আসসালামু আলাইকুম আজকে আমি আপনাদেরকে জানাবো “বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম” বিতর নামাজের নিয়ত” বিতর নামাজ কত রাকাত” বেতের নামাজের দোয়া” এবং বেতের নামাজ সম্পর্কিত দোয়া কুনুত সহকারে বেতের নামাজের সকল খুঁটিনাটি বিষয়।
অন্য পোস্ট:ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নতুন নিয়ম ২০২২।
![]() |
বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম-2022 |
বিতর একটি আরবি শব্দ যার অর্থ বিজোড়। রাতের বেজোড় নামাযকে বিতর নামায বলা হয় বা তিন রাকাত হওয়ার কারণে এই নামাযকে বিতর বলা হয়। এই নামায এক রাকাত, তিন রাকাত, পাঁচ রাকাত, সাত রাকাত বা নয় রাকাত করে পড়া যায়। কেউ কেউ এক রাকাত বিতর নামাজও পড়েন। এশার নামাজের পরপরই এ নামাজ পড়া ওয়াজিব।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষকে বিতরের নামায পড়ার তাগিদ দিয়ে বলেছেন, বিতরের নামায অবশ্যই পড়তে হবে। যে ব্যক্তি বিতর পড়বে না তার সাথে আমাদের জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই। (আবু দাউদ)
Table of Contents
বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম:
ফরয নামাযের মত দুই রাকাত নামায পড়া, প্রথম বৈঠকে বসে তাশাহহুদ পড়া। তারপর তৃতীয় রাকাতে উঠে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য কোন সূরা বা আয়াত মিশ্রিত করুন। কিরাত শেষ করার পর (সুরা বা অন্যান্য আয়াত একত্রিত করার পর) তাকবীর বলতে উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠাতে হবে এবং তাহরিমার মতো তাকবীরে হাত বাঁধতে হবে। তারপর নীরবে দোয়া কুনুত পাঠ করুন। দোয়া কুনূত, রুকু পূর্বের ন্যায়, সিজদার পর শেষ তাশাহহুদ, দরূদ, দোয়া মাশুরা পাঠ করে সালাম ফিরিয়ে বিতরের নামাজ শেষ করতে হবে।
অন্য পোস্ট:তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব-
বিতর নামাজের নিয়ত
উচ্চারনঃ নাওাইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’ লা সালাসা রাক’আতাই সালাতিল বেত্রে ওয়াজিবুল্লাহি তা’লা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কা’ বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা নিয়তঃআমি কিবলার দিকে মুখ করে তিন রাকাত বেতের ফরজ নামাজ আদায় করার নিয়ত করলাম, আল্লাহু আকবার।
বিতর নামাজ কত রাকাত
বিতর নামাযের ভিন্নতা রয়েছে। এক রাকাত থেকে ১১ রাকাত পর্যন্ত পড়তে পারেন। তাই এ ক্ষেত্রে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করুন। তবে অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম তিন রাকাতের কথা বলেছেন। তিন রাকাতও পড়তে পারেন।
এক রাকাত বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম
বিতর নামাযের এক রাকাআত পড়তে অন্যান্য নামাযের মত সূরা ফাতিহা এবং মিলানো পর্যন্ত আরেকটি সূরা পড়তে হয়। অন্য সূরা শেষ হওয়ার পর একই সময়ে দোয়া কুনূত পাঠ করে এবং অন্যান্য নামাজের মতো রুকু–সিজদা করে নামাজ পড়তে হবে। এক রাকাত বিতর নামায পড়ার আরেকটি নিয়ম আছে। এই নিয়মে অন্য সূরা পাঠ করে রুকু করতে হয়। রুকু করার পর সেজদায় না গিয়ে দোয়ার মতো হাত তুলে দোয়া কুনূত পাঠ করা উচিত। তারপর হাত ছেড়ে অন্য নামাজের মতো সিজদা করে নামাজ শেষ করতে হবে।
তিন রাকাত বিতর নামায পড়ার নিয়ম
তিন রাকাত বিতর নামায পড়ার তিনটি নিয়ম রয়েছে। প্রথম নিয়মে অন্যান্য নামাজের মতো দুরূদ শরীফ, দোয়া মাশুরা ও দুই রাকাত নামাজ পড়তে হবে এবং সালাম ফিরিয়ে নিতে হবে। তারপর বিতর নামাযের এক রাকাতের মত এক রাকাত পড়তে হবে।
আরেকটি নিয়ম হল অন্যান্য নামাজের মত দুই রাকাত পড়া এবং দ্বিতীয় বৈঠকে না বসে দাঁড়ানো। তৃতীয় রাকাতে অন্য একটি সূরা পড়ার পর একই সাথে নামাজ পড়তে হবে এবং রুকু ও সিজদা করে নামাজ শেষ করতে হবে। সর্বশেষ যে নিয়মটি এদেশে প্রচলিত তা হলো দ্বিতীয় বসাসহ দুই রাকাত নামায পড়া এবং তৃতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর আরেকটি তাকবীর বলতে হয়। অতঃপর দোয়া কুনূত পাঠের পর রুকু ও সিজদাসহ নামাজ শেষ করতে হবে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুদের পর বিতর নামায পড়তেন এবং বিতর তিন রাকাত পড়তেন। তিন রাকাতের দ্বিতীয় রাকাতে তাশাহহুদের জন্য বসতেন, কিন্তু সালাম ফিরাতেন না। বরং তৃতীয় রাকাতের শেষে সালাম ফিরাতেন।
বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে
দোয়া কুনুত না জানলে বেতের দোয়া কিভাবে পড়বেন?বিতর নামায ফরয, তাই বিতর নামায পড়তে হবে।তবে কুনুত দ্বারা নামায মুখস্থ না হলে তা মুখস্থ হয়ে যায় যতক্ষণ না মুখস্ত হয়।অতঃপর বিতির নামাযে যদি আল্লাহর প্রশংসাকারী কিছু পাঠ করা হয় ,হ্যাঁ, তবে দো‘আ কুনুত পড়া মুখস্থ না হওয়া পর্যন্ত সুন্নতের ফল তিনি অন্যান্য নামাজ পরেন তবে, আপনি যদি সুন্নাত করতে চান তবে তাড়াতাড়ি
দুআ কুনুত মুখস্থ করতে হবে ।
বিতর নামাজ কি ওয়াজিব
বিশুদ্ধতম মতানুযায়ী বিতর নামায ফরয।
রাসুলুল্লাহ (সা.) হজরত বুরাইদা (রা.) থেকে বর্ণনা করেন যে,‘বিতরের নামাজ অপরিহার্য। যারা বিতর পড়ে না তারা আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। বিতর নামাজ অপরিহার্য। যারা বিতর পড়ে না তারা আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। বিতর নামাজ অপরিহার্য। যে বিতর পড়ে না সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। ‘ [আবু দাউদ, হাদিস: 1421]
বিতর নামাজের দোয়া
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতাঈ’নুকা ওয়া নাসতাগফিরুকা ওয়া নু’মিনু বিকা ওয়া নাতাওয়াক্কালু আ’লাইকা ওয়া নুসনী আ’লাইকাল খাইরা, ওয়া নাশকুরুকা ওয়ালা নাকফুরুকা ওয়া নাখলাউ’ ওয়া নাতরুকু মাই ইয়াফ জুরুকা, আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া লাকা নুছাল্লী ওয়া নাস জুদু ওয়া ইলাইকা নাসয়া’ ওয়া নাহ ফিদু ওয়া নারজু রাহমাতাকা ওয়া নাখশা আ’যাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিল কুফফারি মুলহিক।
আমাদের সাধ্যমত বিষয়গুলো উপরে বেতের নামাজের সকল খুঁটিনাটি বিষয়ে আলোচনা করেছি, এর মধ্যে যদি কোন ভুল হয়ে থাকে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর যদি আপনার কোনো উপকারে আসে, তাহলে অবশ্যই পোস্টটিতে একটি কমেন্টস করে আমাদেরকে উৎসাহিত করবেন।
প্রতিদিন মোটরসাইকেল এবং স্মার্টফোন জিতুন একদম ফ্রিতে।

SS IT BARI-ভালোবাসার টেক ব্লগ টিম
পোস্ট টা পড়ে উপকৃত হলাম। এ পোস্ট টা পড়ে বিতর নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম।
onek upokkirto holam. notun kisu jante parlam