কোন নিয়মে পড়বেন ঈদের নামাজ এই সম্পর্কে মাসলা- ঈদের নামাজের নিয়ম ও মাসলা

ঈদের নামাজের নিয়ম-ঈদ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুটি ঈদই পালন হয় ত্যাগ তিতিক্ষার মাছ দিয়ে খুশির বন্যা বইয়ে দিয়ে একটি সিয়াম সাধনা অপরটির সম্পদের ত্যাগের মাধ্যমে তবে এই ঈদের সূচনা কিভাবে হল জেনে নেওয়া উচিত।ঈদের নামাজের নিয়ম

হাদিসে এসেছে ,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনাতে আগমন করলেন তখন মদিনায় দুটি দিবস ছিল। যে দিবসে তারা (মদিনার) লোকজন খেলাধুলা করতো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এই দুই দিনের তাৎপর্য কি? মদিনা বাসীগণ বললেন আমরা এই দুই দিনে (আনন্দ) খেলাধুলা করি। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহতালা এই দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটি দিন দান করেছেন। তার একটি হল ঈদুল আযহা ঈদুল ফিতর। (আবু দাউদ)

সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকা বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম। SS IT BARI-ভালোবাসার টেক ব্লগ ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে আপনাদের জানাচ্ছি আজকের আর্টিকেলে স্বাগতম। আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে। এ সম্পর্কে জানতে অবশ্যই আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

ঈদ মানে কি

ঈদ আরবি শব্দ এর অর্থ হল ফিরে আসা ঈদ যেহেতু আনন্দের বার্তা নিয়ে মুসলমানের দ্বারে দ্বারে বারবার ফিরে আসে, সঙ্গত কারণেই এই আনন্দকে ঈদ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। তাই রোজাদার মুসলমান মাসব্যাপী রোজা পালনের পর শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখ আল্লাহ তায়ালার হুকুম পালনে ঈদ বা আনন্দ উদযাপন করে থাকে।

ঈদুল ফিতর দ্বারা এ দিবসের নাম রাখার তাৎপর্য হলো আল্লাহ তাআলা এই দিনে তার রোজাদার বান্দাদের  নিয়ামত ও অনুগ্রহ দ্বারা বারবার ধন্য করেন এবং তার ইহসানের দৃষ্টি বারবার দান করেন।কেননা মুমিন বান্দা আল্লাহর নির্দেশের রমজানে পানাহার ত্যাগ করেছেন। আবার রমজানের পর তারাই পানাহারের আদেশ পালন করে থাকেন। তাই দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতরের মাধ্যমে বান্দাকে আল্লাহ তা’আলা পানাহারে মুক্ত করে দেন। তাই ঈদুল ফিতর কি ঈদুল ফিতর করে নাম করা হয়েছে।

ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম

ঈদের নামাজ বছরে পড়তে হয় মাত্র দুইবার। ফলে অনেকেই এই নিয়ম-কানুন একটু গুলিয়ে ফেলেন। ফলে নামাজের মধ্যেই এদিক সেদিক তাকাতাকি করেন অনেকেই। যার ফলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে। অনেকেই কখন হাত বাঁধবেন কখন হাত না বেঁধে ছেড়ে দেবেন এটা নিয়ে খুব চিন্তিত থাকেন। এমনকি অনেকে একবার ডান পাশের লোকেরটা অনুসরণ করেন আরেকবার বাম পাশের লোকেরটা অনুসরণ করেন। অথচ বিষয়টা খুবই সহজ।

লাইলাতুল কদরের আমল ও ফজিলত কি

নামাজের শুরুতে আমরা যে তাকবির দেই (আল্লাহ আকবার বলি) তাকে তাকবীরে তাহরীমা বা প্রথম তাকবীর বলা হয়। যে কোন নামাজে এই তাকবীর দেওয়া ফরজ। ঈদের নামাজে এই তাকবীর এবং অন্যান্য সাধারণ তাকবীরের সাথে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবীর দিতে হয়।

প্রথম রাকাতে অতিরিক্ত তিন তাকবীর ( ছানা পড়ার পর)।

দ্বিতীয় রাকাতে অতিরিক্ত তিন তাকবীর (সূরা ফাতিহা + অন্য সূরা পড়ার পর)।

মনে রাখার বিষয় হল-

১) যে তাকবীরের পরে সূরা/ সানা পড়তে হয় সেই তাকবীরের পর হাত বাঁধতে হয়।

২) যে তাকবীরের পরে সুরা/ সানা পড়তে হয় না সেই তাকবীরের পর হাত বাঁধতে হয় না।

এই দুইটা বিষয় মনে রাখতে হাত বাধা বা ছাড়া নিয়ে কোন সমস্যা আর থাকবে না। আসুন একটু বিস্তারিত ভাবে দেখি;

প্রথম রাকাতে-

১) তাকবীরে তাহরিমা (প্রথম তাকবীর)।

২) হাত বাধা (কারণ এর পর ছানা পড়তে হবে)।

৩) ছানা পরা।

৪) প্রথম অতিরিক্ত তাকবীর দেওয়া।

৫)হাত ছেড়ে দেওয়া ( কেননা এর পরে তো আর কোন সূরা পড়া হচ্ছে না)।

৬) দ্বিতীয় অতিরিক্ত তাকবীর দেওয়া।

৭) হাত ছেড়ে দেওয়া (কেননা এর পরে তো আর কোন সূরা পড়া হচ্ছে না)।

৮) তৃতীয় অতিরিক্ত তাকবীর দেওয়া।

৯) হাত বেঁধে ফেলা (কারণ এরপরে সূরা পড়া হবে)।

১০) সূরা ফাতিহা প্লাস অন্য সূরা মেলানো।

১১) তাকবীর দেওয়া।

১২) রুকু করা।

১৩) রুকু থেকে দাঁড়ানো।

১৪) সিজদায় যাওয়া।

১৫) দুইটি সিজদা করা।

১৬) তাকবীর দেওয়া (দ্বিতীয় রাকাতের জন্য)।

দ্বিতীয় রাকাতে-

১) হাত বেঁধে দাঁড়ানো।

২) সূরা ফাতিহা প্লাস অন্য সূরা মিলানো।

৩) চতুর্থ অতিরিক্ত তাকবীর দেওয়া।

৪)হাত ছেড়ে দেওয়া ( কেননা এর পরে তো আর কোন সূরা পড়া হচ্ছে না)।

৫) পঞ্চম অতিরিক্ত তাকবীর দেওয়া।

৬)হাত ছেড়ে দেওয়া (কেননা এরপরে তো আর কোন সূরা পড়া হচ্ছে না)।

৭) ষষ্ঠ অতিরিক্ত তাকবীর দেওয়া।

৮)হাত না বাধা (কেননা এর পরে তো আর কোন সূরা পড়া হচ্ছে না রুকুতে যেতে হচ্ছে)।

৯) রুকু করা।

১০) রুকু থেকে দাঁড়ানো।

১১) সিজদায় যাওয়া।

১২) দুইটি সেজদা করা।

১৩) শেষ বৈঠক প্লাস সালাম ফেরানো।

ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য

নানা দিক দিয়ে ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য অপরিসীম। এ ব্যাপারে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী প্রাণিধানযোগ্য।তিনি এরশাদ করেন, যখন ঈদুল ফিতরের দিন আসে তখন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যারা রোজা পালন করেছে তাদের সম্পর্কে ফেরেশতাদের নিকট গৌরব করে বলেন, হে আমার ফেরেশতাগণ, তোমরা বলতো যে শ্রমিক তার কাজ পুরোপুরি সম্পাদন করে তার প্রাপ্য কি হওয়া উচিত?

উত্তরে ফেরেশতাগণ বললেন, হে মাবুদ! পুরোপুরি পারিশ্রমিকই তার প্রাপ্য ফেরেশতাগণ আমার বান্দা-বান্দীগণ তাদের প্রতি নির্দেশিত ফরজ আদায় করেছে। এমনকি দোয়া করতে করতে ঈদের ওয়াজিব নামাজের জন্য বের হয়ে গেছে।এমতাবস্থায় আমার মহিমা গরিমা উচ্চ মর্যাদা ও উচ্চসনের শপথ আমি অবশ্যই তাদের প্রার্থনায় সারা দেব।

লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ম

এরপর নিজ বান্দাগণকে লক্ষ্য করে আল্লাহপাক ঘোষণা করে দেন, তোমরা ফিরে যাও। আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিলাম এবং তোমাদের সাধারণ পাপরাসীকে পুণ্যে পরিবর্তন করে দিলাম। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তখন তারা ক্ষমাপ্রাপ্ত অবস্থায় বাড়িতে প্রত্যাবর্তন করে ঈদুল ফিতরের ফজিলত ও তাৎপর্য সম্পর্কে হযরত সাঈদ আনসারী রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, ঈদুল ফিতরের দিনে আল্লাহর ফেরেশতাগণ রাস্তায় নেমে আসেন এবং গলিতে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলতে থাকেন, মুসলমানগণ তোমরা আল্লাহর দিকে দ্রুত ধাবিত হও।

তিনি তোমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এবাদত করা হয়েছিল তোমাদেরকে তা তোমরা পালন করেছে যথাযথভাবে রাতেও জাগ্রত থেকে আল্লাহর এবাদত এর প্রতিদান তার নিকট থেকে গ্রহণ করো। (তাবারানী)

ঈদের ইসলামিক মাসলা

মসজিদের বিছানার চাটাই শামিয়ানা ইত্যাদি ঈদগাহে নিয়ে যাওয়া দুরস্ত। (ফাতাওয়ায়ে শামি)

যে ব্যক্তি দাড়ি মুন্ডায় অথবা এক পুষ্টির কম রেখে কর্তন করে তাকে ইমাম বানানো জায়েজ নেই। ঈদ এবং অন্যান্য নামাজের ক্ষেত্রে একই হুকুম ইমামতের বেলায় উত্তরাধিকারী দাবী গ্রহণযোগ্য নয় বরং শরীয়তের দৃষ্টিতে ইমামতির যোগ্য হওয়া জরুরী। (আদ্দুররুল মুখতার)

ঈদের নামাজের পড়বে নিজ ঘরে বা ঈদগাহে ইশরাক ইত্যাদি নফল পড়া নিষিদ্ধ ঈদের জামাতের পরে ঈদগাহে নফল নামাজ পড়া মাকরূহ হ্যাঁ ঘরে ফিরে ইশরাক চাশত নফল পড়তে কোন অসুবিধা নেই। (আদ্দুরুল‌‌ মুখতার)

গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন

ঈদের নামাজের সালাম ফেরানোর পর মোনাজাত করা মুস্তাহাব। ঈদের খুতবার পরে মোনাজাত করা মুস্তাহাব নয়। (মুসনাদে আহমদ হাদিস)

শর ্ঈ ওযর ব্যতীত ঈদের নামাজ মসজিদে আদায় করা সুন্নতের খেলাফ। (আদ্দুরুল মুখতার)

যদি ইমাম অতিরিক্ত তাকবীর সমূহ ভুলবশত না বলে আর ঈদের জামাত অনেক বড় হয় তাহলে ফেতনা ফ্যাসাদের আশঙ্কায় সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হয় না।সুতরাং সিজদা সাহু করবে না। আর যদি এমন হয় যে উপস্থিত সকলেই সিজদায়ে সাহু সম্পর্কে অবগত হতে পারে তাহলে সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। (আদ্দুরুল মুখতার)

ঈদের নামাজ পড়ার পর ইমাম খুতবা দেবে আর মুসল্লিরা খুতবা মনোযোগের সঙ্গে শুনবে। অবশ্য অনেকেই খুতবা না দেওয়ার ব্যাপারে শিথিলতার কথা বলেছেন। খুতবা না দিলেও ঈদের নামাজ আদায় হয়ে যাবে বলে মত দিয়েছেন।

অতিরিক্ত তাকবীরের ক্ষেত্রে অন্যান্য মাযহাব সহ অনেকেই প্রথম রাকাতে তাকবীরে তাহরিমা সহ সাত তাকবীর আর দ্বিতীয় রাকাতে ৫ তাকবীর দিয়ে থাকেন। এতে কোন অসুবিধা নেই।

সচারচর জিজ্ঞাসা

প্রশ্ন: ঈদের নামাজ কয় রাকাত?

উত্তর: ঈদের নামাজ দুই রাকাত।

প্রশ্ন: ঈদের নামাজ সম্পর্কে কি হুকুম?

উত্তর: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বরং তিনি শিশু ও বৃদ্ধদের কেউ ঈদের নামাজের নিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি হায়েজ গ্রস্ত নারীদের কেউ ঈদের মাঠে নিয়ে যেতে বলেছেন। যদিও তারা নামাজ পড়বেনা। ঈদের নামাজ ওয়াজিব।

প্রশ্ন: ঈদুল ফিতর কি?

উত্তর: ঈদুল ফিতর শব্দটি আরবি শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে উৎসব আনন্দ খুশি রোজা ভেঙে ফেলাই ইত্যাদি। দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ শাওয়াল মাসের চাঁদের আগমনে রোজা ভেঙে আল্লাহর বিশেষ শুকরিয়াঢ় যে আনন্দ উৎসব পালন করে শরীয়তের পরিভাষায় তাই ঈদুল ফিতর।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠিকা বন্ধুরা আমাদের আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত আশা করি মনোযোগ দিয়ে পড়ে ঈদের সম্পর্কে ইসলামের জানা অজানা অনেক কথাই জানতে পেরেছেন।

আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। সকলেই ভালো থাকুন।

পোস্ট ট্যাগ-

ঈদের নামাজের নিয়ম,কোরবানির ঈদের নামাজের নিয়ম,ঈদের নামাজ কয় রাকাত,ঈদের নামাজের নিয়ত আরবিতে,ঈদুল ফিতর নামাজের নিয়ত,ঈদের নামাজ কি ওয়াজিব,জানাজার নামাজের নিয়ম,ঈদের নামাজ কি ফরজ,ঈদের নামাজ কয় তাকবীর।

আপনার জন্য আরো –

আরও পড়ুন –

তারাবির নামাজ ২০ রাকাতের একটি দলিল

তারাবি নামাজ কিভাবে এলো

তারাবীহ নামাজ কোন নিয়মে পড়বো? 

২০২৩ সালের রোজার খাবার তালিকা

ইসলামে মেয়েদের রোজা সংক্রান্ত মাসয়ালা সম্পর্কে জানুন

শবে মেরাজের ঘটনা ও শবে মেরাজের আমল-ইসলামিক টিপস

মাহে রমজানের রোজা সম্পর্কে হাদিসের কথা

রোজা থাকা অবস্থায় ঘুমের মতো স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভঙ্গ হবে কিনা?

শাওয়ালের ছয় রোজা কোন নিয়মে রাখতে হয়

রোজা রাখার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া ২০২৩

মাহে রমজানের রোজা ভাঙ্গার কারণ গুলো কি কি

SS IT BARI– ভালোবাসার টেক ব্লগের যেকোন ধরনের তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের মেইলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন.

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join ৫০৬ other subscribers

 

প্রতিদিন আপডেট পেতে আমাদের নিচের দেয়া এই লিংক এ যুক্ত থাকুন

SS IT BARI- ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন

SS IT BARI- ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
SS IT BARI- ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে :এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।

SS IT BARI- টুইটার থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- লিংকদিন থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- ইনস্টাগ্রাম থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- টুম্বলার (Tumblr)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে :এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- পিন্টারেস্ট (Pinterest)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS It BARI JOB NEWS

SS IT BARI-ভালোবাসার টেক ব্লগ টিম