রোজা রাখার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া ২০২৩ সম্পর্কে জানুন

রোজা রাখার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া আরবি কিংবা বাংলায় উচ্চারণ করে নিয়ত বলা জরুরি নয় এ সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসে উল্লেখ আছে। রোজা রাখার জন্য নিয়ত ফরজ এই বিষয়টি অনেকেই জানিনা। অনেকে রোজার নিয়ত মুখে বলে বা মনের সংকল্প কোনোটিকেই করে না।আবার অনেকেই মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত করে কিন্তু অন্তরে রোজা রাখার দৃঢ়সংকল্প করে না। সেই নিয়ত আল্লাহতালা কবুল করবেন না।মূল কথা হল রোজার নিয়ত করা ফরজ। নিয়ত করতে হবে মুখে উচ্চারণ করার পরও একনিষ্ঠ সংকল্প রাখতে হবে অন্তরে তবে রোজা আদায় করা হবে।রোজা রাখার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া

আল্লামা শামি রাহমাতুল্লাহি বলেন,আভিধানিক ও সূত্রের নিয়ত হলো আজম। আর মনের দৃঢ় সংকল্পকে আজম বলা হয়।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু প্রিয় পাঠক পাঠিকা বন্ধুরাSS IT BARI-ভালোবাসার টেক ব্লগ এর পক্ষ থেকে সবাইকে জানাচ্ছি আজকের আর্টিকেলে স্বাগতম। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে রোজা রাখার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া সম্পর্কে খুটিনাটি সকল তথ্য দিয়ে। রমজান মাসের রোজার নিয়ত এবং ইফতারের দোয়া সম্পর্কে যাদের ধারণা কম তারা আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিজেদের ধারণা বৃদ্ধি করতে পারেন।

চলুন বন্ধুরা আজকের মূল আলোচনা শুরু করা যাক।

রমজান মাসের রোজা সম্পর্কে হাদিস

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পরিপূর্ণ বিশ্বাস ও পর্যালোচনা সহ রমজান মাসের সিয়াম পালন করবে তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)

শাওয়ালের ছয় রোজা কোন নিয়মে রাখতে হয়

হযরত সাহল বিন সাদ রাদিয়াল্লাহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এরশাদ করেছেন, জান্নাতের একটি দরজা আছে একে রাইয়ান বলা হয়। এই দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন একমাত্র সিয়াম পালনকারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে।

তাদের ছাড়া অন্য কেউ এই পথে প্রবেশ করবে না সেদিন এই বলে আহবান করা হবে, সিয়াম পালনকারী কোথায়?তারা যেন এই পথে প্রবেশ করে। এভাবে সকল সিয়াম পালনকারী ভেতরে প্রবেশ করার পর দরজাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। অতঃপর এই পথে আর কেউ প্রবেশ করবে না। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এরশাদ করেছেন,সিয়াম ঢাল স্বরূপ। তোমাদের কেউ কোনদিন সিয়াম পালন করলে তার মুখ থেকে যেন অশ্লীল কথা বের না হয়। কেউ যদি তাকে গালমন্দ করে অথবা ঝগড়ায় প্ররোচিত করতে চায় সে যেন বলে আমি সিয়াম পালনকারী। যার হাতে মোহাম্মাদের প্রাণ তার শপথ!

অবশ্যই সিয়াম পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিসকের গন্ধের চেয়েও সুগন্ধি। সিয়াম পালনকারীর জন্য রয়েছে দুটি খুশী যা তাকে খুশি করে।যখন সে ইফতার করে সে খুশি হয় এবং যখন সে তার প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাৎ করবে তখন সাওমের বিনিময়ে আনন্দিত হবে। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)

রোজার নিয়ত

রমজানের রোজা রাখা যেমন ফরজ তেমনি রোজার জন্য নিয়ত করাও ফরজ। নিয়ত ছাড়া দিনভর না খেয়ে উপবাস অস্থির সহবাস না করলেও রোজা হবে না। রোজা রাখার জন্য সেহরির পর অন্তরের সংকল্প করায় নিয়ত।

نعويت ان اصوم غدا من شهر رمضان جانا المباركي فرض اللقاء يلاه فتقبل مني انك انت السميع العليم

উচ্চারণ: নাওয়াইতুয়ান আসুম্মা বাদাম মিন শাহরি রমাজানআল মোবারকি ফারদুল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নাকা আনতাস সামিউল আলিম।

অর্থ:হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল তোমার পক্ষ থেকে পবিত্র রমজানের নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়ত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোজা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল করো নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্ব জ্ঞানী।

সাহরির পর এভাবেও রোজার নিয়ত করা যেতে পারে

بصومي قاعدين نويت من شهر رمضان

উচ্চারণ: বিসাউমি গাদিন নাওয়াইতু মিন শাহারি রমাদান।

অর্থ: আমি রমজান মাসের আগামীকালের রোজা রাখার নিয়ত করছি।

ইফতারের নিয়ত বা দোয়া

ইফতারের আগে পড়তে হবে এই দোয়া

بسم الله اللهم لك صمت وعلى رزقك افطرت

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা লাকা‌ সুমতু ওয়া আলা রিজকীকা আফতারতু।

অর্থ: আল্লাহর নামে শুরু করছি: হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেওয়া রিজিক দ্বারা ইফতার করছি (আবু দাউদ,মুরসাল, মিশকাত)

ইফতারের সময় এই দোয়াটি পড়তে হবে

اللهم لك صمت وعلى ريتشكيكا وافطرت برحمتك يا ارحم الراحمين

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিজকিকা আফ্তারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।

অর্থ:হে আল্লাহ!আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেওয়া রিজিকের মাধ্যমে ইফতার করছি।

ইফতারের পর এই দোয়াটি পড়তে হবে

جابت جماو بثلاثه الاوركو وسبات الاجر ان شاء الله

উচ্চারণ: জাহাবাজ জমাউ ওয়াবতালাতিল উরুকু ওয়া ছাবাতাল আঝরু ইনশাল্লাহ।

অর্থ:+ইফতারের মাধ্যমে) পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপশিরা সিক্ত হলো, এবং যদি আল্লাহ চান সোয়াব স্থির হল (আবু দাউদ মিশকাত)

ইফতারের সময় করণীয় কাজগুলো কি

ইফতারের সময় কিছু কাজ বাধ্যতামূলক যেগুলো আমাদের জানা জরুরী।

১) ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা।

২) অন্য কাজে ব্যস্ত না হয়ে ইফতারের মনোযোগ দেওয়া।

৩) বেশি বেশি দোয়া ও ক্ষমাপ্রার্থনা করা।

৪) খেজুর কিংবা সাদা পানি দিয়ে ইফতার করে মাগরিবের নামাজ আদায় করা।

৫) ইফতারের সময় ভারী খাবার না খাওয়া।

৬)মাগরিবের নামাজ আদায় করে তারপর তৃপ্তি সহ খাওয়া। তাতে শরীর সুস্থ ও সবল থাকে।

রোজার নিয়ত করার সময়

ফরজ রোজার নিয়ত শাহরির পর রাত বাকি থাকাতেই করা উত্তম।

হযরত হাফসা রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,যে ব্যক্তি ফজরের আগে রোজা রাখার নিয়ত করবে না তার রোজা পূর্ণাঙ্গ হবে না।( আবু দাউদ)

রোজা থাকা অবস্থায় ঘুমের মতো স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভঙ্গ হবে কিনা?

অনেক ইসলামিক স্কলারদের মতে দিনের দ্বিপ্রহরের আগে রোজার নিয়ত করা না হয়ে থাকলে সেই রোজা বিশুদ্ধ হবে না। এরপরেও রোজা হীন অবস্থায় দিনের বাকি সময়ে পানাহার করা রমজানুল মোবারকের সম্মানের বিরোধী বলে তা জায়েজ নয়। (ইমদাদুল ফাতওয়া)

সুতরাং রমজানের ফরজ রোজা নির্দিষ্ট মানতের রোজা এবং নফল রোজার সমূহের নিয়ত রাতের বেলায় অথবা শরীয়তের ভূষিত দ্বিপ্রহরে আগ পর্যন্ত করা গেলেও সব ধরনের রোজার জন্য রাতেই নিয়ত করে নেওয়া জরুরি। (ফতোয়া দারুল উলুম)

রমজানের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত যেভাবে

রমজান মাস আসার আগে নিজেকে সংযত করার জন্য কিছু প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত।

১) একনিষ্ঠ তওবা করা উচিত।

২) দোয়া করা উচিত যেন আল্লাহতালা রমজানের সকল দোয়াগুলো কবুল করে নেন।

৩) মহান মাসের (রমজান) আগমনে খুশি হওয়া উচিত।

৪)কোন ওয়াজিব রোজা নিজ দায়িত্ব থেকে থাকলে তা হতে মুক্ত হওয়া উচিত।

৫) রোজার মাসআলা মাসায়েল জেনে নেওয়া এবং রমজানের ফজিলত সম্পর্কে অবগত হওয়া উচিত।

৬)যে কাজগুলো রমজান মাসে একজন মুসলমানের ইবাদত বন্দেগীতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে সেগুলো দ্রুত সমাপ্ত করার চেষ্টা করা উচিত।

৭)স্ত্রী সন্তানসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসে রমজানের মাসয়ালা মাসায়েল আলোচনা করা এবং ছোটদেরও রোজা পালনে উদ্বোধন করা উচিত।

৮)যে বইগুলো ঘরে পড়া যায় এমন কিছু বই সংগ্রহ করা অথবা মসজিদের ইমামকে হাদিয়া দেওয়া যেন তিনি মানুষকে পড়ে শোনাতে পারেন।

৯) রমজানের প্রস্তুতি স্বরূপ সাবান মাসে কিছু রোজা রাখা উচিত।

১০) কুরআন তেলাওয়াত করা উচিত।

রোজা রেখে যা করা যাবে না

রমজান মাসের ফজিলত হাসিল করার জন্য এমন কিছু কাজ রয়েছে যা থেকে বিরত থাকা উচিত।

১) ইচ্ছাকৃতভাবে ইফতার না করা।

২) সেহেরী না খাওয়া।

৩) রমজানের শেষের দশ দিন এবাদত না করে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকা।

৪) মিথ্যা কথা বলা ও অন্যান্য পাপ কাজে লিপ্ত থাকা।

৫) অপচয় ও অপব্যয় করা।

মহরমের রোজা আমল ও ফজিলত

৬) তিলাওয়াতের হক আদায় না করে কোরআন খতম করা।

৭) জামাতের সাথে ফরজ সালাত আদায়ের অলসতা করা।

৮) বেশি বেশি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া।

৯) রিয়া বা লোক দেখানো ইবাদত করা।

১০) সংকট তৈরি করা জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধির জন্য।

১১) অশ্লীল কিছু দেখা।

১২) বেহুদা কাজে রাত জাগরণ করা।

১৩) বিদাআত করা।

১৪) অতিরিক্ত ঘুমানো।

১৫) দুনিয়াবী ব্যস্ততায় মগ্ন থাকা।

রমজান মাসের প্রথম অংশ হল রহমত মধ্যমাংশ হল মাগফিরাত এবং শেষ অংশ হলো জাহান্নাম থেকে মুক্তির। নফল কাজগুলোর জন্য ফরজের সমান বরকতের ওয়াদা করা হয়েছে এই মাসে। আর প্রতিটি ফরজের জন্য ৭০গুণ সওয়াব দেওয়া হবে।কতটুকু নফল ইবাদত করার পরিকল্পনা আমরা গ্রহণ করেছি?

এই মাসে যে কেউ তার গোলামের কাজকে সহজ করে দেবে আল্লাহ তাকে মাফ করে দেবেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিবেন (তিরমিজি এবং বায়হাকী)

সচরাচর জিজ্ঞাসা

প্রশ্ন: রমজান মাসে কি নাযিল করা হয়েছে?

উত্তর: রমজান মাসে ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ আল-কোরআন নাজিল করা হয়েছে।

প্রশ্ন: মাহে রমজানের ৩০ টি রোজা রাখার ফজিলত কি?

উত্তর: মাহে রমজানের ৩০ টি রোজা আল্লাহ তায়ালার হক যা অবশ্য পালনীয়। যে মাহে রমজানের দেশটি রোজা পালন করেছেন সে আল্লাহ তায়ালার হুকুম পালন করে ফরজ আদায় করেছেন।

প্রশ্ন: তারাবির নামাজে কয় রাকাত পর পর মোনাজাত করতে হয়?

উত্তর: তারাবির নামাজে চার রাকাত পর পর মোনাজাত করতে হয়।

শেষ কথা

সুপ্রিয় ভিজিটর ভাই বন্ধুরা যারা আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়েছেন রোজা রাখার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া এই বিষয়ে নিয়ে জানার আগ্রহ নিয়ে তারা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আজকের আর্টিকেল থেকে পেয়েছেন। আজকের পোস্টটি যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে তবে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে আমাদের ওয়েবসাইটটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।এবং আপনাদের যদি কোন জিজ্ঞাসা থাকে তবে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন আমরা চেষ্টা করব আপনাদের কমেন্টের উত্তর দেওয়ার।

গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন

আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।SS IT BARI-ভালোবাসার টেক ব্লগ এর সাথেই থাকবেন।

পোস্ট ট্যাগ-

রোজা রাখার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া,নফল রোজার নিয়ত,রোজা রাখার দোয়া,নফল রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া বাংলা,নফল রোজার নিয়ত আরবি,রমজান মাস ছাড়া রোজা রাখার নিয়ত,রোজা রাখার নিয়ত বাংলায়,রোজা খোলার নিয়ত।

আরও পড়ুন –

আ দিয়ে ছেলেদের অর্থসহ ইসলামিক নামের তালিকা

ই দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম এবং নামের অর্থ

প দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নামের অর্থসহ তালিকা ২০২৩

দুই অক্ষরের ছেলেদের অর্থসহ ইসলামিক নামের তালিকা দেখুন

আ দিয়ে মেয়েদের অর্থসহ ইসলামিক নামের তালিকা দেখুন

ক দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ

ল দিয়ে মেয়েদের সুন্দর অর্থসহ ইসলামিক নাম ২০২৩

ব দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম এবং অর্থ

SS IT BARI– ভালোবাসার টেক ব্লগের যেকোন ধরনের তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের মেইলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন.

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 506 other subscribers

SS It BARI JOB NEWS

SS IT BARI-ভালোবাসার টেক ব্লগ টিম