শিশুর খাবারের পুষ্টিগুণ–প্রতিটি বাবা-মা চায় তার বাচ্চাকে পুষ্টিকর খাবার খায়াতে।কিন্তু যেসব খাবারে পুষ্টিগুণ অনেক বেশি বাচ্চারা সেগুলো খেতে চায় না । তাই আজ আপনাদের কিছু পুষ্টিগুণ ভরা খাবারের কথা বলব যেগুলো আপনারা খুব সহজেই বাড়িতে তৈরি করে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারবেন । পুষ্টিকর খাবার গুলো সাধারণত মাছ ,মাংস, দুধ ,ডিম , ডাল , সবজি ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করা হয় ।
শিশুর বয়স অনুযায়ী খাবার তালিকা
শিশুর খাবারের পুষ্টিগুণ-অধিক পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ শিশুর খাবার তালিকা
১। খিচুড়ি
দুই মুঠ চাল, এক মুঠ ডাল , সামান্য তেল , একটা ডিম অথবা এক টুকরা মাছ /মাংস , এক মুঠ সবজি সব একসাথে রান্না করে খিচুড়ি তৈরি করতে হবে । প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার খাওয়ানো যেতে পারে ।
২।পুষ্টিগুঁড়া
চালু বিভিন্ন রকম ডালের গুঁড়া কে একত্র করে পুষ্টি গুড়া বানানো হয় । এর সাথে বাদাম ,চিনি ,গাজর, মিষ্টি কুমড়া, কমলার রস , কলা ইত্যাদি মিশিয়ে এর পুষ্টিমান আরো বাড়ানো যায় । একে “ঘরে তৈরি সেরেলাক “ও বলা হয়ে থাকে ।
৩। সবজির পিঠা
বিভিন্ন সবজি মিশ্রিত পিঠা একটি পুষ্টিকর খাবার যা তৈরি করা হয় বিভিন্ন রকম প্রধান শস্য যেমন চাল, ডাল ও সবজি মিশিয়ে । যখন চাল,ডাল এবং শাক একসাথে মেশানো হয় তা আমিষের গুণগত মান বৃদ্ধি করে ।
৪। ছোট মাছের চপ
ছোট মাছের চপ নাস্তা বা প্রধান খাবার সাথে খাওয়া হয়ে থাকে । এটি তৈরি করার জন্য চালের গুড়া , কাচকি /মলা/পুটি/ ইত্যাদি মাছ ও সবজি ব্যবহার করা হয়ে থাকে । এখানে বিভিন্ন ধরনের সবজি ব্যবহার করা হয় যা বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন , খনিজ লবণ ও খাদ্যআঁশ পাওয়া যায়। চালের গুঁড়ো খাবারে ক্যালরির মান বাড়ায় । আর ছোট মাছে রয়েছে ভিটামিন এ ডি এবং ক্যালসিয়াম ।
গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন
৫।কলিজার চপ
চালের গুড়া, মুরগি/ খাসি /ভেড়া / গরুর কলিজা এবং সবজি দিয়ে তৈরি কলিজার একটি পুষ্টিকর খাবার । কলিজা একটি প্রথম শ্রেণীর আমিষ এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে । তাছাড়া এতে ব্যবহৃত হয়েছে সবজি যা ভিটামিন ও খনিজ উপাদান ।
৬।সাগু আলুর বড়া
চার ধরনের খাদ্য উপাদানে সমৃদ্ধ সাগু আলুর বড়া একটি পুষ্টিকর নাস্তা । সাগু হলো পর্যাপ্ত শর্করা ও ক্যালরি সমৃদ্ধ । এ থেকে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও পাওয়া যায় । এর সাথে ডিম যোগ করলে আরো ভালো আমি সমৃদ্ধ খাবার হয় । শাকসবজি হলো ভিটামিন ,খনিজ উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।
৭।মিষ্টি আলুর হালুয়া
আলুর হালুয়া একটি মৌসুমী বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ খাবার । মিষ্টি আলু একটি শর্করা সমৃদ্ধ গাছের মূল জাতীয় সবজি যাতে অধিক পরিমাণে ভিটামিন এ , ভিটামিন-সি ,ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি আছে যা দেহের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে । ঘি দিয়ে রান্না করলে এর পুষ্টিমান আরো বেড়ে যায়।অধিক পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ বাচ্চার খাবার তালিকা।
৮।ফ্রুট কাস্টার্ড
ফ্রুট কাস্টার্ড বাচ্চাদের জন্য একটি আদর্শ , পুষ্টিকর এবং একইসাথে উপাদেয় খাবার । সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিনেই খাবার দেওয়া যেতে পারে । এই খাবারে বিভিন্ন ধরনের ফল ব্যবহৃত হয় যা শিশুর জন্য খুবই উপকারী । শিশুরা এমনিতে ফল খেতে চায় না । তাই এইভাবে ফ্রুট কাস্টার্ড তৈরি করে শিশুকে ফল খাওয়াতে পারেন ।
৯।ডাল ও সবজির স্যুপ
ডালু সবজির স্যুপ শিশুদের জন্য একই সঙ্গে একটি উপাদেয় ও পুষ্টিকর খাবার । এতে রয়েছে ডালের আমিষ সবজির আয়রন ,ভিটামিন ,ক্যালসিয়াম , ফলিক এসিড এবং অতি প্রয়োজনীয় আশঁ। এটি একটি সুস্বাদু খাবার হওয়ায় শিশুরা অতি সহজেই সবজি এবং ডাল খেয়ে ফেলে ।
১০।গাজর আপেলের সুপ
গাজর আপেলের সুপ খুবই মজাদার একটি খাবার । এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল তেমনি রয়েছে খাদ্যআঁশ , ফাইবার শরীরের জন্য ভীষণ দরকারি ।
১১।যব বা বালির সুপ
যব বা বালি একটি পুষ্টিকর শস্যদানা যা আমিষ ,আয়রন ও খাদ্য আঁশে ভরপুর । ডালের সঙ্গে রান্না করে পুষ্টিমান আরো বাড়ানো যেতে পারে ।
এই খাবারগুলো ছাড়াও ঘরে তৈরি বিভিন্ন রকম খাবার তৈরি করা যেতে পারে । যেগুলো পুষ্টিগুণে ভরা এবং শিশুর মানসিক বিকাশ ও শারীরিক সুস্থতার জন্য উপযোগী । আমরা ঘরে তৈরি পুডিং , পাস্তা , মিল্কশেক , বিভিন্ন ধরনের সালাদ, ফলের জুস ।
আপনার জন্য-
যে ভিটামিনের অভাবে বিশ্রাম নিয়েও ক্লান্ত থাকেন
নবজাতক শিশুর যত্ন ও পরিচর্যায় বাবা-মার করণীয়
৬ মাস থেকে ৫ বছরের বাচ্চার খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তা দিন শেষ
বাচ্চার পুষ্টি নিয়ে ভাবছেন?অধিক পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ বাচ্চার খাবার তালিকা
নবজাতক শিশুর যত্ন ও পরিচর্যায় বাবা-মার করণীয়
SS IT BARI– ভালোবাসার টেক ব্লগের যেকোন ধরনের তথ্য সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের মেইল টি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।