ডায়াবেটিস প্রতিরোধে খাদ্য তালিকা-ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে কি কি খাবার খাওয়া উচিত

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ-ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমানে যা সমাজের প্রতিটি স্তরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ডায়াবেটিসের জন্য একটি মানুষের দেহে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়।যাদের খাবারের প্রতি অতিরিক্ত লোভ বা রুচি এবং যাদের কাজের প্রতি আলস্য রয়েছে তাদের বেশিরভাগ ডায়াবেটিকস রোগ হয়ে থাকে।অগ্নাশয় যদি যথেষ্ট ইনসুলিন তৈরি করতে না পারে অথবা শরীর যদি উৎপন্ন ইনসুলিন ব্যবহারে ব্যর্থ হয় তাহলে ডায়াবেটিস রোগের সৃষ্টি হয়।

আমরা যা খাই সব খাবার পেটে যাবার পর বিভিন্ন এনজাইম এসিড দ্বারা এর হজম প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর খাবার নরম অবস্থায় ক্ষুদ্রান্ত এবং বৃহদান্ত দিয়ে যাওয়ার সময় হজম হয়। এই হজম হওয়ার যে অংশ সেটাকে আমরা সহজ ভাষায় গ্লুকোজ বলতে পারি।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে খাদ্য তালিকা

আর যেটা হজম হয় না সেটা বেরিয়ে যায় ময়লা বা আবর্জনা হিসেবে। আর এই গ্লুকোজ কে নিয়ন্ত্রণ করতে ইনসুলিন যখন ঠিক ভাবে তৈরি হয় না বা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায় তখন এটাকে ডায়াবেটিস বলা হয়। যেহেতু ডায়াবেটিস রোগটি প্রতিকারযোগ্য নয় কিন্তু এই এই রোগটিকে সুষ্ঠু খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক অনুশীলনের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায়। তাই রোগটি প্রতিরোধ করার জন্য নিয়মিত আদর্শ খাদ্য অভ্যাস তৈরি করতে হবে এবং নিষিদ্ধ খাবার গুলো বর্জন করতে হবে।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। সম্মানিত ভিজিটর বন্ধুরা আশা করছি সকলে ভালো আছেন। ডায়াবেটিস রোগটি বর্তমানে বহু প্রচলিত একটি রোগ যা সমাজের সর্বস্তরের বিস্তৃত। আর এই ডাইবেটিকস রোগ একটি মহামারীর রোগ হিসেবে অন্য রোগের জন্ম দেয় বলে এই রোগের ভয়াবহতা অনেক। যদিও ডায়াবেটিস রোগটি একবার শরীরে প্রবেশ করলে তা প্রতিকার করা সম্ভব নয়। কিন্তু নিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়ম-কানুন মেনে চললে এটি প্রতিরোধ করা যায়।

কিডনি রোগ হলে করণীয় কি

এই সম্পর্কে অনেকেই জানেন না কিভাবে ডায়াবেটিকস রোগটি প্রতিরোধ করতে হয় কিংবা ডায়াবেটিকস হলে কি কি খাবার খাওয়া উচিত কি কি খাবার খাওয়া উচিত নয়। তাই তাদের উদ্দেশ্যে আজকে এই আর্টিকেলটি লিখছি। আশা করছি শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন এবং ডায়াবেটিস রোগের জন্য কোন কোন খাবার উপযোগী সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ডায়াবেটিকস রোগ

ডায়াবেটিস রোগ কে বাংলায় বহুমূত্র রোগ বলা হয়।দেহ যন্ত্র অগ্নাশয় যদি যথেষ্ট ইনসুলিন তৈরি করতে না পারে অথবা শরীর যদি উৎপন্ন ইনসুলিন ব্যবহারে ব্যর্থ হয় তাহলে যে রোগ হয় তা হলো ডায়াবেটিক্স বা বহুমূত্র রোগ। তখন রক্তে চিনি বা শর্করার উপস্থিতি জনিত অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়। ইনসুলিনের ঘাটতি হলো এই রোগের মূল কারণ অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত হরমোন ইনসুলিন যার সহায়তায় দেহের কোষগুলো রক্ত থেকে গ্লুকোজের নিতে সমর্থ হয় এবং একে শক্তির জন্য ব্যবহার করতে পারে।

ইনসুলিন উৎপাদন বা ইনসুলিনের কাজ করার ক্ষমতা এর যেকোনো একটি বা দুটি যদি না হয় তাহলে রক্তে বাড়তে থাকে গ্লুকোজ। আর একে নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে কোষ নানা রকম জটিলতা দেহের টিস্যু ও যন্ত্র বিকল হতে থাকে।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে খাবার তালিকা

ডায়াবেটিস নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি হয়ে গেলে তার শরীরে ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণে রাখাই সর্বোত্তম পন্থা। এই জন্য প্রয়োজন কঠোর নিয়মানুবর্তিতা। এর পাশাপাশি কিছু খাবারেও ডায়াবেটিস রোগীকে সুস্থ হতে সহায়তা করে। আবার কিছু খাবার আছে যেগুলো ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে। ডায়াবেটিকস প্রতিরোধে যে সমস্ত খাবার খাওয়া উচিত সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো-

সবুজ চা

সবুজ মানুষের শরীরে ইনসুলিনের মত কাজ করে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে সবুজ চা।

মাছ

গবেষণায় দেখা গেছে মাছের ওমেগা ৩ সেটি এসিড ইনসুলিন এর সংবেদনশীলতাকেউন্নত করতে সাহায্য করে এটি গ্লুকোজের ঘনত্ব কমিয়ে ডায়াবেটিক্স রোগের ঝুঁকি হ্রাস সহায়তা করে। এতে চর্বিহীন প্রোটিন রয়েছে।

টক দই

টক দই একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য হইতে চিনির পরিমাণ খুব কম।এটি রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। দুপুরের খাবারের সঙ্গে বা বিকালের নাস্তা স্যান্ডউইচ এর সঙ্গে টক দই খাওয়া যায়। এটি ডায়াবেটিস প্রতিরোধের সাহায্য করে।

ডিমের সাদা অংশ

ডিম পেশী গঠনকারী খাদ্য হইতে উচ্চমানের প্রোটিন রয়েছে ডিমের সাদা অংশে উচ্চমানের চর্বি ইম প্রোটিন এবং কম মাত্রার কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা দুই ধরনের ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে।

লেবু

লেবু লেবু জাতীয় ফল ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে শরীরে ভিটামিন সি এর অভাবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকে। তাই লেবুজাতীয় ফল খেলে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হয়। জাম্বুরা কমলা লেবু এবং লাইমস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিন এর মত কাজ করে।

সবুজ শাকসবজি

সবুজ শাকসবজি দুই ধরনের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়। পালং শাক পাতাকপি শালগম ফুলকপি বাঁধাকপি লেটুস পাতা ইত্যাদি খাবারের ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ কম। গবেষণায় বলা হয় সবুজ শাকসবজি খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।

শস্য দানা

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শস্যদানা মানুষের শরীরের রক্ত চিনির মাত্র নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা কমে। আবার ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে ও সাহায্য করে শস্যদানা।

বাদাম

গবেষণায় দেখা গেছে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি প্রায় 21 শতাংশ পর্যন্ত কমায় চীনা বাদাম।প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আউন্স‌ আখরুট বা কাজু বাদাম ডায়াবেটিস প্রতিরোধে বিস্ময়করভাবে কাজ করে। নিয়মিত বাদাম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও ও কমে।

মটরশুটি

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাদ্য মটরশুটি। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিনে এক কাপ মটরশুটি খেলে দুই ধরনের ডায়াবেটিসের ঝুকি কমে।এটি উচ্চমাত্রায় শর্করা চর্বিহীন প্রোটিন এবং আঁশ রয়েছে এটি শরীরের রক্তে চিনি কমাতে সাহায্য করে। হৃদরোগের সম্ভাবনা ও কমায়।

ওয়াইল্ড স্যামন

ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য অন্যতম একটি ঔষধি খাদ্য ওয়াইল্ড স্যামন। ফ্যাটি এসিডের একটি বড় উৎস এটি। ডায়াবেটিস রোগের পাশাপাশি কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমায়।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ এবং ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ

ইডলি

ব্রেকফাস্ট লাঞ্চ যেকোনো সময় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপাধি ও খাবার হল ইডলি। পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকবে কি দেওয়া নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

ধোকলা

একসঙ্গে পেট ভরানো পুষ্টি ও ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অসাধারণ ধোকলা।

ঝাল সুজি বা চিড়ের পোলাও

ব্রেকফাস্ট বা দুপুরের লাঞ্চে ঝাল সুজি বাজির পোলাও খেলে পেট ভরা থাকবে। রক্তে শর্করা কোলেস্টেরলের মাত্রা থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

ডায়াবেটিস হলে নিষিদ্ধ খাবার

বিশেষজ্ঞরা বলেন এমন কয়েকটি খাবার আছে যেগুলো ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। তাই ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এসব খাবার ডায়াবেটিসের রোগীর না খাওয়াই ভালো। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এমন খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

সাদা চাল

যত সাদা চালের ভাত খাবেন টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীদের ঝুঁকি তত বাড়বে। ২০১২ সালে গবেষণায় দেখা গেছে সাদা চালের খাবার খেলে প্রতিদিনই ঝুঁকির মাত্রা ১১ শতাংশ হারে বেড়ে যায়।কারণ এই চাল প্রক্রিয়াজাত করে সাদা করা হয়। তাছাড়া এই খাবার চিনির মাত্র বাড়িয়ে দেয়। তাই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি এড়াতে সাদার পরিবর্তে বাদামি চাল খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এতে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ব্লেন্ডেড কফি

ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য সিরাপ সুগার এবং ক্রিম সমৃদ্ধ ব্ল্যান্ডেড কফি মারাত্মক ক্ষতি বলে বিবেচিত হয়। কেননা এর ব্লন্ডেড সংস্করণে রক্ত গ্লুকোজ বাড়ানোর উপাদান প্রচুর রয়েছে। এক কাপ ব্র্যান্ডেড কফিতে ৫০০ ক্যালোরি 98 গ্রাম কার্বো এবং ৯ গ্রাম ফ্যাট থাকে। তাই এর পরিবর্তে নন ফ্যাট সংস্করণ কফি বেছে নিন।

কলা এবং তরমুজ

সব তরজা যা ফলেই ভিটামিন ও ফাইবার রয়েছে। কিন্তু কলা ও তরমুজের পুষ্টিগুণ ভালো থাকলেও এসব ফলে গ্লুকোজের পরিমাণ প্রচুর। তাই এসব খাবারের পরিবর্তে ব্লুবেরিএবং বেরি জাতীয় ফল বেশি বেশি খান।

চাইনিজ খাবার

মুখর চোখ হলেও চাইনিজ খাবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। এতে রক্তের সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়ার মতো যথেষ্ট উপাদান রয়েছে। এর বদলে বাড়িতে চাইনিজ খাবার বানিয়ে নিন স্বাস্থ্যকর ভাবে। যা আপনার রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়াবে না।

পেস্ট্রি

ডোনাট পোস্ট পেস্ট্রির মতো মজার খাবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভয়ংকর হতে পারে। এসব খাবার প্রক্রিয়াজাত সাদা চাল থেকে তৈরি হয় যাতে উচ্চমাত্রার ফ্যাট কার্বো এবং সোডিয়াম রয়েছে। বরং এসব খাবারের পরিবর্তে বাদামী চালের তৈরি কেক খান। কম চিনি রয়েছে এমন পিনাট বাটার ব্যবহার করুন।

ফ্রুটস স্মুথি

এসব খাবারের নাম শুনলে মনে হয় খুবই স্বাস্থ্যকর কিন্তু এটি চিনিতে পরিপূর্ণ। তাই খেতে মন চাইলে বাড়িতে চিনি ছাড়া তৈরি করে উপভোগ করতে পারেন।

গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন

ট্রেইল মিক্স

সংরক্ষণ করা হয় এমন ট্রেইল মিক্সে বাদাম শুকনো ফল এবং মিল্ক চকলেট রয়েছে। এদের মতো বাদাম ছাড়া বাকি গুলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য হুমকি। এর পরিবর্তে নিম্নমাত্রার কার্ভযুক্ত সূর্যমুখীর বিচি ওয়ালনাট রোস্টেড পিনার্ট এবং আলমন্ড দিয়ে ট্রেইল মিক্স বানাতে পারেন। এই মিক্স কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ পাউরুটি দিয়ে খেতে পারেন।

রিফাইন্ড সিরিয়াল

চুম্পা দিও সিরিয়াল রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় সিরিয়ালের কারণে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা এক একজনের দেহে একেক ভাবে দেখা দিতে পারে। তাই এটি ডায়াবেটিকস রোগীদের এড়িয়ে চলাই ভালো। এর পরিবর্তে সবজি ও ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন তবে ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরল রয়েছে তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

ফলের রস

সকালের নাস্তায় ফলের রস খুব স্বাস্থ্যকর হলেও তার ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য হুমকি। তাছাড়া দোকানে পাওয়া যায় এমন ফলের রসে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে

তাই এর বদলে কম সুগার রয়েছে এমন ফলের একটি বা দুটি টুকরা খেতে পারেন।

এনার্জি বার

এনার্জি বারে চকলেট করবো এবং চিনি উপাদান থাকে। তাই ডায়াবেটিকস রোগীদের এটিও এড়িয়ে চলা উচিত। এর বদলে ক্ষুধা লাগলে বাড়িতে তৈরি স্ন্যাকস খেতে পারেন।

পাস্তা আলফ্রেডো

আনফ্রেন্ড ও সস ক্রিম পারমেসান চিজ এবং বাটার থেকে তৈরি হয়। এতে রয়েছে এক হাজার ক্যালোরি ৭৫ গ্রাম ফ্যাট এবং 100 গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। তাই এটিও বাদ দেওয়া জরুরী। এর পরিবর্তে গমের তৈরি পাস্তা খেতে পারেন টমেটো সস দিয়ে। এতে রয়েছে 280 ক্যালোরি এবং ১৪ গ্রাম ফ্যাট।

ফ্রেঞ্চ ফ্রাই

এটি ডাইবেটিকস রোগীদের জন্য বেশ মারাত্মক খাবার। একটু বেশি পরিমাণে খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই ডায়াবেটিকস এসোসিয়েশন এটিকে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।

চর্বি সমৃদ্ধ মাংস

ডায়াবেটিকস রোগীর আর হৃদরোগের ঝুঁকিতে থাকেন। চর্বিযুক্ত মাংস পুষ্টিকর হলেও এতে প্রচুর পরিমাণে সম্পৃক্ত ফ্যাট রয়েছে যা এসব রোগীদের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।তাই এর বদলে প্রোটিন সমৃদ্ধ বিন লেন্টিস ইত্যাদি খেতে পারেন। তাছাড়া মাছ ও সামুদ্রিক খাবারও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।

করলার রস

প্রতিদিন নির্দিষ্ট মাত্রায় করলার রস খেলে  ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্র কমে যায়। রক্তে ইনসুলিন নিঃসরণ বাড়বে অন্ত্রে গ্লুকোজের শোষণ কমে যাবে এবং রক্তে ক্ষতিকর চর্বির পরিমাণ কমে যাবে।

ডুমুরের পাতা

ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে ডুমুরের পাতা ব্যবহার খুব উপকারী। যদিও এটি তেমন প্রচলিত প্রতিষেধক নয়।

ডায়াবেটিসের আক্রান্ত রোগী প্রতিদিন সকালে নাস্তার সাথে ডুমুরের পাতার রস গ্রহণ করতে পারেন। অথবা ডুমুরের পাতা পানিতে সিদ্ধ করে সেই পানি চা আকারে পান করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ডায়াবেটিস পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব নয়। তবে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায়। কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে আপনাকে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

সচরাচর জিজ্ঞাসা

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রাকৃতিক খাবার গুলো কি কি?

উত্তর: ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে করল্লা দারুচিনি এলোভেরা আম পাতা মেথি ইত্যাদি।

ডায়াবেটিকস রোগীদের নিয়মিত কত ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন?

উত্তর: ডায়াবেটিকস রোগীদের স্ট্রেস ও উদ্বিগ্নতা কমানোর জন্য নিয়মিত ৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। স্ট্রেস ও উদ্বিগ্নতা ডায়াবেটিসের প্রাথমিক কারণ।

ডায়াবেটিকস রোগীদের কি কি সালাদ খাওয়া উচিত?

উত্তর প্রতিদিন অন্তত একবাটি সালাদ খান। যার মধ্যে থাকবে গাজর শষা লেটুস টমেটো পেঁয়াজ রসুন ইত্যাদি। প্রতিদিন দুপুরে  খাবার খাওয়ার আগে এই সালাদ খেতে হবে। সালাদে এক চা চামচ ভিনেগার যুক্ত করতে পারেন। ভিনেগার রক্তকে কম মাত্রায় সুগার শোষণের সহায়তা করে। আর রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমবে।

শেষ কথা-

সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকা বন্ধুরা ইতোমধ্যেই আপনারা ডায়াবেটিকস প্রতিরোধে কি কি খাবার খাওয়া উচিত এবং কি কি বর্জন করা উচিত সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। ডায়াবেটিস রোগে কোন কোন খাবার খাওয়া যাবে এবং কোন কোন খাবার নিষিদ্ধ সেই সম্পর্কে আপনাদের তথ্য প্রদান করাই ছিল আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল উদ্দেশ্য।আমাদের আজকের আর্টিকেলটি যারা শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন তারা অবশ্যই জানতে পেরেছেন।

যদি কোথাও আপনাদের বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের জানাতে ভুলবেন না।আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে সেখানে আমাদের সার্থকতা। যদি ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে আমাদের ওয়েবসাইটটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। এছাড়াও নতুন নতুন কনটেন্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকবেন এবং নিয়মিত ভিজিট করবেন।

আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

পোস্ট ট্যাগ-

দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়,ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয়,ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল,ডায়াবেটিস এর ঔষধ,ডায়াবেটিস নতুন ঔষধ,কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে,কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে,৭২ ঘণ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ।

আপনার জন্য আরো 

আপনার জন্য-

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

বমি হলে কি খাওয়া উচিত

থ্যালাসেমিয়া রোগীর জন্য উপযোগী খাবার

সিজারিয়ান মায়ের খাদ্য তালিকা

সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাবার গ্রহণ

কিডনি পরিষ্কার রাখার ৯টি খাবার সম্পর্কে জেনে নেই

শীতে ত্বকের যত্ন নিন রুটিন মাফিক

শীতের মৌসুমে ত্বকের যত্ন নিতে মধু ব্যবহার করুন

শীতে ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন

SS IT BARI– ভালোবাসার টেক ব্লগের যেকোন ধরনের তথ্য সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের মেইল টি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 505 other subscribers

 

প্রতিদিন আপডেট পেতে আমাদের নিচের দেয়া এই লিংক এ যুক্ত থাকুন

SS IT BARI- ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন

SS IT BARI- ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
SS IT BARI- ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে :এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।

SS IT BARI- টুইটার থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- লিংকদিন থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- ইনস্টাগ্রাম থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- টুম্বলার (Tumblr)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে :এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- পিন্টারেস্ট (Pinterest)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।