শুধুমাত্র নতুন ব্লগারদের জন্য।Blogging Mistakes for Beginners

আজকে প্রথম আমি আমার ব্লগিং করার লাইফে আপনাদেরকে কিছু সিক্রেট বিষয় জানাবো।আশা করি আপনি ব্লগিং শুরু করার আগে আমার এই পোস্টটি পুরোপুরি সময় নিয়ে পড়বেন এবং বুঝবেন।আমি আর দশ জন মানুষের মত খুব বড় ব্লগার নয় কিন্তু খুব সাধারন ব্লগার হলেও ব্লগিং নিয়ে মোটামুটি 2 বছর যাবত রিসার্চ করে যেটা বুঝেছি আজকে সেটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।

ব্লগিং কি? Blogging freelance

ব্লগিং হচ্ছে অনলাইন থেকে ঘরে বসে একটি বড় ধরনের ইনকাম করার মাধ্যম।ব্লগিং করে প্রতি মাসে হাজার হাজার থেকে লক্ষ টাকাও প্রতি মাসে একটি সাইট থেকেই ইনকাম করা সম্ভব। তবে এটিই বলতে যেমনটি সহজ কিন্তু আমার এই দুই বছরের অভিজ্ঞতায় আমি জেনেছি যে, কোনো কিছুতেই টাকা ইনকাম করা অনেক কঠিন এই জন্য আজকে আমি আপনাদেরকে সঠিক ব্লগিং করার যতোটুকু আমার অভিজ্ঞতা আছে সেই অভিজ্ঞতা থেকে সবটুকু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।

অনেকেই শখের বশে অথবা পেশা হিসাবে বেছে নিতে চাচ্ছে ব্লগিং। আবার অনেকেই বর্তমানে ব্লগিং পেশা হিসাবে অনেক কিছুই চেষ্টা করতেছে কিন্তু সঠিক নিয়ম এবং সঠিক বিষয় জানা না থাকার কারণে সফলতা থেকে বারবার বঞ্চিত হচ্ছে কারণ ব্লগিং করে বর্তমানে টাকা ইনকাম করা যায় দিন দিন যতই গড়াচ্ছে ততোই ব্লগিং এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ইন্টারনেট দুনিয়ায় নতুন করে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট। কিন্তু কতজনই বা এই ব্লগিং করে সফল হচ্ছে আজ যারা সফল হতে পারছে না তাদের সমস্যাগুলো আসলে কি?

নতুন ব্লগিং শুরু করার আগে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখা দরকার I Blogging Sites

অবশ্যই নতুন ব্লগ সাইট শুরু করার আগেই আপনার জানতে হবে যে আপনার কি পরিমাণ সময় আপনি এই ব্লগ সাইটে অথবা ইন্টারনেটে দেওয়ার মত আছে।অনেকে অনেক ক্ষেত্রে বলে চাকরি অথবা পড়াশোনার পাশাপাশি আপনি ব্লগিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। আমি বলবো না এটা মিথ্যা কথা তবে অবশ্যই আপনার পর্যাপ্ত সময় থাকলে আপনি এই ব্লগিং সাইট খুলে ইনকাম করা শুরু করুন।

কথায় আছে কাজটি যদি সহজ হতো তাহলে সবাই করত। হয়তোবা আমরা শুনতে শুনি যে ব্লগিং করে পোস্ট করলেই আমাদের গুগল এডসেন্স পেয়ে যাব এবং এই গুগল এডসেন্স থেকে খুব সহজেই প্রতিদিন 10 থেকে 40 এবং 50 ডলার ঘরে বসে ইনকাম করতে পারব। তবে হ্যাঁ এটা পারা যায় যদি আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ রিচার্জ করেন এবং কিছু বিষয়ে লক্ষ্য রাখেন।

অন্য পোস্ট:Bangla Blogging SEO।সহজ এসইও করে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার উপায়।

ব্লগিং এর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় I Blogging Tips

প্রথমেই যে বিষয়টি আমি 2 বছর রিসার্চ করে পেয়েছি। সেটি হচ্ছে খুব গুরুত্বের সহিত আর্টিকেল লেখা।আপনি সবসময় চেষ্টা করবেন। আপনার যে পোস্টটি করবেন সেই পোষ্টটি কতটুকু ইউনিট এবং কী পরিমান এই পোস্টটিতে মানুষ পড়ে উপকৃত হতে পারবে।যদি আপনার পোস্টটি এলোমেলো হয়  ,তাহলে আপনার ভিজিটর দিনদিন কমবে এবং গুগোল সেটি খুব সহজেই বুঝতে পারবে।

ব্লগিং শুরু করার আগে আপনার এসইও (SEO) সম্পর্কে নুন্যতম ধারণা থাকতে হবে

এসইও সম্পর্কে কিছু সাধারণ ধারণা: প্রথমে আপনার ওয়েবসাইটটি তৈরি করার পর আপনার পুরো ওয়েবসাইটটি এসইও করে নিতে হবে।এরপরে আপনার পোস্ট এসইও করতে হবে পোস্ট এসইও মধ্যে আপনার ইমেজ এসইও করতে হবে। ইমেজেস এসইও পর আপনার  আর্টিকেল এর ভিতরে অনেক রকমের এসইও থাকে সেগুলো ভালোভাবে করতে হবে।

মোটকথা অফ পেজ অন পেজ এসইও এবং ব্যাকলিংক এসইও সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা থাকতে হবে। তাহলেই আপনার পোস্ট এবং ওয়েবসাইটটি গুগলের শীর্ষ স্থানে পৌঁছবে এবং প্রচুর পরিমান ভিজিটর আসবে এবং আপনার ইনকাম  প্রচুর পরিমাণ প্রতি মাসে আসবে।

আপনার সাইটে পোস্ট লিখার আগে অবশ্যই আপনার ন্যূনতম ওই পোস্ট সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে এবং কখনও আপনি অন্য কারো সাইট থেকে কপিপেস্ট করলে আপনার সাইটটি কখনোই গুগল এডসেন্স পাবে না।অবশ্যই আপনি অন্য কারো সাইট থেকে ধারণা নিয়ে সময় নিয়ে সেটি সুন্দর ভাবে নিজে লিখে তারপর পোস্ট করার চেষ্টা করবেন।

নতুন ব্লগার এরা যে ধরনের ভুল করে থাকে: Blogging Mistakes for Beginners

নিয়মিত সাইটে পোস্ট না করা:অনেকে অন্যদের দেখে অনেকে অন্যদের সাইটে গুগল এডসেন্স এবং ইনকামের রাস্তা দেখে মনে করে একদিন এই 12 থেকে 14 টা পোস্ট করে।পরে দুই থেকে তিন মাস আর কোন সাইটে আপডেট অথবা পোস্ট করে না।এজন্য আপনি আপনার সাইটকে বড় করতে হলে প্রতিদিন একটি করে হলেও পোস্ট নিয়মিত করতে হবে

আপনি প্রতিদিন সঠিকভাবে এবং সঠিক এসইও করে আপনি নিয়মিত পোস্ট করে যান যদিও বা প্রথমে কোন সাইট যখন পোস্ট করা হয় তখন অনেক ভিজিটর কম থাকে এবং ভিজিটর কম থাকলেও আপনি আপনার ধারাবাহিকতা থেকে এক পাও সরে দাঁড়াবেন না দেখবেন একদিন এক এক করে আপনার সাইটটি অনেক বড় হয়েছে এবং আপনার প্রচুর পরিমান ভিজিটর আপনার সাইটে প্রতিদিন ভিজিট করবে।

একটি ভালো আর্টিকেল লেখার কৌশল হচ্ছে প্রথমদিনে আপনি যে আর্টিকেলটি লিখতে চাচ্ছেন সেটি নিয়ে রিচার্জ করবেন দ্বিতীয় দিনে সেটা পোস্ট করবেন এবং তৃতীয় দিনে সেই পোস্ট নিয়ে আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অথবা অন্যান্য বড় বড় সাইটে আপনি এই লিংকটি ব্যাকলিংক হিসাবে ইউজ করবেনতাহলেই দেখবেন আপনার অটোমেটি প্রতিদিন আপনার ভিজিটর আপনার সাইটে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ভিজিটর ওয়েবসাইটে না পেয়ে অনেকে ভেঙে পড়ে নতুন ব্লগারেরা কয়েকটি পোস্ট করে বারবার শুধু চেক করে। সাইটে কতটি ভিজিটর এসেছে এবং কোন পোস্টে কতজন ভিজিট করেছেআসলে ভিজিটর তখনই আসবে যখন আপনার সাইটটি মানসম্মত হবে এবং আপনার সাইটে 50 থেকে 60 টি খুব ভালো মানের আর্টিকাল দিয়ে পোস্ট করা থাকবে একটা বিষয় মনে রাখবেন আপনার সাইটে যদি ভাল মানের কিছু পোস্ট থাকে তাহলে ভিজিটর এমনিতেই আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবে।তাই আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদেরকে বলবো ভিজিটরের দিকে লক্ষ্য না রেখে আপনি আপনার আর্টিকাল কোয়ালিটিফুল এবং এসইও করে পোস্ট করার চেষ্টা করুন।

নতুন ব্লগারেরা শুরুতেই টাকা আয় করার ইচ্ছা যারা ব্লগিং করে তাদের চাওয়া টা কিন্তু টাকা ইনকাম করার ইচ্ছা।তা যাই বলুক কিন্তু তার জন্য সবথেকে ভাল একটা পজিশন  নিয়ে যেতে হবে তার দিকে লক্ষ্য না রেখে সব সময় লক্ষ্য রাখে কে কত টাকা প্রতি মাসে এই ব্লগ সাইট থেকে ইনকাম করছে ইউটিউবে আপনারা দেখলে বুঝতে পারবেন যে এই ব্লগিং থেকে টাকা ইনকাম করার ভিডিও গুলি সব সময় ভাইরাল হয়ে থাকে  জন্য আপনাদেরকে আমার পার্সোনাল অভিজ্ঞতা থেকে বলব।আপনারা অবশ্যই টাকা ইনকাম করতে পারবেন তবে আগে টাকা ইনকাম করার ইচ্ছা পোষণ থেকে দূরে থাকুন এবং মনোযোগ দিয়ে ভালো মানের আর্টিকেল লিখুন এবং সাইটে ধারাবাহিকতার শহীদ পোস্ট করুন

একটা কথা মনে রাখবেন ধৈর্যের ফল সব সময় সুস্বাধু হয়ে থাকে।

একসঙ্গে অনেকগুলো ব্লগ সাইট চালানোর ইচ্ছে পোষণ নতুন ব্লগারেরা এই ভুলটি সব সময় করে তারা অন্যদের সাইট এবং ইনকাম দেখে এবং ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও দেখে শুধু সাইটের বিভিন্ন রকম টপিক চেঞ্জ করে এবং অনেকগুলো সাইট একসঙ্গে তৈরি করে, মনে করে যে আমি যদি 10 টি ব্লগ সাইট তৈরি করি এবং 10 টি তে গুগল এডসেন্স পাই তাহলে আমি হয়তোবা প্রতিমাসে 10 লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারব

তাই আমার পার্সোনাল অভিজ্ঞতা থেকে আমি আপনাদেরকে বলবো কখনোই আপনারা একসঙ্গে অনেকগুলো ব্লগ সাইট চালানোর ইচ্ছা পোষণ থেকে বিরত থাকবেন।একটা সময় এমন পরিস্থিতি হয় যে একটা সাইটের সফলতার মুখ দেখতে পারা যায়না তখন ব্লগিং করার ইচ্ছাটাই যেন ধুলিস্যাৎ হয়ে যায়।একটা সাইট যদি আপনি ভালভাবে দাঁড় করাতে পারেন দেখবেন অন্য দশটি সাইট এর চাইতে আপনি একটি সাইট থেকেই দশটি সাইটের সমান আয় করতে পারবেন।একটা কথা আছে এক কথা মনে রাখবেন একসাথে দুই নৌকায় পা রাখার ফল কিন্তু ভাল হয় না।

নতুনরা আরেকটি ভুল করে বসে সেটি হচ্ছে সাইটের ডিজাইন বারবার পরিবর্তন করা।অনেকেই সাইটের থিম অথবা প্লাগইনস বারবার পরিবর্তন করতে দেখা যায় কারণ মনে করে যে আমার হয়তোবা এই থিমে গুগল এডসেন্স পাইতে কোন সমস্যা হচ্ছে আসলেই গুগোল থিম কখনো ফলোআপ করেনা গুগোল ফলো করে তার আর্টিকাল কেমনথিম তার এসইও কেমনথিম তার পোষ্টের অথবা সাইটের ভিজিটর কেমন থিম এজন্য সব সময় আমি একটি কথাই বলবো যে আপনি সাইটের ডিজাইন বারবার পরিবর্তন করলে আপনার সাইটটি কখনোই গুগল এডসেন্স পাবে না কারণ সাইট যখন এডসেন্স এর জন্য রেডি হয় তখন যদি আপনি আপনার সাইটের কোন পরিবর্তন আনেন ,তাহলে গুগল রোবট রিজেক্ট করে এজন্য পারতপক্ষে চেষ্টা করবেন আপনার সাইটটি যখন শুরু করেন তখনই আপনার সাইটের ডিজাইন টি ফাইনাল করে ফেলবেন।তাই বারবার আপনি আপনার সাইটের নিস পরিবর্তন না করে আপনি যে বিষয়ে ভালো পারেন ভাল জানেন ভাল বোঝেন এবং ভাল লিখতে পারেন সেই বিষয় নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কাজ করতে থাকুন অবশ্যই আপনি গুগোল অ্যাডসেন্সে পাবেন ভিজিটর পাবেন এবং খুব ভালো মানের একটি সাইট হিসাবে আপনার সাইট ভাইরাল হবে

আমি উপরে যেগুলো আলোচনা করেছি সব আমার নিজের অভিজ্ঞতা এখনো পর্যন্ত আমি আমার ব্লগ সাইটে অনেক ভুল করে আসতেছি।তবে আমি দুইটি এবং তিনটি সাইটে google-adsense পেয়েছি এবং 50 থেকে 60 টি পোষ্টের মাধ্যমে আমি এখন ভালো একটি আর্নিং করতে পারতেছি তাই আপনাদের বলব অবশ্যই আপনি উপরের এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে ব্লগিং শুরু করুন এবং ধারাবাহিকভাবে কাজ করতে থাকুন।

ব্লগিং নিয়ে ব্লগিং এর  টু জেড বিষয়ে আমি ডে বাই ডে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব এবং আমার নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো তাই অবশ্যই আমার এই সাইটটিতে আপনি সবসময়ই ভিজিট করুন এবং নতুন নতুন ব্লগিং এর পোস্ট থেকে আপনিও শুরু করতে পারেন ব্লগিং।

আর যদি কখনো কোনো বিষয় নিয়ে এই ব্লগ পোস্ট অথবা ব্লগ সাইটের ব্লগিং করার বিষয় নিয়ে আপনার অন্য কোন বিষয়ে  জানতে ইচ্ছে করে,তাহলে অবশ্যই আমার ব্লগিং নিয়ে যে কোন পোষ্টের কমেন্টসে আপনি কমেন্টস করুন আশা করি খুব দ্রুত আপনার সমস্যাটির সমাধান করার চেষ্টা করব।

Leave a Comment