ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ এবং ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ- ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় কি

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ –ডেঙ্গু জ্বর রোগটি ভয়াবহ মারাত্মক একটি রোগ। ডেঙ্গু জ্বরের কারণ হলো এডিস মশার কামড়।পরিবেশে উপস্থিত ভাইরাস এরিস মশার মধ্যে সংক্রমিত হলে সেই মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।এডিস মশার একটি বিষয় হল ইট ইস মশার সাধারণত একাধিক ব্যক্তিকে কামড়ায় যার ফলে ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কোন ব্যক্তি শরীর থেকে এডিস মশার মধ্য ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার পর ওই মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর হয়।

বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরের সংক্রমণ বাড়ার সাথে সাথে মানুষের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরের প্রতি সতর্কতা ও বেড়েছে।ডেঙ্গু জ্বর হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয় মানুষের সম্পর্কে এখন অবগত হয়েছে যার কারণে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ দেখা মাত্রই তারা সাবধান হয়ে যায় এবং ডেঙ্গু যার প্রতিরোধ করার প্রয়াস চালায়।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। সম্মানিত ভিজিটর বন্ধুরা আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। বরাবরের মতো আমি আজকেও একটি নতুন আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। ডেঙ্গু জ্বর বিষয়টির সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। এটি এমন একটি মারাত্মক রোগ যা মানুষের দেহে প্রবেশ করে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে। যার কারনে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো চিহ্নিত করে আমাদের ডেঙ্গু জ্বর রোগের বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।

তাই আজকে আমি আর্টিকেলটি সাজিয়েছি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ এবং ডেঙ্গুজোর থেকে বাঁচার জন্য করণীয় কি সেই বিষয়গুলো নিয়ে। আজকের আর্টিকেলে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ এবং ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় কি তা তুলে ধরার চেষ্টা করব।এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।আশা করছি শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ে সাথে থাকবেন।

ডেঙ্গু জ্বর

ডেঙ্গু জ্বর আসলে একটা ভাইরাস জনিত রোগ। ডেঙ্গু জ্বর মশার মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। ডেঙ্গু জ্বর সারা বছরই হতে পারে তবে মূলত বর্ষার সময় আর বৃষ্টির প্রাদুর্ভাবের সময় এই রোগের পরিমাণ বেড়ে যায়।একজন ব্যক্তিকে যদি এডিস মশা কামড় দেয় তাহলে সেই এডিস মশা আরেকজন ব্যক্তিকে কামড় দিলে সেই মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু‌ জ্বরের ভাইরাস ছড়ায়।

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

বাংলাদেশের মারাত্মক ভাইরাসে পরিণত হয়েছে ডেঙ্গু জ্বর যা অসংখ্য মানুষের প্রাণহানির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ডেঙ্গু জ্বরকে মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগ বলা যেতে পারে। তবে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ দেখা মাত্র যদি সতর্ক থাকা যায় বা ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে কার্যকারী ভূমিকা রাখা যায় তাহলে ডেঙ্গু জ্বর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ

মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশেষ করে গরম এবং বর্ষার সময় ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেশি থাকে। শীতকালে সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর হয় না বললেই চলে। শীতে লার্ভা অবস্থায় এই মশা অনেকদিন বেঁচে থাকতে পারে। বর্ষার শুরুতে সেগুলো থেকে নতুন করে ডেঙ্গু ভাইরাস বাহিত মশা বিস্তার লাভ করে। ডেঙ্গু জ্বরের বিশেষ কতগুলো লক্ষণ রয়েছে। নিচে তা তুলে ধরা হলো;

ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ

ক্লাসিকাল ডেঙ্গু জ্বরের সাধারণত তীব্র জ্বর ও সেই সঙ্গে শরীরের প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হয়। ১০৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট পর্যন্ত জ্বর আসতে পারে। শরীরের বিশেষ করে হার-কোমর পিঠ সহ অস্থি সন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। এছাড়া মাথাব্যথা চোখের পেছনে ব্যথা হওয়া অনেক সময় ব্যথা এত বেশি তীব্র হয় মনে হয় যে হাড় ভেঙে যাচ্ছে। তাই এই চোরের আরেক নাম ব্রেক বোন ফিভার।

জ্বর হওয়ার চার বা পাঁচ দিনের সময় সারা শরীর জুড়ে লালচে দানা দেখা যায়। যাকে বলা হয় স্কিন র্যাশ অনেকটা এলার্জি বা ঘামাচির মতো এর সঙ্গে বমি বমি ভাব এমনকি বমি হতে পারে রোগী অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ করে এবং রুচি কমে যায়। কোন কোন রোগের ক্ষেত্রে এর দুই বা তিন দিন পর আবার জ্বর আসতে পারে। একে বাই ফেজিক ফিভার বলে।

ডেঙ্গু হিমোরেজিক জ্বরের লক্ষণ

এই জ্বরের অবস্থা বেশি জটিল হয়। এই ঝড়ে ক্লাসিকাল ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গের পাশাপাশি আরো কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে সেগুলো হল;

*শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত পড়া শুরু হয়। যেমন চামড়ার নিচে নাক ও মুখ দিয়ে মাড়ি ও দাঁত থেকে কফের সাথে রক্ত বমি পায়খানার সঙ্গে তাজা রক্ত বা কালো পায়খানা। চোখের মধ্যে এবং চোখের বাইরে রক্ত পড়তে পারে। মেয়েদের বেলায় অসময়ের ঋতুস্রাব বা অথবা রক্তক্ষরণ শুরু হলে অনেক দিন পর্যন্ত রক্ত পড়তে থাকা ইত্যাদি হতে পারে।

*এই রোগের বেলায় অনেক সময় বুকে পানি পেতে পানি ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অনেক সময় লিভার আক্রান্ত হয়ে রোগের জন্ডিস কিডনিতে আক্রান্ত হয়ে রেনাল ফেইলিয়র ইত্যাদি জটিলতা দেখা দিতে পারে।

ডেঙ্গু শক সিনড্রোম এর লক্ষণ

ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহ রূপ হল ডেঙ্গু শক সিনড্রোম। ডেঙ্গু হিমুরেজিক ফিভার এর সঙ্গে সার্কুলেটরি ফেইলর হয়ে ডেঙ্গু সক সিনড্রোম হতে পারে। এর লক্ষণগুলো হলো;

*রক্তচাপ হঠাৎ কমে যাওয়া।

*নারীর স্পন্দন অত্যন্ত ক্ষীন ও দ্রুত হওয়া।

*শরীরের হাত-পা অন্যান্য অংশ ঠান্ডা হয়ে যাওয়া।

*প্রস্রাব কমে যাওয়া।

*হঠাৎ করে রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে।

*এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়

চারদিকের ডেঙ্গু নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা থাকা সত্ত্বেও আমরা সচেতন নই যার কারণে ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহ তাণ্ডব থেকে আমরা রক্ষা পাই না। যদিও ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত রোগের তেমন কোনো ওষুধ নেই, কোন ভ্যাকসিন নেই। তাই এখন পর্যন্ত প্রতিরোধী ডেঙ্গু থেকে বাঁচার একমাত্র ভরসা। সচেতনতাই প্রধান পদক্ষেপ। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে করণীয়গুলো হল;

এডিস মশার বংশ নাশ করতে হবে

ডেঙ্গুর ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষের দেহে ছড়িয়ে পড়ে মশার মাধ্যমে। মশাই এই রোগের একমাত্র বাহক। ডিঙ্গু ভাইরাস যে বিশেষ মশার মাধ্যমে ছড়ায় তার নাম হলো এরিস মশা‌। এডিস মশার দুই রকম প্রজাতি আছে। একটির নাম এদেশ ইজিপটি ও অপরটি এডিস এলবোপিক্টাস। তবে আমাদের এই অঞ্চলে এডিস ইজিপটি বেশি দেখা যায়। এরা কামরায় সাধারণত দিনের বেলায়। বিশেষ করে শেষ বিকেলে।

বমি হলে কি খাওয়া উচিত

এডিস মশা একটু গৃহী ধরনের পছন্দ করে আবদ্ধ জলাধার।এসব মশাগুলো বাসা বাড়ির টবে ফ্রিজের পেছনে জমা থাকা পানি এসির পানি কোমরে আটকে থাকা পানি ইত্যাদি থেকে বংশবিস্তার করে। রাস্তার খানা খন্দ পড়ে থাকা পুরনো টায়ার যে কোন রকমের পাত্র জেরিক্যান মোটকথা, যেখানে পানি কিছুদিন জমে থাকতে পারে সেখানে এদের বসবাস ও প্রজনন।

যেহেতু মশাই এই রোগের একমাত্র বাহক সুতরাং মশার আবাস ও প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করতে পারলেই এডিস নির্বংশ হবে সমূলে।ডেঙ্গু প্রতিরোধে সর্বোত্তম উপায় ও তাই এডিস মশার বংশনাশ করা। বসতবাড়ির এরকম আবদ্ধ জলাধার ধ্বংস করতে হবে ফ্রিজের পানি দুইদিন পরপর পর পরিষ্কার করতে হবে বাসার বারান্দায় টেরিসে বা কার্নিশে ঘোলা টপ থাকলে সেটা পরিষ্কার করতে হবে রাস্তার আশেপাশের খানা খন্দ ভরাট করে ফেলতে হবে রাজধানীকে পরিচ্ছন্ন ও মশামুক্ত করতে সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব তো আছেই কিন্তু নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব নেই।

এর আগেও আপদকালে এই দুর্যোগে যেমন এই দেশের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নেমে এসেছে এখন সময় এসেছে আবার যথাযথ কর্তৃপক্ষের দিকে না তাকিয়ে পাড়া মহল্লার তরুণদের দল বেঁধে নিজেরাই নেমে পড়তে পারেন‌এ‌কাজে। কাজগুলো করতে হবে ডেঙ্গু মৌসুম শুরুর আগেই। ডেঙ্গু মৌসুম মানে মেয়ে থেকে সেপ্টেম্বরের এই পাঁচ মাস।

সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে

এডিস মশার হাত থেকে বাঁচতে হলে দিনে বা রাতে যখনই ঘুমাতে যাবেন মশারি খাটিয়ে ঘুমাবেন। ঘরে মশা নিরোধক হবে এমন‌ স্প্রে ব্যবহার করবেন। গায়ে মাখার মশা নিরোধক একপ্রকার ক্রীম পাওয়া যায় তাও ব্যবহার করতে পারেন। শিশুদের ফুল স্লিপ পাজামা ও জামা পড়াতে পারেন এতে মশার কামড় থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যায়। শিশুরা বাইরের স্কুলে কোচিং এ পড়তে গিয়ে গাড়ির মধ্য বা খেলতে গিয়ে মশার কামড় খেতে পারে তাই বাইরে যাওয়ার সময় ফুলহাতা জামা প্যান্ট পরাতে পারেন।

গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন

উন্মুক্ত অংশে রিপেলেন্ট ক্রিম রেখে দিন। অভিভাবকেরা স্কুল বা কোচিং কর্তৃপক্ষকে মশামুক্ত করার ব্যবস্থা করতে বলুন।জঙ্গল আবদ্ধ পানি ট্রেন পরিষ্কার করতে এই পরিছন্নতা অভিযানে স্কুলের ছাত্র ছাত্রী শিক্ষক মন্ডলী অভিভাবক স্কুলের কর্মচারী সবাই মিলে অংশ নিতে পারেন।

আবৃত থাকতে হবে

হাত পা মশার জন্য সবচাইতে সহজ লক্ষ্য। তাই ঘরে বাইরে যেখানেই থাকুন চেষ্টা করতে হবে যথা সম্ভব কাপড়ে আবৃত থাকা ফুল প্যান্ট ফুল হাতা শার্ট‌ ইত্যাদি দিয়ে শরীর ঢেকে রাখতে হবে। ঢিলি ঢালা কাপড় পরা সব চাইতে আরামদায়ক।

বদ্ধ পানি অপসারণ

মশার বংশ বিস্তারের আদর্শ স্থান হল জমে থাকা পানি। বৃষ্টির দিনে জলা বদ্ধতা বাড়ে। ফলে মশার বংশ বিস্তারের স্থানে বেড়ে যায়। তাই মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে অবশ্যই করণীয় গুলোর মধ্য অন্যতম করণীয় হলো যেসব জায়গায় পানি জমে থাকতে পারে সেগুলো পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। পাশাপাশি গাছে বেশি পানি দেওয়া যাবে না।

ঘরোয়া সমাধান

মশা দূরে রাখার নিরাপদ উপায় হল ঘরোয়া উপাদান যা প্রায় সবার রান্নাঘরে আছে। মৃদ কর্পূর সরিষার তেলের সঙ্গে মেশানো কেরম সিড বা আজওয়াই ইত্যাদি মশা তাড়াতে কাজে আসে। নিমের ও লেভেন্ডার তেল ইউ ক্যালিপ্টাস অয়েল ইত্যাদি ও উপকারী।

ময়লা রাখার পাত্র

যেকোনো ময়লা রাখার পাত্র প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। আর ব্যবহারের সময় তা ঢেকে রাখতে হবে। জীবাণু ভরা ময়লার পাত্র মশার টানে। এছাড়াও ঘরের কোনা ছায়া আবৃত্ত স্থান বাগান ইত্যাদিতেও নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে

স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস মেনে চলার মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হলে সব ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। এজন্য খাবারের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর সাপলিমেন্টও গ্রহণ করা যেতে পারে।

দরজা জানালা বন্ধ রাখতে হবে

দিনের শেষে এবং রাতেই মশার উপদ্রব বেশি হয়। তাই এই সময় ঘরের দরজা জানালা বন্ধ রেখে মশা যাতে ঢুকতে না পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি জানালা ও দরজার মসকিউটো নেট লাগানো যেতে পারে। দিনের বেলায়ও ঘরে মশা ঢুকতে পারে। তাই জানালায় নেটের পাল্লা ব্যবহার করতে পারেন।

এডিস একটি ভদ্র মশা। অভিজাত এলাকায় বড় বড় সুন্দর সুন্দর দালানকোঠায় এরা বসবাস করে থাকে। স্বচ্ছ পরিষ্কার পানিতে এই মশা ডিম পাড়ে। ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত ড্রেনের পানি এদের পছন্দসই নয়। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী স্থানগুলোতে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং একই সাথে মশার নিধন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এই রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হল ব্যক্তিগত সর্তকতা এবং এডিস মশা প্রতিরোধ করা।

চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে

দ্বিতীয় ডেঙ্গু জ্বরের নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই তবে এই সাধারণত নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায় তাই উপসর্গ অনুযায়ী সাধারণ চিকিৎসায় যথেষ্ট তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ভালো। যেমন:

১) শরীরে যে কোন অংশে রক্তপাত হলে।

২) প্লাটিলেটের মাত্রা অনেক বেশি কমে গেলে।

৩) শ্বাসকষ্ট হলে বা পেট ফুলে পানি আসলে।

৪) প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে।

৫) জন্ডিস দেখা দিলে।

৬) অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা দেখা দিলে।

৭) প্রচন্ড পেটে ব্যথা বা বমি হলে।

সচরাচর জিজ্ঞাসা

ডেঙ্গু জ্বর কয় ধরনের?

উত্তর: ডেঙ্গুচর বা ডেঙ্গু ভাইরাস চার ধরনের হয়ে থাকে। এই চারটি ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করে এমন ভ্যাকসিন এখনো আবিষ্কৃত হয়নি।

ডেঙ্গু হলে কি খাওয়া উচিত?

উত্তর: প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমন: ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস এবং খাবার স্যালাইন গ্রহণ করা যেতে পারে। এমন নয় যে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। পানি জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।

ডেঙ্গু হলে কি প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে?

উত্তর: ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে। স্বাভাবিক ওজনের একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন সর্বোচ্চ চারটি প্যারাসিটামল খেতে পারবে। চিকিৎসক বলেন, প্যারাসিটামলের সর্বোচ্চ ডোজ হচ্ছে প্রতিদিন চার গ্রাম। কিন্তু কোন ব্যক্তি যদি লিভার হার্ট এবং কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা থাকে তাহলে প্যারাসিটামল সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

শেষ কথা-

সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকা বন্ধুরা ইতোমধ্যেই আপনারা ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। ডেঙ্গু জ্বর হলে তার লক্ষণ গুলো কি কি এবং কিভাবে এই জ্বর থেকে প্রতিকার পাওয়া যাবে সেই সম্পর্কে আপনাদের তথ্য প্রদান করাই ছিল আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল উদ্দেশ্য।আমাদের আজকের আর্টিকেলটি যারা শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন তারা অবশ্যই জানতে পেরেছেন।

যদি কোথাও আপনাদের বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের জানাতে ভুলবেন না।আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে সেখানে আমাদের সার্থকতা। যদি ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে আমাদের ওয়েবসাইটটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। এছাড়াও নতুন নতুন কনটেন্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকবেন এবং নিয়মিত ভিজিট করবেন।

আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

পোস্ট ট্যাগ-

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ২০২২ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা,বাচ্চাদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ,ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে,ডেঙ্গু জ্বর হলে কি গোসল করা যাবে,ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়,ডেঙ্গু জ্বর কি ছোঁয়াচে রোগ,ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে।

আপনার জন্য আরো 

আপনার জন্য-

থ্যালাসেমিয়া রোগীর জন্য উপযোগী খাবার

সিজারিয়ান মায়ের খাদ্য তালিকা

সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাবার গ্রহণ

কিডনি পরিষ্কার রাখার ৯টি খাবার সম্পর্কে জেনে নেই

শীতে ত্বকের যত্ন নিন রুটিন মাফিক

শীতের মৌসুমে ত্বকের যত্ন নিতে মধু ব্যবহার করুন

শীতে ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন

SS IT BARI– ভালোবাসার টেক ব্লগের যেকোন ধরনের তথ্য সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের মেইল টি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 505 other subscribers

 

প্রতিদিন আপডেট পেতে আমাদের নিচের দেয়া এই লিংক এ যুক্ত থাকুন

SS IT BARI- ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন

SS IT BARI- ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
SS IT BARI- ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে :এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।

SS IT BARI- টুইটার থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- লিংকদিন থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- ইনস্টাগ্রাম থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- টুম্বলার (Tumblr)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে :এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- পিন্টারেস্ট (Pinterest)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।