লাইলাতুল কদরের আমল ও ফজিলত কি-লাইলাতুল কদরের কি আমলে কি ফজিলত পাওয়া যায়

লাইলাতুল কদরের আমল –পবিত্র কুরআন ও সহিহ হাদিস দ্বারা লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।শবই বরাত নিয়ে এবং সবই বরাতের হাদিসগুলোর বর্ণনা নিয়ে হাদিস বিশেষজ্ঞ ও ফিকহদের মধ্য যে সংশয় রয়েছে লাইলাতুল কদরের ব্যাপারে তার কোনো অবকাশ নেই। পবিত্র কুরআন নির্ভরযোগ্য হাদিস এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর লাইলাতুল কদরের জন্য গৃহীত কর্মতৎপরতা লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।লাইলাতুল কদরের আমল

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু SS IT BARI-ভালোবাসার টেক ব্লগ এর পক্ষ থেকে সকল পাঠকবাটিকা বন্ধুদের জানাচ্ছি আজকের কনটেন্টটি পড়ার জন্য স্বাগতম। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আমাদের আজকের কনটেন্টে ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাত লাইলাতুল কদরের আমল ও ফজিলত সম্পর্কে লেখা হয়েছে।

ইসলামে লাইলাতুল কদরের রাতের নামাজ কিভাবে পড়তে হয় তার নিয়ম-কানুন উল্লেখ করা আছে। তাই আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ে লাইলাতুল কদরের আমল ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

প্রিয় পাঠক পাঠিয়েকে বন্ধুরা চলুন আজকের আলোচনা শুরু করা যাক।

লাইলাতুল কদর কি

শবে কদর কথাটি ফারসি। শব মানে রাত বা রজনী। আর কদর অর্থ সম্মান মর্যাদা গুণাগুণ সম্ভাবনা ভাগ্য ইত্যাদি। শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা ভাগ্য রজনী। শবে কদরের আরবি হল লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত।যে রাতে পবিত্র কুরআন নাযিল হয়েছে সে রতে লাইলাতুল কদর।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, নিশ্চয়ই আমি কুরআন নাযিল করেছি মর্যাদাপূর্ণ কদর রজনীতে। আপনি কি জানেন মহিমাময় কদর রজনী কি? মহিমান্বিত কদর রজনী হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। সে রাতে ফেরেশতাগণ হযরত জিবরাঈল আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমবিব্যাহারে অবতরণ করেন। তাদের প্রভু মহান আল্লাহর নির্দেশ অনুমতিক্রমে। সব বিষয়ের শান্তির বার্তা নিয়ে। এই শান্তির ধারা চলতে থাকে উষা পর্যন্ত। (আল কুরআন সূরা আল কদর)

লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ম

রমজান মাস পবিত্র কুরআন নাযিলের মাস। শবে কদর কুরআন নাজিলের রাত।এই রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কা মুকাররমার হেরা পর্বতের গুহায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে। ফেরেশতাদের সরদার হযরত জিবরাঈল আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমে বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি মহাগ্রন্থ আল কুরআন অবতীর্ণ হয়।

আল্লাহতালা বলেন, রমজান মাস! যে মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে মানবের দিশারী ও হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শন রূপে।( আল কুরআন সূরা আল বাকারা)

লাইলাতুল কদরের আমল

লাইলাতুল কদরের আমল গুলো হলো-

১) নফল নামাজ।

২) নামাজের কেরাত ও রুকু সেজদা দীর্ঘ করা।

৩) কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করা।

৪) দুরুদ শরীফ বেশি বেশি পড়া।

৫) তওবা ইস্তেগফার অধিক পরিমাণে করা।

৬) দোয়া কালাম তাসবিহ তাহলিল জিকির-আজগার ইত্যাদি করা।

৭) কবর জিয়ারত করা।

লাইলাতুল কদরের ফজিলত

লাইলাতুল কদরের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম।এ‌ রাতে অগণিত ফেরেশতা সহ হযরত জিবরাঈল আলাইহি সালাম দুনিয়ায় অবতীর্ণ হন এবং ফেরেশতারা দুনিয়ার সমস্ত অংশে ছড়িয়ে পড়েন। প্রত্যেক স্থানে স্থানে রুকু সেজদা করেন মুমিন নর নারীর জন্য দোয়ায়ে মশগুল হন। এই মহান রজনীতে আল্লাহতালা অসংখ্য গুনাহগারকে মাফ করেন তওবা কবুল করেন। এ রাতে মাতা পিতা ও আত্মীয়-স্বজনের রুহের মাগফিরাতের উদ্দেশ্যে তাদের কবর জিয়ারত ও তাদের জন্য দোয়া করলে আল্লাহ কবুল করেন।

এরাতে পড়ার জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে দোয়া শিখিয়েছেন তার অর্থ হলো আল্লাহ আজকের রাতে আমাকে শবে কদরের ফজিলত দান করুন। আমার কাজকর্ম সহজ করে দিন, আমার অক্ষমতা মার্জনা করুন, আমার পাপসমূহ ক্ষমা করুন, পবিত্র ও মহামান্বিত রাতে আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত থেকে যারা বঞ্চিত থাকবে, মদখোর মাদকদ্রব্য ব্যবসায়ী, মাতা পিতার অবাধ্য সন্তান, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী, ইচ্ছাকৃত নামাজ তরফকারী, বিনা কারণে অপর মুসলমান ভাইদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নকারী। (তাফসীরে কাশফুল আশরার)

তারাবির নামাজ ২০ রাকাতের একটি দলিল

উপরোক্ত দোষে যারা দোষী এরাতের বরকত পাওয়ার জন্য প্রথমেই তাদের তওবা করতে হবে। তাদের তওবা আল্লাহ কবুল করার পরই তারা এই রাতের ফজিলত লাভ করবে। এই রাতে যারা নিজের অপরাধ ক্ষমা  এবং আল্লাহর রহমত কামনা করে কাঁদবে তাদের দোয়া কবুল হবে। শুধু নামাজের মধ্য সীমাবদ্ধ নয় বরং এই রাতে তেলাওয়াতের কোরআন জিকির ইস্তেগাফার তাসবিহ পাঠ বেশি বেশি দরুদ শরীফ পাঠ করা একান্ত করণীয়।

লাইলাতুল কদর কোন রাতে

লাইলাতুল কদর কোন রাতে এই সম্বন্ধে সাহাবায়ে কিরামের যুগ থেকে মতভেদ চলে আসছে। এই প্রসঙ্গে প্রায় 40 টি বক্তব্য আছে।মুসলিম শরীফে হযরত ওবায় ইবনে কাআব রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, শবে কদর হল রমজানের 27 তম রাত। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু, হযরত মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু প্রমুখ সাহাবী থেকে অনুরূপ বক্তব্য বর্ণিত আছে।

কোরআন হাদিসের সুস্পষ্ট বর্ণনা দৃষ্টিতে প্রতিীয়মান হয় যে, শবে কদর রমজান মাসে আসে কিন্তু এর সঠিক কোন তারিখ নির্দিষ্ট নেই। বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত হাদিসের আলোকে বলা যায় শেষ ১০ দিনের বিজোর রাতগুলোতে শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এ রাতগুলো হলো 21 23 25 27 29। মনে রাখতে হবে, আরবিতে দিনের গণনা করা হয়।

হাদিসের আলোকে আরো জানা যায়, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যখন এর তারিখ ভুলিয়ে দেওয়া হয় তখন তিনি বলেছিলেন, সম্ভবত এতে তোমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত আছে অর্থাৎ যদি এরাতে নির্দিষ্ট করে দেয়া হতো তবে অনেক অলস প্রকৃতির মানুষ শুধু এই রাতে এবাদত বন্দেগীতে নিয়োজিত হতো। অবশিষ্ট সারা বছর ইবাদত বন্দেগী না করে আল্লাহ তায়ালার রহমত হতে বঞ্চিত থাকত।

তারাবি নামাজ কিভাবে এলো

দ্বিতীয়তঃ এই রাত নির্দিষ্ট করা হলে কোন ব্যক্তি ঘটনাক্রমে এ রাত্রিতে ইবাদত করতে না পারলে সে দুঃখ ও আক্ষেপ প্রকাশ করতে অনেক সময় নষ্ট করে দিত। এতে সে মাহে রমজানের বরকত থেকে বঞ্চিত হয়ে যেত ।এই রাত যেহেতু নির্দিষ্ট করা হয়নি সেজন্য এ রাতের সন্ধানে আল্লাহ সব বান্দাদের প্রতি রাতে ইবাদত বন্দেগী করে থাকেন এবং প্রতি রাতের জন্য পৃথক পৃথক পূণ্য অর্জন করে থাকেন।

লাইলাতুল কদর হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ কেন

সূরা কদরের এক আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন লাইলাতুল কদর হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।

ইহার অন্তর্নিহিত রহস্য কি?

উল্লেখিত শ্রেষ্ঠত্বের গুড় রহস্য জানার জন্য সূরা কদরের শানে নুযুল সম্পর্কে  আলোচনা প্রয়োজন।সূরা কদরের শানে নুযুল হইতে জানা যায় যে, একদা দয়াল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনি ইসরাইলের একজন প্রখ্যাত মুজাহিদ সম্পর্কে আলোচনা করলেন। উক্ত মুজাহিদ একাধারে ১০০০ মাসব্যাপী ধর্মদ্রোহী দুশমনদের সাথে জেহাদ করয়াছেন।

ইহা শ্রবণে উপস্থিত সাহাবা সকল বিস্মিত হন এবং নিজেদের অল্প আয়ুর কথা চিন্তা করে দুঃখিত হন। তখন উম্মত প্রেমিক দয়াল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খোদাতালার নিকট এই দোয়া করেন, হে আল্লাহ!আমার উম্মতের আয়ু খুব কম এবং তাহাদের আমলে অল্প আপনি দয়া করিয়া তাহাদের নেকি বাড়াইয়া দেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে সূরা কদর নাযিল হয়। আল্লাহতালা উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য মহামান্বিত রাত লাইলাতুল কদর দান করেন। যে রাত্রে এবাদত হাজার মাসের জিহাদের পূণ্যের চেয়েও বেশি।

লাইলাতুল কদরের বর্জনীয় কাজগুলো

লাইলাতুল কদরের বর্জনীয় কাজগুলো হলো-অধিক বিশ্রাম ত্যাগ করা:অতি মহান গুরুত্বপূর্ণ ওসব হাসিলের সবচেয়ে উত্তম ও তাৎপর্যপূর্ণ রাত লাইলাতুল কদর তাই এ রাতে ঘুম ও অন্যান্য বিশ্রাম সাধ্য পরিমান ত্যাগ করে ইবাদতে কাটিয়ে দেওয়াই হচ্ছে বুদ্ধিমান ও মুমিনের কাজ।

এই বিষয়ে হযরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরের ঈমান এবং সওয়াবের আশায় ইবাদতের জন্য আল্লাহর দরবারে দাঁড়াবে তার অতীতের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করা হবে।

অতিরিক্ত ভোজ আয়োজন ত্যাগ করা:মূলত এবাদত এর প্রস্তুতি হল শরীর মনকে হালকা রাখা। আর তা না করে অনেকেই এই কদরকে ঘিরে বিশাল ভোজের আয়োজন করে। তাহলে এই রাতের মূল উদ্দেশ্য হাসিল করা কি সম্ভব? তাই করনীয় হলো কদরকে সঠিকভাবে পালনের জন্য খাবার আয়োজন পরিবেশন এবং ভক্ষণে সময় ও শ্রম ব্যয় না করে সেটিকে যথাযথ কাজে লাগানো। কারণ এই মহামান্বিত রাত জীবনে আর একবার পাবো, ইবাদত করতে পারব, ক্ষমা চাইতে পারবো, দাঁড়াতে পারবো, চোখের পানি ফেলতে পারব, যাবতীয় আঞ্জাম দিতে পারব তার কোন ইয়াত্তা নেই।

গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন

বিদাআত বর্জন করা:ইসলাম কোন কল্পনা প্রসূত ধর্ম নয়। এটি একটি বিজ্ঞানভিত্তিক জীবন বিধান। এটি বাড়াবাড়ির পক্ষে নয়। কোরআন সুন্নাহর বহির্ভূত কাজকের বিদাআত বলে। আর শবে কদরের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ রাতে বিদায়াত মুক্ত থেকে যথাযথ এবাদত বন্দেগী করা ঈমানদারের কাজ। সেইসঙ্গে মানুষের ভুল দিক নির্দেশনা বর্জন করা। সঠিকভাবে ইসলাম সম্পর্কে জেনে সেই অনুযায়ী কাজ করা। এমন যেন না হয় যে সওয়াব কামাতে গিয়ে আজাবের ভাগীদার হতে হয়।

লাইলাতুল কদরে সর্তকতা

ইতোমধ্যে আমরা শবে কদর সম্পর্কে জেনে গিয়েছি। কিন্তু সবে কদর সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। কারণ আমরা অনেকে মনে করি যে শবে কদর মানে মুসলমানদের একটি বিশেষ অনুষ্ঠান। কিন্তু তা নয়, শবে কদর মুসলমানদের জন্য অবশ্যই বিশেষ রাত তবে সেই রাত সকল মুসল্লিদের উচিত আমল করা এবং এর মধ্য দিয়ে কাটিয়ে দেওয়া এবং মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে নিজেদের পূর্বের কাজের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং ভবিষ্যতের পাপ থেকে মুক্ত থাকার দোয়া করতে হবে।

শবে কদরের ইবাদত করার জন্য বর্তমানে অনেকে একগুচ্ছ হয়ে অর্থাৎ বন্ধু-বান্ধব একসাথে হয়ে ইবাদত করার সংকল্প করে। তারাও বাইরে গিয়ে একসাথে গল্পে মশগুল হয়ে পড়ে। সুতরাং এসব কাজ থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে হবে এবং সেই রাতে প্রতিটা মুহূর্ত মহান আল্লাহ তায়ালার হুকুম অনুসারে আমল করতে হবে।

লাইলাতুল কদরের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম। জানা যায় এ রাতে সিদরাতুল মুনতাহায় অবস্থিত অগণিত ফেরেশতা সহ হযরত জিব্রাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়ায় অবতীর্ণ হন এবং ফেরেশতারা দুনিয়ার সমস্ত অংশে ছড়িয়ে পড়েন।

প্রত্যেক স্থানে স্থানে রুকু সিজদা করেন। মুমিন নর-নারীর জন্য দোয়ায় মশগুল হন। পবিত্র এই রজনীতে মহান রাব্বুল আলামিন অসংখ্য গুনাগারকে মাফ করেন। তওবা কবুল হয়। সেই সাথে বরকতময় এই রাতে মাতা পিতা ও আত্মীয়-স্বজনের রুহের মাগফিরাতের উদ্দেশ্যে কবর জিয়ারত বা তাদের জন্য দোয়া করলে আল্লাহ পাক কবুল করেন।

সচরাচর জিজ্ঞাসা

প্রশ্নঃলাইলাতুল কদরের ফজিলত পাওয়ার উদ্দেশ্যে কি করা উচিত?

উত্তর ঃলাইলাতুল কদরের ফজিলত পাওয়ার উদ্দেশ্যে কিছু নফল ইবাদত করা নফল নামাজ আদায় করা, কোরআন তেলাওয়াত করা, তাজবি তাহলিল পাঠ করা কর্তব্য।উত্তম হলো নফল নামাজ ধীরেস্থে লম্বা কেরাত দিয়ে পড়া এবং ধীর স্থিরের রুকু সিজদা আদায় করা।

প্রশ্ন ঃ কদরের রাতের শ্রেষ্ঠ দোয়া কি?

উত্তর ঃকদরের রাতের শ্রেষ্ঠ দোয়া হলো ক্ষমা চাওয়ার দোয়া। এ রাতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক্ষমা চাওয়ার দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন তুমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাও ক্ষমা পাওয়ার জন্য দোয়া কর।

প্রশ্ন ঃ শবে কদরের রাতে কি ঘটেছিল?

উত্তর ঃশবে কদরের রাতে পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হয় এবং এই রাতকে কেন্দ্র করে আল কদর নামে একটি সূরাও নাযিল হয়। এই রাতে ইবাদত বন্দেগী করে আল্লাহর কাছে গুনাহ মাফের জন্য প্রার্থনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

শেষ কথা-

সুপ্রিয় পাঠকপাঠিকা বন্ধুরা আমাদের আজকের আলোচনা শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। যারা শবে কদরের রাতের আমল ও ফজিলত সম্পর্কে জানতেন না তারা অবশ্যই আজকের আলোচনা শেষ পর্যন্ত পড়ে শবে কদরের রাতের আমল ও ফজিলত সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

পোস্ট ট্যাগ-

লাইলাতুল কদরের আমল,লাইলাতুল কদর সুরা,লাইলাতুল কদর সম্পর্কে হাদিস,লাইলাতুল কদর দোয়া,লাইলাতুল কদর এর ফজিলত,লাইলাতুল কদর কি,লাইলাতুল কদর কবে,লাইলাতুল কদর নিয়ত,লাইলাতুল কদর কবে ২০২৩।

আপনার জন্য আরো –

আরও পড়ুন –

তারাবীহ নামাজ কোন নিয়মে পড়বো? 

২০২৩ সালের রোজার খাবার তালিকা

ইসলামে মেয়েদের রোজা সংক্রান্ত মাসয়ালা সম্পর্কে জানুন

শবে মেরাজের ঘটনা ও শবে মেরাজের আমল-ইসলামিক টিপস

মাহে রমজানের রোজা সম্পর্কে হাদিসের কথা

রোজা থাকা অবস্থায় ঘুমের মতো স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভঙ্গ হবে কিনা?

শাওয়ালের ছয় রোজা কোন নিয়মে রাখতে হয়

রোজা রাখার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া ২০২৩

মাহে রমজানের রোজা ভাঙ্গার কারণ গুলো কি কি

SS IT BARI– ভালোবাসার টেক ব্লগের যেকোন ধরনের তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের মেইলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন.

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 505 other subscribers