সাইকেল চালানোর উপকারিতা এবং ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন (গুরুত্বপূর্ণ টিপস)

সাইকেল চালানোর উপকারিতা এবং অপকারিতা – আমরা সকলেই জানি নিয়মিত সাইকেলিং শরীর রাখার জন্য এবং সুস্থ রাখার জন্য উপকারী ব্যায়াম। যারা এক্সারসাইজ এর মাধ্যমে শরীরকে ঠিক রাখতে চান তাদের জন্য সাইকেলিং করা জরুরী। বর্তমানে সাইকেলিংকে অনেকেই নিয়মিত ব্যায়াম হিসেবে বেছে নিয়েছে। ভুড়ি, মেদ কমানো শরীরের ওজন কমানো, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে সাইকেলিং আপনাকে অনেক বেশি সাহায্য করবেন। তবে যে কোন জিনিসেরই ঘাত প্রতিঘাত রয়েছে যেমনটি সাইকেলিং এর ক্ষেত্রেও।

সাইকেল চালানোর যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি কিছু উপকারিতা ও রয়েছে। সাইকেল চালানোর নিয়ম সময় সঠিকভাবে না মানলে বা না জানলে অনেক সময় সাইকেলিং উপকারের চেয়ে অপকারী আসবে বেশি।যার কারণে সাইকেলিং নিয়মিত এক্সারসাইজ হিসেবে বাছাই করার আগে অবশ্যই এর নিয়ম কারণ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।সাইকেল চালানোর উপকারিতা এবং ও অপকারিতা

সম্মানিত ভিজিটর বন্ধুরা আমাদের ওয়েবসাইট এর পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে আজকের আর্টিকেলে জানাচ্ছি স্বাগতম। বর্তমানে সাইকেলিং নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ থাকে যার কারণে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সাইকেল চালানোর উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে জানতে সার্চ করে থাকে। আর তাই আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি আমি গুরুত্বপূর্ণ টিপস সাইকেলিং বিষয়ে।

বন্ধুরা আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারবেন সাইকেল চালানোর উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে। সাইকেল চালানোর বিষয়ে আরো অন্যান্য টিপস আজকের আর্টিকেলে জানাবো। তাই এসব বিষয়গুলো জানতে হলে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়বেন।

আর দেরি না করে আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনা শুরু করব।

সাইকেলিং

স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন কিংবা সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে যারা প্রতিদিন শারীরিক পরিশ্রম বা শারীরিক ব্যায়াম করে থাকে তাদের কাছে সাইকেলিং একটি অন্যতম শারীরিক ব্যায়াম। তবে সাইকেল চালানোকে সকলেই যে ব্যায়াম মনে করে তা কিন্তু নয় অনেকে অনেক প্রয়োজন কিংবা শখের বসে সাইকেল চালায়। সাইকেল চালানোর সঠিক নিয়ম নীতি সময় ওজন ইত্যাদি সম্পর্কে যদি সচেতন হয় চালানো যায় সেক্ষেত্রে সাইকেল চালানো আপনার উপকারে আসবে।

আর কেউ যদি এগুলো না মেনে সাইকেল চালায় তাহলে অনেক সময় সাইকেল চালানো আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই অবশ্যই সাইকেল চালানোর আগে এই সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করুন এবং নিয়ম কারণ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে সাইকেলিং করুন।

সাইকেল চালানোর উপকারিতা

সাইকেল চালানোর বেশ কয়েকটি উপকারিত রয়েছে। অনেকেই শরীরকে ফিট এবং সুস্বাস্থ্য পাওয়ার আশায় সাইকেল চালায়। আবার অনেকে অনেক কারণে সাইকেল চালানো পছন্দ করে। সাইকেল চালানোর কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো;

ওজন কমায়

যারা নিয়মিত সাইকেল চালায় তাদের ক্যালোরি খরচ বৃদ্ধি পায় এবং মেটাবলিজম বা বিপাকের হাড় বৃদ্ধি করে যার ফলে সাইকেল চালানোর উপকারিতা হিসেবে ওজন অনেক কমে যায়।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে

সাইকেল চালানোর উপকারিতার মধ্যে অন্যতম উপকারিতা হলো সাইকেল চালালে হাইপারটেনশনের রোগীদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে আসে। অনেক সময় দেখা যায় ওষুধ খেয়েও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় না কিন্তু শারীরিক এক্সারসাইজ বা সাইকেলিং করে একজন রোগী তার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে।

হৃস্পন্দন কমায়

উচ্চ বিশ্রামের হৃদস্পন্দন কার্ডিও ভাস্কুলার রোগীদের মৃত্যুর হার বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত।‌ সাইকেল এমন একটি ব্যায়াম যে ব্যায়াম করার ফলে একজন ব্যক্তির বিশ্রামকালীন হৃদস্পন্দন কমে যায়।

কোলেস্টরেল কমায়

যদি উচ্চ কোলেস্টেরল থাকাকালীন অবস্থায় কোন ব্যক্তি সাইকেল নিয়মিত চলার তাহলে তার HDL বা ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গিয়ে LDL বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

মালোশিয়ার প্রধান তিনটি রোগের একটি হল হৃদরোগ সমস্যা। যদি কেউ নিয়মিত সাইকেল চালায় তাহলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।একটি গবেষণায় দেখা গেছে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যারা সপ্তাহে বিষ মাইল সাইকেল চালায় তাদের মারাত্মক এবং মারাত্মক নয় এমন হৃদরোগ হওয়ার যোগ্য ৫০ শতাংশ কমে যায়। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত সাইকেল চালানো উচিত।

স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়

নিয়মিত সাইকেল চালানোর ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে স্ট্যাটিক সাইকেল চালানো ব্যায়াম নিয়মিত করলে হার্ট ফেইলর এর রোগীদের কার্ডিয়াক ফাংশন উন্নত হয়।

ডায়াবেটিকস কমাতে সাহায্য করে

নিয়মিত সাইকেল চালানোর পরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।যাদের ডায়াবেটিস মেলাইটিস আছে তারা নিয়মিত সাইকেল চালালে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ করে এবং টাইপ টু ডায়াবেটিস মেলায়টিস এর সূত্রপাতকে প্রতিহত করে।

মাংসপেশীর গঠন বৃদ্ধি করে

নিয়মিত সাইকেলিং করার ফলে মাংসপেশীর গঠন চমৎকারভাবে বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে শরীরের নিচের দিকের অংশের গঠন বৃদ্ধিতে সাইকেলিং বিশেষ ভূমিকা পালন করে।সাইকেল চালানোর উপকারিতা এবং ও অপকারিতা (1)

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

যারা নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন নিয়মিত সাইকেলিং করে তাদের রূপ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যার ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে কাজ করে।

মানসিক সুস্থতা

সাইকেলিং করার ফলে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ থাকে। মনের দিক থেকে মানুষ সতেজ থাকে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। সাইকেলিং করার ফলে ডিপ্রেশন স্ট্রেস ও অ্যাংজাইটি কমায়।

কোলেসিসটেকটিমির হার কমায়

মহিলারা অর্থাৎ মেয়েরা যদি নিয়মিত সাইকেলিং করে তাহলে তাদের কলিসিসটেমের অর্থাৎ অপারেশনের মাধ্যমে পিত্তথলির অপসারণ করার হার অনেক কমে যায়।

সাইকেল চালানোর অপকারিতা

সাইকেল চালানোর উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা ও রয়েছে। সাইকেল চালানোর উপকারিতা সম্পর্কে জানা থাকলে অপকারিতা সম্পর্কেও জেনে রাখা ভালো।

কানাটার ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিটিশ কলাম্বিয়া এবং ইউনিভার্সিটি অফ ফ্রেজারবালি থেকে কয়েকজন গবেষক মিলিত হয়ে একটি পরীক্ষা করেন। পরীক্ষাটি করার জন্য কয়েকজন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবী তাদের ল্যাবে এসে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।তারা এই পরীক্ষাতে স্থির বাইসাইকেলে বসে আধা ঘন্টা সাইকেল চালাতে বলেন উক্ত স্বেচ্ছাসেবীদের। তৎকালীন সময় তাদের মুখে লাগানো মাছকে বিশুদ্ধ অথবা ডিজেল পুরা বায়ু দূষণ সরবরাহ করা হয়। এই বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়া অবস্থায় তাদের অক্সিজেন গ্রহণের পরিমাণ রিডিস্পন্দনের গতি এবং অন্যান্য শারীরিক অবস্থার তথ্য নেওয়া হয়।

বাংলাদেশে দুরন্ত সাইকেলের দাম ২০২৩

গবেষণা থেকে পাওয়া এই পরীক্ষার যেসব তথ্য পাওয়া যায় সেটি বেশ অদ্ভুত।ধীরও গতিতে সাইকেল চালানো অবস্থায় শরীরের বেশ খারাপ প্রভাব ফেলে ডিজেল পোড়া ধোঁয়া। কিন্তু যখন সেই ব্যক্তি জোরসে সাইকেল চালাচ্ছেন তখন শরীরের উপর বিশুদ্ধ বায়ু আর দূষিত বায়ুর প্রভাব প্রায় কাছাকাছি।

উক্ত গবেষণার সাথে জড়িত ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার মিসেল কোয়েল বেশ অবাক হন এই ফলাফল অনুধাবন করে। এর কারণ হলো তারা এর ঠিক উল্টোটা আশা করেছিল।জোরে সাইকেল চালানোর সময় মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়। আবার অনেক সময় মানুষ নাকের বদলে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেয়। এতে শরীরে বেশি পরিমাণে দূষণ ঢোকার কথা। কিন্তু সেটা হচ্ছে না ফলাফল হয়েছে একেবারেই বিপরীত। আমরা যা ফল পেয়েছি তাতে বোঝা যায়, বেশি দূষণের মাঝে ধীরে সাইকেল চালানো যাবে না।

সাইকেল চালানোর সঠিক নিয়ম

যেকোনো বাহন চালানোর জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। অনেকে শখের বসে বাইসাইকেল কিংবা মোটরসাইকেল চালান তবে এইসব বাহন গুলো চালানোর ক্ষেত্রে তার নিয়ম না জানা থাকলে আপনাকে বিপদে পড়তে হতে পারে। বাইসাইকেল চালানোর ক্ষেত্রেও কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে তা না হলে আপনি এক্সিডেন্টের সম্মুখীন হতে পারেন। চলুন বাইসাইকেল চালানোর সঠিক নিয়ম জেনে নেই:

*এমন কোন একটি মাঠে সাইকেল চালানো উচিত যেখানে ঘাস রয়েছে এবং প্রায় 30 গজের মতো মসৃণ ঢালু রাস্তা আছে যা আবার পড়ে যেয়ে সমতল হয়ে যায় বা সামান্য উপর দিকে উঠে।

*সাইকেলের প্যাডেল খোলা থাকলে প্যাডেল লাগিয়ে নিতে হবে (হাত দিয়ে পেডেল লাগিয়ে নিতে পারেন যেন একটা আরেকটার জায়গায় না বসে)।

*প্রথমে শুধু এক প্যাডেল এবং পরবর্তীতে দুই প্যাডেলে একত্রে পা চালাতে হবে। কয়েকবার এভাবে চালানোর চেষ্টা করুন পরে চলার সাথে সাথে প্যাডেল ঘোরান।

*কোন একটি মাঠের সমতল স্থান বা একটি খালি অবহেলিত পার্কিং লোটে গিয়ে সেখানে সোজা একটি লাইনে চালান, সাইকেলে বসে ভারসাম্য রাখা থামানো এবং ঘোরানোর প্র্যাকটিস করতে

পারবেন।

*প্রথমে একটি প্যাডেল হাতলের দিকে মুখ করে রাখুন যার ফলে আপনি দৃঢ়ভাবে প্যাডেল চাপ দিতে পারবেন এবং সাইকেল সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। যতক্ষণ না আরেক পা প্যাডেলের উপর না আসে ততক্ষণ ভারসাম্য রাখতে পারবেন।

গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 

*বাইসাইকেলের দুই ব্রেক একসাথে চাপতে হবে (সাইকেলের সামনে ও পেছনে উভয় পাশে যদি ব্রেক থাকে) ।শুধুমাত্র সামনের ব্রেক চাপলে পেছনের চাকা উঁচু হয়ে চালক পড়ে যেতে পারেন। আবার শুধু পেছনের চাকা ব্যবহার করার ফলে মাত্র ২০-৩০ থামানোর শক্তি কাজে লাগে ফলে সাইকেলের পেছনের চাকা পিছলে যেতে পারে।

সকালে সাইকেল চালানোর উপকারিতা

নিয়মিত প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে শারীরিক ব্যায়াম হিসেবে সাইকেল চালানো কিন্তু খারাপ না। সকলেই কমবেশি সাইকেল চালাতে পছন্দ করে। এতে করে শারীরিক ব্যায়াম হয় নিজের শখ ও পূরণ হয়। নিয়মিত সাইকেল চালানোর ফলে ওবেসিট ডায়াবেটিস সহ ছোটখাটো বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও হার্ট সতেজ থাকে বা ভালো থাকে। চলুন দেখে নেই সকালে সাইকেল চালানোর উপকারিতা কি কি

অবসাদ দূর করে

অনেকেই আছেন যারা সকালে উঠে অবশনে ভুগেন যারা অবসাদে ভুগছেন তাদের অবসাদ কাটাতে সাইকেলিং হতে পারে একটি ভালো উপায়। নিয়মিত সাইকেল চালানোর ফলে শরীর থেকে এন্ডরফিন্স অয়াড্রেনারলিন হরমোন নিঃসৃত হয়। এতে করে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও সাইকেল চালানোর ফলে মনু সংযোগ ও বৃদ্ধি পায়।

ঘুম ভালো হয়

একটি গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত সাইকেল চালালে ফিজিক্যালি অ্যাংজাইটি অনেকাংশে কমে যায় এতে করে রাতে ঘুম ভালো হয়। তবে সাবধান ভর পেটে কখনো সাইকেল চালানোর চেষ্টা করবেন না। সকালে ঘুম থেকে উঠে সাইকেল চালালে হালকা কিছু খেয়ে চালানো উত্তম।

ওজন কমায়

অনেকেই মাঝে কিংবা সমতল বা বৃত্তাকার স্থানে সাইকেল চালায়। এর থেকে খোলা রাস্তায় সাইকেল চালানো ভালো। তবে সকালে চালালে আরো ভালো এতে করে গাড়ির ঝামেলা থাকে না। এক ঘন্টা সাইকেল চালানোর ফলে প্রায় ৫০০০ ক্যালোরি কমে। তবে সাবধান সাইকেল চালানোর সময় হেডফোন রাখবেন না।

ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ায়

যারা নিয়মিত সকালে উঠে সাইকেল চালায় তাদের জন্য এটি একপ্রকার পরিশ্রম হয়।এই সময় শরীরে বেশি পরিমাণে অক্সিজেনের দরকার হয়। এই সময় শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়া দ্রুত চলে। তাই নিয়মিত সাইকেল চালানোর ফলে ফুসফুস ভালো থাকে এবং এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

পেশি ভালো থাকে

সকালে উঠে নিয়মিত সাইকেল চালালে পায়ের পেশিতে চাপ পড়ে এতে পায়ের ব্যায় াম হয়।নিয়মিত সাইকেল চালালে পায়ের বেশি সচল থাকে। পায়ের জোর বাড়ে। দ্রুত গতিতে সাইকেল না চালিয়ে মধ্যম গতিতে সাইকেল চালানো ভালো।

লম্বা হওয়ার জন্য সাইকেলিং

লম্বা হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম রয়েছে সাইকেল চালালে ভালো ব্যায়াম হয়। আপনি যদি সাইকেলের সিট উঁচু করে কম গিয়ারে রেখে দ্রুত চালান এতে করে হাড়ের মধ্য জড়তা কেটে যাবে এবং হাড়ের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে। সাইকেলের সিট উঁচুতে থাকলে তা আপনাকে লম্বা হতে সাহায্য করবে।

তবে জোরে চালাবেন নাকি আসতে তা আপনার সামর্থের উপর নির্ভর করবে। তবে মিডিয়াম গতিতে চালানো উত্তম।

পেশাদার সাইকেল আরোহীদের প্রতিযোগিতা দেখে থাকলে অবশ্যই লক্ষ্য করবেন নিশ্চয়ই তাদের বেশিরভাগই স্বাস্থ্য ভালো থাকে। সাইকেল চালানো শুধুমাত্র বাহ্যিকভাবেই ফিট রাখে না অভ্যন্তরীণভাবেও একজন মানুষকে সুস্থ রাখে। সাইকেল চালানোর নিয়ম অনুসারে সাইকেল চালালে আপনার শরীর সুস্থ এবং ফিট থাকবে। আনন্দের জন্যই হোক কিংবা কাজের তাগিদে সাইকেল চালানো শরীরের জন্য বেশ উপকারী। নিয়মিত সাইকেল চালালে খুব ভালো ব্যায়াম হয়।

সচরাচর জিজ্ঞাসা

সাইকেল চালালে কি ওজন কমে?

উত্তর:আপনি কতটা সময় সাইকেল চালাচ্ছেন তা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এক ঘন্টা সাইকেলিং করলে ৫০০ গ্যালারি পর্যন্ত বার্ন করা যায়। তাই নিয়মিত সাইকেল চালালে এবং স্বাস্থ্যকর খাবার দাবার খেলে সপ্তাহে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজন কমবে।

সাইকেলিং কি স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়?

উত্তর:সাইকেলিং করার ফলে স্ট্রোকের ঝুকি কমে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে স্ট্যাটিক সাইকেল চালনার ব্যায়াম নিয়মিত করলে হার্ট ফেইলর এর রোগীদের কার্ডিয়াক ফাংশন উন্নত থাকে।

সাইকেলিং কি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে?

উত্তর: সাইকেল চালালে হাইপারটেনশনের রোগীদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকতে সাহায্য করে।

শেষ কথা-

সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকা বন্ধুরা ইতোমধ্যেই সাইকেল চালানোর উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে আলোচিত আর্টিকেলটি পড়ে ফেলেছেন। সাইকেল চালানোর উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের তথ্য প্রদান করাই ছিল আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল উদ্দেশ্য।আমাদের আজকের আর্টিকেলটি যারা শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন তারা অবশ্যই জানতে পেরেছেন।

যদি কোথাও আপনাদের বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের জানাতে ভুলবেন না।আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে সেখানে আমাদের সার্থকতা। যদি ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে আমাদের ওয়েবসাইটটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। এছাড়াও নতুন নতুন কনটেন্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকবেন এবং নিয়মিত ভিজিট করবেন।

আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

পোস্ট ট্যাগ-

সাইকেল চালানোর নিয়ম,সাইকেল চালালে মেয়েদের কি সমস্যা হয়,সাইকেল চালালে কি লম্বা হওয়া যায়,সাইকেল চালানোর ক্ষতিকর দিক,বেশি সাইকেল চালালে কি হয়,সাইকেল চালালে কি ওজন কমে,সকালে সাইকেল চালানোর উপকারিতা।

আপনার জন্য আরো 

আপনার জন্য-

গিয়ার সাইকেল এর দাম ২০২৩

কম দামে ভালো বাইসাইকেল ২০২৩

হোন্ডার নতুন রেসিং বাইক। কি এমন আছে এই বাইকে?

২০২২ সালের 250cc সব চাইতে শক্তিশালী নতুন ভার্সন বাজারে আসলো

ইলেকট্রিক বাইকের জগতে নতুন নক্ষত্র 273 কিমি টপ স্পিড

বাংলাদেশের 2022 সালের সবচাইতে সেরা বাইক।

TVS ইলেকট্রিক স্কুটার লঞ্চ করবে খুব তাড়াতাড়ি

SS IT BARI– ভালোবাসার টেক ব্লগের যেকোন ধরনের তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের মেইল টি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 505 other subscribers

 

প্রতিদিন আপডেট পেতে আমাদের নিচের দেয়া এই লিংক এ যুক্ত থাকুন

SS IT BARI- ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন

SS IT BARI- ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
SS IT BARI- ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে :এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।

SS IT BARI- টুইটার থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- লিংকদিন থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- ইনস্টাগ্রাম থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- টুম্বলার (Tumblr)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে :এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- পিন্টারেস্ট (Pinterest)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।