ক্যান্সার রোগের যেসব লক্ষণ এড়িয়ে যাবেন না (মৃত্যুঝুকি)- ক্যান্সার রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা

ক্যান্সার রোগের লক্ষণ-বর্তমানে ক্যান্সার রোগের রোগীর সংখ্যা অসংখ্য। এই রোগের চিকিৎসা এখনো পর্যন্ত তেমন উন্নত নয়। এই রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। ক্যান্সার এমন একটি রোগ যা অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন সংক্রান্ত রোগসমূহের সমষ্টি‌। সাধারণত প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগটি সহজে ধরা পড়ে না যার ফলে শেষ পর্যায়ে গিয়ে বা লাস্ট স্টেজে গিয়ে এই রোগীকে ভালো কোন চিকিৎসা দেওয়াও সম্ভব হয় না।

বাস্তবতা এটাই যে ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসার জন্য এখনো পর্যন্ত তেমন কোনো কার্যকারী ঔষধ আবিষ্কৃত হয়নি। যদিও ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসায় বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদি কোন রোগীর ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার ধরা পড়ে সে ক্ষেত্রে এই রোগ নিরাময়ের সম্ভাবনা অনেক আগে সেই বেড়ে যায়।ক্যান্সার রোগের লক্ষণ

ক্যান্সার রোগের অনেক ধরণ রয়েছে একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম ক্যান্সার রোগ দেখা দিতে পারে। প্রায় ২০০ প্রকারেরও বেশি ক্যান্সার রয়েছে প্রতিটি ক্যান্সার ই আলাদা আলাদা লক্ষণ থাকে এবং এদের চিকিৎসা পদ্ধতি ও ভিন্ন।বর্তমান সময়ে ক্যান্সার নিয়ে প্রচুর গবেষণা হচ্ছে এবং এই সম্পর্কে নতুন নতুন অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

মরণব্যাধি ক্যান্সার নামটি শুনলেই শরীর থমকে ওঠে। খুব সহজেই এই রোগটি একজনের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় প্রথম পর্যায়ে রোগটি তেমন কোন ইঙ্গিত দেয় না। কিন্তু ধীরে ধীরে এটি প্রকট আকার ধারণ করে মানবদেহে। এই ক্যান্সার সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে অনেক সময় শেষ পর্যায়ে এসে এই ক্যান্সার ধরা পড়ে যার কারণে যথাযথ চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না।

বন্ধুরা কি কি লক্ষণ দেখা দিলে বুঝবেন যে আপনি এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বা এই রোগের যথাযথ চিকিৎসা পদ্ধতি কি সেই সম্পর্কেই আজকের আর্টিকেলে তুলে ধরা হবে। এই মরণব্যাধি ক্যান্সার সম্পর্কে জানতে হলে শেষ পর্যন্ত সাথে থাকুন এবং আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

ক্যান্সার কি

সকল প্রাণীর শরীরে অসংখ্য ছোট ছোট কোষের মাধ্যমে তৈরি। এই কোষগুলো একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর মৃত্যুবরণ করে। এই পুরনো কোষগুলোর জায়গায় নতুন কোষ এসে স্থান দখল করে। সাধারণত দেখা যায় কোষগুলো নিয়ন্ত্রিতভাবে এবং নিয়ম মতবিভাজিত হয়ে নতুন কোষের জন্ম দেয়। অর্থাৎ যখন এই কোষগুলো কোন কারণে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে তখনই ত্বকের নিচে মাংসর দলা অথবা চাকা দেখা যায় একেই বলা হয় টিউমার। এই টিউমার বিনাইন বা ম্যালিগন্যান্ট হতে পারে। এই ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকে ক্যান্সার বলা হয়।

থ্যালাসেমিয়া রোগী চিহ্নিত করার উপায় 

বিনাইন টিউমার ক্যান্সার নয়। নিউপ্লাসিয়া‌ কলা ভেদক ক্ষমতাসম্পন্ন হলে তাকে ম্যালিগনেন্ট টিউমার বা ক্যান্সার এবং তার অনিয়ন্ত্রিত বিভাজন ক্ষমা ভেদক ক্ষমতাযুক্ত কোষগুলোকে ক্যান্সার কোষ বলে।অনেক ক্যান্সার ই দেখা যায় প্রথমে বিনাইন টিউমার হিসেবে সূত্রপাত ঘটে পড়ে তার মধ্যকার কিছু কোষ পরিবর্তিত হয়ে মিলিগন্যান্ট হয়ে যায়।

তবে বিনাইন টিউমার ক্যান্সারে পরিবর্তিত হবেই তার কোন নিশ্চিন্ততা নেই। কিছু বিনাইন টিউমার সদ্রিস ব্যাধি আছে যাতে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এদেরকে বলা হয় প্রি ক্যান্সার। বিনাইন ক্যান্সার নিরীহ হলেও বিনাইন টিউমার ও চাপ দিয়ে আশেপাশের কলার ক্ষতি করতে পারে। মেটাস্ট্যাসিস হল ক্যান্সারের একটি পর্যায়ে যাতে ক্যান্সার কোষ গুলি অন্যান্য কলাকে ভেদ করে রক্ত লসিকা তন্ত্র ইত্যাদির মাধ্যমে দূরবর্তী কলায় ছড়িয়ে পড়ে।

ক্যান্সারের লক্ষণ

ক্যান্সারের এমন কিছু লক্ষণ রয়েছে যা মানুষ নিজের অজান্তেই এড়িয়ে যায়। অথচ রোগ বালাই শুরুতে ধরা পড়লে চিকিৎসক অনেক সহজেই তা চিকিৎসা করতে পারে। কিন্তু যদি তা শেষ পর্যায়ে এসে ধরা পড়ে তাহলে তার চিকিৎসা করা দুরূহ। তাই আজ জানাবো ক্যান্সারের এমন কিছু লক্ষণ যেগুলো দেখে ক্যান্সার শনাক্ত করা সম্ভব। মূলত ক্যান্সারের একেক ধরনের জন্য এর লক্ষণও একেক রকম হয়ে থাকেকিন্তু ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সাধারণ যে লক্ষণ গুলো দেখা দিতে পারে সেগুলো হলো-

ঘন ঘন কাশি

মাঝে মাঝে ঘন ঘন কাশি হলে উদ্বেগের কোন কারণ নেই কিন্তু যদি ঘন ঘন কাশি কিংবা কফের সঙ্গে রক্ত বের হয় তাহলে উদ্বেগে হওয়ার মতো ব্যাপার আছে। বেশিরভাগ কাশি বিপদের কারণ না হলেও কিছু ক্ষেত্রে ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণও হতে পারে এটি।

অন্ত্রের অভ্যাসে

অন্ত্রের অভ্যাসে ঘন ঘন পরিবর্তন যেমন আপনার অন্ত্রের মধ্যে নড়াচড়া যদি সহজ না হয় এবং মল স্বাভাবিকের চেয়ে বড় কিংবা কোন ভাবে অস্বাভাবিক মনে হয় তাহলে তা মলাশয় ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রেও দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা জরুরী।

প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত

মূত্রথলির অভ্যাসে পরিবর্তন হলে কারো মূত্র বা প্রস্রাব এর সঙ্গে রক্ত আসে সেই রক্ত মুত্র থলি বা কিডনির ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। আবার অনেক সময় মূত্রনালীতে সংক্রমণের কারণেও এটা হতে পারে। তাই সন্দেহ থাকলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই উচিত।

ঘনঘন ব্যথা

অপ্রত্যাশিত ঘনঘন ব্যথা অনেক আংশিক ক্যান্সারের লক্ষণ নয় তবে ঘন ঘন ব্যথা হলে তার চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। যদি আপনার ক্রমাগত মাথা ব্যথা হয় আবার এটা ভাবার কারণ নেই যে কারো বুঝি ব্রেইন ক্যান্সার হয়েছে।কিন্তু বুকে ক্রমাগত এবং নিয়মিত ব্যাথা ফুসফুসের ক্যান্সার কিংবা তলপেটে ক্রমাগত ব্যথা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

ক্ষতস্থান না শুকালে

এমন কোন ক্ষত যদি থাকে যা শরীরের তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে শুকাচ্ছে না তাহলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ হতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

অপ্রত্যাশিত রক্তপাত

যদি মাসিকের সময় ছাড়া অন্য কোন সময় অপ্রত্যাশিত রক্তপাত ঘটে তাহলে সারভিকাল ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

অপ্রত্যাশিত ওজন কমে যাওয়া

অনেকেই ওজন কমানোর জন্য নানা রকম চেষ্টা করে থাকেন তাই যদি সে ক্ষেত্রে ওজন কমে যায় সেটি কোন চিন্তার বিষয় নয়। কিন্তু যদি কোন রকম চেষ্টা ছাড়াই কারো ওজন ক্রমাগত কমতে থাকে তাহলে সেটা বিপদের লক্ষণ।

অপ্রত্যাশিত স্ফিতি

শরীরের কোথাও কোন অপ্রত্যাশিত স্ফিতি বা কোন ফোলা স্থানের আকার পরিবর্তন হলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন কারন এটি বিপদের লক্ষণ। বিশেষ করে মেয়েদের স্তনের মধ্য কোন অস্বাভাবিক মাংসপিন্ডের উপস্থিতি ও কিন্তু ক্যান্সারের লক্ষণ।

খাদ্যনালীর সমস্যা

ঘন ঘন গিলতে সমস্যা হয় এটি ক্যান্সারের একটি লক্ষণ। এই লক্ষণ টি দুই ধরনের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। ঘাড় এবং খাদ্যনালির ক্যান্সার।

আঁচিল বা তিলের আকৃতি পরিবর্তন

সব আঁচিল বা তিলের সঙ্গে টিউমারের কোন সম্পর্ক নেই। তবে কোন আঁচিল বাতিলের আকৃতি ক্রমাগত পরিবর্তন হতে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই ভালো।

এগুলো ছাড়াও ক্যান্সারের আরো কিছু লক্ষণ হলো-

১) ক্লান্ত বোধ করা।

২) ক্ষুধা ভাব কমে যাওয়া।

৩) জ্বর, রাতে ঠান্ডা লাগা বা ঘেমে যাওয়া।

৪) ত্বকের বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখা দেওয়া।

৫) শরীরের কোন স্থানে চাকা বা দোলা দেখা দেওয়া।

৬) দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা গলা ভেঙে যাওয়া।

ক্যান্সারের চিকিৎসা

ক্যান্সারে সাধারণত বয়স বাড়ার সাথে সাথে ঝুঁকি বাড়তে থাকে। এর মূল কারণ হলো এই সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে।এক হিসেবে দেখা গেছে যত মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তাদের ৭০ ভাগেরই বয়স ৬০ বছরের উপরে। তাই ক্যান্সার রোগ দেখা দেওয়ার উপসর্গ দেখামাত্র চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।ক্যান্সার রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। ক্যান্সার চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো হলো-

অস্ত্রোপচার

শরীরের যে স্থানে ক্যান্সার আক্রান্ত হয় সেটির ক্যান্সার আক্রান্ত কোষ গুলো এবং তার আশেপাশের কোষ গুলোকে অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে কেটে সরিয়ে ফেলা হয়।ক্যান্সার যদি অল্প একটু জায়গা জুড়ে থাকে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে তাহলে এই ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হয়।

রেডিও থেরাপি

নিয়ন্ত্রিতভাবে শরীরের অংশবিশেষ তেজস্ক্রিয় রশ্নি প্রয়োগ করে সেই জায়গায় কোষগুলোকে ধ্বংস করার জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় সেটিকে বলা হয় রেডিওথেরাপি। এই রেডিও থেরাপি ক্যান্সারের অন্যতম একটি চিকিৎসা পদ্ধতি।

কেমোথেরাপি

কেমো থেরাপির মাধ্যমে ক্যান্সার কোষ কে ধ্বংস করতে এন্টি ক্যান্সার ড্রাগস বা ওষুধ ব্যবহার করা হয়। পঞ্চাশটিরও বেশি ধরনের কেমোথেরাপির ঔষধ রয়েছে। এগুলোর কোন কোনটা ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল হিসেবে খেতে হয় কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ঔষধগুলোকে স্যালাইনের সাথে বা অন্য কোনভাবে সরাসরি রক্তে দিয়ে দেওয়া হয়। রক্তের সাথে মিশে গিয়ে এই ঔষধ গুলো শরীরের যেখানে যেখানে ক্যান্সার কোর্স রয়েছে সেখানে গিয়ে ক্যান্সার কোষগুলোকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে।

হরমোন থেরাপি

হরমোন থেরাপি সাধারনত শরীরের কিছু হরমোনের মাত্রা পরিবর্তন করার মাধ্যমে এই চিকিৎসা করা হয়। শারীরিক বৃদ্ধির সাথে হরমোনের একটা সম্পর্ক রয়েছে। কোন কোন ক্যান্সার এই হরমোন এর মাধ্যমে প্রভাবিত হয় যার ফলে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি কমিয়ে ক্যান্সারকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হরমোন থেরাপি ব্যবহৃত হয়।

সহায়ক চিকিৎসা

ক্যান্সারের শারীরিক চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীদের মানসিক চিকিৎসার ব্যাপারে এখন চিকিৎসকরা জোর দিচ্ছেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীরা বেশ মানসিক কষ্টের মধ্য দিয়ে যান অনেকে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়তে পারেন। যার কারণে অনেক সময় তাদের অবস্থা বেশি গুরুতর না হলেও অনেকে দ্রুত মারা যান ফলে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। উন্নত দেশগুলোতে এইসব সেবা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সংগঠনও নিয়োজিত হচ্ছে।

সিজোফ্রেনিয়ার রোগ থেকে মুক্তির উপায়

এর মধ্যে একটি হচ্ছে ক্যান্সার আক্রান্তদের একটি গ্রুপ গঠন করা যেখানে তারা নিজেদের অভিজ্ঞতা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করতে পারেন। এর পাশাপাশি যোগ মিডিয়াটেশন ইত্যাদির মাধ্যমে রোগীদের মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার শিক্ষা দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি মানসিক স্বস্তির জন্য কেউ যদি ধর্মীয় বা সামাজিক কোনো কাজে নিয়োজিত হতে চান সে ব্যাপারেও তাদেরকে উৎসাহ দেওয়া হয়।

ক্যান্সার প্রতিরোধোক খাবার

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত কিছু ব্যাপার মেনে চললে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায় যেমন ব্যায়াম।প্রত্যেকদিন নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করা যেমন দৌড়ানো সাইকেল চালানো হাটা ইত্যাদি করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকে এমন কোন নির্দিষ্ট খাবার নেই যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে। তবে ধারণা করা যায় স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমতে থাকে। ক্যান্সার ঝুঁকি কমাতে যে সমস্ত খাবারগুলো তালিকায় রাখা উচিত সেগুলো হচ্ছে-

গ্রিন টি

সাইটোকেমিক্যালস নামের এক ধরনের পদার্থ এর উপস্থিতি থাকার কারণে নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকে।

মাছ

মাছ সবচাইতে ভালো ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডের উৎস। এই ধরনের ফ্যাটি এসিড সমূহ দেহে ক্যান্সারের সেল গঠন প্রতিরোধ করার জন্য বেশ কার্যকারী।

রসুন

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় রসুনের অন্যতম প্রধান উপকারিতা হচ্ছে এটি শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে কোন স্টোম াক ইনটেস্টটিনাল এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে রসুন খুবই উপকারী।রসুন এমন একটি উপকারী ও শক্তিশালী খাদ্য যার এন টি ব্যাকটেরিয়াল ধর্ম শরীরের ক্যান্সার কোষের ছড়িয়ে পড়াকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়।

আদা

আদার অনেক উপকারিতা রয়েছেযেমন জ্বর ঠান্ডা হার্টের সমস্যা কোলেস্টোরেল কমানো আর্থ্রাইটিস সহ ক্যান্সারের মতো জটিল অসুখ নিরসনে আদা কার্যকারী ভূমিকা রাখে‌ ক্যান্সার নিরাময়ের প্রতিষেধক হিসেবে প্রচলিত কেমোথেরাপি থেকে আদা১০০০০ গুণ বেশি শক্তিশালী মেডিসিন যা শরীরের নির্দিষ্ট ক্যান্সার কোষগুলো ধ্বংস করতে সাহায্য করে।

হলুদ

মশলার মধ্য হলুদ ক্যান্সারের সঙ্গে লড়তে আপনার শরীরকে সহায়তা দান করে। এতে রয়েছে শক্তিশালী কার কিউমিন পলিফেনল নামক পদার্থ।গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণিত কারকিউমিন ক্যান্সার সেলের গ্রোথকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কার্কিউমিন শরীরের অ্যাপপটোসিস তৈরি করে যা শরীরের ক্যান্সার জন্ম দেওয়ার ক্ষতিকারক সেল মেরে ফেলতে সাহায্য করে। মেলানোমা ব্রেস্ট ক্যান্সার ব্রেন টিউমার প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার এবং লিওকেমিয়ার মত ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে হলুদ।

মৌরী

খাবারের রুচি বাড়ানোর জন্য প্রত্যেক গৃহস্থ্য বাড়িতেই মজুদ থাকে মৌরি মৌরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটো নিউট্রেন্ডস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই জরুরী। মৌরি তে রয়েছে এনেটহোল যা ক্যান্সার সেলের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

জিরা

জিরাও ক্যান্সারের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধিরাই রয়েছে থাই মুকুইনান নামক এক যোগ্য যা প্রোস্টেট ক্যান্সারের জন্য দায়ী সেলের শরীরে ছড়িয়ে পড়া আটকে থাকে।

কাঁচা মরিচ

যেকোনো কাঁচা মরিচে রয়েছে সাইটোকেমিক্যালস এবং অন্যান্য পুষ্টি যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে মরিচের রয়েছে ক্যাপসাইসিন যা ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করে।

গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন

এছাড়াও অর্গানিক নয় এমন খাবার খাওয়া থেকে সতর্ক হওয়া উচিত। ভেজালমুক্ত খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। ভেজালযুক্ত খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ভেবেচিন্তে খাবার খেতে হবে যাতে করে নিরাপদ ও সুস্থ জীবন যাপন করা যায় মনে রাখবেন ক্যান্সার প্রতিরোধ স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস দারুন ভূমিকা রাখে।

সচরাচর জিজ্ঞাসা

ফুসফুস ক্যান্সারের উপসর্গ কি?

উত্তর ফুসফুসের ক্যান্সার অনেক লক্ষণ রয়েছে। যদি টিউমারের আকার ছোট হয় তাহলে কোন লক্ষণ দেখা যায় না। যদি টিউমারের পরিমাণ বড় হয় তখন লক্ষণ দেখা যায়। তখন কাশি থাকে এবং কাশির সঙ্গে রক্ত ঝরে এছাড়া শরীরের ওজন কমে আসে গলার স্বর ভেঙ্গে যায়।

ক্যান্সার হওয়ার কারণ কি?

ঠিক কি কারনে ক্যান্সার হয় সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে সাধারণ কিছু কারণ আছে যেগুলোর কারণে ক্যান্সার হতে পারে। যেমন; বয়স, খাবার এবং জীবন যাপনের ধারা, পারিবারিক ইতিহাস, পরিবেশ এবং পেশাগত কারণ ইত্যাদি।

ক্যান্সারের প্রতিরোধে কি কি সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত?

উত্তর:বাইরে বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন মেখে বের হওয়া, নিয়মিত ডাক্তার দেখানো। সেটা সম্ভব না হলেও শরীরের কোন অস্বাভাবিকতা দেখা দিলেই ডাক্তারের কাছে যাওয়া ৫০ বছরের বেশি বয়স হলে অবশ্যই নিয়মিত ডাক্তারের কাছে গিয়ে শরীর পরীক্ষা করানো।

শেষ কথা-

ক্যান্সার রোগের লক্ষণ ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা এর বিস্তারিত বিষয়গুলো অবশ্যই আপনারা আজকের আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পেরেছেন। এছাড়াও ক্যান্সার সম্পর্কে কারো কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাদের জানাতে পারেন আমরা যথাসাধ্য উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। আমাদের ওয়েবসাইটের নতুন নতুন আর্টিকেলগুলো পেতে অবশ্যই ওয়েবসাইটের সাথে থাকবেন এবং আপনাদের বন্ধুদের সাথে আমাদের ওয়েবসাইটটির কথা শেয়ার করবেন। আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

পোস্ট ট্যাগ-

ব্লাড ক্যান্সার লক্ষণ,পেটের ক্যান্সারের লক্ষণ,টিউমার ক্যান্সারের লক্ষণ,ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ,ক্যান্সার কিভাবে হয়,ব্রেইন ক্যান্সারের লক্ষণ,ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায়,ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে।

আপনার জন্য আরো 

আপনার জন্য-

শ্বেতী রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নিন

আয়রন যুক্ত খাবার

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে কি কি খাবার খাওয়া উচিত

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

বমি হলে কি খাওয়া উচিত

থ্যালাসেমিয়া রোগীর জন্য উপযোগী খাবার

সিজারিয়ান মায়ের খাদ্য তালিকা

সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাবার গ্রহণ

কিডনি পরিষ্কার রাখার ৯টি খাবার সম্পর্কে জেনে নেই

SS IT BARI– ভালোবাসার টেক ব্লগের যেকোন ধরনের তথ্য সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের মেইল টি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 505 other subscribers

 

প্রতিদিন আপডেট পেতে আমাদের নিচের দেয়া এই লিংক এ যুক্ত থাকুন

SS IT BARI- ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন

SS IT BARI- ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
SS IT BARI- ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে :এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।

SS IT BARI- টুইটার থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- লিংকদিন থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- ইনস্টাগ্রাম থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- টুম্বলার (Tumblr)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে :এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- পিন্টারেস্ট (Pinterest)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।