ফল গাছের পরিচর্যা –গাছ হলো শান্তির প্রতীক। গাছ ভালোবাসে না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। একটি শিশু যেমন যত্ন পরিচর্যায় বেড়ে ওঠে ঠিক তেমনি একটি গাছও ছোট থেকে পরিচর্যার উপর ভিত্তি করে বেড়ে ওঠে। এই ইট পাথরের নগরে উচু উঁচু দালান কোঠা থাকলেও গাছপালার উপস্থিতি খুবই কম।
তবে বর্তমানে অনেকেই বাড়ির ছাদে বিভিন্ন ধরনের ফুল ফল ও ঔষুধি গাছের চাষ করে থাকেন।বাংলাদেশেও বর্তমানে অনেক ধরনের ফলের চাষ করে অনেকেই লাভবান হচ্ছে। দেশি ফলের পাশাপাশি বিদেশি ফলগুলোতে ও লাভজনক ফলাফল দেখা যাচ্ছে। এর মূল কারণ হলো সঠিকভাবে গাছের পরিচর্যা।
গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন
গাছ মানুষের পরম বন্ধু। ফলের গাছ আমাদের ফল দেয় পাশাপাশি অক্সিজেন দেয় ছায়া দেয় যার কারণে ফলের গাছের পরিচর্যার করা খুবই দরকারি আজকে আমাদের আলোচনা মূলত এই ফলের গাছের পরিচর্যা নিয়েই।
জমি নির্বাচন
ফল গাছ স্থাপনের জন্য বন্যা মুক্ত পানি সেচ নিষ্কাশন সুবিধাজক্ত উচ্চ স্থান নির্বাচন করা প্রয়োজন। দোঁ-আশ ও বেলে দোঁ-আশ মাটি ফল চাষের জন্য বেশি উপযোগী। ফল গাছের চারা রোপনের আগেই গভীরভাবে চাষ করে মাটি উলটপালট করে মাটি আগাছা মুক্ত করে দশ বারো দিন রোদ খাওয়ালে মাটিতে অনেকটা রোগ জীবাণু ও পোকামাকড় কম হয়। অবশ্যই যে স্থানে ফল গাছ রোপন করা হবে সেখানে মাটির প্রকার মাটির পিএইচ এবং পানির স্তরের গভীরতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েই গাছ রোপন করা উচিত।
চারা/কলম সংগ্রহ
যে ফলের গাছ রোপন করা হবে তার জন্য নিজের তৈরি চারা/কলম অথবা বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান থেকে যারা কলম সংগ্রহ করতে হবে। কারণ ফলের গাছ স্থায়ী বৃক্ষ অনেক সময় দেখা যায় একটি ফলের গাছ ৫০ বছরের অধিক সময় স্থায়ী থাকে তাই অবশ্যই এর চারা সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে।
কোথাও বিনামূল্যে ফলের চারা পাওয়া গেলেও তা স্বাস্থ্যসম্মত বা ভালো কিনা তা না জেনে রোপন করা ঠিক না। ভালো জাতের চারা রোপন করলে ভালো জাতের ফল পাওয়া যাবে তাই অবশ্যই দেখে শুনে বুঝে ফল গাছের চারা রোপন করা উচিত।
রোপনের সময় ও পদ্ধতি
বছরের কোন সময়ে কোন ধরনের ফল গাছ রোপন করতে হবে কি ধরনের পরিচর্যা করতে হবে কতটুকু পানি দিতে হবেসে সম্পর্কে অবশ্যই কোন অভিজ্ঞ লোকের কাছে থেকে অবগত হওয়া উচিত। সাধারণত বর্ষার আগে বৈশাখ থেকে জৈষ্ঠ মাসে ফল গাছ লাগানো উত্তম। পানি ও সেচ-নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকলে সারা বছরই ফল গাছ লাগানো যায়। বিকেলে গাছ লাগানো বেশি ভালো।
পলি ব্যাগে চারা সংরক্ষিত থাকলে ছুড়ি বা ব্লেড দিয়ে সাবধানে তা অপসারিত করতে হবে যাতে শেকরসহ মাটির বলটি কোনোভাবেই ভেঙে না যায়। গাছ লাগানোর প্রথম পাঁচ সাত সপ্তাহ প্রতিদিন গাছের গোড়ায় এবং পাতায় পানি দিতে হয়। এবং তিন চার সপ্তাহ গাছ আধা ছায়ায় রাখা ভালো।
সার দেওয়া
গাছের ফল দান ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রতি বছর বৈশাখ মাসে এবং ভাদ্র মাসে গাছের সার প্রয়োগ করা উচিত। গাছের গোড়ার চারদিকের মাটি আলগা করে পরিমাণ মতো জৈব ও রাসায়নিক সার দেওয়া উচিত। গাছের গোড়ায় সার দেওয়ার সময় যদি মাটিতে রস কম থাকে তাহলে সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে পানি দেওয়া উচিত। সার দেয়ার পরিমাণ নির্ভর করে মাটির উর্বরা শক্তির ওপর।
উর্বর মাটিতে অপেক্ষাকৃত কম পরিমাণে সার লাগে কিন্তু অনর্বর মাটিতে বেশি পরিমাণে সার লাগে। গাছের ছোট বড় তারতম্যের উপর ভিত্তি করে সারের পরিমানের ভিন্নতা রয়েছে ছোট গাছে কম পরিমাণে সার প্রয়োজন হয় কিন্তু বড় গাছগুলোতে সারের পরিমাণ বেশি লাগে।
পানি সেচ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থা
সাধারণত পেঁপে আমড়া আনারস স্ট্রবেরি ড্রাগন ফল এসব গাছের গোড়ায় পানি জমলে গাছ মরে যায় তাই খেয়াল রাখতে হবে বর্ষাকালে যেন গাছের গোড়ায় পানি না জমে থাকে এজন্য নালা কেটে বাড়তি পানি বের হওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তবে শুকনো মৌসুমে ফল গাছের নিয়মিত পানি দেওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে তা না হলে গাছ সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারবে না অথবা মরেও যেতে পারে।
পোকামাকড় রোগবালাই দমন
ফল গাছে পোকামাকড় ও রোগ বালাই দমনে প্রয়োজনে সীমিত আকারে কীটনাশক ছত্রাকনাশক ব্যবহার করা উচিত। তবে এসব ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যাতে এইসব ফলমূল খেয়ে মানুষের শরীরের কোন ক্ষতি না হয়।
সাধারণত প্রাথমিক অবস্থায় ফল গাছের পোকা কম থাকে বলে তার সংগ্রহ করে মেরে ফেলাই উত্তম। পোকামাকড় আক্রান্ত পাতা বা ডাল কেটে পুড়িয়ে ফেলা উচিত। এছাড়াও ফল গাছের আশেপাশে ঝোপ জঙ্গল থেকে ফল গাছের পোকার সৃষ্টি হয় বা জন্ম হয় তাই এসব ঝোপ জঙ্গল পরিষ্কার করে রাখতে হবে।
সঠিক পরিচর্যা
গাছ লাগানোর শুরু থেকেই গাছের গোড়ায় গজানো অতিরিক্ত ডাল রুগ্ন দুর্বল ও ফলন্ত ডালপালা ছেটে পরিষ্কার করে দিতে হবে যাতে গাছে সব সময় আলো বাতাস চলাচল করতে পারে। গাছ সবসময় আগাছা মুক্ত করে রাখতে হবে। গাছে পানি দেওয়ার ফলে গুড়ার মাটির উপরিভাগ শক্ত হয়ে যায় এতে মাটির ভিতর বাতাস চলাচল ঠিকমতো করতে পারেনা গাছের শিকড় ছাড়তে পারে না এবং মাটির রস সংরক্ষণ করতে পারেনা যার কারনে গাছের গোড়ার চারদিকের মাটি আলগা করে রাখা প্রয়োজন।
ফল সংগ্রহ
কলম দেয়া গাছে সাধারণত অতি দ্রুত ফল ধরে। ২/১ বছরের মধ্যে ফল ধরলে গাছ দুর্বল হয়ে যায় তাই প্রথম অবস্থায় ফল ধরার সঙ্গে সঙ্গে এগুলো ভেঙে ফেলা উচিত। আবার কিছুটা বয়স্ক গেছে অনেক বেশি ফল ধরলে গাছ ঝুঁকে পরে ফল আকারে ছোট হয় এবং ডাল ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ফল ধরার সঙ্গে সঙ্গে আকারে ছোট ও দুর্বল ফলগুলো পেরে গাছ পাতলা করলে ফল আকারে বড় হয় এবং ডাল ভেঙে পড়ার ভয় থাকে না।
গাছ মানুষের পরম বন্ধু। গাছ নিঃস্বার্থভাবে মানুষের উপকার করে যায়। গাছ থেকে ফুল ফল মানুষ গ্রহণ করে অক্সিজেন গ্রহণ করে মানুষ বেঁচে থাকে। তাই অবশ্যই গাছকে ভালবাসতে হবে গাছের সঠিক পরিচর্যা করতে হবে। বিশেষ করে ফল গাছের পরিচর্যা করা জরুরী কারণ আমাদের দেহের ভিটামিন খনিজ সহ অনেক ধরনের পুষ্টি আমরা এই ফল থেকেই পেয়ে থাকি।
যারা আর্থিকভাবে অসচ্ছল অর্থ ব্যয় করার ক্ষমতা যাদের কম তাদের জন্য বেশি বেশি ফল গাছ রোপন করে তার পরিচর্যা করা জরুরি কারণ তাদের অর্থ নেই যা দিয়ে ফল ক্রয় করতে পারবে। তাই অবশ্যই গাছের পরিচর্যা করতে হবে।
ফল ঝরে যাওয়ার কারণ কি?
অতিরিক্ত তাপমাত্রা মাটির রস কমে যাওয়া খাদ্য ও হরমোনের অভাব পোকামাকড়ের সৃষ্টি অধিক মাত্রায় জলাশয় এ ধরনের কারণে আসলে গাছে ফল কম ধরে বা ঝরে যায়।
আপনার জন্য-
থ্যালাসেমিয়া রোগীর জন্য উপযোগী খাবার
সিজারিয়ান মায়ের খাদ্য তালিকা
সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাবার গ্রহণ
কিডনি পরিষ্কার রাখার ৯টি খাবার সম্পর্কে জেনে নেই
শীতে ত্বকের যত্ন নিন রুটিন মাফিক
শীতের মৌসুমে ত্বকের যত্ন নিতে মধু ব্যবহার করুন
শীতে ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন
SS IT BARI– ভালোবাসার টেক ব্লগের যেকোন ধরনের তথ্য সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের মেইল টি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।
সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!
”প্রতিদিন আপডেট পেতে আমাদের নিচের দেয়া এই লিংক এ যুক্ত থাকুন
SS IT BARI- ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
SS IT BARI- ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এখানে ক্লিক করুন।।
SS IT BARI- ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে :এএখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে :এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
SS IT BARI-সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন :এখানে ক্লিক করুন।।
SS IT BARI- টুইটার থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।।
SS IT BARI- লিংকদিন থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।।
SS IT BARI- ইনস্টাগ্রাম থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।।
SS IT BARI- টুম্বলার (Tumblr)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে :এখানে ক্লিক করুন।।
SS IT BARI- পিন্টারেস্ট (Pinterest)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।।
কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চাইলে এই ফেসবুক পেজটি লাইক করে সাথেই থকুন : এখানে ক্লিক করুন।।
SS IT BARI-ভালোবাসার টেক ব্লগ টিম