থাইরয়েড রোগীর খাবার তালিকা এবং থাইরয়েডে নিষিদ্ধ খাবার

থাইরয়েড রোগীর খাবার -থাইরয়েডের সমস্যা থাকলেও বেশিরভাগ মানুষ এটিকে গুরুত্ব দেয় না। তবে চিকিৎসকরা জানান ভিন্ন কথা। সময় মতো চিকিৎসা না করালে ধীরে ধীরে তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এ রোগে শুধু ওষুধ খেলেই হয় না যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টিকর খাবারও খেতে হয়।

অধিক পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ শিশুর  খাবার তালিকা

থাইরয়েড রোগীর খাবার তালিকা

থাইরয়েড গ্রন্থি সঠিকভাবে কাজ না করলে হরমোনাল গ্রন্থিগুলো এর দ্বারা প্রভাবিত হয়। কিন্তু এটা জানাও গুরুত্বপূর্ণ যে থাইরয়েড গ্রন্থির কাজ কম বেশি হলে তা আমাদের শরীরে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবফেলে।অনিয়ম জীবনযাপন ও খাদ্য-পান থাইরয়েডের সমস্যার কারণ হতে পারে।  আজ আপনাদের জানাবো  থাইরয়েড রোগীর খাবার তালিকা,  থাইরয়েডে নিষিদ্ধ খাবার সম্পর্কে।

থাইরয়েড রোগীর খাবার  তালিকা

থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে হরমোন প্রয়োজনের তুলনায় কম বের হলে বা ঘাটতি হলে হাইপোথাইরয়েডিজম হয়। দেহে থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি হলে হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া, চামড়া খসখসে হয়ে যাওয়া, মুখ ফুলে যাওয়া, কাজকর্মে ধীরগতি চলে আসা ইত্যাদি সমস্যা হয়। তবে কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি পূরণে কাজ করবে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপটেন হোম রেমিডি জানিয়েছে এসব খাবারের নাম।

১. নারকেল তেল

নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর মিডিয়াম চেইন ফ্যাটি এসিড। এটি থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। এটি থাইরয়েড হরমোনকে উদ্দীপ্ত করে; গ্রন্থির কার্যক্রমে ভালো করে। নারকেল তেলকে রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন চকলেট, স্মুদিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে প্রতিদিন তিন টেবিল চামচের বেশি নারকেল তেল খাবেন না।

২. দই

ভিটামিন-ডি থাকার কারণে দই থাইরয়েড স্বাস্থ্যের জন্য আরেকটি ভালো খাবার। ভিটামিন-ডি-এর ঘাটতিতে হাসহিমোটোস রোগ হয়। এটি হাইপোথাইরয়েডিজমের একটি বড় কারণ।

৩. স্যামন মাছ

স্যামন মাছ থাইরয়েড স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে বেশ ভালো খাবার। এর মধ্যে আছে প্রদাহরোধী উপাদান। আর ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকার কারণে স্যামন মাছ অনেক উপকারী।

৪. বাদামি ভাত

কার্বোহাইড্রেট সরাসরি থাইরয়েডের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলে। তাই স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট খাওয়া জরুরি। এ জন্য লাল চালের ভাত বা বাদামি ভাত খেতে পারেন। এটি হজমের সমস্যা সমাধান করবে। অনেক সময় থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি হলে হজমের সমস্যা হয়। তবে থাইরয়েড ওষুধ খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে এটি খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

৫. ডিম

ডিম তিনটি পুষ্টির খুব ভালো উৎস—টাইরোসিন, আয়োডিন ও সেলেনিয়াম। এগুলোর অভাবে থাইরয়েডে সমস্যা হয়। ডিম খেলে থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যক্রম ভালোভাবে হয়।

৬. গ্লুটেইন মুক্ত শস্য

গ্লুটেইন হল এক ধরনের প্রোটিন যা খাদ্যশস্যে থাকে। আটা বা ময়দা পানিতে গোলানোর পর যে আঠালো ভাব হয় তার প্রধান কারণ গ্লুটেইন।

ওটস ও ভাত ইত্যাদি গম বা গ্লুটেইন ধর্মী খাবারের চেয়ে থাইরয়েডের ক্ষেত্রে বেশি কার্যকর।

৭.মাশরুম

প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ডি’য়ের সবচেয়ে ভালো উৎস হল সূর্যালোক। আর খাবারের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি রয়েছে মাশরুমে। এটা ভিটামিনের সবচেয়ে ভালো ভেষজ উৎস যা থাইরয়েডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া ডিমের কুসুম সামুদ্রিক খাবার যেমন- টুনা ও স্যামন মাছ এবং দুগ্ধ-জাতীয় খাবারও এই ভিটামিনের ভালো উৎস।

থাইরয়েডে নিষিদ্ধ খাবার

থাইরয়েড হলো গলার সামনে অবস্থিত প্রজাপতি আকৃতির গ্রন্থি। এটি খাবার থেকে আয়োডিন নিয়ে থাইরয়েড হরমোন উৎপাদন করে। থাইরয়েড হরমোন শরীরের প্রায় সকল কার্যক্রমে সহযোগিতা করে, যেমন- হার্ট রেট, লিভার ফাংশন, সার্কুলেশন, মেটাবলিজম ও ইন্টারনাল ক্লক।

কিছু খাবার যেমন থাইরয়েড সুরক্ষায় কাজ করে, তেমনি কিছু খাবার গ্রন্থিটিকে বিপদে ফেলতে পারে। বিশেষ করে এমনকিছু খাবার রয়েছে যা গ্রন্থিটিতে সমস্যা হলে খাওয়া উচিত নয়। এখানে থাইরয়েড রোগীর জন্য বিপজ্জনক হতে পারে এমনকিছু খাবারের তালিকা দেয়া হলো।

১।ক্রুসিফেরাস শাকসবজি

নিঃসন্দেহে বাঁধাকপি ও ফুলকপি পুষ্টিকর খাবার। এসব খাবার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। কিন্তু নিউ জার্সির এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. রোজেনফেল্ড জানান যে, ক্রুসিফেরাস পরিবারের সকল শাকসবজিতে গয়ট্রোজেনস রয়েছে বলে এগুলো বেশি খাওয়া উচিত নয়, বিশেষ করে থাইরয়েড সমস্যা থাকলে।

গয়ট্রোজেনস থাইরয়েড গ্রন্থির আয়োডিন ব্যবহারের ওপর প্রভাব ফেলে। একসময়ে প্রচুর ক্রুসিফেরাস শাকসবজি খেলে সুস্থ থাইরয়েডও অতি ক্রিয়াশীল বা কম ক্রিয়াশীল হতে পারে।

আপনার গোপন থাইরয়েড সমস্যা থাকলে এসব খাবার খেলে সমস্যা আরো বেড়ে যাবে। ক্রুসিফেরাস শাকসবজিকে রান্না করে খেলে নিরাপদ। কিন্তু অনেকেরই সালাদ হিসেবে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে, যা থাইরয়েড সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। ভার্জিনিয়ার ডায়েটিশিয়ান ও নিউট্রিশন কোচ চেরিল হ্যারিস বলেন, ‘আপনার থাইরয়েড গ্রন্থি পর্যাপ্ত হরমোন উৎপাদন না করলে ও কাঁচা ক্রুসিফেরাস শাকসবজি খেলে থাইরয়েড কার্যক্রম ব্যাহত হবে।’

২।সয়াবিন

গয়ট্রোজেনস সমৃদ্ধ আরেকটি খাবার হলো সয়াবিন। এটা খেলে থাইরয়েড সমস্যার মাত্রা বেড়ে যাবে, যদি শরীর ইতোমধ্যে আয়োডিন ঘাটতিতে ভুগে। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট’স থাইরয়েড ডিজিজ স্টেট নেটওয়ার্কের সভাপতি জন উডি সিসট্রাঙ্ক বলেন, ‘প্রধান সমস্যা হলো, সয়াবিন থাইরয়েড রোগীদের থাইরয়েড হরমোন শোষণে বাধা দেয়।

তাই সমস্যাটি এড়াতে খালিপেটে থাইরয়েড হরমোন সেবন করুন ও খাদ্যতালিকা থেকে সয়াবিন বাদ দিয়ে দিন।’

৩।গ্লুটেনযুক্ত খাবার

অনেক থাইরয়েড রোগীর সেলিয়াক রোগও থাকে। সেলিয়াক রোগ হলো একটি অটোইমিউন ডিসঅর্ডার যা গ্লুটেন খেলে প্ররোচিত হয়। একারণে ডা. রোজেনফেল্ড ও ডা. সিসট্রাঙ্ক উভয়েই থাইরয়েড সমস্যা থাকলে গ্লুটেনযুক্ত খাবার না খেতে পরামর্শ দিয়েছেন। তবে সেলিয়াক রোগের অনুপস্থিতিতে থাইরয়েড কার্যক্রমের ওপর প্রভাব পড়ে এমন প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।

৪।চিনি

স্বাস্থ্যের ওপর কুপ্রভাব ফেলার কারণে চিনি ইতোমধ্যে যথেষ্ট দুর্নাম কুড়িয়েছে। এখন আরেকটি তথ্য জানলে চিনির প্রতি আপনার আগ্রহ আরো কমে যাবে: থাইরয়েড রোগে টাইপ ২ ডায়াবেটিস ও হার্ট-রক্তনালীর ঝুঁকি বেড়ে যায়। এসময় বেশি চিনি খেলে রোগগুলোর ঝুঁকি আকাশচুম্বী হয়। তাই ঝুঁকি কমাতে চিনি সীমিত করুন।

৫।কৃত্রিম সুইটেনার

আপনি হয়তো ভাবছেন যে চিনির পরিবর্তে কৃত্রিম সুইটেনার খাবেন। কিন্তু না, চিনির মতো কৃত্রিম সুইটেনারও থাইরয়েড রোগীর জন্য ভালো নয়। ডা. হ্যারিস বলেন, ‘কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, কৃত্রিম সুইটেনার থাইরয়েড কার্যক্রমে বিঘ্নতা ঘটাচ্ছে।’

৬।সাধারণ লবণ

সমস্যাটা লবণের কোনো উপাদান নিয়ে নয়, সমস্যা হলো লবণে কি নেই তা নিয়ে। আপনি সম্ভবত ইতোমধ্যে জানেন যে থাইরয়েড গ্রন্থির সঠিক কার্যক্রমের জন্য আয়োডিনের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু সাধারণ লবণে এই মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট থাকে না। কিন্তু আয়োডিনের অভাবে পর্যাপ্ত থাইরয়েড হরমোন উৎপাদন হয় না।

৭।বাজরা ও শিমুল আলু

দিনদিন বাজরা ও শিমুল আলুর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বাজরার জনপ্রিয়তা বাড়ার অন্যতম কারণ হলো এতে গ্লুটেন নেই। বাজরার মতো শিমুল আলুও গ্লুটেনমুক্ত। কিন্তু থাইরয়েড রোগীর জন্য দুঃসংবাদ হলো, উভয় খাবারেই গয়ট্রোজেনস রয়েছে। আয়োডিন ঘাটতি অথবা থাইরয়েড সমস্যা থাকলে এসব খাবার না খাওয়াই উত্তম।

৮।প্রক্রিয়াজাত খাবার

বর্তমানে থাইরয়েড রোগ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কালপ্রিট ভাবা হচ্ছে প্রক্রিয়াজাত খাবারের অ্যাডিটিভ ও কেমিক্যালকে। ডা. হ্যারিস বলেন, ‘গবেষকরা ধারণা করছেন যে অ্যাডিটিভ কারাগ্রিন ও পলিসরবেট ৮০ এর সঙ্গে অনেক অটোইমিউন রোগের যোগসূত্র রয়েছে।

গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 

এসবের সঙ্গে থাইরয়েড রোগেরও যোগসূত্র থাকতে পারে।’ তাই থাইরয়েড সমস্যার মাত্রা বাড়াতে না চাইলে প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। প্রক্রিয়াজাত খাবার না খাওয়ার আরেকটি কারণ হলো, এটি থাইরয়েড রোগের সমন্বয়ে টাইপ ২ ডায়াবেটিস ও হার্ট-রক্তনালী রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

থাইরয়েড রোগ নিয়ে প্রশ্ন ও উত্তর

১। প্রশ্নঃথাইরয়েড কি?

উত্তরঃ থাইরয়েড রোগটি মূলত হরমোন জনিত সমস্যা। এ থাইরয়েড হরমন কমে গেলে থাইরয়েড রোগটি হয়ে থাকে।

আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরণের গ্রন্থি থাকে। এগুলো থেকে হরমন রস নিঃসৃত হয়। তেমনি হচ্ছে থাইরয়েড গ্লান্ড।

এটি গলার সামনে থাকে এবং প্রজাপতির মতো গ্লান্ড। এই গ্লান্ড থেকে বিভিন্ন ধরণের রস নিঃসৃত হয়ে গলের ভিতরে প্রবেশ করে নানা ধরণের সমস্যার সৃষ্টি করে।

২। প্রশ্নঃথাইরয়েড রোগ কত প্রকার?

উত্তরঃ  মূলত থাইরয়েড হরমোনটি যদি সঠিক মাত্রায় না থাকে, তাহলেই থাইরয়েড রোগটি দেখা যাবে।

১. Hypo Tyroidisom: থাইরয়েড হরমোন কমে গেলে তাকে বলা হয় হাইপো থাইরয়েডিজম।

২. Hyper Thyroidisom: থাইরয়েড হরমোন বৃদ্ধি পেলে তাকে বলা হয় হাইপার থাইরয়েডিজম।

৩।হাইপো থাইরয়েড রোগের লক্ষণ কি কি?

উত্তরঃ  থাইরয়েড হরমোন কমে গেলে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হচ্ছেঃ অনেকের ওজন কমে যায়, অনেকের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, বেশি বেশি ঘুম পায়, অনেকের কাজ করতে গেলে কথা ভুলে যায়, অনেকের চুল পড়ে যায়। এগুলো সাধারণত দেখা যায় হরমোন কমে গেলে। এছাড়াও আরও বড় সমস্যা দেখা যায়। যা হচ্ছেঃ অনিয়মিত মাসিক ও বেশি মাত্রায় রক্তক্ষরণ এবং ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যাত্বতা।

আরও কিছু সমস্যা দেখা দেয় যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগা ইত্যাদি।

৪।প্রশ্নঃ হাইপো থাইরয়েড রোগের চিকিৎসা কি?

উত্তরঃ  যখন হাইপো থাইরয়েড নিয়ে কোন রোগী ডাক্তারের কাছে যান সাধারণত তখন ডাক্তাররা রোগীকে একটা চার্ট পড়তে দেন। সেইটা পড়ার পর তারা রোগীদের চিকিৎসা শুরু করেন।

থাইরয়েডের চিকিৎসাতে ডোজের একটা বিষয় থাকে রোগী যদি বাচ্চা হয়ে থাকে, তাহলে চিকিৎসা হবে একরকম। আবার রোগী যদি পূর্ণ বয়স্ক হয়ে থাকে, তাহলে চিকিৎসা হবে আরেক রকম।

থাইরয়েডের চিকিৎসার সময় প্রেগন্যান্ট মহিলারা থাইরয়েড চিকিৎসা করাতে চান না। তারা প্রশ্ন করেন যে যেহেতু প্রেগন্যান্সি টাইমে যেকোন ঔষুধ বাচ্চা বা মায়ের ক্ষতি করতে পারে, তাই তারা ট্রিটমেন্ট করাতে চান না।

থাইরয়েড হরমোনের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ঔষধ রয়েছে। এগুলো সেবনেরও আরও বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে। থাইরয়েড হরমোনের ওষুধ খাওয়ার পরে পরবর্তী দুই ঘন্টা আর কোনো কাজ বা ওষুধ খাওয়া যাবে না।

৫।প্রশ্নঃ  হাইপার থাইরয়েডের লক্ষণ কি কি?

উত্তরঃ হাইপার থাইরয়েডে হরমোনের আধিক্য দেখা যায়। এতে করে যেসব লক্ষণ প্রকাশ পায় তা হচ্ছে অস্থির লাগে, অতিরিক্ত ঘামে, বুক ধড়পড় করে, হাতের তালু ঘামে, অতিরিক্ত পায়খানা হয়, খাওয়ার অনেক রুচি থাকার পরও ওজন কমে যাওয়া, অনিয়মিত মাসিক ইত্যাদি।

আবার অনেকের ক্ষেত্রে চুল পড়ে যায় এবং চোখ সামনের দিকে চলে আসে।

৬।প্রশ্নঃ হাইপার থাইরয়েডের চিকিৎসা কি?

উত্তরঃ  হাইপার থাইরয়েডের চিকিৎসায় অনেক ঔষধ ব্যবহার হয়ে থাকে। এক্ষেত্রেও অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে যে কতদিন যাবত ওষুধ গুলো তাকে খেতে হবে।

ডাক্তাররা সাধারণত বলে থাকেন যদি কোন রোগী টানা দুই বছর এ রোগের চিকিৎসার ওষুধ নিয়ে থাকে, তাহলে এ রোগ থেকে নিরাময় পাওয়া যাবে।

এ রোগের চিকিৎসায় প্রথমদিকে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ঔষধ দেয়া হয়ে থাকে এবং ধীরে ধীরে রোগীর অবস্থা অনুযায়ী তা কমানো হয়ে থাকে।

অনেক ক্ষেত্রেই এতেই রোগটি নিরাময় হয়ে থাকে। আবার অনেক ক্ষেত্রে সার্জারিরও প্রয়োজন হয়ে থাকে। আবার অনেক ক্ষেত্রে থেরাপিও দেওয়া হয়ে থাকে।

আপনার জন্য-

যে ভিটামিনের অভাবে বিশ্রাম নিয়েও ক্লান্ত থাকেন

নবজাতক শিশুর যত্ন ও পরিচর্যায় বাবা-মার করণীয়

৬ মাস থেকে ৫ বছরের বাচ্চার খাবার নিয়ে   দুশ্চিন্তা দিন শেষ

বাচ্চার পুষ্টি নিয়ে ভাবছেন?অধিক পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ বাচ্চার খাবার তালিকা

নবজাতক শিশুর যত্ন ও পরিচর্যায় বাবা-মার করণীয়

SS IT BARI– ভালোবাসার টেক ব্লগের যেকোন ধরনের তথ্য সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের মেইল টি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join ৫০৬ other subscribers

SANAUL BARI

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আমি মো:সানাউল বারী।পেশায় আমি একজন চাকুরীজীবী এবং এই ওয়েবসাইটের এডমিন। চাকুরীর পাশাপাশি গত ১৪ বছর থেকে এখন পর্যন্ত নিজের ওয়েবসাইটে লেখালেখি করছি এবং নিজের ইউটিউব এবং ফেসবুকে কনটেন্ট তৈরি করি।
বিশেষ দ্রষ্টব্য -লেখার মধ্যে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন। ধন্যবাদ।