বাংলা ভাষার ইতিহাস । ভাষা কি? বাংলা ভাষার শুরু কোথা থেকে? জেনে নিন

আমারা বাঙালি তাই আমাদের বাংলা ভাষা সম্পর্কে সবার যানা থাকা দরকার ,তাই আজ আমি আপনাদের বাংলা ভাষার ইতিহাস,বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশ,আদি মধ্য বাংলা ভাষার ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য,বাংলা ভাষার জননী কে,বাংলা ভাষা অনুচ্ছেদ,বাংলা ভাষার উদ্ভব হয় কত খ্রিস্টাব্দে এসকল বিষয় জানাবো ইনশাল্লাহ

সুলতান সুলেমান এর ইতিহাস

ভাষা কি?

ব্যাকরণ এর সংজ্ঞা অনুযায়ী, ধ্বনি যন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনিসমষ্টিকে যা দিয়ে আমরা মনের ভাব প্রকাশ করা হয় তাকেই ভাষা বলে। কিন্তু এটুকু বললেই ভাষা কি সেটা বোঝানো যায় না। ভাষা হচ্ছে একটি সজীব সংগঠন। ভাষা সজীব, কারণ মানুষ যেমন একটু একটু করে প্রতিদিন বাড়ছে ভাষা ও ঠিক তেমনই প্রতিদিন একটু একটু করে বাড়ছে।বাংলা ভাষার ইতিহাস

মানুষ বর্তমানে এখন যে বাংলা ভাষায় কথা বলে, ৫০ বছর আগে এই রকম বাংলা ভাষায় কেউ কথা বলতো না। বর্তমান সময়ে বাংলা ভাষায় কথা বলার সময় অনেক ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করে প্রত্যেকে। পূর্ববর্তী প্রজন্মে এমন বাংলা ভাষা ব্যবহার করা হতো যেটা এখনকার সময় বললে কেউ বুঝতেই পারবে না, যেমন “গবাক্ষ”, গবাক্ষ শব্দটির অর্থ হল জানালা। কিন্তু বর্তমান সময়ে বাঙালি এতটাই অলস হয়ে পড়েছে যে তারা জানালা শব্দটাকে জানালা না বলে জানলা বলে।

বাংলা ভাষার উদ্ভবের ইতিহাস:বাংলা ভাষার উদ্ভব হয় কত খ্রিস্টাব্দে 

বাংলা হ’ল বিশ্বের অন্যতম বহুল আলোচিত ভাষা। বাংলা হ’ল বাংলাদেশ এবং ভারতীয় রাজ্য ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গে ব্যবহূত প্রধান ভাষা। বাংলা ভাষাকে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে মিষ্টি ভাষা বলা হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। এখানে প্রায় ১৩ কোটি লোক এই ভাষা বলে।

আলাদা আলদা দুটি ভূখণ্ডের ভাষা যখন একরকম হয়ে যায় তখন, সেটাকে ভাষা বলা হয়না, তাকে বলা হয় ভাসাবংশ। আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর আছে যে ভাষা বংশের ব্যাপারে আমরা জানতাম তার নাম ছিল “ইন্দো-ইউরোপীয়”। এই “ইন্দো-ইউরোপীয়” ভাষা বংশের পরিধি ছিল ভারত ও ইউরোপ পর্যন্ত।

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের ইতিহাস

এখানে “ইন্দো” বলতে ভারত কে বোঝানো হয়েছে এবং “ইউরোপীয়” বলতে ইউরোপ দেশ কে বোঝানো হয়েছে। আজ থেকে পাঁচ লাখ বছর আগে ভারত, বাংলাদেশ ও তার সীমান্তবর্তী কিছু এলাকার ভাষার মিল ছিল এই জন্য এটাকে বলা হয় “ভাষাবংশ”। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশে ইন্দো একটি ভূখণ্ড ও ইউরোপীয় একটি ভূখণ্ড বিভক্ত হওয়াই এই ভাষাবংশ টিকে দুটি শাখাতে ভাগ করা হয়। একটি হচ্ছে “শতম” ও আরেকটি “কেন্তুম” ।

ভারতের মধ্যে “শতম” শাখায় কথা বলা হতো এবং ইউরোপের মানুষেরা “কেন্তুম” শাখায় কথা বলতো। যখন ভারতবর্ষে “শতম” শাখায় কথা বলা হতো, তখন ভারত বর্ষ একটি দেশ ছিল না, ভারতবর্ষ তখন একটি উপমহাদেশ ছিল। ভারতে অনেকগুলি জাতি থাকায় তারা আলাদা আলাদা ভাষায় কথা বলতো।

যেমন আরবের জাতিরা “আরবীয়” ভাষায়, মিশরীরা “মিশরীয়” ভাষায় কথা বলতো, যারা ইরানের ছিল তারা “ইরানীয় ভাষায় কথা বলতো, ভারতীয়রা কথা বলতো “ভারতীয়” ভাষায়। ভারত অনেকটা বড় ছিল। তখন অন্য একটা দিক থেকে, একটি জাতি আসলো যা ভারত কে শাসন করতে লাগলো । সে জাতির নাম “আর্য”। আর্যদের শাসন করা কালীন, ভারতীয় আর্য ভাষা শিখে নিল। তখন ভাষাটি হয়ে গেল “ভারতীয়আর্য” ভাষা। ভারতীয় আর্যভাষা টি ভারতে ভাষার একটি রূপ। তখন সবাই “ভারতীয়আর্য” ভাষার কথা বলতে শুরু করে দিল।

পরবর্তীতে কথা বলা এবং লেখা দুটো আলাদা হয়ে গেল। অঞ্চল ভিত্তিতে যে ভাষায় কথা বলা হত তাকে তাকে মুখের ভাষা বলা হয়, বইয়ের ভাষায় যাকে বলে “প্রাকৃত” ভাষা। মানুষ যে ভাষায় লিখিত অর্থাৎ লিখিত ভাষার নাম ছিল “সংস্কৃত”। মুখের ভাষা অর্থ প্রাকৃত ভাষা কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হলো গৌড় অঞ্চলের যে ভাষায় কথা বলা হত তাকে বলা হল “গৌড়ীয় প্রাকৃত” এবং মগধ নামে যে এলাকা ছিল তারা যে ভাষায় কথা বলতো সেটির নাম ছিল “মাগধী প্রাকৃত”। সুনীতিকুমারের মতে বাংলা ভাষা এসেছে “মাগধী প্রাকৃত” থেকে দশম শতাব্দীতে। “গৌড়ীয় প্রাকৃত” থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে সপ্তম শতাব্দীতে, এটি বলেছেন ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ । বাংলা ব্যাকরণে সুনীতিকুমারের কথাকে কে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়।

সুনীতিকুমারের মতে “মাগধী প্রাকৃত” হোক বা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে “গৌড়ীয় প্রাকৃত” একসময় এই ভাষাটি বিকৃতি হয়ে যায়। ভাষা যখন ব্যর্থ হয় তখন সেটাকে বলা হয় “অপভ্রংশ”। এই বিকৃতি ভাষা থেকে সরাসরি একটি ভাষার উৎপন্ন হয় “বঙ্গকামরূপী”। “বঙ্গকামরূপী” যেটি “অপভ্রংশের” একটি রূপ। এখান থেকে সরাসরি কিছু ভাষা তৈরি হয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাংলা, এরমধ্যে আবার আছে অসমীয়া যেটা বর্তমানে আসামের ভাষা, আরো আছে উড়িয়া ভাষা যেটা উড়িষ্যাতে কথা বলা হয়।

বাংলা ভাষার ইতিহাস

বাংলা ভাষায় বিভিন্নতা:

বাংলা ভাষার দুটি দিক বর্তমান।একটি হলো সাধুভাষা এবং অপরটি হলো চলিত ভাষা। বাংলা সাহিত্যের আদিযুগ থেকে সাধু ভাষা বাংলা ভাষায় প্রচলিত।

কাব্যে এবং সাহিত্যে লেখক এবং কবিরা এই ভাষাই প্রয়োগ করে থাকতেন।উনবিংশ শতাব্দী থেকে এই সাধু ভাষা কাব্য ছাড়াও সাধারন যোগাযোগের এবং ব্যবসা বাণিজ্যের মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহার হতে শুরু করে।বক্তৃতার ক্ষেত্রে এই ভাষার প্রয়োগ ঘটলেও সাধারণ নিত্যদিনের কথাবার্তা সাধু ভাষায় কখনোই হতো না। ভাগিরথী নদীর পাড়ের বিভিন্ন অঞ্চল এবং কোলকাতাতে প্রথম প্রচলিত হয় চলিত ভাষা।বিংশ শতাব্দী থেকে এই ভাষার প্রভাব বাংলা সাহিত্যতেও পড়তে শুরু করে।

?? গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন ??

একবিংশ শতাব্দী থেকে বাংলা ভাষার এই ধরন বাংলা সাহিত্যের মূল প্রবাহে চলে আসে।বর্তমানে যেমন চলিত বাংলা ভাষায় আমাদের কথোপকথন করি সেইরকমই সাহিত্যের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয় সেই একই ভাষা।সাধুভাষার অলঙ্কারগুলোই আরও সোজা হয়ে চলে এসেছে চলিত ভাষায়।যদিও এই দুই ভাষার প্রকারের শব্দভান্ডারের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক।

যদিও বাঙালীদের সামাজিক অবস্থান, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ধর্ম-এর ওপর ভিত্তি করে বাংলা ভাষার প্রকারে বিভিন্নতা দেখা যায়।সবচেয়ে বেশী বাংলা ভাষার বিভিন্নতা চোখে পড়ে আঞ্চলিক দিক থেকে।এই বিভিন্নতা যেমন ভারতের বাঙালীদের ভাষায় দেখা যায় সেইরকমই বাংলাদেশের বাঙালীদের ভাষাতেও চোখে পড়ে।বাংলাদেশের মুখ্য ভাষা হলো বাংলা।তবে বিভিন্ন অঞ্চলের বাংলা উচ্চারণ এখানে ভিন্ন রকমের হয়।

লিখিত বাংলা ভাষাঃ

বাংলা লিখিত ভাষার উৎপত্তি ভারতের সবচেয়ে পুরোনো দুটি লিপির মধ্যে একটি লিপি থেকে।সেই লিপির নাম হলো ব্রাক্ষ্মী।

শোনা যায় ওড়িয়া, অসমিয়া এবং বাংলা ভাষা একই উৎস থেকে এসেছে।পরবর্তীকালে প্রথমে ওড়িয়া এবং পরে অসমিয়া আলাদা হয়ে গেছে এই উৎস থেকে।এই কারণেই বাংলা ভাষা সাহিত্যের সবচেয়ে পুরনো নিদর্শন ‘চর্যাপদ’কে অসমিয়া এবং ওড়িয়া ভাষা সাহিত্যেরও উৎস বলে মনে করা হয়।

বাংলা ভাষা সাহিত্যের দুই দ্বিগজ সুনিতি কুমার চ্যাটার্জী এবং সুকুমার সেন জানান যে বাংলা ভাষার উৎপত্তির সময় দশম শতাব্দীর আশেপাশে এবং এই ভাষা মাগধী প্রাকৃত থেকে সৃষ্ট হয়ে মাগধী অপভ্রংশের মাধ্যমে এখন বর্তমানের বাংলা ভাষায় পরিণত হয়েছে।যদিও এই মতামতের দ্বিমত প্রকাশ করেছেন অনেক বাংলা সাহিত্যের পন্ডিত। যদিও বাংলা ভাষা ইন্দো-ইওরিপিয়ান ভাষার অংশ থেকে উৎপত্তি ঘটেছে তবুও এই ভাষার মধ্যে দক্ষিন-এশিয়ার অন্যান্য ভাষার প্রভাবও লক্ষ্য করা যায়।বাংলা ভাষার ইতিহাস

১৯৬০ এবং ৭০-এর দশকে সুনিতি কুমার চ্যাটার্জী বাংলা ভাষার অভিধান পরীক্ষা করে দেখেন এবং তিনি দেখতে পান বাংলা ভাষার বেশীর ভাগ ভাষা আসলে সংস্কৃত ভাষার অপভ্রংশ এবং বাকী শব্দ এসেছে কোনো না কোনো বিদেশী ভাষার প্রভাবে।বাংলা ভাষায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে পার্সি ভাষারও প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। বর্তমানে বাংলা ভাষায় মিশেছে অনেক পরিমানে বিদেশী ভাষার বেনো জল।প্রচলিত বাংলা ভাষায় এখন প্রচুর পরিমানে বিদেশী ভাষার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

বাংলা ভাষার জননী কে?

ভাষা নদীস্রোতের মতই চিরপ্রবহমান। এর গতিপথে যেমন ভিন্ন ভাষার্রোত এসে এর সঙ্গে উপনদীর মতাে মিশ্রিত হয় তেমনি ভিন্নতর শাখারূপেও এর অনেক শ্রােতােধারারও সৃষ্টি হয়ে থাকে।

কখনাে বা নদীতে বাঁধ বেঁধে তার কিছু জলকে হ্রদের মতাে আবদ্ধ করে রাখা হয়, কিন্তু কোন বিপর্যয় না ঘটলে নদীর মূল ধারা শুধু এগিয়েই চলে-এর গতিপথ সরল না হতে পারে, কোথাও বাঁক ফিরতে পারে, অঞ্চল বিশেষে এই স্রোতােধারা ভিন্ন নামেও পরিচিত হতে পারে, কিন্তু মূল নদীটি অখণ্ডপ্রবাহে বয়ে চলতে থাকে যেখানে সে বাঁক ফিরেছে সেখানে ভিন্ন নামে পরিচিত হালেও ধারাটি কিন্তু অবিচ্ছিন্ন প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা তাই অবিচ্ছিন্ন প্রবাহে মধ্য ভারতীয় আর্যভাষায় যখন রূপান্তরিত হলাে, কালের বিচারে সে সময়টা আনুঃ খ্রীঃ পূঃ যষ্ঠশতক নামের বিচারে তাকে বলা হয় ‘প্রাকৃত’। এই মধ্য ভারতীয় আর্যভাষাও সুদীর্ঘকালে বিবর্তিত হতে হতে প্রায় দেড় হাজার পর বাঙলা নব্য ভারতীয় ভাষায় পরিণতি লাভ করে।

ইসরায়েলের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্থারিত যেনে নিন।

খ্রীঃ পূঃ পঞ্চদশ শতক থেকে খ্রীঃ পূঃ ষষ্ঠ শতক—এই সহস্রাব্দকাল বিস্তৃত প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা কালে প্রাকৃত তথা মধ্য ভারতীয় আর্যভাষার রূপান্তরিত হবার পর তার স্থিতিকাল ছিল আরাে অন্ততঃ দেড় হাজার বছর। এই সুদীর্ঘ কালের ব্যবধানে ভাষাদেহে অনেক নতুন লক্ষণ প্রকটিত হওয়াতে ‘প্রাকৃত’ তথা ‘মধ্যভারতীয় আর্যভাষা’ (Middle Indo Aryan, M.I.A) অন্ততঃ তিনটি স্তরে বিবর্তিত হয়েছিল বলা যেতে পারে।

খ্রীঃ পূঃ ষষ্ট শতক থেকে খ্রীঃপূঃ দ্বিতীয় শতক পর্যন্ত ‘আদিস্তর’, খ্রীঃ পূঃ দ্বিতীয় শতক থেকে খ্রীষ্টোত্তর দ্বিতীয় শতক পর্যন্ত ‘ক্রান্তিকাল’ খ্রীঃ দ্বিতীয় শতক থেকে খ্রীঃ ষষ্ঠ শতক পর্যন্ত ‘মধ্যস্তর’ এবং খ্রীঃ ষষ্ঠ শতক থেকে খ্রীঃ দশম শতক পর্যন্ত ‘অন্ত্যস্তর’।

প্রাকৃতের আদিস্তরে ভাষার নিদর্শন পাওয়া যায় ‘পালিভাষা’য় রচিত বৌদ্ধদের বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ ও কাহিনীতে এবং অশােকেরও সমসাময়িক কালে রচিত শিলালিপিতে।

অশােকের সমকালেই যে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাকৃতের বিভিন্ন আঞ্চলিক রূপ দাঁড়িয়ে গিয়েছিল, তার প্রমাণ পাওয়া যায় তৎকালীন শিলালিপিগুলির ভাষা-বিচারে। উত্তরপ্রদেশের যােগীমারা গুহায় ‘শুতনুকা’ (সুতনুকা) নামে যে শিলালিপিটি আবিষ্কৃত হয়েছে, তার ভাষাকে বলা হয়েছে ‘পূর্বীপ্রাচ্যপ্রাকৃত’। এই ‘সুতনুকা’ লিপির ‘প্রাচ্য প্রাকৃত’ থেকেই ব্রম-বিবর্তনে বাঙলা ভাষার উদ্ভব ঘটেছে এরূপ অনুমান করা হয়। এ ছাড়া অন্যান্য শিলালিপিতে অন্যান্য অঞ্চলের ভাষারূপ বিধৃত হয়েছে। তাদের ‘উদীচ্যা-প্রাকৃত’ ‘প্রাচ্যা-প্রাকৃত’, নামে অভিহিত করা হয়।

আদিস্তরের প্রাকৃতের বিবর্তিত রূপের পরিচয় পাই মধ্যস্তরের প্রাকৃত। মধ্যস্তরের প্রাকৃতের বিশেষ পরিচয় পাওয়া যায় সংস্কৃত ভাষার রচিত বিভিন্ন নাটকে এবং প্রাকৃত কাব্য-মহাকাব্যে।

তালেবানের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্থারিত

সংস্কৃত নাটকের মহিলা চরিত্রের এবং অশিক্ষিত পুরুষ চরিত্রের মুখে বিভিন্ন প্রাকৃত ব্যবহার করা হয়েছে। সাধারণভাবে মধ্যস্তরের এই প্রাকৃত ভাষাকে বলা হয় ‘সাহিত্যিক প্রাকৃত’। নাটকে ব্যবহৃত প্রাকৃতগুলির মধ্যে রয়েছে—নারীমুখের ভাষায় ‘শৌরসেনী প্রাকৃত’ গীতের ভাষায় ব্যবহৃত ‘মহারাষ্ট্রী প্রাকৃত’ এবং অশিক্ষিত পুরুষের মুখে মাগধী প্রাকৃত। মহারাষ্ট্রী প্রাকৃতে স্বাধীনভাবে কাব্য-মহাকাব্যদি রচিত হলেও কোন সাহিত্য পাওয়া যায়না। জৈনধর্মাবলম্বীগণ ‘অর্ধমাগধী’ প্রাকৃতে তাঁদের বহু শাস্ত্রগ্রন্থাদি রচনা করে গেছেন।

পৈশাচী প্রাকৃতে গুণাঢ্য ‘বড্ডাকহা’ (বৃহৎকথা) নামে এক অতি বৃহৎ কাহিনী সংকলন রচনা করেছিলেন বলে জানা যায় কিন্তু গ্রন্থটি পাওয়া যায়নি। এই মধ্যস্তরের প্রাকৃতই আবার ক্রমবিবর্তিত হয়ে অন্ত্যস্তরে পরিণতি হয়েছে। এই মধ্যস্তরের মাগধী প্রাকৃত আদি স্তরের পূর্বী প্রাচ্যার প্রত্যক্ষ বংশধর, এই ভাষা থেকে অথবা সমকালের বৈয়াকরণ-কথিত ‘গৌড়ী প্রকৃত’ থেকে ক্রমবিবর্তনে বাঙলা ভাষার উদ্ভব।

অন্ত্যস্তরের প্রাকৃতের সাধারণ প্রচলিত নাম ‘অপভ্রংশ’ এবং ‘অপভ্রংশে’র অর্বাচীন রূপকে বলা হয় ‘অবহটঠ’ (অপভ্রষ্ট)। তাত্ত্বিক দিকে থেকে প্রতিটি প্রাকৃতেরই অপভ্রংশ রূপ স্বীকার করা হয় বলে ‘শৌরসেনী অপভ্রংশ’ ও ‘মাগধী অপভ্রংশের’ কথা বলা হয় কিন্তু কার্যতঃ শৌরসেনী ছাড়া অপর কোন অপভ্রংশ বা অবহটঠ ভাষার নিদর্শন বাস্তবে পাওয়া যায় না।

বাংলা ভাষার ইতিহাস

শৌরসেনী অবহটঠ একসময় সমগ্র উত্তর ভারতে শিষ্টজনসম্মত সাহিত্যের ভাষারূপে প্রচলিত ছিল। এই অবহটঠভাষা থেকেই আনুমানিক খ্রীঃ দশম শতকের দিকে নব্য ভারতীয় আর্যভাষাসমূহের উদ্ভব ঘটে। অপর একটি অনুমান, বৈয়াকরণগণ বলেন, ঐ সময় ‘দেশী’ নামে একটি জনপদ ভাষা ছিল, সম্ভবত, এটি গৌড়ী অপভ্রংশ অথবা অর্বাচীন গৌড়ী প্রাকৃত-যা থেকে সরাসরি বাঙলা ভাষার উদ্ভব ঘটা সম্ভব।

রক্তাক্ত কারবালার ইতিহাস

আচার্য সুকুমার সেন বলেন, “নব্য ভারতীয় আর্যের উদ্ভবের সময় ভাষাগুলির মধ্যে যে সাধারণ লক্ষণ ছিল সেইগুলির প্রতি লক্ষ রাখিয়া এই সময়ের ভাষাগুচ্ছকে একটি বিশিষ্ট ভাষার সন্তান বলিয়া গণ্য করিতে হয়, ভাষাতত্ত্বের দিক দিয়া আলােচনার সুবিধার জন্য এই কাল্পনিক ধাত্রী ভাষাটিকে বলা হইল প্রত্ব নব্য ভারতীয় আর্য (Proto-New Indo-Aryan)। অপভ্রষ্টের দ্বিতীয় বা শেষ স্তর হইল এই প্রত্ন নব্য ভারতীয়”।

বাংলা ভাষার ইতিহাসে বিভিন্ন যুগের সময়সীমা:

১।প্রাচীন যুগ:

বাংলা ভাষার ইতিহাসের প্রাচীন যুগের সময়সীমা ৯০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৩৫০ খ্রিস্টাব্দ। এর মধ্যে ১২০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৩৫০ খ্রিস্টাব্দ—এই কালপর্বটিকে অন্ধকার যুগ’ বা ‘ক্রান্তিকাল’ নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে। কারণ, তুর্কি আক্রমণের ফলে এই পর্বের ভাষাগত কোনাে নিদর্শন আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। প্রাচীন যুগের একজন উল্লেখযােগ্য কবি হলেন লুই পাদ। তিনি এই যুগের একমাত্র সাহিত্য-নিদর্শন চর্যাপদের অন্যতম কবি।

২।মধ্য যুগ:

মধ্য যুগের সময়সীমা ১৩৫১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ। ১৩৫১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৫০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত আদি মধ্য যুগ এবং ১৫০১ থেকে ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত অন্ত্য-মধ্য যুগ। আদি মধ্য যুগের একজন উল্লেখযােগ্য কবি হলেন বড়ু চণ্ডীদাস এবং অন্ত্য-মধ্য যুগের উল্লেখযােগ্য কবি হলেন ভারতচন্দ্র রায়।

৩।আধুনিক যুগ:

বাংলা ভাষার ইতিহাসে আধুনিক যুগের ব্যাপ্তি ১৮০১ থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত। এই যুগের অসংখ্য উল্লেখযােগ্য কবি/লেখকের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযােগ্য অবশ্যই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

মধ্যযুগের বাংলা ভাষার চারটি ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য হল:

১।রা-বিভক্তির ব্যবহার:

আদি-মধ্য যুগের বাংলায় (শ্রীকৃষ্ণকীর্তন) কেবল সর্বনামের কর্তৃকারকের বহুবচনে ‘রা’-বিভক্তির প্রচলন (আমরা, তােমরা) ছিল। কিন্তু অন্ত্য মধ্য যুগের বাংলায় বিশেষ্য বা নামপদের কর্তৃকারকের বহুবচনে রা-বিভক্তি (পশুরা, প্রজারা) যুক্ত হতে শুরু করে।

২।মহাপ্রাণ বর্ণ

আদিমধ্য যুগের বাংলায় মহাপ্রাণ বর্ণের প্রাচুর্য (আত্মি, কাহ্ন, যেহ্ন) থাকলেও পরবর্তীকালে তা লােপ (যেমন, আত্মি > আমি, কাহ্ন > কানু) পায়।

৩।বহুবচনাত্মক নির্দেশক বিভক্তির ব্যবহার:

গুলি, গুলা, দিগ, দিগের ইত্যাদি বহুবচনাত্মক নির্দেশক বিভক্তিগুলি আদি-মধ্য বাংলায় অনুপস্থিত থাকলেও পরবর্তীকালে ব্যবহৃত (যেমন, কতগুলা) হয়।

৪।পয়ার ছন্দের প্রতিষ্ঠা:

চোদ্দো মাত্রার (৮+৬) বাংলা পয়ার ছন্দের পূর্ণ প্রতিষ্ঠা ঘটে মধ্যযুগের বাংলা ভাষায়। যেমন-

দেখিল পাকিল বেল /গাছের উপরে।

আর তিল কাক তাক / ভঁখিতে না পারে।।

মধ্যযুগের বাংলা ভাষায় রচিত দুটি গ্রন্থের নাম হল

‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ ও ‘শ্রীরাম পাঁচালি’।

ভাষা আন্দোলনঃ বাংলা ভাষার ইতিহাস

বাংলাদেশে বাংলা ভাষা আন্দোলনঃ

১৯৫১–৫২ সালে পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি জনগণের প্রবল ভাষা সচেতনতার ফলস্বরূপ বাংলা ভাষা আন্দোলন নামক একটি ভাষা আন্দোলন গড়ে ওঠে। এই আন্দোলনে পাকিস্তান সরকারের নিকট বাংলা ভাষার সরকারি স্বীকৃতি দাবি করা হয়।বাংলা ভাষার ইতিহাস

১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বহু ছাত্র ও রাজনৈতিক কর্মী নিহত হন। বাংলাদেশে প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন দিবস পালিত হয়। ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই নভেম্বর ইউনেস্কো এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা প্রদান করে।

 ভারতে বাংলা ভাষা আন্দোলন:

বাংলাদেশ ছাড়াও ১৯৫০-এর দশকে ভারতের বিহার রাজ্যের মানভূম জেলায় বাংলা ভাষা আন্দোলন ঘটে। ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দের ভারতের অসম রাজ্যের বরাক উপত্যকায় একইরকম ভাবে বাংলা ভাষা আন্দোলন সংঘ ভাষা বঙ্গ অঞ্চলের বাঙালি অধিবাসীর মাতৃভাষা। স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ এবং ভারতের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা নিয়ে এই অঞ্চল গঠিত। এছাড়া ভারতের অসম রাজ্যের দক্ষিণাংশেও এই ভাষা বহুল প্রচলিত। ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অধিকাংশ অধিবাসী বাংলা ভাষায় কথা বলে থাকেন।

বাংলা ভাষার উপভাষাঃ

কথ্য বাংলাতে আঞ্চলিক প্রকরণ একটি উপভাষার ধারাবাহিকতা গঠন করে। ভাষাতত্ত্ববিদ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এই উপভাষাগুলি চারটি বৃহৎ ভাগে বিভক্ত করেছেন – রাঢ়ী, বঙ্গ, কামরূপী উপভাষা এবং বরেন্দ্র।

তবে অনেক বিকল্প শ্রেণীকরণ প্রকল্পও প্রস্তাব করা হয়েছে।দক্ষিণ-পশ্চিমা উপভাষাগুলি (রাঢ়ী বা নদীয়া উপভাষা) আধুনিক মান্য ভাষাগত বাঙালির ভিত্তি তৈরি করে। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের বেশিরভাগ উপাখ্যানগুলিতে (বাংলাদেশের বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা এবং সিলেট বিভাগ), পশ্চিমবঙ্গে শোনা অনেক যতি ও সুস্পষ্ট ব্যঞ্জনধ্বনিকে উষ্ম ব্যঞ্জনধ্বনি হিসাবে উচ্চারণ করা হয়।

আদিম যুগের মানুষের ইতিহাস

বাংলার কিছু উপভাষা বিশেষত চট্টগ্রাম এবং চাকমা ভাষার সুর রয়েছে বৈপরীত্য ; বক্তার কণ্ঠের উচ্চারণের তীক্ষ্মতা শব্দগুলোকে পৃথক করতে পারে। রংপুরী, খারিয়া থাট এবং মাল পাহাড়িয়া ভাষা পশ্চিমাঞ্চলীয় বাংলা উপভাষার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ হলেও সাধারণভাবে তাদেরকে স্বতন্ত্র ভাষা হিসেবে শ্রেণীকরণ করা হয়। উত্তরাঞ্চলীয় বাংলা উপভাষার সঙ্গে সাদৃশ্য থাকা সত্ত্বেও হাজং কে স্বতন্ত্র ভাষা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

উনবিংশ শতাব্দী এবং বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে বাংলা ভাষার প্রমিতীকরণের সময় ব্রিটিশ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কলকাতা ছিল বঙ্গভূমির সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। বাংলাদেশের সীমানার পাশে অবস্থিত নদীয়া জেলার পশ্চিম-মধ্য উপভাষার উপর ভিত্তি করে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে বর্তমান প্রমিত রূপটি গৃহীত হয়েছে।

মাতৃভাষা বাংলা হওয়া সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের একজন বক্তা আদর্শ বাংলায় যে শব্দ ব্যবহার করবেন তা বাংলাদেশের একজন বক্তা ব্যবহার নাও করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ পশ্চিমাঞ্চলে ব্যবহৃত নুন শব্দটির পরিবর্তে পশ্চিমপ্রান্তে লবণ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।

বেশিরভাগ লেখা প্রমিত বাংলায়  থাকলেও কথ্য উপভাষাগুলি বৈচিত্র‍্য প্রদর্শন করে। কলকাতা সহ দক্ষিণ-পূর্ব পশ্চিমবঙ্গের লোকেরা এসসিবিতে কথা বলে॥ প্রমিত চলিত থেকে কিছুটা স্বল্প পরিবর্তনের সাথে সাথে অন্যান্য উপভাষাগুলি পশ্চিমবঙ্গ এবং পশ্চিম বাংলাদেশের অন্যান্য অংশে যেমন মেদিনীপুরের উপভাষায় কিছু নিজস্ব শব্দ রয়েছে।বাংলা ভাষার ইতিহাস

তবে, বাংলাদেশের বেশিরভাগ লোক উপভাষায় কথা বলেন, এসসিবি থেকে আলাদা কিছু উপভাষা বিশেষত চট্টগ্রাম অঞ্চলের লোকেরা প্রমিত চলিতরূপেই লেখেন চট্টগ্রাম অঞ্চলে উপভাষাটি সাধারণ বাঙালী জনসাধারণের কাছে সহজে বোধগম্য হয় না।

হিন্দুরা সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত শব্দ এবং মুসলমানরা দেশীয় শব্দের পাশাপাশি ফারসি এবং আরবি ভাষার শব্দ ব্যবহার করার সম্ভাবনা বেশি।

বাংলা ভাষার উৎপত্তি সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর:

১।প্রশ্ন: বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয়েছে কোন ভাষা বংশ থেকে?

উত্তর: বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয়েছে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশ থেকে।

২।প্রশ্ন: বাংলা ভাষা কোন শাখা থেকে এসেছে?

উত্তর: বাংলা ভাষা শতম শাখা থেকে এসেছে।

৩।প্রশ্ন: বাংলা ভাষা শতম শাখার কোন ভাষা থেকে এসেছে?

উত্তর: বাংলা ভাষা শতম শাখার ভারতীয় ভাষা থেকে এসেছে।

৪।প্রশ্ন: বাংলা ভাষা মূলত কোন ভাষা থেকে এসেছে?

উত্তর: বাংলা ভাষা মূলত প্রাকৃত ভাষা থেকে এসেছে

৫।প্রশ্ন: বাংলা ভাষা প্রাকৃত ভাষার কি থেকে এসেছে?

উত্তর: সুনীতিকুমারের মতে মাগধী প্রাকৃত থেকে এবং শহীদুল্লাহর মতে গৌড়ীয় প্রাকৃত থেকে।

৬।প্রশ্ন: বাংলা ভাষা অপভ্রংশের কোন ভাষা থেকে এসেছে?

উত্তর: বাংলা ভাষা সরাসরি অপভ্রংশের কামরূপী ভাষা থেকে এসেছে।

আরও পড়ুন-

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস

বঙ্গবন্ধুর জীবনী ইতিহাস- বঙ্গবন্ধু কে ছিলেন? কোথাই থেকে এসেছেন? কেমন ছিলেন?

ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারণা থাকা প্রতিটি বাঙ্গালির জন্য কর্তব্য

ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে আপনার জানা এবং অজানা সকল তথ্য যেনে নিন

মিয়া খলিফা সম্পর্কে  অজানা সকল তথ্য যেনে নিন

কেন অর্থ বুঝে নামাজ পড়া উচিৎ: পড়ুন

আত্মীয়তার সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ – জানুন

সালাম দিলে কি আপনি লাভবান হবেন? জানুন

বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা

SS IT BARI– ভালোবাসার টেক ব্লগের যেকোন ধরনের তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের মেইল টি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 505 other subscribers

 

প্রতিদিন আপডেট পেতে আমাদের নিচের দেয়া এই লিংক এ যুক্ত থাকুন

SS IT BARI- ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন

SS IT BARI- ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
SS IT BARI- ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এএখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
SS IT BARI-সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে

{
“@context”: “https://schema.org”,
“@type”: “FAQPage”,
“mainEntity”: [{
“@type”: “Question”,
“name”: “বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয়েছে কোন ভাষা বংশ থেকে?”,
“acceptedAnswer”: {
“@type”: “Answer”,
“text”: “বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয়েছে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশ থেকে।”
}
},{
“@type”: “Question”,
“name”: “বাংলা ভাষা কোন শাখা থেকে এসেছে?”,
“acceptedAnswer”: {
“@type”: “Answer”,
“text”: “বাংলা ভাষা শতম শাখা থেকে এসেছে।”
}
}]
}

Leave a Comment