ফেবরিক কি কত প্রকার ও কি কি-টেক্সটাইল ফেব্রিক কি ও এর প্রকারভেদ

ফেবরিক কি কত প্রকার কি কিটেক্সটাইল ফেব্রিক এমন একটি পণ্য যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রয়োজন হয় আমরা প্রতিনিয়ত বা প্রতিদিন প্রতিটি কাজের সাথেই ফেব্রিকের সঙ্গে জড়িয়ে থাকি আপনি যদি ঘুমাতে যান সেখানে বেডকাভারের জন্য ও বালিশের কাভার এর জন্য প্রয়োজন হয় ফেব্রিক আপনি শরীর পরিষ্কার করার জন্য যে কাপড়টি পরিধান করবেন সেটাও ফেব্রিকের দিয়ে তৈরি। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আপনি সেই পোশাকটি পড়বেন সেটা ফেব্রিকের তৈরি।

ফেবরিক কি কত প্রকার ও কি কি

ফেব্রিক এর ব্যবহার কোথাও নেই এটা কল্পনাও করা যায় না। বর্তমানে টেক্সটাইল শিল্পে নতুন নতুন প্রযুক্তির কারণে ফেব্রিকের বহুবিধ ব্যবহার ও প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।যেহেতু টেক্সটাইল ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয় কাজে ফেব্রিক হচ্ছে টেক্সটাইলের একটি অংশ মাত্র ফেব্রিক রেডিমেড গার্মেন্টস এর একটি মৌলিক উপাদান এটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির প্রধান একটি কাঁচামাল।

গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজ আমরা ফেব্রিক কত প্রকার ফেব্রিক কি এই সম্পর্কে এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা যারা এই প্রশ্নের কাঙ্ক্ষিত উত্তরটি জানতে চান তারা অবশ্যই আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটু মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আর অবশ্যই এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনি খুব সহজেই পেয়ে যাবেন এবং বুঝতে পারবেন।

ফেব্রিক কি

Taxtile কথাটি ফ্রেঞ্চ শব্দটি Texere হতে আবির্ভাব হয়েছে যার অর্থ to weave বুনা বা বয়ান করা। আর Fabric শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে ফ্রেঞ্চ শব্দ fabrique থেকে যার অর্থ কিছু তৈরি করা।ফেব্রিক শব্দটি এক ধরনের জাতি বাচক অর্থে প্রকাশিত হয় যা বিভিন্ন প্রকারের পোশাক তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয় বর্তমানে যেহেতু টেক্সটাইল ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয় কাজেই ফেব্রিক হচ্ছে টেক্সটাইল এর একটি অংশ মাত্র ফেব্রিক রেডিমেড গার্মেন্টস এর একটি মৌলিক উপাদান কারণ এটি হলো গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির প্রধান কাঁচামাল।

টেক্সটাইল উইভিং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা

সাধারণত ফেব্রিক শব্দের অর্থ হলো বস্ত্র কাঠামো ও কারিগরি ফেব্রিক ইয়ার্ন থেকে ওয়েভিং মিটিং মেল্টিং  ও ফেল্টিং প্রভৃতি পদ্ধতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়ে থাকে। তবে ফেব্রিক উৎপাদন উইভিং নিটিং উভয় পদ্ধতি সর্বাধিক জনপ্রিয় হিসেবে গণ্য করা হয়।

ফেব্রিক দিয়ে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে তৈরি করা হয় বিভিন্ন মানের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের পোশাক। এছাড়া অনেক মানুষ রয়েছে যারা বাজারথেকে রেডিমেড পোশাক না কিনে বাজার ফেব্রিক কিনে টেইলার্সের কাছ থেকে বানিয়ে নেয় আশঁকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে সুতা তৈরি করা হয় সুতাকে বয়ান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টানা ও পড়েন সুতার পরস্পর বন্ধনী দিয়ে লোকের সাহায্যে এবং আশঁকে জমাট বাঁধিয়ে ফেব্রিক উৎপন্ন করা হয়।

ফেব্রিক তৈরির প্রক্রিয়া

ফেব্রিক ইয়ার্ন থেকে উইভিং নেটিং ফেল্টিং প্রভৃতি পদ্ধতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়। ফেব্রিক উৎপাদনে উইভিং এবং নেটিং উভয় পদ্ধতি সর্বাধিক জনপ্রিয় হিসেবে গণ্য করা হয়। এসব প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত ফেব্রিক হচ্ছে গ্রে ফেব্রিক যা সাদা রঙের হয়ে থাকে।

এ গ্রে ফেব্রিক ডাইং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রং করা হয়। পরবর্তীতে প্রিন্টিং এর মাধ্যমে ফেব্রিক এর নির্দিষ্ট স্থানে ডিজাইন করা হয়।পরিশেষে কাপড়টিকে ফিনিশিং প্রক্রিয়ায় ভালোভাবে শুকিয়ে নিয়ে ফিনিশড প্রোডাক্ট হিসেবে বাজারজিত করা হয়।

ফেব্রিক এর প্রকারভেদ

ফেব্রিক সাধারণত দুটি ভিত্তি বিবেচনা করে শ্রেণীবিন্যাস করা হয়।

একটি হল ফেব্রিক তৈরির কৌশল এবং অপরটি হল ফেব্রিক তৈরির উৎস।

উৎসের উপর ভিত্তি করে ফেব্রিকের প্রকারভেদ

ফেব্রিক তৈরির কাঁচামাল বলতে ফাইবার কিংবা আঁশকে বোঝায় আর এই ফাইবার যে সকল উৎস থেকে পাওয়া যায় তার ওপর ভিত্তি করেই ফেব্রিক কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

১. প্রাকৃতিক ফাইবার

২. কৃত্রিম ফাইবার

১. প্রাকৃতিক ফাইবার

প্রাকৃতিক ফাইবার উদ্ভিদ ও প্রাণিজ উৎস থেকে পাওয়া যায়।যেমন: কটন সিল্ক লিনের ইত্যাদি।

২. কৃত্রিম ফাইবার

পলিস্টার জাতীয় কাপড় বা ফেব্রিক কৃত্রিম ফাইবার দিয়ে তৈরি করা হয়।

কৌশল এর উপর ভিত্তি করে ফেব্রিকের প্রকারভেদ

কৌশলের ওপর ভিত্তি করে ফেব্রিক এর নিম্নক্ত ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন:

১. ওভেন ফেব্রিক

২. নিটেড ফেব্রিক

৩. ব্র্যাইডেড ফেব্রিক

৪. নন ওভেন ফেব্রিক

কয়েকটি ওভেন ফেব্রিক্স

*পপলিন

*টুইল

*ভয়েল

*সাটিন

*ক্যানভাস

*ফ্লানেল

নিট ফেব্রিক্সের কতগুলো নাম

*সিঙ্গেল জার্সি

*অলওভার প্রিন্ট

* ইয়ার্ন ডাইড

*গ্রে মিলাঙ্গে সিঙ্গেল জার্সি *টেরি জার্সি‌

*ফ্লিস ওয়ান সাইড ব্রাশ

*রীব

*পিক বা ল্যাকাউস্ট

*লিক্রা সিঙ্গেল জার্সি

*লিকরা রিব

*পোলার ফ্লীস

*মেশ ফেব্রিক্স

*ইন্টারলক

*স্ল্যাব ফেব্রিক

*বার্ন আউট ফেব্রিক

গার্মেন্ট শিল্পে সাধারণত এই ধরনের ফেব্রিক্স ব্যবহার করা হয়।

ফেব্রিকের মূল প্রকারভেদ

ফেব্রিক কে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা হয়।যথা;

১. নিটেড ফেব্রিক

২. ওভেন ফেব্রিক

৩. নন ওভেন ফেব্রিক

নিটেড ফেব্রিক

নিডলের সাহায্যে ইয়ার্ন বা সুতা দ্বারা লুপ তৈরি করে লুপের ইন্টারমেশিং করার পর যে ফেব্রিক উৎপন্ন করা হয় তাকে নিটেড ফেব্রিক বলে।

ওভেন ফেব্রিক

টানা ও পড়েন সুতার পরস্পর বন্ধনীর মধ্য দিয়ে যে ফেব্রিক উৎপন্ন করা হয় তাকে ওভেন ফেব্রিক বলে।

নোন ওভেন ফেব্রিক

টেক্সটাইল ফাইবার যেমন: প্লাস্টিক ফিল্ম, ফোমস্তর, ধাতব ফায়েল ইত্যাদি রাসায়নিক বা যান্ত্রিক বন্ধ করে যে ফেব্রিক তৈরি করা হয় তাকে নন ওভেন ফেব্রিক বলে।

ফেব্রিক সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

*সমস্ত প্রকার ফেব্রিকের রো মেটেরিয়ালস হলো ফাইবার যা প্রাকৃতিগত ও কৃত্রিম উভয় উৎস থেকে সংগ্রহ করে ফেব্রিক তৈরি করা হয়। যেমন কটন ওল্ড পলিস্টার পাট লিনের ইত্যাদি জাতীয় ফাইবার।

*কাপড় উৎপাদনের সকল প্রকার প্রসেসিং বা প্রক্রিয়া যেমন স্পিনিং উইভিং নিটিং প্রিন্টিং ও ফিনিশিং।

*স্পিনিং ঐভিং নিটিং ও প্রিন্টিং এর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সকল প্রকার মেশিনারিজ।

*এক কথায় টেক্সটাইল ফাইবার থেকে এন্ড প্রডাক্টস পর্যন্ত যেমন রেডিমেড গার্মেন্টসের পণ্য।

বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস সেক্টর গুলোতে অনেক উন্নতি হয়েছে তাই বাজারে এত পরিমান ফেব্রিক্সের ছড়াছড়ি এখানে আসল কোনটা সেটা বুঝাটা অনেক কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই নকলের ভিড়ে অনেক সময় আসল ফেব্রিককে খুঁজে পাওয়া বেশ মুশকিল হয়ে যায় ফেব্রিকের বহুবিধ ব্যবহার ও প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে যেহেতু টেক্সটাইল ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয় কাজেই ফেব্রিক হচ্ছে টেক্সটাইলে একটি অংশ মাত্র।

প্রশ্ন: পলিস্টার জাতীয় ফেব্রিক কোন ফাইবার দিয়ে তৈরি করা হয়?

উত্তর: পলিস্টার জাতীয় ফেব্রিক কৃত্রিম ফাইবার দিয়ে তৈরি হয়।

প্রশ্ন: প্রাকৃতিক ফাইবার কোন উৎস থেকে পাওয়া যায়?

উত্তর: প্রাকৃতিক ফাইবারের উৎস হলো উদ্ভিদ ও প্রাণিজ উৎস। প্রাকৃতিক সাইবার দিয়ে তৈরি ফেব্রিক হল কটন সিল্ক ও লিলেন ইত্যাদি।

প্রশ্ন: ফেব্রিক অর্থ কি?

উত্তর:ফেব্রিক অর্থ হলো বস্ত্র কাঠামো কারিগরি ও অট্টালিকা ইত্যাদি।

শেষ কথা

বন্ধুরা আজকে ফেব্রিক কি কত প্রকার ও কি কি বিষয়ের উপর যেসব তথ্যাদি প্রদান করলাম তার ওপর কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাদের জানাবেন। আশা করছি আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়টি সম্পর্কে আপনারা সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছেন।

এছাড়াও আপনাদের বোঝার সমস্যা হলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করব আপনাদের কমেন্টের উত্তর দেওয়ার এবং আপনাদের সমস্যার সমাধান করার। আর নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে ভুলবেন ন।

আমরা সব সময় চেষ্টা করি আপনাদেরকে নতুন নতুন তথ্যবহুল কন্টেন্ট উপহার দেয়ার। আজকের মত এখানেই শেষ করছি। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

পোস্ট ট্যাগ-

ওভেন ফেব্রিক কত প্রকার,Fabric কত প্রকার ও কি কি,নিট ফেব্রিক কত প্রকার,গার্মেন্টস কত প্রকার,১০ ফেব্রিক নাম,হোল কত প্রকার ও কি কি,ফেব্রিক চেনার উপায়

আরো তথ্য-

গার্মেন্টস কোয়ালিটি পলিসি বা নীতিমালা

ফিনিশিং কোয়ালিটির কাজ

গার্মেন্টস বা যে কোন চাকরিতে প্রমোশনাল লেটার বা পদোন্নতির আবেদন পত্র

বাংলাদেশের কয়েকটি শীর্ষ স্থানীয় গার্মেন্টস কোম্পানির নাম

গার্মেন্টস কি কত প্রকার ও কি কি

কোন সেলাই মেশিনের কেমন দাম

রিজাইন লেটার বাংলা ও ইংলিশে

গার্মেন্টস কোয়ালিটি কন্ট্রোলার অফিসার

গার্মেন্টস লাইন কোয়ালিটির কাজ 

সুইং কোয়ালিটির কাজ কি

SS IT BARI– ভালোবাসার টেক ব্লগের যেকোন ধরনের তথ্য সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের মেইল টি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 505 other subscribers

প্রতিদিন আপডেট পেতে আমাদের নিচের দেয়া এই লিংক এ যুক্ত থাকুন

SS IT BARI- ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন

SS IT BARI- ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
SS IT BARI- ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে :এএখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে :এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
SS IT BARI-সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন :< strong>এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- টুইটার থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- লিংকদিন থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- ইনস্টাগ্রাম থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- টুম্বলার (Tumblr)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে :এখানে ক্লিক করুন।

SS IT BARI- পিন্টারেস্ট (Pinterest)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।

কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চাইলে সাথেই থকুন : এখানে ক্লিক করুন।