ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরির ক্ষেত্রে BRTA এর লিখিত পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৩

ড্রাইভিং লাইসেন্স-লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে ড্রাইভিং পরীক্ষা নেওয়া হয়। নির্দিষ্ট পরীক্ষার দিনে কেন্দ্রীয় উপস্থিত হতে হয়। একজন ড্রাইভারকে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে পরীক্ষা কেন্দ্রে তিন ধরনের পরীক্ষা দিতে হয়। যেমন-

১. লিখিত

২. মৌখিক

৩. ব্যবহারিক

সাধারণত ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পরীক্ষার তারিখ লার্নার লাইসেন্স নেওয়ার ২ থেকে ৩ মাস পর হয়ে থাকে।

সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকা বন্ধুরা যারা ড্রাইভিং লাইসেন্স বানাতে চাচ্ছেন তাদের জন্য লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর জেনে রাখা অতি প্রয়োজন। কারণ ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে গেলে অবশ্যই লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে আর এই পরীক্ষায় যেসব প্রশ্ন করা হয় সেগুলো সম্পর্কে আপনি না জানলে লিখিত পরীক্ষায় আপনি উত্তীর্ণ হতে পারবেন না। তাই আজকে আমরা আজকের কনটেন্টের‌ মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর লিখিত পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রশ্ন ও উত্তর গুলো তুলে ধরব।

লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৩

টেক্সটাইল ফেব্রিক কি ও এর প্রকারভেদ

ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষা

ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে তিন ধরনের পরীক্ষা নেওয়া হয়।লিখিত ব্যবহারিক মৌখিক এই তিন ধরনের পরীক্ষার মধ্যে সর্বপ্রথম লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নের মূলত ড্রাইভিং ও গাড়ির রক্ষা না বেক্ষন সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন আসে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য ২৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় দেওয়া হয়। এই পরীক্ষায় পাশ করতে ন্যূনতম ৬৬% নম্বর লাগে।

লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর

ড্রাইভিং লাইসেন্স এই লিখিত পরীক্ষায় যে সকল প্রশ্ন করা হয় তা  তুলে ধরা হলো উত্তরসহ।

প্রশ্ন-১:গাড়ি চালানোর আগে করনীয় কাজ কি?

উত্তর: ক.গাড়ির হালনাগাদ বৈধ কাগজপত্র (রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট, ট্যাক্স টোকেন ড্রাইভিং লাইসেন্স, ইন্সুরেন্স (বীমা) সার্টিফিকেট, রুট পারমিট ইত্যাদি) গাড়ির সঙ্গে রাখা।

খ. গাড়িতে জ্বালানি আছে কিনা পরীক্ষা করার না থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া

গ. রেডিয়েটর ও ব্যাটারীতে পানি আছে কিনা পরীক্ষা করা, না থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া।

ঘ. ব্যাটারি কানেকশন পরীক্ষা করা।

ঙ.লুব/ ইঞ্জিন অয়েলের লেভেল ও ঘনত্ব পরীক্ষা করা কম থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া।

চ. মাস্টার সিলিন্ডারের ব্রেকফ্লুইড ব্রেক অয়েল পরীক্ষা করা কম থাকলে নেওয়া।

ছ.গাড়ির ইঞ্জিন লাইটিং সিস্টেম ব্যাটারি স্টিয়ারিং ইত্যাদি সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা নাট বল্টু টাইট আছে কিনা অর্থাৎ সার্বিকভাবে মোটরযানটি ত্রুটিমুক্ত আছে কিনা পরীক্ষা করা।

জ. ব্রেক ও ক্লাচের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা।

ঝ. আগ্নিনির্বাপক যন্ত্র এবং ফাস্টেএইড বক্স গাড়িতে রাখা।

ঞ.গাড়ির বাইরের এবং ভেতরের বাতির অবস্থা চাকা (টায়ার কন্ডিশন/ হওয়া/ নাট এলাইমেন্ট/ রোটেশন স্পেয়ার চাকা) পরীক্ষা করা।

প্রশ্ন-২: দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য রাস্তা ব্যবহারকারীর করণীয় কি?

উত্তর: দুর্ঘটনা এড়াতে প্রত্যেক রাস্তা ব্যবহারকারীকে  তিনটি বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে;

১. ট্রাফিক আইন সম্পর্কে জানতে হবে।

২. ট্রাফিক আইন কার্যকর করতে হবে।

৩. ট্রাফিক আইন কার্যকর করার সদিচ্ছা থাকতে হবে।

প্রশ্ন-৩: সুপরিকল্পিতভাবে রাস্তায় যানবাহন চালানোর দায়িত্ব কোন সংস্থার উপর ন্যস্ত?

উত্তর: ক. যোগাযোগ মন্ত্রণালয়

খ. সড়ক ও জনপথ বিভাগ

গ. ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ

ঘ. সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ

ঙ. ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

প্রশ্ন-৪: মোটরযান কাকে বলে?

উত্তর:মোটরযান আইনে মটুর জান অর্থ কোন যন্ত্র চালিত যান যার চালকা শক্তি বাইরের বা ভেতরের কোন উৎস হতে সরবরাহ হয়ে থাকে।

প্রশ্ন-৫: মোটরযানের মেইনটেন্স বা রক্ষণাবেক্ষণ বলতে কি বুঝায়?

উত্তর:ত্রুটিমুক্ত অবস্থায় একটি গাড়ি হতে দীর্ঘদিন সার্ভিস পাওয়ার জন্য প্রতিদিন গাড়িতে যে সমস্ত মেরামত কাজ করা হয় তাকে মোটরযানের মেইনটেইন্স বলে।

প্রশ্ন-৬: সার্ভিসিং কাকে বলে?

উত্তর:মোটরযানের ইঞ্জিন ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশের কার্যক্ষমতা কে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য নির্দিষ্ট সময় পর পর যে কাজগুলো করা হয় তাকে সার্ভিসিং বলে।

প্রশ্ন-৭: সার্ভিসিং এ কি কি কাজ করতে হয়?

উত্তর: ক. পুরাতন ইঞ্জিনের লুবঅয়েল (মবিল) ফেলে দিয়ে নতুন লুবঅয়েল দেওয়া নতুন লুবয়েল দেওয়ার আগে ফ্লাসিং ওয়েল দ্বারা ফ্ল্যাশ করা।

খ.ইঞ্জিন ও রেডিয়েটরের পানি ড্রেন আউট করে ডিটারজেন্ট ও ফ্লাসিং গান দিয়ে পরিষ্কার করা অতঃপর পরিষ্কার পাড়ি দিয়ে পূর্ণ করা।

গ.ভারী মোটরযানের খেতে বিভিন্ন গ্রিজিং পয়েন্ট গ্রিজগান দিয়ে নতুন গ্রীজ দেওয়া।

ঘ.গাড়ির স্পেয়ার হুইল সহ প্রতিটি চাকাতে পরিমাণ মতো হাওয়া দেওয়া।

ঙ.লুবঅয়েল (মবিল) ফিলটার ফুয়েল ফিল্টার ও এয়ার ক্লিনার পরিবর্তন করা।

প্রশ্ন-৮: রাস্তায় চলমান গাড়ির কাগজপত্র পরিদর্শন করেন কারা?

উত্তর: ক. বিআরটিএ এর কর্মকর্তা

খ. মোবাইল কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট

গ. পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর সার্জেন্ট ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

প্রশ্ন-৯: নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার সাধারণ নিয়ম কি?

উত্তর: ক. গতি যত মাইল তত গজ দূরত্ব বজায় রাখা

খ. গতি যত কিলোমিটার ততোমিটারের অর্ধেক মিটার অথবা দুই সেকেন্ড সময়ের দূরত্ব বজায় রাখা

প্রশ্ন-১০: গতি কিসের উপর নির্ভরশীল?

উত্তর: গতি সাধারণত দৃষ্টিগোচরতার উপর/ আবহাওয়ার পরিস্থিতির উপর/ যানবাহনের উপর/ গাড়ির অবস্থার উপর/ রাস্তার অবস্থার ওপর/ চালকের যত উপর নির্ভর করে।

প্রশ্ন-১১: ডানদিকের লেন সবসময় কারা ব্যবহার করবেন?

উত্তর: ওভারটেক করা গাড়ি।

প্রশ্ন-১২: রাস্তার মাঝখানে অখন্ডিত ডাবল হলুদ দ্বারা কি বুঝানো হয়?

উত্তর: আইল্যান্ড।

প্রশ্ন-১৩: গাড়ি দাঁড় করাতে চালক কিভাবে হাতের সংকেত দেয়?

উত্তর: হাত বের করে আনবো জয়েন্ট হতে হাত 900 বেন্ট করে উপরের দিকে উঠাবে।

প্রশ্ন-১৪: মাঝখানে রোখণ্ডিত সাদা লাইনের দ্বারা কি বুঝানো হয়?

উত্তর: ওভারটেক করা যাবে না।

প্রশ্ন-১৫: ছোট ছোট বিভক্ত সাদা লাইন দ্বারা কি বুঝানো হয়?

উত্তর: ওভারটেক করা যাবে।

প্রশ্ন-১৬: কোন কোন গাড়ি ট্রাফিক নিয়ম ভঙ্গ করতে পারবেন?

উত্তর: জরুরী কাজে নিয়োজিত গাড়ি /vip গাড়ি/ অগ্নি নির্বাপক গাড়ি/ অ্যাম্বুলেন্স ট্রাফিক নিয়ম ভঙ্গ করতে পারবেন।

প্রশ্ন-১৭: জরুরী গাড়ি কি ধরনের সিগনাল ব্যবহার করেন?

উত্তর: ভিআইপি গাড়ির লালবাতি ও সতর্ক সংকেত ব্যবহার করেন।

অগ্নি নির্বাপক গাড়ির লাল বাতি ও বেল বাজিয়ে থাকেন।অ্যাম্বুলেন্স লাল বাতি ও আলাদা হর্ন (সাইরেন) ব্যবহার করেন।

প্রশ্ন-১৮: জরুরী ভিত্তিক গাড়ি গুলোকে অন্যান্য যানবাহন কিভাবে সুযোগ দিয়ে থাকে?

উত্তর:অন্যান্য যানবাহন চালকদের উচিত হবে যতটুকু সম্ভব রাস্তার বামে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা।

প্রশ্ন: ১৮: ইন্টার সেকশন কাকে বলে?

উত্তর: একাধিক রাস্তার মিলিত স্থানকে ইন্টার সেকশন বলে।

প্রশ্ন-১৯: inter সেকশনে ঢুকার আগে চালকের করণীয় কি?

উত্তর:ইন্টার সেকশনের ঢোকার আগে চালকের করণীয় গতি কম করা /নিম্ন গিয়ার ব্যবহার করা /নিজের রাস্তায় থাকা প্রয়োজনে থামা তারপর সর্তকরা তার সাথে যাওয়ার চেষ্টা করা।

প্রশ্ন-২০: ইন্টার সেকশন এর ঢুকার পরে করনীয় কি?

উত্তর: সতর্কতার সাথে গাড়ি থামাতে প্রস্তুত থেকে অগ্রসর হওয়া।

প্রশ্ন-২১: কোন কোন স্থানে হর্ন বাজানো যাবে না?

উত্তর: যেখানে হর্ন বাজাতে নিষেধ বোর্ড আছে/ হাসপাতাল এলাকা/ আবাসিক এলাকা/ আদালত কোর্ট ভবন /শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/ উপসনালয়।

প্রশ্ন-২২: অলক্ষিত লেভেল ক্রসিং সাধারণত কোথায় দেখা যায়?

উত্তর: গ্রামাঞ্চলে যেখানে সারা দিনে দুই থেকে তিনটি ট্রেন চলাচল করে।

প্রশ্ন-২৩: ওভারটেক করার পূর্বে চালকের কর্তব্য কি?

উত্তর:দর্শন আয়নার সাহায্যে ডানদিকে রাস্তা নিরাপদ কিনা লক্ষ্য রাখা সম্মুখ হতে কোনো গাড়ি আসছে কিনা দেখে নিরাপদ মনে করলে ইন্ডিকেটর দিয়ে ওভারটেক করা।

প্রশ্ন-২৪: ওভার টেকিং এর সময় দুর্ঘটনা এড়ানোর উপায় কি?

উত্তর: দর্শন আয়নার সাহায্যে পেছনের গাড়ির গতিবিধি লক্ষ্য করা।

প্রশ্ন-২৫: গাড়ির সাধারণত স্কিডিং কোথায় হয়ে থাকে?

উত্তর:ভিজা রাস্তায় অতি দ্রুত চালালে /সকল হুইলস সিলিন্ডার ব্রেক সমানভাবে কাজ না করলে/ রাস্তা পিচ্ছিল বা কর্দমাক্ত হলে/ রাস্তায় বরফ বা ঘাস থাকলে।

প্রশ্ন-২৬: গাড়ি স্কিডিং করলে চালকের করণীয় কি?

উত্তর:এক্সিলারেটর প্যাডেল হতে পা উঠিয়ে গতি কমাবে যেদিকে স্পিড করেছে সেদিকে আস্তে স্টিয়ারিং কাটলে /ঘুরালে পেছনের অংশ স্কিডিং এর দিকে যাবে এবং সামনের অংশ এগিয়ে নিরাপদ স্থানে ঘুরে আসবে তারপর গাড়ির গতি সর্বনিম্ন হলে ব্রেক দিয়ে থামাবে।

প্রশ্ন-২৭: ইঞ্জিন ঠান্ডা রাখার উপায় কি?

উত্তর: বাতাস বা পানির সাহায্যে ইঞ্জিন ঠান্ডা রাখা যায়।

প্রশ্ন-২৮: একজন যাত্রী অসুস্থ হলে চালকের করণীয় কি?

উত্তর: রোগীকে সুস্থ করার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা এবং জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে প্রেরণ করা।

প্রশ্ন-২৯: গরম রেডিয়েটরে ঠান্ডা পানি ঢাললে ইঞ্জিনের কি ক্ষতি হতে পারে?

উত্তর: ইঞ্জিন ব্লক ক্রেক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

প্রশ্ন-৩০: কি কি কারণে ইঞ্জিন বন্ধ হয় বা স্টার্ট হয় না?

উত্তর:পেন্টের ফুয়েল না থাকলে/ ডিজেল পাইপে বাতাস ঢুকলে /পেট্রোল ইঞ্জিনের এইচডি তার বা একটি তার লুজ হলে বা ছিড়ে গেলে/ ব্যাটারি চার্জ দুর্বল হলে।

প্রশ্ন-৩১: স্কিডিং সাধারণত কত প্রকার?

উত্তর: কিডিং সাধারণত তিন প্রকার। যথা;

ক.সামনের দুই চাকার স্কিডিং

খ.পেছনের দুই চাকার স্কিডিং

গ.চার চাকার স্কিডিং

প্রশ্ন-৩২: রাস্তায় হঠাৎ করে গাড়ি বন্ধ হওয়ার কারণ কি?

উত্তর: রাস্তায় হঠাৎ করে গাড়ি বন্ধ হতে পারে গাড়িতে জ্বালানি না থাকলে অথবা স্পার্ক প্লাগ খারাপ হলে।

প্রশ্ন-৩৩:রাস্তায় গাড়ি বের করার পূর্বে গাড়ির কোন কোন অংশ পরিদর্শন করা উচিত?

উত্তর: রাস্তায় গাড়ি বের করার পূর্বে জ্বালানি (পেট্রোল ডিপজেল ও অকটেন)  লুব অয়েল ভিডিওর এর পানির পরিমাণ ব্রেক মাস্টার সিলিন্ডারের ব্রেক ফ্লুইড চাকার হাওড়ার পরিমাণ চাকার নাট বল্টু ঠিকভাবে আটকানো আছে কিনা ব্রেক সঠিকভাবে কাজ করে কিনা এগুলো চেক করে গাড়ি চালানো উচিত।

প্রশ্ন-৩৪: পেট্রোল ইঞ্জিনের ভেপার লক বলতে কি বুঝানো হয়?

উত্তর:সাধারণত ফুয়েল লাইন অত্যাধিক তাপের ফলে লাইনের ভেতর ভেপার বা বাষ্পের সৃষ্টি হয় এই বাষ্পের চাপে লাইনের ভেতর জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হওয়াকে ভেপার লক বলে।

প্রশ্ন-৩৫: কি কি লক্ষণ দেখা দিলে ইঞ্জিন ওভারলোকিং করা প্রয়োজন?

উত্তর:ইঞ্জিনে জ্বালানি এবং ব্লুবয়েল বেশি খরচ হলে।অত্যধিক কালো ধোঁয়া ছড়ালে। বোঝা বহন ক্ষমতা কমে গেলে ।ইঞ্জিনের কম্প্রেশন দুর্বল হলে।

প্রশ্ন-৩৬: সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ গুলো কি কি?

উত্তর: ক. অত্যাধিক আত্মবিশ্বাস

খ.মাত্রাতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো

গ.অ-অনুমোদিত ওভারটেকিং

ঘ.অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন।

প্রশ্ন-৩৭: আইন অনুযায়ী গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমাগত?

উত্তর:হালকা মটর যান ও মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ 70 মাইল মাঝারি বা ভারী যাত্রীবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৩৫ মাইল এবং মাঝারি মাল বাহি মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৩০ মাইল।

প্রশ্ন-৩৮: মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স কি?

উত্তর:সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে মোটরযান চালোনার জন্য লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ই শুকৃত বৈধ দলিল মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স।

প্রশ্ন-৩৯: অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কাকে বলে?

উত্তর:যে লাইসেন্স দিয়ে একজন চালক কারো বেতনভোগী কর্মচারী না হয়ে মোটরসাইকেল হালকা মোটরযান এবং অন্যান্য মোটরযান পরিবহন যান ব্যতীত চালিতে পারে তাকে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে।

প্রশ্ন-৪০: ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স কত?

উত্তর: পেশাদার চালকের ক্ষেত্রে ২০ বছর এবং অপেক্ষা চালকের ক্ষেত্রে ১৮ বছর।

প্রশ্ন-৪১: কোন কোন ব্যক্তির ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়?

উত্তর: মৃগী রোগী উন্মাদ বা পাগল /রাতকানা রোগী/ কুষ্ঠ রোগী /হৃদরোগী/ অতিরিক্ত মদ্য ব্যক্তি /বধির ব্যক্তি /বাহু বা পা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে অসুবিধা হয় এমন ব্যক্তি।

প্রশ্ন-৪২: হালকা মোটরযান কাকে বলে?

উত্তর: যে মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত ওজন ৬ হাজার পাউন্ড বা ২৭২৭ কেজির অধিক নয় তাকে হালকা মোটর যান বলে।

প্রশ্ন-৪৪: মাঝারি মোটরযান কাকে বলে?

উত্তর:যে মোটরযানের রেজিস্ট্রি কিতো ওজন ছয় হাজার পাউন্ড বা ২৭২৭ কেজির অধিক কিন্তু ১৪ হাজার ৫০০ পাউন্ড বা ৬ হাজার ৫৯০ কেজির অধিক নয় তাকে মধ্যম বা মাঝারি মোটরযান বলে।

প্রশ্ন-৪৫: ভারী মোটরযান কাকে বলে?

উত্তর: যে মোটরযানের রেজিস্ট্রিরকৃত ওজন ১৪৫০০ পাউন্ড বা ৬ হাজার ৫৯০ কেজির অধিক তাকে ভারী মোটর যান বলে।

প্রশ্ন-৪৬: প্রাইভেট সার্ভিস মটোরযান কাকে বলে?

উত্তর:ড্রাইভার ব্যতীত আটজনের বেশি যাত্রী বহনের উপযোগী যে মোটরযান মালিকের পক্ষে তার ব্যবসা সম্পর্কিত কাজ এবং বিনা ভাড়ায় যাত্রী বহনের জন্য ব্যবহৃত হয় তাকে প্রাইভেট সার্ভিস মোটরযান বলে।

প্রশ্ন-৪৭: ট্রাফিক সাইন বা রোড সাইন প্রধানত কত প্রকার ও কি কি?

উত্তর: ট্রাফিক সাইন বা চিহ্ন প্রধানত তিন প্রকার। যথা;

ক. বাধ্যতামূলক যা প্রধানত বৃত্তাকৃতির হয়

খ.সতর্কতামূলক যা প্রধানত ত্রিভুজাকৃতির হয় এবং

গ.তথ্যমূলক যা প্রধানত আয়তক্ষেত্রাকার হয়।

প্রশ্ন-৪৮: লাল বৃত্তাকার সাইন কি নির্দেশনা প্রদর্শন করে?

উত্তর: নিষেধ বা করা যাবে না বা অবশ্য বর্জনীয় নির্দেশনা প্রদর্শন করে।

প্রশ্ন-৪৯: নীল বৃত্তাকার সাইন কি নির্দেশনা প্রদর্শন করে?

উত্তর: করতে হবে বা অবশ্য পালনীয় নির্দেশনা প্রদর্শন করে।

প্রশ্ন-৫০: লাল ত্রিভুজাকার সাইন কি নির্দেশনা প্রদর্শন করে?

উত্তর: সতর্ক হওয়ার নির্দেশনা প্রদর্শন করে।

প্রশ্ন-৫১: নীল রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?

উত্তর: সাধারণ তথ্যমূলক সাইন।

প্রশ্ন-৫২: সবুজ রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?

উত্তর: পথনির্দেশক তথ্যমূলক সাইন যা জাতীয় মহাসড়কে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন-৫৩:কালো বর্ডারের সাদা রংঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?

উত্তর: এটিও পথনির্দেশক তথ্যমূলক সাইন যা মহাসড়ক ব্যতীত অন্যান্য সড়কে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন-৫৪: ট্রাফিক সিগনাল বা সংকেত কত প্রকার?

উত্তর: ট্রাফিক সিগনাল বা সংকেত তিন প্রকার। যথা; ক.বাহুর সংকেত।

খ. আলোর সংকেত ।

গ.শব্দ সংকেত

প্রশ্ন-৫৫: লাল সবুজ হলুদ বাতি কি নির্দেশনা প্রদর্শন করে?

উত্তর :লাল বাতি জ্বললে গাড়িকে থামুন লাইন এর পেছনে  থামিয়ে অপেক্ষা করতে হবে।

সবুজ বাতি জ্বললে গাড়ি নিয়ে অগ্রসর হওয়া যাবে । হলুদ বাটির জ্বললে গাড়িকে থামানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।

প্রশ্ন-৫৬: নিরাপদ দূরত্ব বলতে কি বুঝায়?

উত্তর:সামনের গাড়ির সাথে সংঘর্ষ এড়াতে পেছনের গাড়িতে নিরাপদে থামানোর জন্য যে পরিমাণ দূরত্ব বজায় রেখে গাড়ি চালাতে হয় সেই পরিমাণ দূরত্বকে নিরাপদ দূরত্ব বলে।

প্রশ্ন-৫৭: পাহাড়ি ও ঢাল রাস্তায় গাড়ি কোন গিয়ারে চালাতে হয়?

উত্তর:ফার্স্ট গেয়ারে চালাতে হয় কারণ ফাস্ট গিয়ারে গাড়ি চালানোর জন্য ইঞ্জিন এর শক্তি বেশি প্রয়োজন হয়।

প্রশ্ন-৫৮: লাল বৃত্তে 50 কিলোমিটার লেখা থাকলে কি বুঝায়?

উত্তর: গাড়ি সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার অর্থাৎ ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না।

প্রশ্ন-৫৯: নীল বৃত্তের ৫০ কিলোমিটার লেখা থাকলে কি বুঝায়?

উত্তর: সর্বনিম্ন গতিসীমা ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার অর্থাৎ ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটারের কম গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না।

প্রশ্ন-৫৯: লাল বৃত্তের ভিতরে একটি বড় বাসের ছবি থাকলে কি বুঝায়?

উত্তর: বড় বাস প্রবেশ নিষেধ।

প্রশ্ন-৬০: লাল বৃত্তে একজন চলমান মানুষের ছবি থাকলে কি বুঝায়?

উত্তর: মানুষ পারাপার বা পথচারী পারাপার নিষেধ।

প্রশ্ন-৬১: লাল কি বুঝে একজন চলমান মানুষের ছবি আঁকা থাকলে কি বুঝায়?

উত্তর: সামনে পথচারী পারাপার তাই সাবধান হতে হবে।

প্রশ্ন-৬২: লাল বৃত্তের ভিতর একটি লাল ও একটি কালো গাড়ি থাকলে কি বুঝায়?

উত্তর: ওভারটেকিং নিষেধ।

প্রশ্ন-৬৩: আয়তক্ষেত্রে P লেখা থাকলে কি বুঝায়?

উত্তর: পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থান।

প্রশ্ন-৬৪: কোন কোন স্থানে ওভারটেক করা নিষেধ?

উত্তর ওভারটেকিং নিষেধ সম্বলিত সাইন থাকে এমন স্থানে/ জাংশনে/ ব্রিজ বা কালভার্ট ও তার আগে পরে নির্দিষ্ট দূরত্ব /সরু রাস্তায়/ হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এলাকায়।

প্রশ্ন-৬৫:কোন কোন স্থানে গাড়ি পার্ক করা নিষেধ?

উত্তর:যেখানে পার্কিং নিষেধ বোর্ড আছে এমন স্থানে /জাংশনে/ ব্রিজ বা কালভার্ট এর উপর/ সরু রাস্তায়/ হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এলাকায়/ পাহাড়ের ঢালে ও ঢালু রাস্তায়/ ফুটপাত পথ পথচারী পারাপার এবং তার আশেপাশে/ বাস স্টপেজ ও আর তার আশেপাশে/ রেল ক্রসিং ও তার আশেপাশে।

প্রশ্ন-৬৬: গাড়ি রাস্তার কোন পাশ দিয়ে চলাচল করবে?

উত্তর:গাড়ি রাস্তার বাম পাশ দিয়ে চলাচল করবে। যে রাস্তায় একাধিক লেন থাকবে সেখানে বাম পাশের লেনে ধীরগতির গাড়ি আর ডান পাশের লেনের দ্রুতগতির গাড়ি চলাচল করবে।

প্রশ্ন-৬৭: কখন বাম দিক দিয়ে ওভারটেক করা যায়?

উত্তর:যখন সামনের গাড়িচালক ডান দিকে মোর নেওয়ার ইচ্ছায় যথাযথ সংকেত দিয়ে রাস্তার মাঝামাঝি স্থানে যেতে থাকবেন তখনই পেছনের গাড়িচালক বাম দিক দিয়ে ওভারটেক করতে পারবেন।

প্রশ্ন-৬৮:চলন্ত অবস্থায় সামনের গাড়িকে অনুসরণ করার সময় কি কি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে?

উত্তর: সামনের গাড়ির গতি ও গতিবিধি/ সামনের গাড়ি থামার সংকেত দিচ্ছে কিনা/ সামনের গাড়ি ডানে-বামে ঘুরার সংকেত দিচ্ছে কিনা/ সামনের গাড়ি হতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় থাকছে কিনা।

প্রশ্ন-৬৯: গাড়ির গতি কমানোর জন্য চালক হাত দিয়ে কিভাবে সংকেত দিবেন?

উত্তর:চালক তার ডান হাত গাড়ির জানালা দিয়ে সোজাসুজি বের করে ধীরে ধীরে উপরে নিচে ওঠানামা করাতে থাকবেন।

প্রশ্ন-৭০: রাস্তার আশেপাশে সতর্কতামূলক স্কুল/শিশু সাইনবোর্ড থাকলে চালকের করণীয় কি?

উত্তর:গাড়ির গতি কমিয়ে রাস্তার দুই পাশে ভালোভাবে দেখে শুনে সতর্কতার সাথে অগ্রসর হতে হবে।রাস্তার পারাপারের অপেক্ষায় কোন শিশু থাকলে তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

প্রশ্ন-৭১: লেভেল ক্রসিং বা রেল ক্রসিং কত প্রকার ও কি কি?

উত্তর: লেভেল ক্রসিং বা রেল ক্রসিং দুই প্রকার।

ক. রক্ষিত রেল ক্রসিং বা পাহারাদার নিয়ন্ত্রিত রেল ক্রসিং

খ. অরক্ষিত রেল ক্রসিং বা পাহারাদার বিহীন রেল ক্রসিং।

প্রশ্ন-৭২: রক্ষিত রেল ক্রসিং এর চালকের কর্তব্য কি?

উত্তর:গাড়ির গতি কমিয়ে সতর্কতার সাথে সামনে আগাতে হবে যদি রাস্তা বন্ধ থাকে তাহলে গাড়ি থামাতে হবে আর খোলা থাকলে ডান বামে ভালোভাবে দেখে অতিক্রম করতে হবে।

প্রশ্ন-৭৩: অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং এর চালকের কর্তব্য কি?

উত্তর:গাড়ির গতি একদম কমিয়ে সতর্কতার সাথে সামনে আগাতে হবে প্রয়োজনের লেভেল ক্রসিং এর নিকট থামাতে হবে এরপর ডানে বামে দেখে নিরাপদ মনে হলে অতিক্রম করতে হবে।

প্রশ্ন-৭৪: বিমানবন্দরের কাছে চালকের সতর্ক থাকতে হবে কেন?

উত্তর:বিমানের প্রচন্ড শব্দে গাড়ির চালক হঠাৎ বিচলিত হতে পারেন /সাধারণ শ্রবণ ক্ষমতার ব্যাঘাত ঘটতে পারে/ বিমানবন্দরের  ভিআইপি বেশি চলাচল করে বিধায় এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

প্রশ্ন-৭৫: মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীর হেলমেট ব্যবহার করা উচিত কেন?

উত্তর:মানুষের মাথা শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্পর্শ কাতর ও গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ এখানে সামান্য আঘাত লাগলে মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে তাই দুর্ঘটনায় মানুষের মাথাকে রক্ষা করার জন্য হেলমেট ব্যবহার করা উচিত।

প্রশ্ন-৭৬: পাহাড়ি রাস্তায় কি কি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে?

উত্তর:সামনের গাড়ি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ১নং গিয়ারে বা ফার্স্ট গিয়ারে সতর্কতার সাথে ধীরে ধীরে উপরে উঠতে হবে পাহাড়ের চূড়ায় কাছে গিয়ে আরো ধীরে উঠতে হবে কারণ চূড়ার দৃষ্টিসীমা অত্যন্ত সীমিত নিচে নামার সময় গাড়ির গতিক্রমে বাড়তে থাকে বিধায় সামনের গতি থেকে বাড়তি দূরত্ব বজায় রেখে নামতে হবে ওঠার আমার সময় কোনক্রমে ওভারটেকিং করা যাবে না।

প্রশ্ন-৭৭: বৃষ্টির মধ্যে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে কি কি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে?

উত্তর:বৃষ্টির সময় রাস্তা পিচ্ছিল থাকায় ব্রেক কম কাজ করে এ কারণে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে ধীরগতিতে (সাধারণ গতির চেয়ে অর্ধেক গতিতে) গাড়ি চালাতে হবে যাতে ব্রেক প্রয়োগ করে অতি সহজেই গাড়ি থামানো যায় অর্থাৎ ব্রেক প্রয়োগ করে গাড়ি যাতে অতি সহজে থামানো বা নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেই রূপ ধীরগতিতে বৃষ্টির মধ্যে গাড়ি চালাতে হবে।

প্রশ্ন-৭৮: রাস্তার উপর প্রধানত কি কি ধরনের রোড মার্কিং অঙ্কিত থাকে?

উত্তর: রাস্তার উপর প্রধানত তিন ধরনের রোড মার্কিন অঙ্কিত থাকে। যেমন:

ক. ভাঙ্গা লাইন যা অতিক্রম করা যায়।

খ. একক অখন্ড লাইন যা অতিক্রম করা নিষেধ তবে প্রয়োজন বিশেষ অতিক্রম করা যায়।

গ.দ্বৈত অখন্ড লাইন যা অতিক্রম করার নিষেধ এবং আইনত দণ্ডনীয় এই ধরনের লাইন দিয়ে ট্রাফিক আইল্যান্ড বা রাস্তার বিভক্তি বুঝায়।

প্রশ্ন-৭৯: জেব্রা ক্রসিং এ চালকের কর্তব্য কি?

উত্তর: জেব্রা ক্রসিং এর পথচারীদের অবশ্যই আগে যেতে দিতে হবেএবং পথচারী যখন জেব্রা ক্রসিং দিয়ে পারাপার হবে তখন গাড়িকে অবশ্যই তার আগে থামাতে হবে জেব্রা ক্রসিং এর উপর গাড়ি থামানো যাবে না বা রাখা যাবে না।

প্রশ্ন-৮০: হেড লাইট ফ্লাসিং বা আপার ডিপার ব্যবহারের নিয়ম কি?

উত্তর:শহরের মধ্যে সাধারণত লো বিম বা ডিপার বা মৃদু বিম ব্যবহার করা হয় রাতে কাছাকাছি গাড়ি না থাকলে অর্থাৎ বেশি দূর পর্যন্ত দেখার জন্য হাইওয়ে শহরের বাইরের রাস্তায় হাই বা আপার বা তী বিম ব্যবহার করা হয়।তবে বিপরীত দিক থেকে আগত গাড়ি ১৫০ মিটারের মধ্য চলে আসলে হাইবিম নিভিয়ে লোবিম জ্বালাতে হবে। অর্থাৎ বিপরীত দিক হতে আগত কোন গাড়িকে পাস/পার হওয়ার সময় লো‌ বিম জ্বালাতে হবে।

প্রশ্ন-৮১: গাড়ি ব্রেক ফেল করলে করনীয় কি?

উত্তর:গাড়ি ব্রেক ফেল করলে প্রথমে এক্সিলেটর থেকে পাস সরিয়ে নিতে হবে। ম্যানুয়াল গিয়ার গাড়ির ক্ষেত্রে গিয়ার পরিবর্তন করে প্রথমে দ্বিতীয় গিয়ার ওপরে প্রথম গিয়ার ব্যবহার করতে হবে এর ফলে গাড়ির গতি অনেক কমে যাবে এই পদ্ধতিতে গাড়ি থামানো সম্ভব না হলে রাস্তার আইল্যান্ড ডিভাইডার ফুটপাত বা সুবিধা মত অন্য কিছু সাথে ঠেকিয়ে গাড়ি থামাতে হবে ঠেকানোর সময় জান মালের ক্ষয়ক্ষতি যেন না হয় বা কম হয় সেই দিকে সজাগ থাকতে হবে।

প্রশ্ন-৮২: গাড়ির চাকা ফেটে গেলে করণীয় কি?

উত্তর:গাড়ির চাকা ফেটে গেলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে এই সময় গাড়ির চালককে স্টিয়ারিং দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে হবে এবং এক্সিলেটর থেকে পাস সরিয়ে ক্রমান্বয়ে গতি কমিয়ে আস্তে আস্তে ব্রেক করে গাড়ি থামাতে হবে চলন্ত অবস্থায় গাড়ির চাকা ফেটে গেলে সাথে সাথে ব্রেক করবেন না এতে গাড়ি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে।

প্রশ্ন-৮৩: হ্যাজার্ড বা বিপদ সংকেত বাতি কি?

উত্তর:প্রতিটি গাড়ির সামনেও পেছনে উভয় পাশের কর্নারে এক জোড়া করে মোট ২ জোড়া ইন্ডিকেটর বাতি থাকে এই চারটি ইন্ডিকেটর বাদে সবগুলো একসাথে জ্বললে এবং নিলে তাকে হ্যাজার্ড বা বিপদ সংকেত বাতি বলে বিপদজনক মুহূর্তে গাড়ি বিকল হলে এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এই বাতিগুলো ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন-৮৪: গাড়ির ড্যাশবোর্ডে কি কি ইন্সট্রুমেন্ট থাকে?

উত্তর: ক. স্পিডোমিটার-গাড়ি কত বেগে চলছে তা দেখায়।

খ. ওডোমিটার-তৈরীর প্রথম থেকে গাড়ি কত কিলোমিটার বা মাইল চলছে তা দেখায়।

গ. ট্রিপ মিটার-এক ট্রিপে গাড়ি কত কিলোমিটার/ মাইল চলে তা দেখায়।

ঘ. টেম্পারেচার গেজ-ইঞ্জিনের তাপমাত্রা দেখায়।

ঙ. ফুয়েল গেজ-গাড়ির তেলের পরিমাণ দেখায়।

প্রশ্ন-৮৫: গাড়িতে কি কি লাইট থাকে?

উত্তর: ক.হেড লাইট

খ.পার্ক লাইট

গ.ব্রেক লাইট

ঘ.রিভারস লাইট ঙ.ইন্ডিকেটর লাইট

চ.ফগ লাইট

ছ.নাম্বার প্লেট লাইট।

প্রশ্ন-৮৬: শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে গাড়ি চালানো বৈধ কি?

উত্তর:ইন্সট্রাক্টর এর উপস্থিতিতে ডুয়েল সিস্টেম (ডবল স্টিয়ারিং ও ব্রেক) সম্বলিত গাড়ি নিয়ে সামনে ও পিছনে L লেখা প্রদর্শন করে নির্ধারিত এলাকায় চালানো বৈধ।

প্রশ্ন-৮৭: ফোর হুইল ড্রাইভ গাড়ি বলতে কি বুঝায়?

উত্তর:সাধারণত ইঞ্জিন হতে গাড়ির পেছনে দুই চাকায় পাওয়ার সরবরাহ হয়ে থাকে বিশেষ প্রয়োজনে যে গাড়ির চারটি চাকায় (সামনে ও পেছনের )পাওয়ার সরবরাহ করা হয় তাকে ফোর হুইল ড্রাইভ গাড়ি বলে।

প্রশ্ন-৮৮: ফোর হুইল ড্রাইভ কখন প্রয়োগ করতে হয়?

উত্তর:ভালো রাস্তা তে চলার সময় শুধুমাত্র পেছনের দু চাকা তে ড্রাইভ দেওয়া হয় কিন্তু পিচ্ছিল কর্দমাক্ত রাস্তায় চলার সময় চার চাকাতে ড্রাইভ দিতে হয়।

প্রশ্ন-৮৯: টুলবক্স কি?

টুল বক্স হচ্ছে যন্ত্রপাতির বাক্স যা গাড়ির সঙ্গে রাখা হয়। মোটরযান জরুরি মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল টুল বক্সে রাখা হয়।

প্রশ্ন-৯০: ফুয়েল গেজের কাজ কি?

উত্তর:ফুয়েল বা জ্বালানি ট্যাংকে কি পরিমান জ্বালানি আছে তা ফুয়েল গেজ এর মাধ্যমে জানা যায়।

প্রশ্ন-৯১: ফুয়েল ও অয়েল বলতে কি বুঝায়?

উত্তর:ফুয়েল বলতে জ্বালানি অর্থাৎ পেট্রোল অকটেন সিএনজি ডিজেল ইত্যাদি বোঝায় এবং অয়েল বলতে লুব্রিকেটিং ওয়েল বা লুক অয়েল বা মবিল বোঝায়।

প্রশ্ন-৯২: কুলিং ফ্যানের কাজ কি?

উত্তর: রেডিয়েটরের পানিকে ঠান্ডা করা ইঞ্জিন অয়েলকে ঠান্ডা করা ব্রেক অয়েলকে ঠান্ডা করা ব্যাটারিকে ঠান্ডা করা

প্রশ্ন-৯৩: টেম্পারেচার মিটারে ইঞ্জিনের কি নির্দেশ করে?

উত্তর:ইঞ্জিনের কার্যকারী তাপমাত্রা গিয়ার বক্সের কার্যকারিতা তাপমাত্রা রেডিয়েটরের কার্যকারী তাপমাত্রা গাড়ির কার্যকারিতা তাপমাত্রা

প্রশ্ন-৯৪: ব্যাটারির কাজ কি?

উত্তর: ইঞ্জিনকে চালু করতে সহায়তা করে পেট্রল ইঞ্জিনের ইগনিশন সিস্টেমের কারেন্ট সরবরাহ করে সকল প্রকার লাইট জ্বালাতে এবং মিটারসমূহ চালাতে সহায়তা করে হর্ন বাজাতে সাহায্য করে

প্রশ্ন-৯৫: নিয়মিত ব্যাটারির কি পরীক্ষা করা উচিত?

উত্তর: নিয়মিত বেটারির পানির লেভেল পরীক্ষা করা উচিত।

প্রশ্ন-৯৬: টায়ার রুটেশন ?

উত্তর:বিভিন্ন কারণে গাড়ির সবগুলো টায়ারের ক্ষয় সমাহারে হয় না গাড়ির চাকা গুলোর ক্ষয়ের সমতা রক্ষার জন্য একদিকে টায়ার খুলে অপরদিকে কিংবা সামনে টায়ার খুলে পেছনে লাগানো কি অর্থাৎ পরিবর্তন করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে লাগানোর পদ্ধতিকে টায়ার রোটেশন বলে এর ফলে টায়ারের আয়ু বহুলাংশে বেড়ে যায়।

প্রশ্ন-৯৭: কখন ক্লাচে চাপ দিতে হয়?

গিয়ার পরিবর্তন করার সময় ব্রেক করার সময় যদি গাড়ি থেমে যায় বা থামাতে হয়

প্রশ্ন-৯৭: গাড়ির মবিল কেন এবং কখন বদলানো উচিত?

উত্তর:দীর্ঘদিন ব্যবহারে মবিল ইঞ্জিনের কার্বন ক্ষয়িত ধাতু ফুয়েল পানি ইত্যাদি জমার কারণে এর গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায় বিধায় মবিল বদলাতে হয় গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রদত্ত ম্যানুয়াল হ্যান্ডবুক এর নির্দেশ মোতাবেক নির্দিষ্ট মাইল/ কিলোমিটার চলার পর মবিল বদলাতে হয়।

গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 

প্রশ্ন-৯৮: কম মবিল বা লুব অয়েলে ইঞ্জিন চালালে কি ক্ষতি হয়?

উত্তর: বিয়ারিং অত্যধিক গরম হয়ে গলে যেতে পারে এবং পিস্টন সিলিন্ডার জ্যাম বা সিজড হতে পারে।

প্রশ্ন-৯৯:পার্শরাস্তা থেকে প্রধান রাস্তায় প্রবেশ করার সময় কি কি সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে?

উত্তর: পার্শরাস্তা বা ছোট রাস্তা থেকে প্রধান রাস্তায় প্রবেশ করার আগে গাড়ির গতি কমিয়ে প্রয়োজনে থামিয়ে প্রধান রাস্তার গাড়িকে নির্বিঘ্নে আগে যেতে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে প্রধান সড়কে গাড়ির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে সুযোগ মতো সতর্কতার সাথে প্রধান রাস্তাই প্রবেশ করতে হবে।

প্রশ্ন-১০০: ব্রিজে উঠার পূর্বে একজন চালকের করণীয় কি?

উত্তর:ব্রিজ বিশেষ করে উঁচু ব্রিজের অপরপ্রান্ত থেকে আগত গাড়ি সহজে দৃষ্টিগোচর হয় না বিধায় ব্রিজে উঠার পূর্বে সতর্কতার সাথে গাড়ির গতি কমিয়ে উঠতে হবে।তাছাড়া রাস্তার তুলনায় ব্রিজের প্রস্থ অনেক কম হয় বিধায় ব্রিজে কখনো ওভারটেকিং করা যাবে না।

শেষ কথা-

সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকা বন্ধুরা যারা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তারা আজকের প্রশ্নটি পড়ে অবশ্যই কিছুটা হলেও নিশ্চিন্ত হতে পেরেছেন আশা করি। ড্রাইভিং লাইসেন্স লিখিত পরীক্ষায় যে সকল প্রশ্ন করা হয় তার উত্তর সহ আজকে আমরা এই কনটেন্টে উল্লেখ করলাম।

এই সম্পর্কে যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকে তবে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।আমরা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করব। এবং আরো নতুন নতুন ‌কনটেন্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। ধন্যবাদ সবাইকে

পোস্ট ট্যাগ-

ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরির ক্ষেত্রে BRTA এর লিখিত পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রশ্ন ও উত্তর,ড্রাইভিং লাইসেন্স মৌখিক পরীক্ষার প্রশ্ন pdf,Brta লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান pdf,ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর,ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ২০২১,ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর ২০২১,মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর,মোটর সাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ২০২১,ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ২০২১ pdf।

স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন – www.usitbari.com

অনলাইনে স্বপ্নপূরণ এবং টাকা আয় করতে ভিজিট করুন – www.workupplace.com

ব্লগিং থেকে আর্নিং সম্পর্কিত টিপস পেতে ভিজিট করুন https://www.youtube.com/@ssitbari2832

আরও আপনার জন্য

অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম

লাল সবুজ পরিবহনের অনলাইন টিকিট কাটার নিয়ম

পিজি হাসপাতাল অনলাইন টিকেট বুকিং করুন ঘরে বসে ২ মিনিটে

বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইন টিকিট করার নতুন নিয়ম

শ্যামলী পরিবহন অনলাইন টিকেট করার নিয়ম। ২ মিনিটে

জাতীয় জাদুঘর অনলাইন টিকেট করার সঠিক নিয়ম।২ মিনিটে

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট করার সহজ নিয়ম 

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নতুন নিয়ম ২০২২।

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড করুন ৫ মিনিটে

নতুন উপায়ে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট করার সহজ নিয়ম

SS IT BARI– ভালোবাসার টেক ব্লগের যেকোন ধরনের তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের মেইল টি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 505 other subscribers