রিযিকের মালিক আল্লাহ – আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠেই নিয়মতান্ত্রিকভাবে ঘর থেকে বের হই কর্মের সন্ধানে। সারাদিন কাজ করে সন্ধায় ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরি। এটা আমাদের দৈনন্দিনকার রুটিন। আমাদের এই কর্মের পেছনে ছুটাছুটি করার একটাই কারণ, তা হলো, রিযিক বা খাদ্য। আমরা কাজ-কর্ম করি পেটের দায়ে। আমাদের পেট ভর্তি করে, আমরা নিজের ক্ষুধা মেটাতে সর্বদা চেষ্টা করি। আমাদেরকে আল্লাহ তা’আলা রিযিকের সন্ধানে বের হতে বলেছেন। বলেছেন আমরা যেন রিযিকের জন্য আশায় আশায় বসে না থাকি।
আল্লাহ সূরা জু’মার ১০ নং আয়াতে বলেন,
`অতঃপর সালাত শেষ হলে তোমরা যমীনে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।
আল্লাহ তা’আলা এখানে নামাজের শেষেই রিযিকের জন্য ছড়িয়ে যেতে বলেছেন। তিনি বুঝাতে চেয়েছেন, দুনিয়া বসে বসে খাওয়ার জায়গা নয়। এখানে কষ্ট করতে হয়। পরিশ্রম করতে হয়।’
অর্থ বুঝে নামাজ পড়বেন কেন – জানুন
আল্লাহ সূরা মারইয়ামের ১৯ নং আয়াতে বলেন,
সেখানে (জান্নাতে) তারা ‘সালাম’ ছাড়া কোনো অসার বাক্য শুনবে না এবং সেখানে সকাল-সন্ধা তাদের জন্য থাকবে রিযিক।
আমরা এই দুনিয়ার জীবন শেষ করার পর পরকালে হিসাব নিকাশের পর যখন জান্নাতে যাব তখন আল্লাহ আমাদের জন্য অসংখ্য রিযিক প্রস্তুত করে রাখবেন। হাদীসে আছে,
জান্নাতে প্রথম যেই দলটি প্রবেশ করবে তাদের রূপ হবে চৌদ্দ তারিখের রাতের চাঁদের রূপ। সেখানে তারা থুথু ফেলবে না। তাদের শর্দি-কাশি হবে না। তাদের প্রাকৃতিক প্রয়োজন অনুভব হবে না। তাদের প্লেট হবে স্বর্ণ ও রৌপ্যের। তাদের সুগন্ধি কাঠ হবে ভারতীয় উদ কাঠের মতো। তাদের ঘাম হবে মিশকের।
আমাদের রিযিক নিয়ে চিন্তিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। আবার আমাদের একেবারে নিশ্চিন্তে বসে থাকাও উচিৎ নয়।
?? গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন ??
ওমর রা. এর ঘটনা
আমি একজন আলেমের মুখে একটা ঘটনা শুনেছিলাম যে, হযরত ওমর রা. একদিন যোহরের নামাযের পরে দেখলেন কিছু লোক মসজিদের কোণায় বসে যিকির করছে। তিনি তাদের কিছু বললেন না। আসরের নামাযেও ওমর রা. এই ঘটনা দেখলেন। অনুরূপভাবে মাগরিবের নামাযের পরও তিনি তাদের যিকির করা অবস্থায় পেলেন।
তখন ওমর রা. তাদের বললেন, তোমাদের দেখলাম যে প্রত্যেক নামাযের পরই যিকিরে লিপ্ত থাক। তাহলে তোমরা আয়-রোজগার করো কিভাবে? তখন তারা বললো, আমরা মসজিদে সারাদিন যিকির করি বিধায় লোকজন বাহির থেকে আমাদের জন্য খাবার হাদিয়া স্বরুপ নিয়ে আসে। ওমর রা. এটা শুনে খুব রাগ হলেন। বললেন, তোমরা তো দেখছি কুরআনকে অবমাননা করছো। তারপর তাদেরকে মসজিদ থেকে বের করে দিয়ে বললেন, শুধুমাত্র নামাজের সময় মসজিদে আসবে। অন্য সময় তোমরা তোমাদের রিযিকের সন্ধানে কাজ-কর্ম করবে। চাষাবাদ করবে।
আত্মীয়তার সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ – জানুন
এখানে ওমর রা. এর ঘটনা থেকে বুঝা যায়, আল্লাহ বান্দার রিযিকের দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছেন। সাথে সাথে বান্দাকে পরীক্ষা স্বরুপ রিযিক অন্নেশ্বণ করতে বলেছেন। আল্লাহ দেখতে চান, তোমরা আসলে রিযিক সন্ধান করার সময় হালাল-হারাম খেয়াল করে চলো কি না। যেই জিনিষ আল্লাহ কুরআনে হালাল করেছেন সেটা করা। যেটা হারাম সেটা না করা।
আল্লাহ তা’আলা সূরা ত্বহার ৮১ নং আয়াতে বলেন,
‘তোমাদেরকে আমি যেই রিযিক দান করেছি “তা তেকে পবিত্র বস্তুসমূহ খাও এবং এই বিষয়ে সীমা লঙ্ঘন করো না। করলে তোমাদের উপর আমার ক্রোধ পতিত হবে। আর যার উপর আমার ক্রোধ আপতিত হয় সে তো ধ্বংস হয়ে যায়।”
সূরা ত্বহার ১৩২ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,
“তুমি তোমার পরিবারবর্গকে নামাযের আদেশ দাও এবং ওতে অবিচলিত থাক। আমি তোমার নিকট কোন জীবনোপকরণ চাই না। আমিই তোমাকে জীবনোপকরণ দিয়ে থাকি। আর সংযমীদের জন্য শুভ পরিণাম।”
আল্লাহ সূরা হজ্জের ৩৫ নং আয়াতে বলেন,
যাদের হৃদয় ভয়ে কম্পিত হয় আল্লাহর নাম স্মরণ করা হলে, যারা তাদের বিপদ-আপদে ধৈর্যধারণ করে, নামায কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রুযী দিয়েছি, তা হতে ব্যয় করে।
আল্লাহ কুরআন শরীফে আরো বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে তাকে আল্লাহ এমন অকল্পনীয় স্থান থেকে রিযিক দান করেন। যা সে কখনো কল্পনাও করতে পারবে না।
সালাম দিলে কি আপনি লাভবান হবেন? জানুন
আমাদের একজন সত্যিকারের মুসলিম হিসেবে কর্তব্য হলো, আমরা হালাল রিযিকের সন্ধান করবো। আমরা মানুষের কাজে হাত পাতা থেকে বিরত থাকবো। আমরা সর্বদা নিজেরা নিজেদের দক্ষতা অনুযায়ী কর্মক্ষেত্র খুঁজবো। না পেলে অন্য কোনো কায়িম শ্রমের কাজ করবো। কোনো ক্ষেত্রেই আমরা হারাম কাজ করার চেষ্টা করবো না।
আল্লাহ আমাদেরকে তাওফীক দান করুন।
আমীন।
SS IT BARI– ভালোবাসার টেক ব্লগের যেকোন ধরনের তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের মেইল টি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।
সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!
”এছাড়াও আমাদের প্রতিদিন আপডেট পেতে আমাদের নিচের দেয়া এই লিংক এ যুক্ত থাকুন।
SS IT BARI- ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যে কোনো প্রশ্ন করুনঃএখানে ক্লিক করুন।
SS IT BARI- ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃএই পেজ ভিজিট করুন।
SS IT BARI- ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এএখানে ক্লিক করুনএ বংদারুণ সবভিডিও দেখুন।
গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতেএখানে ক্লিক করুনতারপর ফলো করুন।
SS IT BARI-সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনএই লিংকে।
বাংলাদেশের সবচাইতে বড় উদীয়মান প্রশ্ন এবং উত্তরের বাংলা ওয়েবসাইট এবং ইনকাম করার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম US IT BARI। আপনি এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম বাংলা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রশ্ন এবং উত্তর করে জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি প্রতিমাসে ঘরে বসে ভালো মানের ইনকাম করতে পারবেন। তাই এখুনি আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলুন এবং জ্ঞান চর্চার পাশাপাশি ইনকাম করুন।
এ্যাকাউন্ট করতে এবং আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- www.usitbari.com