আসসালামু আলাইকুম আশা করছি সকলে ভালো আছেন, বর্তমান শীতকাল আর এই শীতকালেই শুরু হয়ে যায় শীতকালীন ফুলের মহাউৎসব। প্রচুর পরিমাণে শীতকালীন ফুল আমাদের বাংলাদেশের রয়েছে যে ফুলগুলি আসল রূপ ধারণ করেই এই শীতকালে আর এই শীতকালে প্রচুর পরিমাণে ফুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণে এই ফুলের চাহিদা শীতকালে হয়ে থাকে।
তাই আজকের এই পোষ্টে আমি আপনাদেরকে, শীতকালীন ফুলের তালিকা, শীতকালীন ফুলের চাষ, শীতকালীন ফুলের উপকারিতা থেকে শুরু করে ফুলের গাছ ফুল সম্পর্কিত সকল বিষয় আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।
শীতকালীন সময়ে যে সকল ফুল ফোটে?
বড় ইনকা গাঁদা, ছোট চাইনিজ গাঁদা, দেশি গাঁদা, ব্লাড গাঁদা, হলুদ-লাল মিশ্রিত জাম্বো গাঁদা, দেশের লম্বা গাছ, রাজ গাঁদা ইত্যাদি এখন আশেপাশের প্রায় সব নার্সারিতে পাওয়া যাচ্ছে। তারপরে রয়েছে ক্রাইস্যান্থেমামস, ডালিয়াস, অ্যাস্টারস, ডেইজি, কসমস, সিলভিয়া, অ্যান্টিরিনাম, ন্যাস্টার্টিয়াম, প্যান্সি, ডায়ানথাস, ফ্লোক্স, ভারবেনা, কার্নেশন, পপি, সূর্যমুখী, পার্সলেন, ক্যালেন্ডুলা, হলিহক, মর্নিং গ্লোরি, সুইট গ্লোবারি, সুইটস, অ্যালবাম। ইত্যাদি এমনকি সঙ্গী হিসেবে গোলাপও পেতে পারেন। গাঁদা, ডালিয়াস, চন্দ্রমল্লিকা, জারবেরা, কার্নেশন, ক্যালেন্ডুলা, অ্যাস্টার ইত্যাদি টবে জন্মায়। তবে সব ফুলই মাটির বাগানে লাগানো যায়।
শীতকালীন সময়ে জনপ্রিয় ফুল কোনগুলি?
শীতকালীন সময় যেহেতু প্রচুর পরিমাণে ফুল আমাদের বাংলাদেশের কাজগুলিতে ফুটে থাকে কিন্তু এর মধ্যেও অনেকেই কিন্তু সবগুলি ফুল পছন্দ করে না তাই আপনাদেরকে নিচে দিয়ে দিচ্ছি শীতকালের সময় সবচাইতে জনপ্রিয় ফুল কোনগুলি।
শীতের ফুলশীতকালীন ফুলগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে—১. গাঁদা ২. ডালিয়া ৩. গোলাপ৪. চন্দ্রমল্লিকা৫. সূর্যমুখী৬. কসমস৭. পপি৮. গাজানিয়া৯. স্যালভিয়া১০. ডায়ান্থাস১১. ক্যালেন্ডুলা১২. পিটুনিয়া১৩. ডেইজি১৪. ভারবেনা১৫. হেলিক্রিসাম১৬. অ্যান্টিরিনাম১৭. ন্যাস্টারশিয়াম১৮. লুপিন১৯. কারনেশন২০. প্যানজি ২১. অ্যাস্টার২২. জিনিয়া। এ ছাড়াও কিছু ফুলের আবার বিভিন্ন ধরনের জাত দেখা যায়।
শীতকালীন ফুল গাছ লাগানোর সঠিক সময় কোনটি?
শীতকালীন সময়ে যেহেতু আমাদের ফুল চায় বা ফুলের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে বাংলাদেশে দেখা দেয়। তাই ফুল চাষ করার পূর্বে আপনি যদি ফুল গাছ লাগানোর সঠিক সময়টি বুঝতে পারেন সে ক্ষেত্রে আরো বেশি লাভবান হবেন । তাই আপনাকে অবশ্যই শীতকালীন ফুল গাছ লাগানোর সঠিক সময় জানতে হবে।
শরীরের সুস্থতায় শীতকালীন কোন শাক-সবজি খাওয়া দরকার?
চাষ শীতকালীন ফুলের বীজ বপনের উপযুক্ত সময় অক্টোবর-নভেম্বর মাস। এছাড়াও অনেক সময় আবহাওয়া জনিত কারণে ডিসেম্বর জানুয়ারিতেও অনেকে ফুল গাছ চাষের জন্য বীজ বপন করে থাকে। তবে আপনারা চাইলে অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসেই শীতকালীন ফুলের চারা বা বীজ বোপন আপনার করবেন।
শীতকালীন ফুল গাছের যত্ন
আপনারা অন্যান্য সবজি যেমন শীতকালীন প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন হয় এবং অনেক চাষীরা এটি নিয়ে বড় ধরনের ব্যবসা করে থাকে। আবার অনেকেই কিন্তু বুদ্ধি করে এই ফুল চাষ করেও প্রচুর পরিমাণে টাকা এই শীতকালীন ফুল থেকে তারা আয় করে থাকে। তবে শীতকালীন সময়ে অনেকে যে শখ করে আবার ছাদের টবে বিভিন্ন জায়গায় কিন্তু এই ফুল গাছ লাগিয়ে থাকে। তাই আপনাদেরকে টবে যারা ফুলগাছ ব্যবহার করবেন বা ফুল গাছ চাষ করবেন তাদের আমি কিছু টিপস দিয়ে দিব। রাজি করে আপনার গাছগুলি বা বীজগুলি সুন্দর হয় এবং গাছ থেকে ফুল হয়।
যারা ফুল গাছ আপনার টবে ব্যবহার করতে চান বা রোপন করতে চান তাদের জন্য আমি বলব ৮ থেকে ১২ ইঞ্চি ছোট এই টপটিতেও আপনি ফুল গাছ কখন করতে পারবেন।
তবে অবশ্যই টবের মাটির সঙ্গে জৈব সার এবং কম্পোজিট এটি মিক্স করে নিবেন পরিমাণ মতো। গাছ লাগানোর সময় অবশ্যই বিকেলে অথবা সন্ধ্যার দিকে গাছ রোপন করবেন।
গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন
যত্ন সহকারে চারা লাগানোর পর চালনী দিয়ে উপর থেকে বৃষ্টির মত পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। যাতে গাছ এবং পাতা উভয়ই ভাজা হয়। প্রয়োজনে পতিত গাছটিকে একটি লাঠি পুঁতে দিয়ে তার সাথে বেঁধে ঠিক করতে হবে। পর্যাপ্ত আলো এবং বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে কৃষিবিদদের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
শীতকালীন ফুল চাষ
ফুল পবিত্রতা এবং ভালবাসার প্রতীক। নভেম্বর শীতের ফুল লাগানোর সেরা সময়। শীতকালে বিভিন্ন নামহীন, রঙিন ফুল ফোটে। অনেকেই টবে বা বাগানে রঙিন ফুল লাগাতে পছন্দ করেন। ফুল প্রেমীদের জন্য এখানে কিছু রঙিন শীতকালীন ফুলের বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
কি কি ফুল চাষ করবেন শীত কালে?
- ডালিয়া ফুল
- গাঁদা
- সূর্যমুখী
- চন্দ্রমল্লিকা
- কসমস
বাড়ির টবে ডালিয়া ফুলের চাষের পদ্ধতিঃ
- বাড়িতে ডালিয়া চাষের জন্য একটি বড় টব সংগ্রহ করতে হবে।
- দোআঁশ মাটি এই ফুল জন্মানোর জন্য খুব ভালো।
- টব ছোট হলে নার্সারি থেকে ডালিয়ার কাটিং এনে মাটিতে পুঁতে দিতে হবে।
- গাছে শক্ত লাঠি বেঁধে রাখুন। যাতে গাছ না পড়ে।
- সার অর্থাৎ পচা সরিষার খোসার পানি কয়েকদিন পর পর গাছের গোড়ায় দিতে হবে।
- মাঝে মাঝে গাছের ডগা ছেঁটে দিতে হবে।
বাড়ির টবে সূর্যমুখী ফুলের চাষের পদ্ধতিঃ
- নার্সারী থেকে গাছের জন্য ভালো বড় টব কিনতে হবে।
- সামান্য আর্দ্র আর্দ্র মাটি প্রয়োজন। এতে জৈব সার মিশিয়ে মাটি তৈরি করতে হবে।
- টবে মাটিতে বীজ পুঁতে দিন।
- প্রয়োজন মতো দিনে দুবার জল।
- গাছের গোড়ায় পানি জমতে দেওয়া উচিত নয়।
- মাটি স্যাঁতসেঁতে থাকলে জল দেবেন না।
- এক মাস পর গাছের গোড়ায় প্রয়োজন অনুযায়ী অতিরিক্ত সার দিতে হবে।
বাড়ির টবে চন্দ্রমল্লিকা ফুলের চাষের পদ্ধতিঃ
- চন্দ্রমল্লিকা গাছ থেকে ডাল কেটে পানি দিয়ে একটি ছোট পাত্রে রাখুন।
- শিকড় গজালে টবের মাটিতে পুঁতে দিতে হবে।
- মাটির সাথে সমান পরিমাণে গোবর সার প্রয়োগ করুন।
- ফুলের উজ্জ্বল সূর্য এবং শীতল আবহাওয়া প্রয়োজন। তাই ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখুন।
বাড়ির টবে কসমস ফুলের চাষের পদ্ধতিঃ
- সমপরিমাণ বাগানের মাটি, নদীর বালির মাটি, ভার্মিকম্পোস্ট (সারের দোকানে পাওয়া যায়) ভালোভাবে মিশিয়ে টবে ভরতে হবে।
- নার্সারি থেকে একটি কসমস প্ল্যান্ট নিয়ে টবে লাগান।
- 2-3 দিন ছায়ায় রাখুন।
- তারপর এটি একটি রৌদ্রোজ্জ্বল জায়গায় রাখুন।
- এটি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং ফুল ফোটে।
- এই উদ্ভিদ দৈনিক জল বা বিশেষ সার প্রয়োজন হয় না।
- এই গাছ সূর্যকে খুব পছন্দ করে।
বাড়ির টবে গাঁদা ফুলের চাষের পদ্ধতিঃ
- বাজার থেকে টব ও গাঁদা চারা কিনুন।
- দোআঁশ মাটির সাথে জৈব সার মিশিয়ে মাটি তৈরি করে টব ভরাট করুন।
- টবের মাটিতে গাঁদা গাছের চারা লাগান।
- প্রয়োজনে সপ্তাহে অন্তত একবার সরিষার গোড়ায় পানি দিন।
আশা করছি আপনারা যারা শীতকালীন ফুল গাছ ফুলের নাম চাষাবাদ সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। পুকুরের এই সকল তথ্য থেকে অবশ্যই আপনি একটু হলে উপকৃত হয়েছেন। ভালো লেগে থাকলে উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
আপনার জন্য আরো –
- ইংলিশে স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন।
- ফ্রিল্যান্সারদের স্বপ্ন পূরণের ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন।
- ব্লগিং,ইউটিউবিং,ফেসবুকিং থেকে ইনকাম সম্পর্কিত ভিডিও পেতে – এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলায় টেকনোলজি সম্পর্কিত সকল তথ্য পেতে – এখানে ভিজিট করুন।
- ফেসবুকে ব্লগিং, ইউটিউবিং, ফেসবুকিং সম্পর্কিত সকল ভিডিও পেতে –এখানে ভিজিট করুন।