ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার (চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী)

ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার-ক্যালসিয়াম শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় এমন একটি খনিজ যা মানব দেহের হাড়কে শক্তিশালী রাখতে সহায়তা করে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানবদেহে দৈনিক ৭০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হয় যা বিভিন্ন খাবার থেকে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ওষুধ থেকে পাওয়া যায়। ক্যালসিয়াম মানব দেহের পাশাপাশি দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার

এছাড়াও বেশি ধমনীর সংকোচন ও স্নায়ুতন্ত্রের বার্তা সরবরাহ করতেও ক্যালসিয়াম সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করে। হৃদপিন্ডের বিভিন্ন অঙ্গে ক্যালসিয়াম প্রয়োজনীয়। হাড়ের কাঠামো ও বেশি গুলোকে সচল রাখতে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা অনেক। ভিটামিন এ ডি ই এবং কে ক্যালসিয়ামের সাহায্যে শরীরে সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।

ক্যালসিয়ামের অভাব জনিত কারণে মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। এসব সমস্যাগুলো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে যদি ক্যালসিয়ামের অভাব যথাসময়ে পূরণ না করা হয়। তাই ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করতে এমন দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম জোগাতে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাদ্য বেশি বেশি খেতে হবে।

ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার গুলো কি কি? ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার গুলো খেলে শরীরে  কি ধরনের  উপকার হবে? এই এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে যারা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সার্চ করে থাকেন তাদেরকে বলব আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর জেনে নিন। ক্যালসিয়াম দেহের হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করার পাশাপাশি আরও অনেক ধরনের কাজ করে থাকে যেগুলো শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।

ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খেলে দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয়।তবে আমাদের অনেকেরই অজানা রয়েছে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার গুলো কি কি। কোন খাবার খেলে শরীর সঠিকভাবে ক্যালসিয়াম পাবে। সম্মানিত ভিজিটর বন্ধুরা এ সকল বিষয়গুলো আজকের আর্টিকেলে তুলে ধরার চেষ্টা করব। তাই শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ে আমাদের সাথে থাকুন।

ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার

বিশেষজ্ঞদের মধ্যে শরীরে যদি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে দেহে হাড় ক্ষয়জনিত রোগ দেখা দিতে পারে। হাড় ক্ষয়ের কারণে উঠতে বসতে সমস্যা, হাঁটতে গেলে কষ্ট হয় এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই ক্যালসিয়ামের অভাবে জটিল ধরনের রোগের আবির্ভাব ঘটার সম্ভাবনা থাকে।

দেহের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবারের কোন বিকল্প নেই।ক্যালসিয়ামের একটা উর্ধ্বসীমা রয়েছে যা খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ না করে সম্পর্কের মাধ্যমে বাড়তি ক্যালসিয়াম গ্রহণ করলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমাদের চারপাশে ক্যালসিয়াম যুক্ত অনেক ধরনের খাবার রয়েছে যা দেহের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় ভূমিকা রাখে।

আয়রন যুক্ত খাবার

আমাদের যত রকমের মিনারেল খাওয়া উচিত তাদের মধ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল হচ্ছে ক্যালসিয়াম। তাই ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খেয়ে দেহের ক্যালসিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখা উচিত এবং ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ক্যালসিয়ামের খাবারের পাশাপাশি ওষুধ সেবন করা শ্রেয়। অনেক সময় ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে ডায়েট ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত।

ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গুলো কি কি

দৈনন্দিন আমরা অনেক খাবার খেয়ে থাকি জেনে না জেনে সেগুলো আমাদের জন্য উপকারী এবং অনেক সময় ক্ষতিরও কারণ। দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে প্রতিদিন খাবার মেনুতে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার থাকা খুবই জরুরী। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের খাবারের দৈনিক 700 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকা প্রয়োজন। এইজন্য ডাক্তাররা সুষম জাতীয় খাদ্য খাবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারগুলোর মধ্য অন্যতম হচ্ছে;

দুধ

ক্যালসিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস হচ্ছে দুধ। দুধে ক্যালসিয়ামের সঙ্গে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং ল্যাকটোজ। দুধে থাকা এই সমস্ত মিনারেলস গুলো শরীরে ক্যালসিয়াম সুসে নিতে সাহায্য করে। এক কাপ গরুর দুধে ২৭৬ থেকে ৩৫২ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে।

বাদাম

বাদাম ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসেরও উৎস। বাদামে হার শক্ত হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। এছাড়াও বাদামে থাকা ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে। মানুষের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে আর কে মজমুদ রাখতে বাদাম একটি ভালো খাদ্য। এক কাপ কাঠ বাদামে ২৪৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম এর মত খনিজ রয়েছে।

ডাল

বিভিন্ন প্রকারের ডালে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এক কাপ মুগ ডাল রান্নাতে ২৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যাবে।

কলা

কলা ম্যাগনেসিয়াম এর একটি অন্যতম উৎস। ম্যাগনেসিয়াম হার এবং দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। হাড় মজবুত এবং শক্তিশালী রাখতে প্রতিদিন কলা খাওয়া জরুরি।

টক দই

টক দই এমন একটি খাবার যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং অনেক জরুরী পুষ্টি সহ প্রোটিন। টক দই ডায়াবেটিস এবং হার্টের অসুখের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও ওজন কমাতে সাহায্য করে টক দই। দৈনিক যতটা ক্যালসিয়াম শরীরের দরকার এক কাপ প্লেন টকদইতে তার ২৩ শতাংশ পাওয়া যাবে। ‌ এছাড়াও টক দইয়ে রয়েছে ভিটামিন বি২,বি১২, পটাশিয়াম এবং ফসফরাস।

চিজ

চিজ যেহেতু দুধ দিয়ে তৈরি করা হয় তাই এ থেকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। পারর্মেসানচিজ থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। প্রতি আউন্স চেজে রয়েছে ৩৩১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম।

মটর

মোটরে পাওয়া যাবে অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম। পুষ্টিবিদ ক্যারিসা গ্যালওয়ে বলেন, এক কাপ ছোলার মটরে ২৪৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে।

পালং শাক

বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় যা দাঁত ও হাড়ের গঠনে সহায়তা করে। এক কাপ সিদ্ধ পালং শাকে দৈনিক ক্যালসিয়ামের ২৫ শতাংশ পূরণ করে থাকে। এছাড়াও পালং শাকই রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন এ এবং আয়রন যা শরীরের হাড় ভালো রাখার পাশাপাশি পুষ্টি যোগাতে সহায়তা করে।

শুকনো ফল

বিভিন্ন ধরনের শুকনো ফল, খেজুর, বাদাম এইসব ধরনের খাবারেও পাওয়া যাবে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। যা আপনার হারকে মজবুত করতে সাহায্য করবে।

কমলার রস

কমলার রসের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ভিটামিন ডি যা একজন ব্যক্তির হারকে মজমুদ করার পাশাপাশি শরীরে ভিটামিনের চাহিদাও পূরণ করে। দৈনিক কমলালেবুর রস খেলে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকিও হ্রাস পায়।

ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত লক্ষণ

হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ক্যালসিয়ামের কোন বিকল্প নেই। ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত কারণে হাড় দুর্বল হয়ে যায়। শুধু হার নয় শরীরের বিভিন্ন রোগ দূর করতে ক্যালসিয়াম খুবই উপকারী। যেমন রক্ত জমাট বাধা, পেশি সংকোচন প্রসারন ও হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখা। তবে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত কারণে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকলে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হতে পারে। শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হতে পারে। নিম্মে ক্যালসিয়ামের অভাব জনিত লক্ষণ গুলো আলোচনা করা হলো-

১) দুর্বল বোধ করা।

২) ক্লান্তি অনুভব করা।

৩) বন্ধ্যাত্ব হতে পারে।

৪) মৃগী রোগ হতে পারে।

৫) নিদ্রাহীনতা দেখা দিতে পারে।

৬) ত্বকে অতিরিক্ত শুষ্কতা হতে পারে।

৭) আঙ্গুল হাত এবং পায়ে ঝিরঝির করতে পারে।

৮) অষ্টিঅপেনিয়া এবং অষ্টি ওপুরোসিস হতে পারে।

৯) দাঁত এবং এনামেলের হাই পলাশিয়া ভোতা ভাবে দাঁতের গোড়ায় বিকাশ এবং দেরি করে দাঁত উঠতে পারে।

১০) ক্ষুধা বাড়তে পারে।

১১) অস্বাভাবিক লেডিস স্পন্দন হতে পারে।

১২) পেশি ব্যথা হাওয়া।

ক্যালসিয়ামের অভাব হওয়ার মূল কারণগুলো

বিভিন্ন কারণে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে শরীরের অনেক ধরনের ক্ষতির সম্মুখ হতে হয়। চলুন জেনে নিন ক্যালসিয়ামের ঘাটতির মূল কারণ গুলো কি কি;

*ক্যালসিয়ামের ঘাটটির মূল কারণ হলো যারা ডায়েট করে থাকেন তাদের ডায়েটে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম জাতীয় খাদ্য না থাকা।

গর্ভকালীন মায়ের খাবার তালিকা

*অতিরিক্ত শারীরিক ব্যায়ামের ফলে অনেক সময় ক্যালসিয়াম শুকিয়ে যায়।

*শরীরের যদি ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতিও দেখা দেয়। কারণ ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম শোষণের প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে।

*অতিরিক্ত কোমল পানীয় পান করার ফলে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিতে পারে।

*শারীরিক দুর্বলতা ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়ার অন্যতম কারণ।

*অতিরিক্ত মেদ, চিনিযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া, প্রোটিন ডায়েট, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি সৃষ্টি করে থাকে।

*ক্রীড়াবিদ নারীদের মনোপোজের সময় বেশি ক্যালসিয়াম ক্ষয় হয়।

*মিহি শস্য, মাইট ইত্যাদিতে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দেয়।

*বিভিন্ন ধরনের অ্যালকোহল, তামাক, অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে ক্যালসিয়ামের অভাব হতে পারে।

ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত চিকিৎসা

একজন চিকিৎসক প্রথমে ক্লিনিক্যালি বিভিন্ন উপস্থাপনা এবং রক্ষণাবলির উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। একজন ব্যক্তির ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত সমস্যার নির্ণয় করতে হলে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করা হয় যার মধ্যে রয়েছে সীরাম ক্যালসিয়াম, প্যারাথাইরয়েড হরমোন, সিরাম ফসফেট, ম্যাগনেসিয়াম, ২৫ হাইড্রক্সি,  ভিটামিন ডি এবং ১,২৫ ডাইহাইড্রোক্সি ভিটামিন ডি এর মাত্রা পরীক্ষা। অনেক সময় দেখা যায় চিকিৎসকরা ক্যালসিয়াম সেন্সিং রিসেপ্টরের জি প্রোটিন সাব ইউনিট অ্যালফা ১১ র জেনেটিক মিউটেশনের পরীক্ষা করাতে বলেন।

গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন

ক্যালসিয়ামের চিকিৎসায় ডাক্তাররা সবসময় খাবারের প্রতি বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয় এছাড়াও অতিরিক্ত সমস্যা হয়ে গেলে ডাক্তাররা বিভিন্ন সাপ্লিমেন্ট এর মাধ্যমে ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করার চেষ্টা করতে পারেন।

শরীরে ক্যালসিয়ামের পর্যাপ্ত পরিমাণ

একজন ব্যক্তির শরীরে কতটুকু ক্যালসিয়াম প্রয়োজন তা তার বয়স লিঙ্গের উপর নির্ভর করে। একজন সাধারণ ব্যক্তির ক্যালসিয়াম প্রস্তাবিত চাহিদা প্রতিদিন ঘরে প্রায় ১০০০ মিলিগ্রাম। কিন্তু কিশোরী মনোপোজ পরবর্তী মহিলা এবং ৭০ বছর বেশি বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের এর চেয়ে বেশি ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হয়।

মানবদেহের ৯৯ পার্সেন্ট ক্যালসিয়াম শক্ত টিস্যু হিসেবে জমা হয় হাড় এবং দাঁতের আকার ধারণ করে থাকে। ক্যালসিয়ামের অভাব হাইপাক্যালসেমিয়া নামেও পরিচিত। যথাসময়ে যদি ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ না হয় তাহলে দীর্ঘস্থায়ীভাবে হার পাতলা হয়ে যেতে পারে।

মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

বাচ্চাদের মতো দুর্বল হার এবং হাড়ের ঘনত্ব অত্যধিক কমে যেতে পারে যা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।তাই ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করতে হলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খেতে হবে এবং অতিরিক্ত সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

সচরাচর জিজ্ঞাসা

একজন ব্যক্তির দৈনিক কত গ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন?

উত্তর: একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক প্রায় ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম শরীরে প্রয়োজন হয়।

কতটুকু ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে?

উত্তর: একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক দুই হাজার মিলিগ্রামের বেশি ক্যালসিয়াম গ্রহণ করলে শরীরে ক্ষতির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

কোন ভিটামিন শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সহায়তা করে?

উত্তর: ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম কে শোষণ করতে সহায়তা করে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি গ্রহণ করার মাধ্যমে শরীরে ক্যালসিয়ামের কার্যকারিতা বাড়ানো সম্ভব।

শেষ কথা

সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকা বন্ধুরা ইতোমধ্যেই আপনারা ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার এবং এর অভাবে কি সমস্যা হতে পারে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আমাদের আজকের আর্টিকেলে যে সমস্ত বিষয়বস্তু তুলে ধরা হয়েছে সেগুলোর সম্পর্কে আপনারা যদি বুঝতে পারেন এবং তা যদি আপনাদের উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং যে কোন বিষয়ে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে অবগত করতে ভুলবেন না। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহাফেজ।

পোস্ট ট্যাগ-

ক্যালসিয়াম যুক্ত ফল,ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির উপায়,আয়রন ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার,ক্যালসিয়াম ডি যুক্ত খাবার,গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার,ক্যালসিয়াম যুক্ত সবজি,ক্যালসিয়াম ঔষধ,ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ।

আপনার জন্য আরো 

আপনার জন্য-

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে কি কি খাবার খাওয়া উচিত

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

বমি হলে কি খাওয়া উচিত

থ্যালাসেমিয়া রোগীর জন্য উপযোগী খাবার

সিজারিয়ান মায়ের খাদ্য তালিকা

সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাবার গ্রহণ

কিডনি পরিষ্কার রাখার ৯টি খাবার সম্পর্কে জেনে নেই

SS IT BARI– ভালোবাসার টেক ব্লগের যেকোন ধরনের তথ্য সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের মেইল টি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 504 other subscribers

 

প্রতিদিন আপডেট পেতে আমাদের নিচের দেয়া এই লিংক এ যুক্ত থাকুন

SS IT BARI- ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন

SS IT BARI- ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
SS IT BARI- ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে :এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।

SS IT BARI- টুইটার থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- লিংকদিন থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- ইনস্টাগ্রাম থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- টুম্বলার (Tumblr)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে :এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- পিন্টারেস্ট (Pinterest)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

Lakhi Hasan

SS IT BARI-ভালোবাসার টেক ব্লগ টিম