আয়রন যুক্ত খাবার (আয়রন সমৃদ্ধ ফল এবং সবজি) এর অভাবে কি হয়?

আয়রন যুক্ত খাবার –আয়রন হল এমন একটি খনিজ উপাদান যা দেহের রক্ত উৎপাদনে সাহায্য করে থাকে। মানব দেহের জন্য আয়রন খুবই প্রয়োজনীয় একটি খনিজ। মানবদেহে আইরনের অভাবে বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি সৃষ্টি হতে পারে যার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। আমাদের প্রতিদিনের খাবারে আয়রন জাতীয় খাবার থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আয়রনের অভাবে রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যায় যার কারণে শরীরের রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে।আয়রন যুক্ত খাবার

আয়রন সমৃদ্ধ খাবার শরীরের হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়তা করে। আয়রনের অভাবে রক্তশূন্যতার পাশাপাশি থ্যালাসেমিয়ার মত জটিল রোগ হতে পারে যা একজন শিশু থেকে পূর্ণবয়স্ক সকলের মধ্যেই দেখা দিতে পারে।

একজন গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাস থেকেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে আয়রনসমৃদ্ধ ট্যাবলেট খেতে দিয়ে থাকেন কারণ এই সময় একজন মায়ের শুধুমাত্র খাবারের আয়রন গ্রহণ করার মাধ্যমে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হয় না। যার কারণে মা ও শিশু দুজনের ফলিক এসিডের পরিমাণ ঠিক রাখতে আইরন ট্যাবলেট দেওয়া হয়। এছাড়াও সাধারণ মানুষের মধ্যে যদি কারো আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন যুক্ত খাবার খেতে হবে এবং আয়রনযুক্ত ওষুধ খাওয়া খুবই জরুরী।

গর্ভকালীন মায়ের খাবার তালিকা

আপনি কি আয়রনের অভাবে ভুগছেন? আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গুলো কি কি সম্পর্কে কি আপনার জানার কৌতূহল রয়েছে? যদি আপনি আয়রন সমৃদ্ধ খাবার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।আজকের আমাদের এই আর্টিকেলে আলোচিত বিষয় হচ্ছে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার এবং আয়রনের অভাবজনিত সমস্যা গুলো কি কি সেই সম্পর্কে।

অনেকেরই প্রশ্ন থাকে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গুলো কি কি আয়রনের অভাবে কি সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও অনেকেই জানতে চান শুধুমাত্র খাবারের মাধ্যমে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব কিনা। সব প্রশ্নের উত্তর পেতে আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আজকের আর্টিকেলে আপনি এই সমস্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর পেয়ে যাবেন।

আয়রন সমৃদ্ধ খাবার

আইরন হচ্ছে এমন একটি পুষ্টি উপাদান যা আমাদের প্রতিদিনের খাবার মেনুতে বা খাবার তালিকায় রাখা খুবই জরুরী। শরীরে পরিমাণ মতো আয়রন সমৃদ্ধ খাবার না থাকলে আয়রনের অভাবজনিত বিভিন্ন ত্রুটি দেখা দিতে পারে। কোন খাবারে কি পরিমান আয়রন পাওয়া যাবে সেই সম্পর্কে জেনে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। প্রাথমিক পর্যায়ে আয়রনের সমস্যা কোন জটিল ধরনের সমস্যা না হলেও দীর্ঘদিন কেউ যদি আয়রনের সমস্যা নিয়ে ভোগতে থাকে তাহলে সেটি মারাত্মক ক্ষতির দিকে এগোতে পারে। তাই সময় থাকতে এই বিষয়ে সচেতন হওয়া সকলের উচিত। শরীরের রক্ত উৎপাদন করার জন্য আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুবই প্রয়োজন।

একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ মানুষের জন্য দৈনিক ৮ মিলিগ্রাম ও একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর প্রয়োজন 18 মিলিগ্রাম আয়রন।  গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে দৈনিক ২৭ মিলিগ্রাম আয়রনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যদি আয়রনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন না পাওয়া যায় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রন জাতীয় ঔষধ সেবনের মাধ্যমে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে হবে।

আয়রনসমৃদ্ধ খাবার সমূহ

আমরা দৈনন্দিন জীবনে যে সমস্ত খাবার খেয়ে থাকি সেগুলোর মধ্যেও বিভিন্ন খাবারের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। হয়তো এই সব খাবারের আয়র ন পাওয়া যায় এই সম্পর্কে আপনাদের জানা নাও থাকতে পারে। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে আইরন সমৃদ্ধ খাবারগুলো তুলে ধরা হলো-

গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন

*কলিজার মধ্য‌ ৮ আউন্সে ৭ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে।

*ডিমের কুসুমে ০.৫ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে।

*গরু এবং মুরগির মাংস তে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে।

*সবুজ শাকসবজিতে (পালং শাক টমেটো মিষ্টি কুমড়া) আয়রন থাকে।

*ফলের মধ্য আনার, ডালিম বিট, কালো আঙ্গুর, আপেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে (মধ্যম সাইজ একটি আপেলে আয়রন থাকে 0.31 মিলিগ্রাম)।

বিভিন্ন খাবারে আয়রনের পরিমাণ

খাদ্য উপযোগী প্রতি ১০০ গ্রামে আয়রন থাকে-

*আনার বা ডালিমে থাকে ০.৩ মিলিগ্রাম আয়রন।

*এলাচে থাকে ৪.৬ মিলিগ্রাম আয়রন।

*পালং শাকে থাকে ৪ মিলিগ্রাম আয়রন।

*নারিকেলে থাকে ৪.৭ মিলিগ্রাম আয়রন।

*দেশি মুরগির ডিমের কুসুমে থাকে ৪.৮ মিলিগ্রাম আয়রন।

*সবুজ কচু শাকে থাকে 4.9 মিলিগ্রাম আয়রন।

*মটর ডাল উভয়ের ৪.৮ মিলিগ্রাম আয়রন।

*লাল আটায় থাকে ৪.৯ মিলিগ্রাম আয়রন।

*বাদামে থাকে ৫ মিলিগ্রাম আয়রন।

*পেস্তা ও খেসারির ডালে থাকে ৫.৩ মিলিগ্রাম আয়রন।

*সিমের বিচিতে থাকে ৫.৪ মিলিগ্রাম আয়রন।

*জলপায়ে থাকে 6.28 মিলিগ্রাম আয়রন।

*চিড়ায় থাকে 6.8 মিলিগ্রাম আয়রন।

*মুগডালে থাকে 7.2 মিলিগ্রাম আয়রন।

*ডাটা শাকে থাকে ৮.৪ মিলিগ্রাম আয়রন।

প্রচুর আয়রন পাওয়া যাবে যেসব খাবারে

অনেক খাবার রয়েছে যেইগুলোতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যাবে। এ সমস্ত খাবার গ্রহণের মাধ্যমে আয়রনের অভাবজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন জেনে নেই এ সমস্ত খাবার গুলো কি কি;

পালং শাক

পালংশাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন। এক কাপ পালং শাকে ছয় মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যাবে। এছাড়াও পালং শাকে প্রোটিন ফাইবার ক্যালসিয়াম ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই পাওয়া যায়। খাদ্য উপযোগী অর্থাৎ রান্না করা পালং শাকের পুষ্টি উপাদান শরীর খুব সহজেই শোষণ করতে পারে।

ডাল জাতীয় খাবার

এক কাপ রান্না করার ডালে ছয় মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যাবে সাথে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও থাকে এতে ‌ আয়রনের একটি অন্যতম উৎস হল ডাল বা ডাল জাতীয় খাবার। যাদের কোলেস্টরেলের পরিমাণ বেশি তাদের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ রাখতে ডাল খুবই উপকারী।

কলিজা

আয়রনসমৃদ্ধ খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম খাবার হচ্ছে কলিজা। কলিজাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যাবে সাথে পাওয়া যাবে ভিটামিন খনিজ লবণ ও প্রোটিন। গরুর কলিজাতে আয়রনের মাত্রা বেশি থাকে।

কুমড়োর বিচি

কুমড়োর বিচিতে আয়রন পাওয়া যাবে। এক কাপ কুমড়ার বিচিতে দুই মিলিগ্রাম আয়রন পাবেন। তবে কুমড়োর বিচি খাদ্য উপযোগী করে খেতে হবে যেমন রান্না করে, সালাদের সাথে, সিদ্ধ করে বা ভেজে বিভিন্নভাবে খাওয়া যাবে।

আলু সিদ্ধ

খোসা সহ একটি সিদ্ধ আলোতে তিন মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। এছাড়াও আয়রনের পাশাপাশি সিদ্ধ আলুতে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, প্রচুর পটাশিয়াম এবং উচ্চমাত্রার আয়রন থাকে।

ছোলা

এক কাপ ছোলাতে আয়রন পাওয়া যাবে ৫ মিলিগ্রাম। আয়রনের পাশাপাশি ছোলায় পাওয়া যাবে পরিমিত পরিমাণে প্রোটিন।যারা নিরামিষ ভোজী তাদের জন্য ছোলা একটি আদর্শ খাদ্য।

ডার্ক চকলেট

আয়রনের একটি অন্যতম উৎস হচ্ছে ডার্ক চকলেট। ডার্ক চকলেটে আয়রনের পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

গরুর মাংস

গরুর মাংসের প্রয়োজনীয় আয়রনের ১০ থেকে ২৪ শতাংশ আয়রন পাওয়া যায়। মাংসের আয়রনকে বলা হয় হিমি আয়রন।

মুরগির মাংস

মুরগির মাংস হচ্ছে আয়রনের অন্যতম একটি উৎসব। মুরগির এক বাটি ডার্ক মিটে +পা বা উরুর মাংস) তে দৈনিক প্রয়োজনীয় আয়রনের ৮% পাওয়া যাবে।

রাজমা

নন হিমি আয়রনের আরো একটি অন্যতম উৎস হচ্ছে রাজমা বা কিডনি বিনস। এক বাটি রাজমা তে ৩ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যাবে।

ডিমের কুসুম

ডিমের কুসুমে অনেক বেশি পরিমাণে পুষ্টি থাকে। মধ্যম আকারের একটি ডিমের কুসুম থেকে ০.৫ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়। এছাড়াও ডিমের কুসুমে পাবেন চর্বি কুলাইন ভিটামিন এ, ভিটামিন বি6, ভিটামিন বি12, ভিটামিন‌ D, foled ও সেলুনিয়াম রয়েছে।

কাজুবাদাম

আয়রনের অন্যতম একটি ভালো উৎস হচ্ছে কাজুবাদাম। প্রতি অাউন্স (প্রায় ১৭ টি) কাজু বাদামে ২ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়। এছাড়াও কাজু বাদামে ম্যাগনেসিয়াম, কপার, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ ও ফাইটেটস রয়েছে।

শরীরে আয়রনের প্রয়োজনীয়তা

রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য আয়রন অত্যন্ত প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ এর তথ্য অনুযায়ী একজন প্রজনন খবর নারীর এবং পুরুষের আয়রনের পরিমাণ কতটুকু প্রয়োজন তা নিচে তুলে ধরা হলো-

মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

*৭ থেকে ১২ মাস বয়স্ক একজন পুরুষের আয়রনের পরিমাণ 11 মিলিগ্রাম এবং ৭ থেকে ১২ মাস বয়স্ক একজন মহিলার আয়রনের পরিমাণ 11 মিলিগ্রাম।

*এক থেকে তিন বছর বয়স্ক একজন পুরুষের আয়রনের পরিমাণ 7 মিলিগ্রাম এবং ১ থেকে ৩ বছর বয়স্ক একজন মহিলার আয়রনের পরিমাণ 7 মিলিগ্রাম।

*৪ থেকে ৮ বছর বয়স্ক একজন পুরুষের আয়রনের পরিমাণ 10 মিলিগ্রাম এবং ৪ থেকে ৮ বছর বয়স কয়েকজন মহিলার আয়রনের পরিমাণ 10 মিলিগ্রাম।

*9 থেকে 13 বছর বয়স্ক একজন পুরুষের আয়রনের পরিমাণ ৮ মিলিগ্রাম এবং ৯ থেকে 13 বছর বয়স্ক একজন মেয়ের আয়রন এর পরিমাণ ৮ মিলিগ্রাম।

*১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সে একজন পুরুষের আয়রনের পরিমাণ 11 মিলিগ্রাম এবং ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়স্ক একজন মহিলার আয়রনের পরিমাণ ১৫ মিলিগ্রাম।

*১৯ থেকে ৫০ বছর বয়স্ক একজন পুরুষের আয়রনের পরিমাণ 8 মিলিগ্রাম এবং ১৯ থেকে ৫০ বছর বয়স্ক একজন মহিলার আয়রনের পরিমাণ 18 মিলিগ্রাম।

*৫১ থেকে বা তার বেশি বছরের পুরুষদের আয়রনের পরিমাণ ৮ মিলিগ্রাম এবং ৫১ বা তার ঊর্ধ্ব মহিলাদের আয়রনের পরিমাণ ৮ মিলিগ্রাম।

*গর্ভবতী নারীদের জন্য দৈনিক সর্বনিম্ন 27 মিলিগ্রাম আয়রন গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

*ব্রেস্ট ফিডিং মায়েদের জন্য দৈনিক ১০ মিলিগ্রাম আয়রন গ্রহণ করা যথেষ্ট।

আয়রনের অভাবজনিত রোগ

সহজে আয়রনের অভাবজনিত সমস্যা দেখা দেয় না। তবে শরীরের যদি আয়রনের অভাবজনিত একের অধিক লক্ষণ প্রকাশ পায় তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। শরীরে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ মিনারেলস না থাকে তাহলে আয়রনের ডিফিসিয়েন্সি দেখা দিতে পারে। আয়রনের তীব্র ঘাটতির ফলে অ্যানিমিয়া, থ্যালাসেমিয়া বা হার্টের রোগ হতে পারে।

শরীরে আয়রনের অভাব দেখা দিলে নিম্মুক্ত সমস্যা গুলো হতে পারে-

১) শরীর দুর্বল হয়ে যায়।

*জিব্বাহ হঠাৎ ফুলে যেতে পারে।

*নখ নরম হয়ে যেতে পারে।

*মাথা ব্যথা হতে পারে।

*অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া একটু হাঁটার পর নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে।

*হঠাৎ করে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে।

*শরীরের জ্বর জ্বর ভাব থাকতে পারে।

*হঠাৎ করে হৃদ স্পন্দন বেড়ে যেতে পারে।

*চুল পড়ে।

*শরীরের তাপমাত্রা কমে যেতে পারে।

*রক্তস্বল্পতা সৃষ্টি হয়। যার লক্ষণ হিসেবে দেখা যায় দুর্বলতা ক্লান্তি মনোযোগ দিতে ব্যর্থতা স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া ইত্যাদি।

*আয়রনের অভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

*শিশুদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং মানসিক বিকাশে বিলম্ব ঘটে।

এই সমস্ত উপসর্গ দেখা দিলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার আয়রন অভাবজনিত সমস্যা হচ্ছে।আয়রনের সমস্যা তেমন কোন জটিল সমস্যা না হলেও দীর্ঘদিন এই সমস্যা নিয়ে পড়ে থাকলে এবং এর প্রকৃত চিকিৎসা না হলে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। তাই সময় থাকতে চিকিৎসা নিন।

শরীরে আয়রনের কাজ কি

রক্তের হিমোগ্লোবি ন উৎপাদন করতে আয়রন খুবই প্রয়োজনআর হিমোগ্লোবিন রক্তের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা ফুসফুস থেকে শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে। হিমোগ্লোবিন উৎপাদন ছাড়াও শরীরের আরো অনেক কাজ করে থাকে আয়রন। সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো;

১) শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশ সাধন করে।

২) দেহের কোষের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখে।

৩) এনজাইম ও হরমোন উৎপাদনের সহায়তা করে।

শুধুমাত্র আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খেলেই তার শরীরের জন্য উপকারী হবে এমনটি ভুল ধারণা।আয়রনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের পর হজম এবং অন্তরের মাধ্যমে তার শোষণ করা খুবই জরুরি। আয়রন হলো এমন একটি খনিজ উপাদান যার অভাবে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে এবং যা অতিরিক্ত গ্রহণে‌ শরীরে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।এই কারণে আমাদের শরীরের জন্য কতটুকু পরিমাণে আয়রন প্রয়োজন এবং তা কোন ধরনের খাবার গ্রহণের মাধ্যমে পাওয়া যাবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞান থাকা খুবই জরুরী।

সচরাচর জিজ্ঞাসা

আয়রন কত প্রকার?

উত্তর: আয়রন দুই ধরনের হয়। যথা;১) হিমি আয়রন (প্রাণিজ উৎস থেকে প্রাপ্ত আয়রনকে হিমিয়া আয়রন বলে), ২)ননহিনি আয়রন (উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে পাওয়া যায় যা শরীরের সহজে গ্রহণ করতে পারে না তাকে নন-হিমি আয়রন বলে)।

মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে কতটুকু পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়?

উত্তর: মিষ্টি কুমড়ার বিচির কথা অনেকের কাছে অপরিচিত বা বিস্ময়কর মনে হতে পারে‌। কিন্তু এটি একটি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার। যার প্রতি ৩০ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ২.৫ মিলিগ্রাম পর্যন্ত আয়রন পাওয়া যেতে পারে।

শুকনো ফলে কতটুকু আয়রন থাকে?

উত্তর: শুকনোফল বলতে কিসমিস, খেজুর, আখরোট ইত্যাদিকে বোঝানো হয়ে থাকে। শুকনো ফলের মধ্যে পানির পরিমাণ কম থাকে। কিন্তু ফলের অন্যান্য পুষ্টি গুনাগুন প্রায় অক্ষুন্ন থাকে। আধা কাপ শুকনো ফলের মধ্যে প্রায় ২.১৬ মিলিগ্রাম আয়রন রয়েছে। এছাড়া আরো রয়েছে ক্যালসিয়াম ভিটামিন শরকরা ইত্যাদি। ফাস্টফুডের পরিবর্তে আদর্শ খাবার হিসেবে শুকনো ফল খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত।

শেষ কথা

সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকা বন্ধুরা ইতোমধ্যেই আপনারা আয়রন সমৃদ্ধ খাবার সম্পর্কে এবং এর অভাবে কি সমস্যা হতে পারে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আমাদের আজকের আর্টিকেলে যে সমস্ত বিষয়বস্তু তুলে ধরা হয়েছে সেগুলোর সম্পর্কে আপনারা যদি বুঝতে পারেন এবং তা যদি আপনাদের উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং যে কোন বিষয়ে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে অবগত করতে ভুলবেন না। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহাফেজ।

পোস্ট ট্যাগ-

আয়রন সমৃদ্ধ ফল,আয়রন ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার,আয়রন সমৃদ্ধ সবজি,গর্ভাবস্থায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার,আয়রন সমৃদ্ধ ফল এবং সবজি,কোন মাছে আয়রন বেশি,আয়রন মুক্ত খাবার,আয়রন ও জিংক সমৃদ্ধ খাবার।

আপনার জন্য আরো 

আপনার জন্য-

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে কি কি খাবার খাওয়া উচিত

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

বমি হলে কি খাওয়া উচিত

থ্যালাসেমিয়া রোগীর জন্য উপযোগী খাবার

সিজারিয়ান মায়ের খাদ্য তালিকা

সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাবার গ্রহণ

কিডনি পরিষ্কার রাখার ৯টি খাবার সম্পর্কে জেনে নেই

SS IT BARI– ভালোবাসার টেক ব্লগের যেকোন ধরনের তথ্য সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের মেইল টি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 505 other subscribers

 

প্রতিদিন আপডেট পেতে আমাদের নিচের দেয়া এই লিংক এ যুক্ত থাকুন

SS IT BARI- ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন

SS IT BARI- ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
SS IT BARI- ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে :এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।

SS IT BARI- টুইটার থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- লিংকদিন থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- ইনস্টাগ্রাম থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- টুম্বলার (Tumblr)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে :এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- পিন্টারেস্ট (Pinterest)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।