জন্ডিস রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায়-Healthy Bangla Tips

জন্ডিস রোগ-জন্ডিস শব্দটি ফরাসি শব্দ jaundice থেকে এসেছে যার অর্থ হলুদাভ। জন্ডিস এমন একটি রোগ যা মানব দেহে বাসা বাঁধলে মানব দেহের রক্তের বিলিরুবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক চোখের সাদা অংশ এবং অন্যান্য মিউকাস ঝিল্লি হলুদ হয়ে যায়। বাংলাদেশের জন্ডিস একটি অতি পরিচিত রোগ। এটি একটি সাধারণ রোগ হলেও এর সাথে অনেক জটিল রোগের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তাই সঠিক সময় জন্ডিস রোগের চিকিৎসা করা না হলে ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি হতে পারে। ‌ জন্ডিস একজন নবজাতক শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকল বয়সের মানুষের শরীরে হতে পারে। জন্ডিসের সাধারণ কিছু উপসর্গ দেখা দিলেই এর চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া উচিত।জন্ডিস রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায়

আপনি কি জন্ডিস রোগে ভুগছেন? জন্ডিস রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে আপনি কি অজ্ঞত? সম্মানিত ভিজিটর বন্ধুরা যদি এই প্রশ্নগুলি আপনার সাথে মিলে যায় তাহলে অবশ্যই আজকের আর্টিকেলে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আপনি পাবেন। আমাদের আজকের আর্টিকেলে জন্ডিস রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে কিছু কথা তুলে ধরা হবে। আশা করছি শেষ পর্যন্ত আর্টিকেল পড়ে আপনি আপনার অজানা কিছু কথা জেনে নিতে পারবেন। আজকের আর্টিকেলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত সাথে থাকুন।

জন্ডিস রোগ কি

জন্ডিস আসলে কোন রোগ নয় এটি একটি রোগের উপসর্গ মাত্র।লিভারে প্রক্রিয়াজাত হয়ে পিত্তরসের সাথে পিত্তনালীর সাহায্যে পরিপাকতন্ত্রে প্রবেশ করে। অন্ত্র থেকে বিলিরুবিন পায়খানার সাথে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।বিলিরুবিনের এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমা স্বাভাবিকভাবে না হয়ে যেকোনো অসংগতি দেখা দিলে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং জন্ডিসের মতো রোগ দেখা দেয়।

জন্ডিস রোগের কারণ

মানবদেহের রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে জন্ডিস রোগ দেখা দেয়। সাধারণত লিভারের রোগী জন্ডিসের প্রধান কারণ। আমরা যা কিছু খাই তা লিভারের প্রক্রিয়াজাত হয়। লিভার বিভিন্ন কারণে রোগাক্রান্ত হতে পারে হেপাটাইটিস এ,বি,সি,ডি এবং ই ভাইরাস গুলো লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি করে যাকে বলা হয় ভাইরাল হেপাটাইটিস। বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বের জন্ডিসের প্রধান কারণ এই হেপাটাইটিস ভাইরাস গুলো। উন্নত দেশগুলোতে অতিরিক্ত মদ্যপান জন্ডিসের একটি অন্যতম প্রধান কারণ। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের জন্ডিস রয়েছে যার কারণে ভিন্ন ভিন্ন এই সম্পর্কে নিচে তুলে ধরা হলো-

চর্মরোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার কার্যকারী চিকিৎসা

১)লিভার প্রদাহে বিলিরুবিনের উৎপাদন বেড়ে যায় ফলশ্রুতিতে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে জন্ডিস সৃষ্টি হয়।

২) পিত্তনালীর প্রদাহে বিলিরুবিন শোষণ ব্যাহত হলে বিলিরুবিন বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর ফলে জন্ডিস দেখা দেয়।

৩)পিত্তনালীতে ব্লক হলে লিভার বিলিরুবিন সারাতে ব্যর্থ হয়। বেড়ে যায় জন্ডিসের সম্ভাবনা।

৪) গিলবার্ড সিনড্রম এর ফলে এনজাইম এর কার্যক্ষমতা কমে যায়। যার ফলে পিত্তের রেচনতন্ত্রের সমস্যা হয় এবং বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে জন্ডিসের সৃষ্টি হয়।

৫) ডুবিন জনসন সিন্ড্রম একটি বংশগত রোগ যা লিভার থেকে বিলিরুবিন শোষণ হতে বাধা দেয়। ফলশ্রুতিতে জন্ডিস হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

জন্ডিসের উপসর্গ

জন্ডিসের কিছু কিছু উপসর্গ দেখা দিলেই সহজেই বোঝা যায় জন্ডিসের আক্রান্ত কিনা। জন্ডিসের ক্ষেত্রে সাধারণ কিছু লক্ষণ হলো;

১)জন্ডিসের প্রধান লক্ষণ হল চোখ এবং প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যাওয়া। আবার সমস্যা বেশি হলে পুরো শরীর গাড়ো হলুদ বর্ণ ধারণ করতে পারে।

২) শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়।

৩) ক্ষুধা মন্দা দেখা দেয়।

৪) বমি বমি ভাব অথবা বমি হয়।

৫) মৃত বা তীব্র পেটে ব্যথা অনুভব হয়।

৬) অনেক সময় পায়খানা সাদা হয়ে যায়।

৭) শরীরে চুলকানি হয়।

৮) যকৃত শক্ত হয়ে যায়।

৯) বমি বমি ভাব হয়।

এই সমস্ত উপসর্গ গুলো দেখা দিলে অবশ্যই একজন লিভার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।চিকিৎসক শারীরিক লক্ষণ এবং রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জন্ডিসের তীব্রতা ও কারণ নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার নির্দেশনা দিয়ে থাকবেন।

জন্ডিস রোগ প্রতিরোধ করার উপায়

জন্ডিসের চিকিৎসা সাধারণত নির্ভর করে ঠিকই কারণে জন্ডিস হল তার ওপর। তবে জন্ডিস থেকে বেঁচে থাকতে আমাদের কিছু করণীয় রয়েছে। জন্ডিস প্রতিরোধ সম্পর্কে জেনে নিন;

১) হেপাটাইটিসে a‌ ও‌ e খাদ্য ও পানির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। আর বি সি এবং ডি দূষিত রক্ত,সিরিঞ্জ এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ায়। তাই সব সময় বিশুদ্ধ খাদ্য পানি খেতে হবে। শরীরের রক্ত নেওয়ার দরকার হলে অবশ্যই প্রয়োজন স্ক্রিনিং করে নিতে হবে। disposable সিরিঞ্জ ব্যবহার করার খুবই জরুরী।

২) মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে।

৩) কলকারখানার রাসায়নিক পদার্থ থেকে দূরে থাকতে হবে।

৪) নেশা দ্রব্য গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৫) ব্যবহৃত ইনজেকশন কিংবা নাক কান ফুরানো সুই ব্যবহার করবেন না। যারা সেলুনের সেভ করেন তাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন আগে ব্যবহার করা ব্লেড বা ক্ষুর আবারও ব্যবহার করা না হয়।

৬) নিরাপদ যৌন মিলন করুন।

৭)হেপাটাইটিসের এ এবং বি হওয়ার আশঙ্কা মুক্ত থাকতে হেপাটাইটিস এ এবং বি এর ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে।

জন্ডিস অনেক ক্ষেত্রেই মৃত্যুর কারণ হতে পারে তাই এই রোগ থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

জন্ডিস রোগের ল্যাবরেটরি পরীক্ষা

জন্ডিস রোগ নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের ল্যাবরেটরী পরীক্ষা করা হয়। জন্ডিস রোগের ল্যাবরেটরী কয়েকটি পরীক্ষার সম্পর্কে জেনে নিন-

  1. Serum bilirubin
  2. SGPT
  3. SGOT
  4. Cholesterol
  5. Prothrombin time
  6. Ultrasound L/A
  7. Urine R/M/E

জন্ডিস রোগের চিকিৎসা

ভাইরাল হেপাটাইটিসের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া চিকিৎসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভাইরাল হেপাটাইটিস সাধারণত তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যেও সম্পূর্ণরূপে সেরে যায়। এই সময় ব্যথার যেমন; প্যারাসিটামল, এসপিরিন, ঘুমের ঔষধ সহ অন্য কোন অপ্রয়োজনীয় ঔষধ খাওয়া যাবে না। তবে জন্ডিস হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের ঔষধ সেবন করা ঠিক হয় না।

হেপাটাইটিস বি ও হেপাটাইটিস সি ভাইরাস দুটি কিছু কিছু ক্ষেত্রে জন্ডিস সেরে যাওয়ার পরও লিভারের দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহের সৃষ্টি করতে পারে যা পরবর্তী সময়ে লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যান্সারের মত জটিল রোগ তৈরি করতে পারে। তাই এই দুটি ভাইরাসের আক্রান্ত হলে দীর্ঘমেয়াদি লিভার বিশেষজ্ঞের অধীনে থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।

গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন

অনেক সময় দেখা যায় লোহিত কণিকার ভাঙ্গনজনিত জন্ডিসের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্য এই রোগ এমনিতেই সেরে যায়।কারণ দেহে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত বিলিরুবিন তৈরি হচ্ছে আর রক্তকণিকার গড় আয়ু ১২০ দিন। তাই অনেক ক্ষেত্রেই ১২০ দিন অর্থাৎ তিন মাস পর লোহিত কণিকার ভাঙ্গনজনিত সমস্যার নতুন রক্ত কণিকা তৈরি হওয়ার কারণে ঠিক হয়ে যায় এবং জন্ডিস ভাব এমনিতেই দূর হয়ে যায়। রোগীকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। লিভার বা যুকৃতের বিশ্রামের জন্য শরবত ও আখের রস খেলে ভালো হয়। খাবারের রুচি থাকলে ভাত মাছ তরকারি পাউরুটি দুধ ইত্যাদি খাওয়া যাবে।

পিত্ত থলিতে পাথরের কারণে পেটে ব্যথা হলে পেটে তারপিন তেল মালিশ করলে বা পেটে শেক দিলে কিছুটা আরাম পাওয়া যায়। রোগীকে তরল ও পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। এই সমস্যায় ডাবের পানি ফলের রস ঘোল ছানার পানি ইত্যাদি বেশ উপকারী। চর্বিযুক্ত খাবার যেমন ঘি মাখন ইত্যাদি না খাওয়াই ভালো। যদি আপনি আপনি এই রোগ ভালো হয়ে যায় তবে বুঝতে হবে যে পাথর বের হয়ে গেছে। না হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

অন্য কোন কারণে জন্ডিস দেখা দিলে অনেক ক্ষেত্রে তার জটিল আকার ধারণ করতে পারে। কি কারণে জন্ডিস হয়েছে তা সঠিকভাবে নির্ণয় করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।

যেহেতু জন্ডিস কোন রোগ নয়। তাই এর কোন ঔষধ নেই। সাধারণত 7 থেকে 28 দিনের মধ্যে রক্তে বিড়িরুবিনের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে গেলে জন্ডিস এমনিতেই সেরে যায়। জন্ডিস অনেক ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হতে পারে। এমন কি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই জন্ডিস সম্পর্কে জানতে হবে এবং সচেতন হতে হবে।

সচরাচর জিজ্ঞাসা

জন্ডিস হলে কখন ডাক্তার দেখানো উচিত?

উত্তর:ত্বক চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে গেলে জন্ডিস হয়েছে বলে মনে করতে হবে এবং দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে হবে।

জন্ডিস কেন হয়?

উত্তর: রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে জন্ডিস দেখা দেয়।

জন্ডিস হলে কি খাওয়া উচিত নয়?

উত্তর: যদি কারো জন্ডিস হয় তবে বাইরের সকল খাবার পরিহার করতে হবে। বিশেষ করে একটু বেশি সাবধানে থাকতে হবে পানির ক্ষেত্রে। জন্ডিস থাক বা না থাক কোনভাবেই ফুটানো পানি ছাড়া পানি পান করা যাবে না।

শেষ কথা

সম্মানিত পাঠক পাঠিকা বন্ধুরা ইতোমধ্যেই আপনারা জন্ডিস রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন আমাদের আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে। এই সংক্রান্ত কারো কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না।আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন আরো নতুন নতুন কনটেন্ট গুলো আপনারা পেতে চাইলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকবেন এবং আপনার বন্ধুদের সাথে ওয়েবসাইটটির কথা শেয়ার করবেন। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।

পোস্ট ট্যাগ-

বিলিরুবিনের মাত্রা কত হলে জন্ডিস হয়,জন্ডিস হলে কি ঔষধ খাব,জন্ডিসের সিরাপ,জন্ডিস হলে কি ডিম খাওয়া যাবে,জন্ডিস হলে কি খেতে হয়,জন্ডিস হলে কি মানুষ মারা যায়,জন্ডিস হলে কি খাওয়া যাবে না,জন্ডিস হলে কি স্যালাইন খাওয়া যাবে।

আপনার জন্য-

যক্ষা বা টিবি রোগের লক্ষণ

ক্যান্সার রোগের যেসব লক্ষণ এড়িয়ে যাবেন না

শ্বেতী রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নিন

আয়রন যুক্ত খাবার

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে কি কি খাবার খাওয়া উচিত

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

বমি হলে কি খাওয়া উচিত

থ্যালাসেমিয়া রোগীর জন্য উপযোগী খাবার

সিজারিয়ান মায়ের খাদ্য তালিকা

সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাবার গ্রহণ

কিডনি পরিষ্কার রাখার ৯টি খাবার সম্পর্কে জেনে নেই

SS IT BARI– ভালোবাসার টেক ব্লগের যেকোন ধরনের তথ্য সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের মেইল টি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 504 other subscribers

 

প্রতিদিন আপডেট পেতে আমাদের নিচের দেয়া এই লিংক এ যুক্ত থাকুন

SS IT BARI- ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন

SS IT BARI- ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
SS IT BARI- ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে :এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।

SS IT BARI- টুইটার থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- লিংকদিন থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- ইনস্টাগ্রাম থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- টুম্বলার (Tumblr)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে :এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- পিন্টারেস্ট (Pinterest)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

Lakhi Hasan

SS IT BARI-ভালোবাসার টেক ব্লগ টিম