সুলতান সুলেমান এর ইতিহাস-তুরস্কে অটোমান সাম্রাজ্য যখন প্রতিষ্ঠিত হয় ও ক্রমেই বিস্তার লাভ করে তখন ষোড়শ শতাব্দীতে দশম সুলতান হিসেবে সিংহাসনে বসেন সুলতান সুলেমান খান।
১৪৯৪ সালের ৬ নভেম্বর তিনি জন্ম নেন তুরস্কে। তার পিতা সেলিম খান মারা গেলে তিনি ১৫২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিশাল রাজ্যের দায়িত্ব নেন।
সুলতান সুলেমানের শাসন আমলে অটোমান সাম্রাজ্যের সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তির এতটা বিস্তার লাভ করে। যা এশিয়া ছাড়া ইউরোপ, আফ্রিকা বিস্তীর্ণ অঞ্চল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
এই চাঁদে লুকিয়ে আছে হাজারো অজানা রহস্য
বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান বলছিলেন, রাজ কাজ পরিচালনা করার জন্য যে প্রজ্ঞা এবং বিচক্ষণতা দরকার সেটা সুলতান সুলেমানের মধ্যে ছিল।
এই জন্য পশ্চিমারা তাকে ‘ম্যাগনিফিসেন্ট বা মহামতি’ বলতেন। আবার তুরস্কে তিনি ‘কানুনি সুলতান’ নামে পরিচিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক সুলতানা সুকন্যা বাশার বলেছিলেন, দৃঢ়চেতা একজন মানুষ ছিলেন সুলতান সুলেমান। অটোমানদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেশের যুদ্ধ সময় তার বাচনভঙ্গি, বক্তব্যের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর মনোবল দৃঢ়চিত্ত করেছেন।
সুলতান সুলেমানের সেনাবাহিনী রোমান সাম্রাজ্য এবং হাঙ্গেরির পতন ঘটায়। পারস্যের সাফাভিদ সুলতান, প্রথম তাহমাসবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং মধ্যপ্রাচ্যের বেশির ভাগ অঞ্চল দখল করে নেন।
তিনি উত্তর আফ্রিকার আলেজেরিয়াসহ বড় বড় অঞ্চলগুলো রোমান সাম্রাজ্যের হাত থেকে দখল করে নেন। অটোমান নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগর থেকে লোহিত সাগর ও পারস্য উপসাগর পর্যন্ত তাদের আধিপত্য বজায় রাখে।
অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেছিলেন, ইউরোপে সেই সময় তার সমকক্ষ কোনো শাসক ছিল না। আইন প্রণয়ন, শাসনবিধি প্রণয়ন, সামরিক সাফল্য, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সব মিলিয়ে তিনি ঐ সময়ের রাজন্যবর্গের মধ্যে ছিলেন অনন্য।
সুলতান সুলেমান:বিকল্প নাম ও উপাধিসমূহ
মহৎ সুলাইমান (محتشم سليمان মুহতেশিমrম সুলাইমান) নামে তিনি পশ্চিমা বিশ্বে পরিচিত ছিলেন, এবং পাশাপাশি তাকে প্রথম সুলাইমান (سلطان سليمان أول সুলতান সুলাইমান-ই আওয়াল), এবং অটোম্যান আইনি প্রক্রিয়াকে আবারও সম্পূর্ণরূপে ঢালাওভাবে সাজানোর কারণে তাকে আইনপ্রণয়নকারী সুলাইমান (قانونی سلطان سليمان কানুনি সুলতান সুলাইমান) নামেও ডাকা হতো।
সুলতান সুলেমান এর ইতিহাস
পাশ্চাত্যে তিনি সুলেমান দ্যা ম্যাগনিফিসেন্ট (মহান সুলেমান) হিসেবেও পরিচিত। তিনি সম্পূর্ণভাবে উসমানীয় সাম্রাজ্যের নীতিমালাগুলো পূণরায় নবীণকরণ করেছিলেন বলে তুরস্কে তাকে বলা হয় কানুনি সুলতান (আরবি: سليمان القانوني)।
সুলতান সুলাইমান ষোড়শ শতাব্দীর ইউরোপে একজন বিশিষ্ট সাম্রাজ্যাধিপতি হিসেবে স্থান লাভ করেন, যার শাসনামলে উসমানীয় খেলাফতের সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তির বিস্তার ঘটে। সুলতান সুলাইমানের সেনাবাহিনী পূর্ণ রোমান সাম্রাজ্য এবং সুবিশাল হাঙ্গেরির পতন ঘটায়। সুলতান সুলাইমান পারস্যের সাফাভি রাজবংশের সাফাভিদ শাহ প্রথম তাহমাসবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং মধ্য প্রাচ্যের বেশির ভাগ অঞ্চল দখল করে নেন। তিনি উত্তর আফ্রিকায় আলজেরিয়া সহ বড় বড় অঞ্চলগুলো দখল করে নেন।
তার শাসনামলে তার অধীনস্থ কাপুদান পাশা (নৌ-সেনাপতি) খিজির খাইরুদ্দিন বারবারোসা, স্পেনের অ্যাডমিরাল আন্দ্রে ডুরিয়ার নেতৃত্বে সম্মিলিত খ্রিস্টান বাহিনীর বিরুদ্ধে ১৫৩৮ সালে প্রিভিজার যুদ্ধে বিজয় লাভ করে। এই নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগর থেকে লোহিত সাগর ও পারস্য উপসাগর পর্যন্ত তাদের আধিপত্য বজায় রাখে। এছাড়াও তার নৌ বাহিনী তৎকালীন স্পেনের হত্যাযজ্ঞ থেকে বেঁচে যাওয়া পলায়নরত নির্বাসিত মুসলিম ও ইহুদিদের উদ্ধারকার্য পরিচালনা করেন। সুলতান সুলায়মান ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের সবেচেয়ে শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান সুলতান।
শ্রমিকের শ্রমের গল্পের ইতিহাস
উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিস্তারকালে, সুলতান সুলাইমান ব্যক্তিগতভাবে তার সাম্রাজ্যের সমাজ ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা, খাজনা ব্যবস্থা ও অপরাধের শাস্তি ব্যবস্থার বিষয়গুলোতে আইনপ্রণয়নসংক্রান্ত পরিবর্তন আনার আদেশ দেন। তিনি যেসব কানুনগুলো স্থাপন করে গেছেন, সেসব কানুনগুলো উসমানীয় সাম্রাজ্যে অনেক শতাব্দী ধরে প্রচলিত ছিল।
সুলতান সুলাইমান যে শুধু একজন মহান রাজা ছিলেন তা নয়, তিনি একজন মহান কবিও ছিলেন। “মুহিব্বি” (অর্থ:প্রেমিক) নামক ছদ্ম উপনামে তিনি তুর্কি ও ফারসি ভাষায় বহু কালজয়ী কবিতা লিখেছেন। তার শাসনামলে উসমানীয় সংস্কৃতির অনেক উন্নতি হয়। সুলতান সুলাইমান উসমানীয় তুর্কি ভাষা সহ আরো পাঁচটি ভিন্ন ভাষায় কথা বলতে পারতেন: আরবী ভাষা, সার্বীয় ভাষা, ফার্সি ভাষা, উর্দু ভাষা এবং চাগাতাই ভাষা (একটি বিলুপ্ত তুর্কি ভাষা)।
বলা হয় যে, সুলতান সুলাইমান উসমানীয় সাম্রাজ্যের দু’শ বছরের সংসকৃতির নিয়ম ভঙ্গ করে তার হারেমের একজন দাসী রোক্সেলানার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। প্রকৃতপক্ষে তিনি রসুল সা. এর হাদিস মোতাবেক অধীনস্থ দাসীটিকে জ্ঞান ও শিষ্টাচার শিক্ষা দেন এবং হাদিসের আদেশ মোতাবেক আযাদ করে দেন, এবং পরবর্তীতে তাকে একজন মুক্ত নারী হিসেবে বিবাহ করেন।
ঐ দাসীর নাম পরবর্তীকালে হুররাম (উসমানীয় তুর্কিতে هريم) রাখা হয়। তিনি সুলতান সুলাইমানের একাধিক পুত্রসন্তান ও একজন কন্যাসন্তানের মাতা। তার গর্ভে শাহজাদা সেলিম জন্ম নেন, যেই শাহজাদা সুলতান সুলাইমানের মৃত্যুর পর দ্বিতীয় সেলিম হিসেবে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতান হন।
সুলতান সুলেমান তৎকালীন ফ্রান্সের রাজা প্রথম ফ্রান্সিসকে লেখা তার একটি চিঠির একাংশ:
“আমি, যিনি সুলতানদের সুলতান, রাজাদের রাজা, বিশ্বের বুকে সমস্ত রাজাদের মুকুটদাতা, পৃথিবীতে আল্লাহর ছায়া, শ্বেতসাগর এবং কৃষ্ণসাগর, রুমেলিয়া (বলকান অঞ্চল), আনাতোলিয়া, কারামানিয়া, রুম ভূখণ্ড, জুলকাদ্রিয়া, দিয়ারে বকর, কুর্দিস্তান, আজারবাইজান, পারস্য, দামেশক, আলেপ্পো, কায়রো, মরক্কো (উত্তর আফ্রিকা), মক্কা, মদিনা, জেরুজালেম, সারা আরব, ইয়েমেন, এবং অন্যান্য দেশ যা আমার পূর্বপুরুষদের (আল্লাহ তাদের কবরকে আলোকিত করুন) বাহুবলে জয় করা ভূখণ্ড এবং আমার বীরত্বের পুরস্কার, মহামহিম আল্লাহর দান করা ভূখণ্ডের সর্বময় কর্তা। আমি সুলতান সুলাইমান খান, সুলতান সেলিম খানের পুত্র, সুলতান বায়েজিদ খানের পৌত্র, তোমার উদ্দেশ্যে, ফ্রান্সের রাজা ফ্রান্সিস”।
সুলতান সুলেমান এর স্ত্রী ও সন্তানঃ
সুলেমানের তিনজন সুপরিচিত সঙ্গী ছিলেন-
*গুলফাম হাতুন;
*মাহিদেভ্রান সুলতান;
*হাসেকি হুররেম সুলতান (বিয়ে ১৫৩১), সুলেমানের বৈধ স্ত্রী, খুব সম্ভবত ইউক্রেনীয় অর্থোডক্স যাজক হাভ্রিলো লিসভস্কির এবং তার স্ত্রী আলেকজান্দ্রার কন্যা।
সুলায়মানের তিন সঙ্গীর মোট আট সন্তান ছিল-
১।শাহজাদা মুরাদ – গুলফামের পুত্র (জন্মের অল্প দিনের মধ্যে মারা যায়)
২।শাহজাদা মুস্তাফা – মাহিদেভ্রান সুলতানের পুত্র
৩।শাহজাদা মেহমেদ – হুররাম সুলতানের পুত্র
৪।শাহজাদী মিহরিমাহ সুলতান – হুররাম সুলতানের কন্যা
৫।সুলতান দ্বিতীয় সেলিম – হুররাম সুলতানের পুত্র
৬।শাহজাদা বায়জিদ – হুররাম সুলতানের পুত্র
৭।শাহজাদা জাহাঙ্গীর – হুররাম সুলতানের পুত্র
হুররেম সুলতানের সঙ্গে সম্পর্কঃ
হুররেম সুলতান ( রোক্সেলানা হিসেবেও পরিচিত ) ছিলেন রুথেনিয় বংশোদ্ভূত উসমানীয় সম্রাট প্রথম সুলাইমানের প্রিয়তম প্রমোদ দাসী (উপপত্নী) ও পরবর্তীকালে তার বৈধ স্ত্রী এবং সম্রাটের সন্তান শাহজাদা মেহমেদ, মিহরিমাহ সুলতান, শাহজাদা আবদুল্লাহ, সুলতান দ্বিতীয় সেলিম, শাহজাদা বায়েজিদ এবং শাহজাদা জাহাঙ্গীরের মাতা।হুররেম সম্ভবত কোন ইউক্রেনীয় অর্থোডক্স ধর্মযাজক পিতার ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন।
তিনি পোল্যান্ড রাজ্যের রুথেনীয় ভয়ভডেশিপের প্রধান শহর ল্বও-এর ৬৮ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বের রুহাটাইন নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন (বর্তমান পশ্চিম ইউক্রেন)। ১৫২০-এর দশকে ক্রিমিয়ার তাতাররা ওই এলাকার একটি তড়িৎ অভিযানের সময় তাকে বন্দী করে একজন দাসী হিসেবে নিয়ে আসে (সম্ভবত প্রথমে ক্রিমিয়ার নগরী কাফফায়, যা দাস ব্যবসার একটি প্রধান কেন্দ্র, এরপর কনস্টান্টিনোপলে) এবং তাকে প্রথম সুলাইমানের হারেমের জন্য বাছাই করে।
তিনিই সুলতানের সর্বাধিক সংখ্যক সন্তানের জন্ম দেন, এবং আশ্চর্যজনকভাবে চিরায়ত প্রথা ভঙ্গ করে – তিনি দাসত্ব হতেও মুক্তি লাভ করেন। দুইশত বছরের অটোম্যান ঐতিহ্যকে ভঙ্গ করে, একজন প্রাক্তন উপপত্নী এভাবে অবশেষে সুলতানের বৈধ পত্নী হয়ে ওঠে, যা প্রাসাদ ও নগরীর প্রত্যক্ষদর্শীদের জন্য অত্যন্ত হতবাককারী একটি বিষয় ছিল। এই ঘটনা সুলাইমানকে ওরহান গাজির (১৩২৬- ১৩৬২) পর প্রথম দাসী বিবাহকারী সুলতানের পরিচয় এনে দেয় এবং প্রাসাদে হুররামের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে, যার ফলশ্রুতিতে তার অন্যতম পুত্র দ্বিতীয় সেলিম ১৫৬৬ সালে সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকার লাভ করেন।
আফগানিস্তানের ইতিহাস
সুলায়মান বাকি জীবনে রাজসভাতেও হুররেমকে তার সাথে থাকতে দেন, যার ফলে আরেকটি প্রথা ভঙ্গ হয়, আর তা হল, যখন সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারীগণ উপযুক্ত বয়সে পৌঁছুবে, তাদেরকে তাদের রাজ উপপত্নীসহ (উত্তরাদিকারিদেরকে তাদের মাতাসহ) নিকটস্থ প্রদেশে শাসনের জন্য পাঠিয়ে দেয়া হবে, উক্ত উপপত্নীদের সন্তান ক্ষমতায় বসার আগ পর্যন্ত তারা ফিরে আসতে পারবে না। সুলতানের রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবেও হুররেম ভূমিকা পালন করেছেন, এবং প্রতীয়মান হয় যে তিনি বৈদেশিক নীতি ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও প্রভাব রেখেছিলেন।
সুলতান সুলেইমান তার “মুহিব্বি” নামক ছদ্মনাম ব্যবহার করে হুররেম সুলতানের জন্য নিম্নোক্ত কবিতাটি লিখেছিলেন:
“আমার নির্জনতার সিংহাসন, আমার সম্পত্তি, আমার প্রেম, আমার পূর্ণিমা।
আমার শ্রেষ্ঠ বন্ধু, আমার সখী, আমার চিরন্তন অস্তিত্ব, আমার সুলতান, আমার একমাত্র ভালোবাসা।
সুন্দরীদের মাঝে সবচেয়ে সুন্দরীতমা…
আমার বসন্তকাল, আমার সদা প্রফুল্ল মুখী ভালোবাসা, আমার দিবস, আমার প্রাণের প্রিয়া, আমার হাস্যোজ্জল পত্র…
আমার গুল্ম, আমার মিষ্টি, আমার গোলাপ, এ জগতে একমাত্র সেই আমাকে কোন দুঃখ দেয় নি…
আমার ইস্তাম্বুল, আমার কারামান, আমার আনাতোলিয়ার পৃথিবী
আমার বাদাকশান, আমার বাগদাদ আর খোরাসান
আমার সুকেশী রমণী, আমার হেলানো ভুরুর প্রণয়, আমার দুষ্টুমিভরা চোখের প্রেম…
আমি সর্বদা তোমার গুণ গাইবো
আমি, এই ভগ্ন হৃদয়ের প্রেমিক, অশ্রুভরা চোখের মুহিব্বি (প্রেমিক), আমিই তো সুখী।”
অটোমান সাম্রাজ্য সুলতান সুলেমান অবদান
অটোমান সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ সুলতান হিসেবে সুলতান প্রথম সুলেমান যেমন সাম্রাজ্যকে নিয়ে গিয়েছিলেন সাফল্যের চূড়ায়, তেমনি তার কিছু ভুল সিদ্ধান্তে অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের বীজ বপন হয়ে যায়। ব্যক্তি হিসেবে সুলতান সুলেমান যেমন অভূতপূর্ব, নীতিবোধের ক্ষেত্রে ছিলেন তেমনি ত্রুটিহীন।
তিনি রাজ কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে সব সময় মেধা ও যোগ্যতাকে গুরুত্ব দিয়েছেন, সে কারণেই তার সময়ে পারগালি ইব্রাহিম পাশা, রুস্তম পাশা এবং সোকুলু পাশার মতো দক্ষ ও যোগ্য উজিরে আযম পেয়েছিল অটোমানরা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সুলতান সুলেমান এমন দুইটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যা সাম্রাজ্যের ভাগ্যে দুর্ভাগ্য নিয়ে আসে।
অটোমান সাম্রাজ্যের সবচেয়ে দক্ষ ও যোগ্য শাসক সুলেমান নিজের উত্তরসূরি নির্বাচন করতে গিয়ে বড় অদক্ষতার পরিচয় দেন। উত্তরসূরি নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিজের আবেগ এবং ভালোবাসাকে গুরুত্ব দিয়ে তুচ্ছ অপরাধে বা বিনা অপরাধে তার বড় ছেলে শাহজাদা মুস্তাফা এবং ছোট ছেলে শাহজাদা বায়েজিদকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
কিন্তু তারা দুইজনেরই বাবার মতোই সাম্রাজ্য পরিচালনা ও বিস্তৃতি ঘটানোর মতো সমস্ত গুণাবলি ছিল। নিজের অন্ধদৃষ্টি ও ক্ষমার অযোগ্য কর্মের মাধ্যমে নিজের উত্তরাধিকারী মনোনীত করে যান শাহজাদা সেলিমকে। যার মাধ্যমে রোপিত হয় অটোমান সাম্রাজ্যের ধ্বংসের বীজ, কারণ খাটো ও ভারী শরীরের সেলিমের মধ্যে সুলতান সুলেমানের কোন গুণই ছিল না।
আদিম যুগের মানুষের ইতিহাস
এমনকি তিনি সুলতান হিসেবে মন্ত্রীপরিষদ ও প্রজাদের কাছে থেকে সম্মান লাভে ব্যর্থ হোন। রাষ্ট্র পরিচালনা, তরবারির চমকানি কোন কিছুর প্রতি তার কোন আগ্রহ ছিল না। তিনি সেরাগালিও প্রাসাদে বসে সাম্রাজ্যের কোন চিন্তা না করে মদ্যপান ও কবিতা রচনায় মশগুল থাকতেন। তার সময়েই অটোমানরা লেপান্তের যুদ্ধে ভেনেশীয়দের কাছে সবচেয়ে বড় পরাজয় বরণ করে।
সুলতান সুলেমানের ৪৬ বছরের সুদীর্ঘ শাসন সম্ভব হয়েছিল তার দক্ষতা, যোগ্যতা এবং সুদূরপ্রসারী চিন্তা-ভাবনার কারণেই কিন্তু তার পরবর্তী যেসব সুলতান অটোমান সিংহাসনে বসেন তারা ক্রমাগত ভাবে অযোগ্যতার প্রমাণ দেন।
সুলতান সুলেমানের পুত্র সুলতান দ্বিতীয় সেলিম পরিচিতি পেয়েছিলেন ‘মদ্যপ সুলতান’ হিসেবে এবং তিনি মারা যান মদ্যপ অবস্থায় গোসলখানায় পড়ে মাথা ফেটে।
সেলিমের পুত্র সুলতান তৃতীয় মুরাদ ছিলেন অর্থ ও নারীলোভী। তিনি একরাতে একাধিক নারীর সাথে রাত্রিযাপনও করেছেন। তার যেমন ছিল নারীলোভ, তেমনি ছিল স্বর্ণের লোভ। অর্থ-সম্পদের প্রতি তার লোভ এমনই ছিল যে সে ধনসম্পদের উপর শুয়ে ঘুমাতেন। মূল্যবান স্বর্ণের প্রতি লোভের কারণে ঘুষের প্রচলন শুরু হয় মহামারী আকারে। ঘুষের বিনিময়ে সাম্রাজ্যের দাপ্তরিক পদে অযোগ্য লোক দিয়ে ভরে গিয়েছিল।
সুলতান সুলেমান:ইতিহাস বিকৃতির দায়
সুলতান সুলায়মান পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ক্ষমতাশালী শাসকদের একজন। ক্ষমতাবান হবার পাশাপাশি তিনি প্রজাবৎসল এবং ন্যায় পরায়ন। প্রজাবাৎসল্যে ধর্ম বর্নের কোন ভেদাভেদ তিনি করেন নি, যদিও সেসময়টাতে অন্যান্য রাজ্যে নানারকম ভেদাভেদ করা হত। সততা এবং ন্যায়পরায়নতার বিষয়গুলোতে তিনি কখনও আপোষ করেন নি। এই কারনে তুর্কী এবং পশ্চিমা ইতিহাসবিদগন একমত হয়ে তাকে “ম্যাগনিফিসেন্ট” উপাধি দেন। সুলায়মানের সুশাসন ইতিহাস স্বীকৃত একটি বিষয় এবং এ নিয়ে দ্বিমত পোষনের তেমন কোন অবকাশ নেই।
১। অটোম্যান সাম্রাজ্য হারেম নির্ভর এবং এর পৃষ্ঠপোষক। মধ্যযুগের প্রচলিত হারেম প্রথা অটোম্যান সাম্রাজ্যে প্রায় ১৯০৮ শতক পর্যন্ত চালু থাকে। পরবর্তীতে তুর্কীদের সমালোচনার কারনে এবং দাস প্রথা বিলুপ্তির সাথে সাথে হারেম প্রথাও লোপ পায় (যা অন্য ইতিহাস)। অটোম্যান সাম্রাজ্য বেশ কিছু কারনে এই হারেম কেন্দ্রিক বহুগামিতাকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিল। সুলতান যাতে কোন একক নারীর দ্বারা বিভ্রান্ত না হতে পারেন এবং সুলতানের যাতে উত্তরাধিকার নিশ্চিত হয়।
সুলতান সুলায়মানের হারেমের নারীদের মধ্যে তার মূল সংগিনী ছিলেন তিন জন: হুররেম, মাহিদেবরান এবং গুলফাম। এক পর্যায়ে হুররেমকে তিনি বিয়ে করেন। হুররেমকে বিয়ের পর সুলায়মানের জীবনে আর কোন নারী ছিল না। হুররেমই ছিল সুলায়মানের প্রকৃত জীবন সংগিনী। এই বিষয়টিকে এই সিরিয়ালে বিকৃত করা হয়েছে “ফিরোযে হাতুন” নামক এক কাল্পনিক চরিত্রকে এনে।
২। নিগার কালফার কাল্পনিক চরিত্র দিয়ে ইবরাহিম পাশার চরিত্র বিকৃতি।
৩। এর পরবর্তীতে দেখানো হবে, শাহ সুলতানা কর্তৃক আয়াজ পাশা খুন হন। কিন্তু এটাও ইতিহাস বিকৃতি। আয়াজ পাশা রোগে ভুগে মারা যান। তিনি খুন হন নি।
৪। এই সিরিয়ালে শাহজাদা মেহমেতকে খুন করেন মাহি দেবরান। এটাও ইতিহাস বিকৃতি। শাহজাদা মেহমেত রোগে ভুগে মারা যান।
৫। সরাই খানায় নাসু এফেন্দি এবং মালকুচোগলো বালি বের মদ্যপান। এটা অসম্ভব কারন সুলতান সুলায়মানের সময় মদ্য পান নিষিদ্ধ ছিল। পরবর্তীতে তার পুত্র সুলতান সেলিম মদ্যপানের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেন। সরাইখানায় নর্তকীদের এরকম প্রকাশ্য নাচও অসম্ভব।
সুলতান সুলেমান: নিজের ছেলের মৃত্যুর আদেশ দিয়েছিলেন –
সুলেমান তাঁর শাসনকালে যে বিষয়গুলো নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েন সেটা হল ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য তাঁর কাছের মানুষদের মৃত্যুর আদেশ দেন।
এর মধ্যে অনেকের কাছে মর্মান্তিক মনে হয়েছে তাঁর ছেলে মুস্তাফার মৃত্যুর আদেশ। এবং তারপরে তাঁর বাল্যবন্ধু এবং সাম্রাজ্যের উজির ইব্রাহীম পাশার মৃত্যু।
তালেবানের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্থারিত
এর পর তাঁর ছেলে সেলিম (২য়) কে আদেশ দেন আরেক ছেলে বায়েজিদের মৃত্যু কার্যকর করার জন্য।
যার ফলে বায়েজিদকে মৃত্যুবরণ করতে হয় তাঁর চার সন্তানের সাথে। যেখানে সুলতান সুলেমানকে দেখা যায় সন্তানদের অসম্ভব ভালোবাসতে এবং বিপদে একে অপরের পাশে থাকার উপদেশ দিতে, তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিলেন সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খায় মানুষের মনে। অনেকেই তাকে “ক্ষমতা লিপ্সু” মনে করেছেন।
তবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক সুলতানা সুকন্যা বাশার দুইটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলছিলেন, “আমরা যেকোন সম্রাটের জীবন নিয়ে যখন গবেষণা করি তখন দেখি তারা তাদের জীবনকালে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে চান না। স্বাভাবিকভাবে একজন যখন ক্ষমতা উপভোগ করা শুরু করেন, তখন তিনি চান তার জীবদ্দশায় সেই ক্ষমতা উপভোগ করবেন।”
“একজন সুলতান যখন দেখবেন তার পুত্রের জনপ্রিয়তা তার চেয়ে বেশি এবং তার কানে যদি খবর আসতে থাকে সেই পুত্র বিদ্রোহ করতে পারেন, তাহলে তখন সেই ব্যক্তি কিন্তু বাবা হিসেবে সিদ্ধান্ত নেন না।”
“তিনি সাম্রাজ্যের জন্য তখন একজন সুলতান হিসেবে সিদ্ধান্ত নেন। সেটিকে তিনি দেশদ্রোহীতার শামিল মনে করেছেন। যেটা হয়েছে মুস্তাফার ক্ষেত্রে,” বলছিলেন তিনি।
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের ইতিহাস
তবে অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান বলছিলেন, “উত্তরাধিকার নিয়ে যাতে কোন সমস্যা তৈরি না হয় সেজন্য সুলতান সুলেমানের আগেই একটি আইন তৈরি করা ছিল।
সাম্রাজ্য যাতে হুমকির মুখে না পড়ে বা স্থায়িত্ব কম না হয় সেকারণে সেই আইনটি করা হয়েছিল। ‘ভ্রাতৃহত্যা আইন’ নামে একটি বিধিবদ্ধ আইন করা হয়েছিল।
এ আইনে শুধু ‘প্রতিদ্বন্দ্বী ভাইদের ও সন্তানদের হত্যা করা যেত’।
“এই আইনটি একটি অমানবিক আইন ছিল। যেটার চর্চা সুলতান সুলেমান নিজেও করেছেন তার সাম্রাজ্যকে এবং তার ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করার জন্য। যেটা ইতিহাসে আছে এবং তার চরিত্রে এটা একটা অন্ধকার দিক। যেটা তার ব্যক্তিত্বের সাথে সাংঘর্ষিক,” বলছিলেন তিনি।
অটোমান সাম্রাজ্য সুলতান সুলেমান অবদান
অটোমান সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ সুলতান হিসেবে সুলতান প্রথম সুলেমান যেমন সাম্রাজ্যকে নিয়ে গিয়েছিলেন সাফল্যের চূড়ায়, তেমনি তার কিছু ভুল সিদ্ধান্তে অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের বীজ বপন হয়ে যায়। ব্যক্তি হিসেবে সুলতান সুলেমান যেমন অভূতপূর্ব, নীতিবোধের ক্ষেত্রে ছিলেন তেমনি ত্রুটিহীন।
তিনি রাজ কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে সব সময় মেধা ও যোগ্যতাকে গুরুত্ব দিয়েছেন, সে কারণেই তার সময়ে পারগালি ইব্রাহিম পাশা, রুস্তম পাশা এবং সোকুলু পাশার মতো দক্ষ ও যোগ্য উজিরে আযম পেয়েছিল অটোমানরা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সুলতান সুলেমান এমন দুইটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যা সাম্রাজ্যের ভাগ্যে দুর্ভাগ্য নিয়ে আসে।
?? গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন ??
অটোমান সাম্রাজ্যের সবচেয়ে দক্ষ ও যোগ্য শাসক সুলেমান নিজের উত্তরসূরি নির্বাচন করতে গিয়ে বড় অদক্ষতার পরিচয় দেন। উত্তরসূরি নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিজের আবেগ এবং ভালোবাসাকে গুরুত্ব দিয়ে তুচ্ছ অপরাধে বা বিনা অপরাধে তার বড় ছেলে শাহজাদা মুস্তাফা এবং ছোট ছেলে শাহজাদা বায়েজিদকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
কিন্তু তারা দুইজনেরই বাবার মতোই সাম্রাজ্য পরিচালনা ও বিস্তৃতি ঘটানোর মতো সমস্ত গুণাবলি ছিল। নিজের অন্ধদৃষ্টি ও ক্ষমার অযোগ্য কর্মের মাধ্যমে নিজের উত্তরাধিকারী মনোনীত করে যান শাহজাদা সেলিমকে। যার মাধ্যমে রোপিত হয় অটোমান সাম্রাজ্যের ধ্বংসের বীজ, কারণ খাটো ও ভারী শরীরের সেলিমের মধ্যে সুলতান সুলেমানের কোন গুণই ছিল না।
এমনকি তিনি সুলতান হিসেবে মন্ত্রীপরিষদ ও প্রজাদের কাছে থেকে সম্মান লাভে ব্যর্থ হোন। রাষ্ট্র পরিচালনা, তরবারির চমকানি কোন কিছুর প্রতি তার কোন আগ্রহ ছিল না। তিনি সেরাগালিও প্রাসাদে বসে সাম্রাজ্যের কোন চিন্তা না করে মদ্যপান ও কবিতা রচনায় মশগুল থাকতেন। তার সময়েই অটোমানরা লেপান্তের যুদ্ধে ভেনেশীয়দের কাছে সবচেয়ে বড় পরাজয় বরণ করে।
সুলতান সুলেমানের ৪৬ বছরের সুদীর্ঘ শাসন সম্ভব হয়েছিল তার দক্ষতা, যোগ্যতা এবং সুদূরপ্রসারী চিন্তা-ভাবনার কারণেই কিন্তু তার পরবর্তী যেসব সুলতান অটোমান সিংহাসনে বসেন তারা ক্রমাগত ভাবে অযোগ্যতার প্রমাণ দেন।
সুলতান সুলেমানের পুত্র সুলতান দ্বিতীয় সেলিম পরিচিতি পেয়েছিলেন ‘মদ্যপ সুলতান’ হিসেবে এবং তিনি মারা যান মদ্যপ অবস্থায় গোসলখানায় পড়ে মাথা ফেটে। সেলিমের পুত্র সুলতান তৃতীয় মুরাদ ছিলেন অর্থ ও নারীলোভী। তিনি একরাতে একাধিক নারীর সাথে রাত্রিযাপনও করেছেন। তার যেমন ছিল নারীলোভ, তেমনি ছিল স্বর্ণের লোভ। অর্থ-সম্পদের প্রতি তার লোভ এমনই ছিল যে সে ধনসম্পদের উপর শুয়ে ঘুমাতেন। মূল্যবান স্বর্ণের প্রতি লোভের কারণে ঘুষের প্রচলন শুরু হয় মহামারী আকারে। ঘুষের বিনিময়ে সাম্রাজ্যের দাপ্তরিক পদে অযোগ্য লোক দিয়ে ভরে গিয়েছিল।
সুলতান সুলেমান: জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে সুলেমান
*প্রথম সুলায়মান ২০১১-১৪ সালের তুর্কি টিভি ধারাবাহিক মুহতেশেম ইউযিউয়েল-র কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিলেন।
*প্রথম সুলায়মানকে এজ অব এম্পায়ারস ৩, সিভিলাইজেশন ৪ ও সিভিলাইজেশন ৫ নামক কম্পিউটার স্ট্রাটেজি গেমসে অটোম্যানদের নেতা হিসেবে পাওয়া যায়।
*প্রথম সুলায়মানকে অনেক সময় ইউরোপা ইউনিভারসালিস ৪ নামক কম্পিউটার স্ট্রাটেজি গেমসের লোডিং স্ক্রিনে দেখতে পাওয়া যায়।
ইসরায়েলের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্থারিত যেনে নিন।
*প্রথম সুলায়মানকে এসাসিনস ক্রিড: রিভ্যালেশনস নামক অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার ভিডিও গেমসের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে দেখা যায়।
সুলতান সুলেমানের মৃত্যু
তিনি দীর্ঘ ৪৬ বছর রাজত্ব করেন। ১৫৬৬ সালের হাঙ্গেরি অভিযানের নেতৃত্ব দেয়ার উদ্দেশ্যে কনস্টান্টিনোপল হতে রওয়ানা হয়েছিলেন, তিনি হাঙ্গেরিতে যিগেটভারের যুদ্ধে অটোম্যান বিজয়ের পূর্বেই মারা যান ৬ই সেপ্টেম্বর মারা যান।
রক্তাক্ত কারবালার ইতিহাস
ইতিহাসবিদরা মনে করেন, সেনাবাহিনীর মনোবল দুর্বল হয়ে যাবে একারণে তথ্য গোপন রাখা হয়।
তাঁর মরদেহের একটি অংশ হাঙ্গেরি বিজয়ের পর সেখানে সমাহিত করা হয় এমন একটি বিতর্ক আজো চালু রয়েছে।
তবে তুরস্কে সোলাইমানী মসজিদে তাঁর কবর রয়েছে।
সুলতান সুলেমান মারা যাওয়ার পর তাঁর ছেলে দ্বিতীয় সেলিম অটোমান সাম্রাজ্যের সিংহাসনে বসেন।
আরও পড়ুন-
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস
বঙ্গবন্ধুর জীবনী ইতিহাস- বঙ্গবন্ধু কে ছিলেন? কোথাই থেকে এসেছেন? কেমন ছিলেন?
ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারণা থাকা প্রতিটি বাঙ্গালির জন্য কর্তব্য
ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে আপনার জানা এবং অজানা সকল তথ্য যেনে নিন
মিয়া খলিফা সম্পর্কে অজানা সকল তথ্য যেনে নিন
কেন অর্থ বুঝে নামাজ পড়া উচিৎ: পড়ুন
আত্মীয়তার সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ – জানুন
সালাম দিলে কি আপনি লাভবান হবেন? জানুন
বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা
SS IT BARI– ভালোবাসার টেক ব্লগের যেকোন ধরনের তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের মেইল টি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।
সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!
”
প্রতিদিন আপডেট পেতে আমাদের নিচের দেয়া এই লিংক এ যুক্ত থাকুন