মহরমের রোজা আমল ও ফজিলত- মহরমের রোজা আমল সম্পর্কে হাদিস

মহরমের রোজা আমল ফজিলত-হিজরি বর্ষের প্রথম মাস মহররমের মাস। যাকে বলা হয় আশুরা অর্থাৎ হিজরি বর্ষের প্রথম মাসের ১০ তারিখ কে কেন্দ্র করে মহরমের রোজা রাখা হয়। মহরম মাসের রোজার মধ্যে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ রোজা হলো আশুরার রোজা।নিঃসন্দেহে আশুরার দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ একটি দিন। এইএই দিনটি মুসলিম জাতিকে পৃথিবীর বিভিন্ন ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেয়।

এক কথায় বলতে গেলে এই দিনটি দিন প্রতিষ্ঠায় হিজরত এবং হক তথা উত্তম প্রতিষ্ঠার জন্য এক সুমহান দিন। মুসলিম উম্মাদের নফল এবাদত গুলির মধ্য অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইবাদত হল মহরমের রোজা পালন করা এবং আমল করা। আল্লাহ তায়ালা এই দিনটিকে ফজিলতপূর্ণ একটি দিন হিসেবে ঘোষণা করেন।

মহরমের রোজা আমল ও ফজিলত

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। সুপ্রিয় ভিজিটর ভাই বন্ধুরা SS IT BARI-ভালোবাসার টেক ব্লগ এর পক্ষ থেকে সবাইকে আজকের আর্টিকেলে জানাচ্ছি স্বাগতম। আশা করছি আপনারা ভালো আছেন।  আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ। সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকা বন্ধুরা আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় মহরমের রোজা আমল ও ফজিলত সম্পর্কে।

আমরা অনেকেই মুসলমান হলেও এই সম্পর্কে আমাদের ধারণা অপ্রতুল। তাই এই বিষয়ে জানার আগ্রহ নিয়ে আমরা বিভিন্ন ওয়েবসাইট সার্চ করে থাকি। এটি বিবেচনা করেই আজকের পোস্টটি আপনাদের জন্য লিখা। আশা করছি শেষ পর্যন্ত পোস্টটি পড়বেন এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

মহররমের রোজা কি

মহরম মাস মুসলিমদের জন্য শ্রেষ্ঠ এবং মর্যাদা পূর্ণ মাস। রমজান মাসের রোজার পর আশুরার রোজা গুরুত্বপূর্ণ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাসে রোজা ফরজ হওয়ার বহু পূর্ব থেকে মক্কায় অবস্থানকালীন সময়ও মহরমের দশ তারিখ আশুরার দিন রোজা রাখতেন।

শবে বরাতের আমল ফজিলত ও করণীয়

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু বলেন,”আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রমজান ও আশুরার যেরূপ গুরুত্বের সঙ্গে রোজা রাখতে দেখেছি অন্য সময় তা দেখিনি।”( সহীহ বুখারী ১/২১৮)

আশুরার রোজার সঙ্গে আরো একটি রোজা মিলিয়ে রাখার ব্যাপারে হাদিসে বলা আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেছেন,”তোমরা আসো রাত দিন রোজা রাখ এবং তাতে ইহুদীদের বিরোধিতা কর আশুরার আগে একদিন বা পরে একদিন রোজা রাখ।”( সহিহ ইবনে খুযাইমা হাদিস ২০৯৫)

তাই ৯ এবং ১০ অথবা ১০ ও ১১ দুই দিন রোজা রাখা উত্তম। কিন্তু কোন মুসলমান যদি শুধু ১০ মহরম রোজা রাখে তবে তাও আশুরার রোজা বলে গণ্য হবে। তবে হাদিসের নির্দেশনার উপর আমল না করার কারণে মাকরূহ তথা অনত্তম হবে।

মহরম এর ইতিহাস

মহরম মাসের অনেক ইতিহাস ঐতিহ্য ও রহস্যময় তাৎপর্য রয়েছে। মহরমের দিনের সর্বাপেক্ষা আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিষয় হচ্ছে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা। এই দিনের স্মরণীয় একটি ঘটনা হলো মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যাচারী শাসক ফেরাউনের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছিল।

হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত,নবী করীম সাঃ হিজরত করে মদীনায় পৌঁছে মদিনার ইহুদিদের আশুরার দিনে রোজা পালন করতে দেখেন। রাসুল সাঃ তাদের জিজ্ঞেস করেন এই দিনে কি ঘটেছে যে তোমরা এতে রোজা পালন কর? তারা বলে এই দিনটি অনেক বড়দিন এই দিনে আল্লাহতালা মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সঙ্গীদের ফেরাউন থেকে মুক্ত করেছিলেন এবং ফেরাউন ও তার বাহিনীকে ডুবিয়ে মেরেছিলেন।

এর কৃতজ্ঞতা স্বরূপ মুসা রোজা রাখতেন তাই আমরাও আশুরার রোজা পালন করে থাকি।ইহুদিদের জবাব শুনে রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন মুসা আঃ কৃতজ্ঞতার অনুসারে আমরা তাদের চেয়ে বেশি যত্নশীল হওয়ার অধিকারী। অতপর তিনি নিজেও আশুরার রোজা রাখতেন এবং মুসলমানদের তা পালন করতে নির্দেশ প্রদান করেন।( বুখারি হাদিস ৩৩৯৭ মুসলিম হাদিস ১১৩৯)

মহরমের রোজা রাখার নিয়ম

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাসে রোজা ফরজ হওয়ার পূর্ব থেকে আশুরার রোজা রাখেন।দ্বিতীয় হিজরির রমজান মাসের রোজা ফরজ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আশুরার রোজা ছিল অত্যাবশ্য পালনীয়। এরপর রমজান মাসের রোজা ফরজ হয়ে যাওয়ার পর আশুরার রোজা নফল হয়ে যায়।তবে এখনো রমজান মাসের রোজা রাখার পর আশুরার রোজাই সর্বাধিক ফজিলত পূর্ণ। আশুরার দুইটি রোজা রাখা সুন্নত।

তারাবির নামাজের নিয়ম-2023

আশুরা রোজা রাখার পদ্ধতি হলো মহররমের ৯ থেকে ১০ কিংবা ১০ থেকে ১১ তারিখ রোজা রাখতে হয়।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখ এবং তাতে ইহুদীদের বিরোধিতা কর আশুরার আগে একদিন বা পরে একদিন রোজা রাখ।( সহিহ ইবনে খুযাইমা হাদিস ২০৯৫) অনেকটি বর্ণনায় এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেছেন,তোমরা আশুরার দিনে রোজা রাখ। তবে এ ক্ষেত্রে ইহুদীদের সাথে মিল না হওয়ার জন্য ১০ তারিখের আগের দিন অথবা পরের দিন একটি রোজা রেখে নিও।

হযরত রুবাইয়্যেই বিনতে মুআ ওয়েজ রাদিআল্লাহু বলেন,”রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরার দিন সকালে আনসারী সাহাবীগণের গ্রামগুলোতে দূত পাঠিয়ে ঘোষণা দিতে বলেন, যে ব্যক্তি সকালে কিছু খেয়ে ফেলেছে সে যেন বাকি দিন না খেয়ে পূর্ণ করে।

আর যে ব্যক্তি না খেয়ে আছে সে যেন অবশ্যই রোজা রাখে। রুবাইয়্যেই আরো বলেন,”এরপর আমরা নিজেরা রোজা রাখতাম এবং আমাদের বাচ্চাদের কেউ রোজা রাখাতাম। আর তাদেরকে তুলা দ্বারা বানানো খেলনা দিতাম। যখন তাদের কেউ খানার জন্য কাঁদত তখন। ইফতার পর্যন্ত ওই খেলনা দিয়ে রাখতাম।( বুখারী ও মুসলিম)

মহরমে কোন আমল করা জরুরী

মহরমের (আশুরা) দিন রোজা রাখা মহরমের অন্যতম আমল।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদেশ অনুযায়ী আশুরায় নয় বরং মহরম মাসে আমল করার কথা বলেছেন।

মহরম মাস জুড়ে বেশি বেশি নফল রোজা ও তওবা ইস্তেগাফার পড়ার কথা হাদিসে বলা হয়েছে। মহরম মাসের সদকা করার কথা ও বলা হয়েছে।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মহরম মাসে এমন একটি দিন রয়েছে যেদিন আল্লাহ তায়ালা অনেকের তওবা কবুল করেন ভবিষ্যতেও আরো অনেক মানুষের তওবা কবুল করবেন। (তিরমিজি মুসনাদে আহম্মদ)

মহরম মাসে তওবা ও ইস্তেগফারের জন্য সর্বোত্তম পন্থা হলো কোরআন হাদিসে বর্ণিত ইস্তেগফার বিষয়ক দোয়া গুলো বুঝে বুঝে পড়া। এই দোয়া গুলোর মাধ্যমে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দা বান্দীকে ক্ষমা করে দিবেন।

মহরমে আমলের ফজিলত

সকল প্রকার নফল রোজার তুলনায় আশুরার রোজার মর্যাদা ও গুরুত্ব বেশি। কারণ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই রোজার ব্যাপারে খুবই আগ্রহী ছিলেন এবং অন্যদের এই রোজা পালনে নির্দেশ দান করেন।

আবু কাতাদা রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম কে আশুরার রোজার ফজিলত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এই রোজার বিগত বছরের গুনাহ মুছে দেয়। (মুসলিম হাদিস ১১৬২)

আশুরার রোজার মাধ্যমে শুধু সগিরা গুনাহ মার্জনা হবে কবিরা গুনাহ বিশেষ তাওবা ছাড়া মোচন হয় না। ইমাম নববী রাদিয়াল্লাহ বলেন, আশুরের রোজা সকল সগিরা গুনাহকে মাফ করে। হাদিসের বলা হয়েছে, মহরম মাসে তওবা ও ইস্তেগফারের মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা কবিরা গুনাহ ছাড়া সকল গুনাহ মোচন করে দেয়। মুক্তাদির আমিন যদি ফেরেশতাদের আমিন বলার সাথে মিলে যায় তাহলে পূর্বের সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয় উল্লেখিত আমল গুলোর মাধ্যমে পাপ মোচন হয়। (আল মাজমু শারহুল মহাজ্জাব খন্ড ৬)

লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব ও ফজিলত

বিশেষ মর্যাদার কারণে আল্লাহ তায়ালা নিজে এই মাসের নামকরণ করেন মহরম।আরবী ওরা এই মাসকে সফরুল আউয়াল তথা প্রথম সফর নামকরণ করে নিজেদের ইচ্ছামত যুদ্ধবিগ্রহ সহ বিভিন্ন কাজকে হালাল ও হারাম করতো। অবশেষে আল্লাহ তা’আলা এই অবস্থাকে নিষিদ্ধ করে এই মাসের ইসলামী নামকরণ করেন শাহরুল্লাহিল মুহাররম তথা মহরম আল্লাহর মাস।

রমজান মাসের ফরজ রোজার পাশাপাশি কিছু নফল রোজা পালনের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। এই নফল রোজাগুলোর মধ্যেও অন্যতম হলো হিজরী বসের প্রথম মাস মহরমের রোজা রাখা। নবী করিম সাঃ মহরমের রোজার প্রতি আগ্রহী ছিলেন অধিক। তিনি তার উম্মতকে সগিরা গুনাহ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য এই রোজা রাখার নির্দেশ দান করেন। মহরমে বেশি বেশি তওবা ও ইস্তেগাফার করার উপদেশ প্রদান করেন। আল্লাহ সবাইকে মহরমে রোজা ও আমল করে সগিরা গুনাহ থেকে মুক্ত হওয়ার তৌফিক দান করুন‌ (আমিন)।

সচরাচর জিজ্ঞাসা

প্রশ্ন: মহরমের রোজা কয়টি?

উত্তর: মহররমের দুইটি রোজা রাখা সুন্নত। হিজরি‌ বর্ষের প্রথম মাসে ৯ এবং ১০ অথবা ১০ এবং ১১ দুই দিন রোজা রাখা উত্তম।

প্রশ্ন:মহরমের রোজা রাখলে কি গুনাহ মাফ হয়?

গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন

উত্তর: মহরমের (আশুরার) রোজা পালনে যেমন অফুরন্ত সোয়া বর্জিত হয় তেমনি এদিন রোজা রাখলে গুনাহ মাফ হয়।

প্রশ্ন:মহরম মাসের ইতিহাস কি?

উত্তর: মহরম মাসের রয়েছে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ইতিহাস যেখানে বলা আছে মুসা আলাইহিস সালাম অত্যাচারী শাসক ফেরাউনের কবল থেকে এই মাসের রক্ষা পেয়েছিল।

উপসংহার

সুপ্রিয় ভিজিটর ভাই বন্ধুরা যারা আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়েছেন মহরমের আমল এবং ফজিলত নিয়ে জানার আগ্রহ নিয়ে তারা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আজকের আর্টিকেল থেকে পেয়েছেন। আজকের পোস্টটি যদি আপনাদের সামান্য তম উপকারে আসে তবে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে আমাদের ওয়েবসাইটটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।এবং আপনাদের যদি কোন জিজ্ঞাসা থাকে তবে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন আমরা চেষ্টা করব আপনাদের কমেন্টের উত্তর দেওয়ার।

আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।SS IT BARI-ভালোবাসার টেক ব্লগ এর সাথেই থাকবেন।

পোস্ট ট্যাগ-

মহরমের রোজা আমল ও ফজিলত, মহরমের রোজা কয়টি, মহররমের রোজা কবে, মহরম কত তারিখে ২০২৩, মহরম নামের অর্থ কি, মহরম এর ইতিহাস।

আরও পড়ুন –

আ দিয়ে ছেলেদের অর্থসহ ইসলামিক নামের তালিকা

ই দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম এবং নামের অর্থ

প দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নামের অর্থসহ তালিকা ২০২৩

দুই অক্ষরের ছেলেদের অর্থসহ ইসলামিক নামের তালিকা দেখুন

আ দিয়ে মেয়েদের অর্থসহ ইসলামিক নামের তালিকা দেখুন

ক দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ

ল দিয়ে মেয়েদের সুন্দর অর্থসহ ইসলামিক নাম ২০২৩

ব দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম এবং অর্থ

SS IT BARI– ভালোবাসার টেক ব্লগের যেকোন ধরনের তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের মেইলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন.

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 505 other subscribers

প্রতিদিন আপডেট পেতে আমাদের নিচের দেয়া এই লিংক এ যুক্ত থাকুন

SS IT BARI- ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন

SS IT BARI- ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
SS IT BARI- ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে :এএখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে :এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।

SS IT BARI- টুইটার থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- লিংকদিন থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- ইনস্টাগ্রাম থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- টুম্বলার (Tumblr)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে :এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- পিন্টারেস্ট (Pinterest)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চাইলে সাথেই থকুন : এখানে ক্লিক করুন।