর ঃকদরের রাতের শ্রেষ্ঠ দোয়া হলো ক্ষমা চাওয়ার দোয়া। এ রাতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক্ষমা চাওয়ার দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন তুমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাও ক্ষমা পাওয়ার জন্য দোয়া কর।

প্রশ্ন ঃ শবে কদরের রাতে কি ঘটেছিল?

উত্তর ঃশবে কদরের রাতে পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হয় এবং এই রাতকে কেন্দ্র করে আল কদর নামে একটি সূরাও নাযিল হয়। এই রাতে ইবাদত বন্দেগী করে আল্লাহর কাছে গুনাহ মাফের জন্য প্রার্থনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

শেষ কথা-

সুপ্রিয় পাঠকপাঠিকা বন্ধুরা আমাদের আজকের আলোচনা শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। যারা শবে কদরের নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতেন না তারা অবশ্যই আজকের আলোচনা শেষ পর্যন্ত পড়ে শবে কদরের নামাজ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

পোস্ট ট্যাগ-

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম,শবে কদরের নামাজ কত রাকাত,কদরের নামাজের দোয়া,শবে কদরের নামাজের নিয়ম ও দোয়া,লাইলাতুল কদরের নামাজ কিভাবে পড়বো,শবেবরাত নামাজের নিয়ম,শবে মেরাজের নামাজের নিয়ত,শবে কদরের নামাজ কোন কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয়।

আপনার জন্য আরো –

আরও পড়ুন –

তারাবীহ নামাজ কোন নিয়মে পড়বো? 

২০২৩ সালের রোজার খাবার তালিকা

ইসলামে মেয়েদের রোজা সংক্রান্ত মাসয়ালা সম্পর্কে জানুন

শবে মেরাজের ঘটনা ও শবে মেরাজের আমল-ইসলামিক টিপস

মাহে রমজানের রোজা সম্পর্কে হাদিসের কথা

রোজা থাকা অবস্থায় ঘুমের মতো স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভঙ্গ হবে কিনা?

শাওয়ালের ছয় রোজা কোন নিয়মে রাখতে হয়

রোজা রাখার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া ২০২৩

মাহে রমজানের রোজা ভাঙ্গার কারণ গুলো কি কি

SS IT BARI– ভালোবাসার টেক ব্লগের যেকোন ধরনের তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের মেইলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন.

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 505 other subscribers

প্রতিদিন আপডেট পেতে আমাদের নিচের দেয়া এই লিংক এ যুক্ত থাকুন

SS IT BARI- ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন

SS IT BARI- ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
SS IT BARI- ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে :এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।

SS IT BARI- টুইটার থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- লিংকদিন থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- ইনস্টাগ্রাম থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- টুম্বলার (Tumblr)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে :এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- পিন্টারেস্ট (Pinterest)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।