যক্ষা বা টিবি রোগের লক্ষণ-চিকিৎসা-প্রতিরোধের উপায়-Healthy Tips

যক্ষা রোগের লক্ষণ-যক্ষা রোগ নিয়ে কিছুদিন আগেও মানুষের মধ্যে ভয়ের শেষ ছিল না। এই রোগের লক্ষণ প্রাথমিকভাবে সাধারণ হলেও ধীরে ধীরে মৃত্যুর ঝুঁকিতে পরিণত হয়। পূর্বে এই রোগ নিয়ে মানুষের মধ্যে এমন আতঙ্ক থাকতো যে এই রোগের রোগীর চারপাশে কেউ আসতো না তার সাথে কথা বলত না মেলামেশা করতে চাইতো না। কিন্তু বর্তমানে এই রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি খুবই উন্নত হওয়ায় এই রোগ নিরাময়যোগ্য। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ঔষধ খাওয়ার মাধ্যমে এই রোগ ভালো হয়।যক্ষা বা টিবি রোগের লক্ষণ

যক্ষা রোগের লক্ষণ চিকিৎসা এবং প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য আমি বরাবরের মতো নিয়ে এসেছি আপনাদের জন্য আজকের আর্টিকেল। যারা যক্ষা রোগ সম্পর্কে খুব বেশি জানেন না কিংবা আশেপাশের কারো যক্ষ্মা আছে বলে ধারণা করছেন তারা আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ে যক্ষা রোগের লক্ষণ চিকিৎসা এবং প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জেনে নিবেন। যক্ষা রোগ সম্পর্কে জানতে চলুন চলে যাই আজকের মূল আলোচনায়।

যক্ষা রোগ কি

যক্ষা রোগের ইংরেজি প্রতিশব্দ টিউবারকিউলোসিস বা টিবি। যক্ষা এমন একটি সংক্রামক‌ রোগ যার কারণ মাইক্রো ব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস নামের জীবাণু। যক্ষা শব্দটি এসেছে রাজক্ষয় থেকে। ক্ষয় বলার কারণ এতে রোগীরা খুব বেশি শীর্ণ হয়ে পড়েন। যক্ষার আক্রমণ সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ফুসফুসে।টিবি বা যক্ষা রোগটি সাধারণত আর্থিকভাবে অসচ্ছল বা পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর মধ্য বেশি পরিলক্ষিত হয়।যার কারনে চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগ নিরাময়যোগ্য হলেও এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা যে কমে গেছে সেটি ভাবাবার কোন কারণ নেই।

যক্ষা রোগের লক্ষণ

ফুসফুসে যক্ষা হলে হালকা জ্বর ও কাশি হতে পারে কাশি সঙ্গে গলার ভেতর থেকে থুতুতে রক্ত বেরোতে পারে।যক্ষা ফুসফুস থেকে অন্যান্য অঙ্গেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বিশেষ করে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটে।তখন একে অস্বাসতন্ত্রের যক্ষা বলা হয়। যক্ষার লক্ষণগুলো হচ্ছে-

ক্যান্সার রোগের যেসব লক্ষণ এড়িয়ে যাবেন না

*তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে একটানা কাশি হলে যক্ষার লক্ষণ হতে পারে।

*যক্ষার লক্ষণ হিসেবে বুকে ব্যথা থাকতে পারে।

*কফের সঙ্গে রক্ত বের হলে তা যক্ষার লক্ষণ।

*অনেক সময় শরীর অতি দুর্বল হয়ে যায় যা যক্ষার লক্ষণ হতে পারে।

*অপ্রত্যাশিত ওজন কমে গেলে তা যক্ষার লক্ষণ।

*হঠাৎ করে ক্ষুধা কমে গেলে সতর্কতা দরকার কারণ এটি হতে পারে যক্ষার লক্ষণ।

*সব সময় ঠান্ডা লেগে থাকলে যক্ষা হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।

*শরীরের সব সময় জ্বর থাকলে এবং রাতের বেলা বেশি ঘামলে সতর্ক থাকা উচিত কারণ এটি হতে পারে যক্ষার লক্ষণ।

*ঘনঘন হজমের সমস্যা হলে যক্ষার লক্ষণ হতে পারে।

*যদি কোন প্রাপ্তবয়স্ক রোগের ব্লাড সুগার অথবা hiv থাকে তাহলে তার মধ্যে যক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

যক্ষা রোগ প্রতিরোধের উপায়

বিভিন্ন উপায়ে যক্ষা বা টিবি রোগ প্রতিরোধ করা যায়। যক্ষা রোগের প্রতিরোধ করার উপায় গুলো হলো;

১) জন্মের পরপর প্রত্যেক শিশুকে bcg টিকা দিতে হবে।

২) হাঁচি কাশি দেওয়ার সময় রুমাল ব্যবহার করতে হবে।

৩) যেখানে সেখানে থু থু ফেলা যাবে না।

৪) রোগীর  কফ থুথু নির্দিষ্ট পাত্রে ফেলে তা মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।

যক্ষা রোগের চিকিৎসা

যদি কোন এন্টিবায়োটিক যক্ষা রোগের সকল জীবাণু ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয় তখন ঔষধ প্রতিরোধক যক্ষার সূত্রপাত হয়। পর্যাপ্ত চিকিৎসা গ্রহণ না করা ভুল ওষুধ সেবন চিকিৎসার কোর্স সম্পূর্ণ না করা ইত্যাদি ঔষধ প্রতিরোধক যক্ষ্মার মূল কারণ।বাংলাদেশের সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জেলা সদর হাসপাতাল বক্ষব্যাধি ক্লিনিক হাসপাতাল নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র এনজিও ক্লিনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সমূহের বিনামূল্যে পরীক্ষা ও রোগ নির্ণয় সহ যথার্থ চিকিৎসা করা হয় ও ঔষধ দেওয়া হয়।

যক্ষার রোগের পরীক্ষা

যক্ষা রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা রোগ নির্ণয়ে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে থাকেন। এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যক্ষা ধরা পড়ে। সাধারণত যক্ষা রোগ নির্ণয়ে ত্বকের পরীক্ষা করা হয়, কফ পরীক্ষা করা হয়।

এছাড়াও যক্ষা রোগের ক্ষেত্রে বুকের এক্সরে পরীক্ষা অথবা সিটি স্ক্যান কালচার টেস্ট ইত্যাদি করা হয়।

অনেক সময়এইডস এবং যক্ষা রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ গুলো প্রায় একরকম হওয়ায় এইডস রোগীদের রক্ষার নির্ণয় বিষয়টি জটিল হয়ে থাকে।হামের টিকা নিলে এগুলোতে অনেক সময় জীবন্ত জীবাণু থাকে। এর জন্য ত্বক পরীক্ষায় যক্ষা ধরে নাও করতে পারে। শরীরের যক্ষা রোগের জীবাণু বেশি মাত্রায় ছেড়ে গেলে ত্বকের পরীক্ষায় রোগের জীবাণু ধরা নাও পড়তে পারে। অনেক সময় সঠিকভাবে পরীক্ষা না করলেও এতে যক্ষা রোগের জীবাণু ধরা পড়ে না।

গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন

যক্ষার ফল নেতিবাচক হলেও অনেক সময় যক্ষ্মার সংক্রমণ হতে পারে। যেমন যক্ষ্মার সংক্রমণের আট থেকে দশ সপ্তাহ পরে তা ত্বকের পরীক্ষায় ধরা পড়ে। তার আগে পরীক্ষা করলে ধরা নাও পড়তে পারে এইডস এর মত কোন রোগের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে অনেক সময় পরীক্ষায় যক্ষা রোগ ধরা পড়ে না।

সচরাচর জিজ্ঞাসা

যক্ষা একটি সংক্রামক রোগ কথাটি কি সঠিক?

উত্তর: হ্যাঁ! যক্ষা এমন একটি সংক্রামক রোগ যার কারণ micoব্যাকটেরিয়াম টিউবরকিলোজিস নামের জীবাণু।

কতদিন কাশি থাকলে যক্ষা রোগের উপসর্গ ধরতে হবে?

উত্তর:কোন ব্যক্তির যদি তিন সপ্তাহের বেশি কাশি থাকে তাহলে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে কফ পরীক্ষা করাতে হবে।

যক্ষা কিভাবে ছড়ায়?

উত্তর: বাতাসের মাধ্যমে যক্ষা রোগের জীবাণু ছড়ায়। যক্ষা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির হাসিব আকাশের মাধ্যমে রোগের জীবাণু বাতাসে গিয়ে মিশে এবং রোগের সংক্রমণ ঘটায়।

শেষ কথা-

যক্ষা রোগের লক্ষণ যক্ষা রোগের চিকিৎসা এর বিস্তারিত বিষয়গুলো অবশ্যই আপনারা আজকের আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পেরেছেন। এছাড়াও যক্ষা রোগ সম্পর্কে কারো কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাদের জানাতে পারেন আমরা যথাসাধ্য উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। আমাদের ওয়েবসাইটের নতুন নতুন আর্টিকেলগুলো পেতে অবশ্যই ওয়েবসাইটের সাথে থাকবেন এবং আপনাদের বন্ধুদের সাথে আমাদের ওয়েবসাইটটির কথা শেয়ার করবেন। আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

পোস্ট ট্যাগ

যক্ষা রোগ কেন হয়,যক্ষা রোগের লক্ষণ ও তার প্রতিকার,যক্ষা রোগের ঔষধ নাম,যক্ষা রোগের লক্ষণ,যক্ষা কি,যক্ষা রোগ কি ছোঁয়াচে,যক্ষা রোগীর খাবার তালিকা,স্কিন যক্ষা রোগের লক্ষণ।

আপনার জন্য আরো 

আপনার জন্য-

শ্বেতী রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নিন

আয়রন যুক্ত খাবার

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে কি কি খাবার খাওয়া উচিত

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

বমি হলে কি খাওয়া উচিত

থ্যালাসেমিয়া রোগীর জন্য উপযোগী খাবার

সিজারিয়ান মায়ের খাদ্য তালিকা

সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাবার গ্রহণ

কিডনি পরিষ্কার রাখার ৯টি খাবার সম্পর্কে জেনে নেই

SS IT BARI– ভালোবাসার টেক ব্লগের যেকোন ধরনের তথ্য সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের মেইল টি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 505 other subscribers

 

প্রতিদিন আপডেট পেতে আমাদের নিচের দেয়া এই লিংক এ যুক্ত থাকুন

SS IT BARI- ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন

SS IT BARI- ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
SS IT BARI- ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে :এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।

SS IT BARI- টুইটার থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- লিংকদিন থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- ইনস্টাগ্রাম থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- টুম্বলার (Tumblr)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে :এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- পিন্টারেস্ট (Pinterest)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।