আসতাগফিরুল্লাহ দোয়া-ক্ষমা প্রার্থনার নিয়ম ও ৫ দোয়া

ক্ষমার কোন বিকল্প নেই। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য কুরআন ও সুন্নাহতে অনেক দোয়া ও ক্ষমা রয়েছে। তবে, সহজে পড়া এবং বহুল ব্যবহৃত প্রার্থনার মাধ্যমেও ক্ষমা চাওয়া যেতে পারে।

আসতাগফিরুল্লাহ দোয়া

আসতাগফিরুল্লাহ দোয়া

উচ্চারণ: আস্তাগফিরুল্লাহ

অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

নিয়ম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরজ নামাযের সালাম ফিরানোর পর তিনবার এই ইস্তিগফার পড়তেন। (মিশকাত)

উচ্চারণ: আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতুবু ইলাইহি

অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর কাছে ফিরে যাচ্ছি।

নিয়মঃ প্রতিদিন ৮০/১০০ বার ইস্তেগফার পড়বেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিনে ৭০ বারের বেশি তওবা করতেন এবং ক্ষমা চাইতেন। (বুখারী)

 

উচ্চারণ: রাব্বিগ ফিরলি ওয়া তুব আলাইয়্যা ইন্নাকা (আন্তাত) তাওয়াবুর রাহীম।

অর্থ: হে আমার রব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তওবা কবুল করুন। নিশ্চয়ই তুমি পরম করুণাময়, তওবা কবুলকারী।

নিয়ম: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদে একক বসে এই দোয়াটি 100 বার পাঠ করেছেন। (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিযী, মিশকাত)

উচ্চারণ: আস্তাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল কাইয়ুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।

অর্থ: “আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, যাঁকে ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং আমি তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তন করছি।”

নিয়মঃ যে কোন ইবাদতের সময় এভাবে তাওবাহ-ইস্তেগফার করা এবং ক্ষমা চাওয়া। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, সে এভাবে তওবা করলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন, যদিও সে যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করছে। (আবু দাউদ, তিরমিযী, মিশকাত)

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্কাতানি ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়াদিকা মাস্তাতাতু আউজুবিকা মিন শাররি মা সানাতু আবুলালাকা বিনিমাতিকা আলাইয়া ওয়া আবুলালাকা বিজাম্বি ফাগফিরলিনা-ফাগফিরলি।

অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রভু। তুমি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার দাস। আমি যতটা সম্ভব আপনার সাথে প্রতিশ্রুতি এবং প্রতিশ্রুতিতে আছি। আমি আমার সমস্ত কাজের অনিষ্ট থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই। আপনি আমাকে যে আশীর্বাদ দিয়েছেন তা আমি স্বীকার করছি। এবং আমি আমার পাপ স্বীকার করি। আপনি আমাকে ক্ষমা করুন কারণ আপনি ছাড়া কেউ পাপ ক্ষমা করতে পারে না।

নিয়মঃ সকাল-সন্ধ্যা ইস্তেগফার। ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর এই ইস্তেগফার পড়তে ভুল করবেন না। কেননা হাদিসে বর্ণিত আছে যে, যে ব্যক্তি সকালে পড়ে এবং সন্ধ্যার আগে মারা যায় বা সন্ধ্যা নামার আগে মারা যায়, সে জান্নাতে যাবে। (বুখারী)

এজন্য কুরআন ও সুন্নাহ আমাদেরকে বেশি বেশি তাওবা করার তাগিদ দিয়েছে। কারণ পাপমুক্ত জীবন যাপনের অন্যতম উপায় হল অনুতপ্ত হওয়া এবং ক্ষমা চাওয়া। আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন:

যে ব্যক্তি পাপ করে বা নিজের ক্ষতি করে এবং তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, করুণাময় পায়।‘ (সূরা নিসা: আয়াত 110)

 

– ‘নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে থাকবে এবং আপনি তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী পাবেন না। কিন্তু তারা ছাড়া যারা তওবা করে এবং সংশোধন করা হয়। (সূরা নিসা: আয়াত 145-148)

মাথা ব্যাথার দোয়া

উচ্চারণঃ লা ইউসাদ্দাউনা আনহা ওয়া লা ইয়ুংইফুন।

মাথা ব্যাথার দোয়া কিভাবে পড়বেন

কারো মাথাব্যথা হলে ডান হাতে মাথা চেপে ধরে এই দোয়াটি ৩ বার পড়বে।

নামাজের দোয়া

উচ্চারণঃ ইন্নি ওয়াজ্জাহাতু ওজিয়া লিল্লাযী ফাতারছছামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন।

অর্থ: নিশ্চয়ই আমি তাঁর দিকে ফিরে এসেছি যিনি নভোমন্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। আমি মুশরিকদের দলভুক্ত নই।

হে ঈমানদারগণ! তোমরা সবাই আল্লাহর দিকে ফিরে যাও, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সূরা নূর : আয়াত ৩১)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিয়ম অনুযায়ী তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার তাওফীক দান করুন। কুরআন-সুন্নাহতে ঘোষিত নিয়মানুযায়ী ক্ষমা প্রার্থনা করে বেশি বেশি তাওবাহ-ইসতেগফার করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও আখেরাতের সকল কল্যাণের তাওফিক দান করুন। আমীন

1 thought on “আসতাগফিরুল্লাহ দোয়া-ক্ষমা প্রার্থনার নিয়ম ও ৫ দোয়া”

  1. আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া।
    ভাইয়া আপনার এই ইসলামিক পোস্ট গুলো সব সময় চাই
    পরকালের জন্য এই শ্রেষ্ঠ সম্পদ
    আল্লাহ আপনাকে নেক হায়াত দান করুক

    Reply

Leave a Comment