শিশুর খাবার তালিকা-শিশুর খাবার নিয়ে প্রতিটি মা-বাবার চিন্তা আর ভাবনার কোন শেষ নেই। শিশুকে কোন বয়সে কোন খাবার দিতে হবে, তা নিয়ে ধারণা থাকা খুব জরুরি। শিশুর জন্মের পর ছয় মাস পর্যন্ত শুধু মাত্র মায়ের বুকের দুধই একমাত্র আদর্শ খাবার। এই সময় অন্য কোনো কোন খাবার খাওয়ানো যাবে না।
এমনকি পানি ও পান করানোর কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। ছয় মাস পর থেকে শিশুর পুষ্টিচাহিদা পূরণে জন্য তথা স্বাভাবিক তাদের শারীরিক বৃদ্ধি এবং মানসিক বিকাশের জন্য মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি পরিপূরক খাবার খাওয়ানো প্রয়োজন । তবে কিন্তু শিশুর দুই বছর বয়স পর্যন্ত দুধ হিসাবে মায়ের বুকের দুধ ছাড়া অন্য কোনো দুধ বা কৌটার দুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই।
সেক্স বৃদ্ধির খাবার সুমহ এবং প্রাকৃতিক ভাবে বীর্য উৎপাদন করার উপায় গুলো যেনে নিন
আসলে মায়ের দুধে প্রায় সব ধরনের খাদ্য উপাদানই থাকে। তাছাড়া জন্মের পরপরই মায়ের স্তন থেকে যে হলুদ রঙের মতো শালদুধ নিঃসরণ হয়, তা নবজাতকের সব ধরনের রোগ প্রতিরোধে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে ।
আবার অনেকে আছে যারা এই শালদুধ খাওয়ানো নিয়ে দ্বিধায় থাকে। তবে কিন্তু এই কথা মনে রাখতে হবে,যে শালদুধই একমাত্র শিশুর জন্য প্রথম প্রতিরক্ষা হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আজ আপনাদের জানাবো শিশুর বয়স অনুযায়ী খাবারের তালিকা, ৬-৭ মাস বয়সে শিশুর খাবার, ৭-৯ মাস বয়সে শিশুর খাবার, ৯-১২ মাস বয়সে শিশুর খাবার, ১-২ মাস বয়সে শিশুর খাবার, শিশুর ক্যালোরি চাট,
শিশুর খাবারের পুষ্টিগুণ,
অধিক পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ শিশুর খাবার তালিকা, শিশু খাবার ও পুষ্টি নিয়ে প্রশ্ন ও উত্তর।
শিশুর বয়স অনুযায়ী খাবার তালিকা
প্রত্যেকটা শিশুর সঠিক বৃদ্ধির জন্য দরকার পর্যাপ্ত পুষ্টি।
খাদ্য তালিকায় রাখুন আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার
আয়োডিন মানব শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটি উপাদান।
শিশু মানেই সুন্দর। আর নবজাতক মানে আদরের আর যত্নের আরেক নাম। জন্মের পর বাচ্চার জন্য মায়ের দুধের বিকল্প নেই। মায়ের দুধই উত্তম খাদ্য। দুধ খাওয়ানোর জন্য কোন সময় নির্ধারণের দরকার হয় না। বাচ্চার ক্ষুধা লাগলে মা তা টের পায়। তখনই বাচ্চাকে খাওয়ানো যায়।
কোন বয়সে কি পরিমাণ আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত
কিন্তু শিশু যখন বড় হতে থাকে তখন মায়ের দুধের পাশাপাশি তার অন্য খাবারের প্রয়োজন হয়। শিশুর পূর্ণ ৬ মাস হবার পর শিশুর জন্য পরিপূরক খাবার দেওয়া উচিত। চলুন বিভিন্ন বয়স ভেদে শিশুর খাদ্য তালিকা কেমন হওয়া চাই তা জেনে নেওয়া যাক।
বিভিন্ন বয়স ভেদে শিশুর খাদ্য তালিকা
৬-৭ মাস বয়সে শিশুর খাবার
এ বয়সে শিশুর ওজন প্রায় ৬ কেজির মত হয় এবং তার জন্য ৭০০ কিলোক্যালোরি দরকার হয়। এই সময়ই পরিপূরক খাদ্য আরম্ভ করা উচিত। এর চেয়ে দেরি হয়ে গেলে শিশুরা খাবারের স্বাদ বুঝে যায় এবং খেতে চায় না।
দুধের সাথে কলা চটকে বা দুধের সাথে সুজি রান্না করে শিশুর প্রথম খাবার আরম্ভ করা যায়। চালের গুঁড়া, আটা ইত্যাদিও সিদ্ধ করে দুধের সাথে পাতলা করে খাওয়ানো যায়। মৌসুমি ফল যেমন পাকা কলা, পাকা পেঁপে, মিষ্টি ফলগুলো বাচ্চাকে দেওয়া যেতে পারে।
৭-৯ মাস বয়সের শিশুর খাবার
এ বয়সে শিশু কিছুটা পরিপক্ক হয় এবং ফল ও শস্য জাতীয় খাবার গ্রহণে সক্ষম হয়। এ সময় খাবারের ক্যালোরির চাহিদা বাড়ানো দরকার। খাদ্যে পানির পরিমাণ কমিয়ে কিছুটা ঘন থকথকে খাবার দেয়া যায়। এ সময় শিশু নিজের হাতে ধরে খেতে চেষ্টা করে।
রঙ এর প্রতি আকর্ষণ বাড়ে, খাবারের প্রতিও আকর্ষণ বাড়ে। এ সময় সহজ পাচ্য খাবারের মধ্যে আলু সেদ্ধ, মৌসুমি সবজি সেদ্ধ, করে চটকিয়ে খাওয়ানো যায়। যেমন ফুলকপি, বরবটি, পেঁপে, এই ধরনের সবজিগুলো সেদ্ধ করলে নরম হয় যা শিশুর হজম হয়। শিশুর খাদ্যে সামান্য তেল যোগ করতে হয়। ফলে চর্বিতে দ্রব্য ভিটামিনগুলো সহজে শোষিত হয়।
৯-১২ মাস বয়সের শিশুর খাবার
এ সময় প্রায় বড়দের মত খাবার দেওয়া যায়। আগের তুলনায় আরো ঘন খাবার শিশু খেতে পারে। নরম খিচুড়ি, সিদ্ধ ডিম, ডাল, ভাত, দুধ-রুটি, দই, ক্ষীর, পুডিং ইত্যাদি খাবারগুলো শিশুকে খাওয়াতে হবে। এগুলো পুষ্টি পরিপূরকও বটে। স্যুপ শিশুর জন্য তৈরি করে ৪-৫ বার দেওয়া যায়।
১-২ বছর এর শিশুর খাদ্য তালিকা
ঘরের স্বাভাবিক খাবার বড়দের মত শিশুকে দেওয়া যেতে পারে। তবে নরম ও কম মশলা যুক্ত খাবার দেওয়াই ভালো। প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১০০ কিলোক্যলোরি দরকার যা পাতলা খাবার থেকে না দিয়ে ঘন খাবার থেকে দিতে হবে। সামান্য পরিমাণ তেল ও চিনি এই বয়সের শিশুর জন্য দরকার। এই সময় একবার ৫০-৭৫ গ্রাম খাবার ২-৩ ঘন্টা পরপর দিনে প্রায় ৫-৬ বার দিতে হবে।
শিশুর ক্যলোরি চাহিদার ১ টি চার্ট
বয়স (মাস) ক্যালরি চাহিদা
০-৩ ১২০
৩-৬ ১১৫
৬-৯ ১১০
৯-১২ ১০৫
গড় ১১২
শিশুর খাবারের পুষ্টিগুণ
প্রতিটি বাবা-মা চায় তার বাচ্চাকে পুষ্টিকর খাবার খায়াতে।কিন্তু যেসব খাবারে পুষ্টিগুণ অনেক বেশি বাচ্চারা সেগুলো খেতে চায় না । তাই আজ আপনাদের কিছু পুষ্টিগুণ ভরা খাবারের কথা বলব যেগুলো আপনারা খুব সহজেই বাড়িতে তৈরি করে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারবেন । পুষ্টিকর খাবার গুলো সাধারণত মাছ ,মাংস, দুধ ,ডিম , ডাল , সবজি ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করা হয় ।
অধিক পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ শিশুর খাবার তালিকা
১। খিচুড়ি
দুই মুঠ চাল, এক মুঠ ডাল , সামান্য তেল , একটা ডিম অথবা এক টুকরা মাছ /মাংস , এক মুঠ সবজি সব একসাথে রান্না করে খিচুড়ি তৈরি করতে হবে । প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার খাওয়ানো যেতে পারে ।
২।পুষ্টিগুঁড়া
চালু বিভিন্ন রকম ডালের গুঁড়া কে একত্র করে পুষ্টি গুড়া বানানো হয় । এর সাথে বাদাম ,চিনি ,গাজর, মিষ্টি কুমড়া, কমলার রস , কলা ইত্যাদি মিশিয়ে এর পুষ্টিমান আরো বাড়ানো যায় । একে “ঘরে তৈরি সেরেলাক “ও বলা হয়ে থাকে ।
৩। সবজির পিঠা
বিভিন্ন সবজি মিশ্রিত পিঠা একটি পুষ্টিকর খাবার যা তৈরি করা হয় বিভিন্ন রকম প্রধান শস্য যেমন চাল, ডাল ও সবজি মিশিয়ে । যখন চাল,ডাল এবং শাক একসাথে মেশানো হয় তা আমিষের গুণগত মান বৃদ্ধি করে ।
৪। ছোট মাছের চপ
ছোট মাছের চপ নাস্তা বা প্রধান খাবার সাথে খাওয়া হয়ে থাকে । এটি তৈরি করার জন্য চালের গুড়া , কাচকি /মলা/পুটি/ ইত্যাদি মাছ ও সবজি ব্যবহার করা হয়ে থাকে । এখানে বিভিন্ন ধরনের সবজি ব্যবহার করা হয় যা বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন , খনিজ লবণ ও খাদ্যআঁশ পাওয়া যায়। চালের গুঁড়ো খাবারে ক্যালরির মান বাড়ায় । আর ছোট মাছে রয়েছে ভিটামিন এ ডি এবং ক্যালসিয়াম ।
৫।কলিজার চপ
চালের গুড়া, মুরগি/ খাসি /ভেড়া / গরুর কলিজা এবং সবজি দিয়ে তৈরি কলিজার একটি পুষ্টিকর খাবার । কলিজা একটি প্রথম শ্রেণীর আমিষ এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে । তাছাড়া এতে ব্যবহৃত হয়েছে সবজি যা ভিটামিন ও খনিজ উপাদান ।
৬।সাগু আলুর বড়া
চার ধরনের খাদ্য উপাদানে সমৃদ্ধ সাগু আলুর বড়া একটি পুষ্টিকর নাস্তা । সাগু হলো পর্যাপ্ত শর্করা ও ক্যালরি সমৃদ্ধ । এ থেকে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও পাওয়া যায় । এর সাথে ডিম যোগ করলে আরো ভালো আমি সমৃদ্ধ খাবার হয় । শাকসবজি হলো ভিটামিন ,খনিজ উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।
৭।মিষ্টি আলুর হালুয়া
আলুর হালুয়া একটি মৌসুমী বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ খাবার । মিষ্টি আলু একটি শর্করা সমৃদ্ধ গাছের মূল জাতীয় সবজি যাতে অধিক পরিমাণে ভিটামিন এ , ভিটামিন-সি ,ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি আছে যা দেহের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে । ঘি দিয়ে রান্না করলে এর পুষ্টিমান আরো বেড়ে যায়।অধিক পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ বাচ্চার খাবার তালিকা।
৮।ফ্রুট কাস্টার্ড
ফ্রুট কাস্টার্ড বাচ্চাদের জন্য একটি আদর্শ , পুষ্টিকর এবং একইসাথে উপাদেয় খাবার । সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিনেই খাবার দেওয়া যেতে পারে । এই খাবারে বিভিন্ন ধরনের ফল ব্যবহৃত হয় যা শিশুর জন্য খুবই উপকারী । শিশুরা এমনিতে ফল খেতে চায় না । তাই এইভাবে ফ্রুট কাস্টার্ড তৈরি করে শিশুকে ফল খাওয়াতে পারেন ।
৯।ডাল ও সবজির স্যুপ
ডালু সবজির স্যুপ শিশুদের জন্য একই সঙ্গে একটি উপাদেয় ও পুষ্টিকর খাবার । এতে রয়েছে ডালের আমিষ সবজির আয়রন ,ভিটামিন ,ক্যালসিয়াম , ফলিক এসিড এবং অতি প্রয়োজনীয় আশঁ। এটি একটি সুস্বাদু খাবার হওয়ায় শিশুরা অতি সহজেই সবজি এবং ডাল খেয়ে ফেলে ।
১০।গাজর আপেলের সুপ
গাজর আপেলের সুপ খুবই মজাদার একটি খাবার । এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল তেমনি রয়েছে খাদ্যআঁশ , ফাইবার শরীরের জন্য ভীষণ দরকারি ।
১১।যব বা বালির সুপ
যব বা বালি একটি পুষ্টিকর শস্যদানা যা আমিষ ,আয়রন ও খাদ্য আঁশে ভরপুর । ডালের সঙ্গে রান্না করে পুষ্টিমান আরো বাড়ানো যেতে পারে ।
এই খাবারগুলো ছাড়াও ঘরে তৈরি বিভিন্ন রকম খাবার তৈরি করা যেতে পারে । যেগুলো পুষ্টিগুণে ভরা এবং শিশুর মানসিক বিকাশ ও শারীরিক সুস্থতার জন্য উপযোগী । আমরা ঘরে তৈরি পুডিং , পাস্তা , মিল্কশেক , বিভিন্ন ধরনের সালাদ, ফলের জুস বাচ্চা।
গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন
শিশুর খাবার ও পুষ্টি নিয়ে প্রশ্ন ও উত্তর
১. প্রথম ৬ মাস শিশুকে কী খাওয়াবেন?
উত্তর: বুকের দুধ।
২. কত বছর আপনার বুকের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যাওয়া উচিত?
উত্তর: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে আপনার দু’বছর বা তার বেশি সময় পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত।
৩. বাচ্চারা কখন পানি পান করতে পারে?
উত্তর: ৬ মাস পরে
৪. কখন শক্ত খাবার দেয়া শুরু করবেন?
উত্তর: ৬ মাস +
৫. কোন শক্ত খাবার দিয়ে শুরু করবেন ?
উত্তর: আপনি কলার পিউরি, আপেল পিউরি, নাশপাতি পিউরি, ওটমিলের পোরিজ, সাবুদানা পোরিজ, মুরগী এবং সবজির খিচুড়ি দিয়ে শুরু করতে পারেন। আমাদের ব্লগ ইতিমধ্যে ৭–১২ মাস বয়সী বাচ্চাদের জন্য খাবারের চার্টগুলি দেখিয়েছে।
৬. ওটস খেলে কি বাচ্চাদের ওজন কমে যায়?
উত্তর: না। ওটস খেলে বাচ্চাদের ওজন কমেনা। আমরা ৭ মাস থেকে শিশুকে ওটস খাওয়াচ্ছি এবং এটি তার সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করেছে।
৭. কবে থেকে শিশুদের ওটস দেয়া যাবে?
উত্তর: ৭ মাস থেকে।
৮. শিশুদের জন্য কোন ওটস ব্র্যান্ড টি সবচেয়ে ভালো?
উত্তর: Gerber Oats। শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে এটি ১ নম্বর ইনফ্যান্ট ওটস ব্র্যান্ড। বাচ্চাদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য আয়রন প্রয়োজনীয় উপাদান। Gerber ওটসের মাত্র দুটি পরিবেশন আপনার শিশুর দৈহিক আয়রনের চাহিদা পূরণ করে।
৯. বাচ্চার ঠান্ডা লাগলে কলার পিউরি দেয়া যাবে?
উত্তর: অবশ্যই দেয়া যাবে। এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা যে ঠান্ডা লাগলে শিশুদের কলা দেয়া যাবেনা।
১০. আপেল সেদ্ধ করলে কি ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়?
উত্তর: হাঁ , ভিটামিন সি কিছুটা নষ্ট হয়ে যায় কিন্তু অন্যান্য পুষ্টি উপাদান প্রোটিন, সুগার, ফাইবার এবং ফ্যাট ঠিক থাকে।
১১. কোন চালের খিচুড়ি খাওয়াবো? লাল বিন্নি চাল না সাদা চাল?
উত্তর: লাল বিন্নি চাল বেশি পুষ্টিকর। লাল বিন্নি চালে সাদা চালের চেয়ে আমিষ ও ফাইবার বেশি থাকে।
১২. ডিম কবে থেকে দিতে পারি?
উত্তর: সপ্তম মাস
১৩. বাচ্চাদের প্রতিদিন কয়টি কোয়েলের ডিম্ দেয়া যায়?
উত্তর: শিশুদের (৭ মাস –৩ বছর পর্যন্ত) প্রতিদিন ২ টি কোয়েলের ডিম দেয়া যায়।
১৪. কোয়েলের ডিম এবং মুরগির ডিমের মধ্যে কোনটি বেশি পুষ্টিকর?
উত্তর: ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (USDA ) অনুযায়ী, কোয়েলের ডিমে আইরন, ভিটামিন বি ১২, ফলেট, প্রোটিন এবং ফসফরাসের পরিমান মুরগির ডিমের তুলনায় বেশি (সূত্র)। সেদিক বিবেচনা করলে কোয়েলের ডিম্ বেশি পুষ্টিকর। কোয়েলের ডিম্ এজমা প্রতিরোধ করে।
১৫. এক বছরের কম বয়সী শিশুকে ডিমের সাদা অংশ দেয়া যাবে ?
উত্তর: আপনার সন্তানের প্রথম বছরে ডিমের সাদা অংশ দেয়া যাবে না।
১৬. কখন থেকে শিশুকে গরুর দুধ খাওয়াতে পারি?
উত্তর: ২ বছর +
১৭. আমি কখন বাচ্চাকে মাছ দিতে পারি?
উত্তর: ৮–৯ মাস।
১৮. শিশুকে শুরুতে কোন কোন মাছ দেয়া যেতে পারে ?
উত্তর: দেশি রুই, কাতলা, মাগুর, শিং, পাবদা এবং শোল মাছ।
১৯. শিশুদের সামুদ্রিক মাছ কবে থেকে দেয়া যাবে?
উত্তর: সামুদ্রিক মাছ যেমন: রূপচাঁদা, টুনা, চিংড়ি এবং সালমন মাছে মার্কারি থাকে। তাই এগুলো ১ বছর+ থেকে দেয়া যেতে পারে।
২০. কোন সবজি দিয়ে শুরু করা ভাল?
উত্তর: গাজর, মিষ্টি কুমড়া, সবুজ পেঁপে এবং লাউ
২১. কবে থেকে গরুর মাংস দেয়া যেতে পারে?
উত্তর: গরুর মাংস আয়রন এর একটি চমৎকার উৎস এবং এটি ৭ মাস থেকে দেয়া যেতে পারে।
২২. মধু কবে থেকে দেয়া যাবে?
উত্তর: ১ বছর +
২৩. আপনার বাচ্চার ডায়েটে কাঠবাদাম, আখরোট এবং অন্যান্য বাদাম কখন যুক্ত করবেন?
উত্তর: আমরা ৮ মাসে বাদাম দেয়া শুরু করেছি এবং এটি আমাদের সন্তান খুব ভালো ভাবে নিয়েছে। তবে বাদাম কিছু বাচ্চার ক্ষেত্রে অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। বাচ্চাদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য বাদাম গুরুত্বপূর্ণ।
২৪. শিশুদের খাবারের অরুচির কারণ সমূহ কি কি?
উওর: আমরা ইতিমধ্যে আমাদের ফেইসবুক গ্রূপে একটি জরিপ চালিয়েছি। এর মধ্যে ৩৬% অভিভাবকেরা বলেছেন যে তাদের সন্তান কিছুই খেতে চায়না। খাবারের প্রতি অরুচির কারণসমূহ:
- জিঙ্কের অভাব।
- আয়রন এর অভাব।
- দাঁত উঠার সময় অরুচি হয়।
- যেকোনো রকম শারীরিক অসুস্থতা।
- কিছু খাবার এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে যা শিশুদের অরুচির কারণ হতে পারে।
২৫. কোন খাবারগুলো রুচি বাড়ায়?
উওর:
- আদা
- দারুচিনি
- চিনাবাদাম
- ডালিম, কমলা
- পুদিনা পাতা
২৬. শিশুদের জন্য আয়রন সমৃদ্ধ খাবার কি কি?
উত্তর: পুঁইশাক, গরুর মাংস, কলিজা, মিষ্টি কুমড়া বিচি, মুরগির মাংস।
২৭. শিশুদের কবে থেকে কোন ফল দেয়া যাবে?
উত্তর:
ফলের নাম সময়
নাশপাতি, মালটা, কলা, আপেল, ডালিম, ডাব, খেজুর, আম, লিচু, স্ট্রবেরি, ড্রাগন, তরমুজ, লেবু, কমলা, অ্যাভোকাডো, পেঁপে, কিউই ৭ মাস
- আঙ্গুর ১০ মাস
- আনারস ১ বছর
- কাঁঠাল ১.৫ বছর
২৮. বর্তমান সময়ে করোনাভাইরাস একটি মরণঘাতী রোগ। ভারতের মতো অবস্থা হলে আমাদের দেশেও অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। কোন কোন খাদ্য প্রাকৃতিকভাবে মা এবং শিশুর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ায়?
উত্তর: বীট , কাঠবাদাম, আখরোট, ব্রকোলি, গাজর, ডালিম, স্ট্রবেরি, ক্র্যানবেরি, আদা, রসুন এবং তৈলাক্ত মাছ। এর সাথে প্রতিদিন প্রচুর পরিমান পানি পান করতে হবে।
২৯. বুকের দুধ খাওয়া শিশুরা কি ফর্মুলা খাওয়া শিশুদের চেয়ে বেশি মেধাবী হয়ে থাকে?
উত্তর: হাঁ , বুকের দুধ খাওয়া শিশুরা বেশ মেধাবী হয়। বুকের দুধে একটি প্রাকৃতিক এন্টিবডি আছে যা বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
আপনার জন্য –
শর্করা । অ্যালার্জি। ভিটামিন সি। ক্যালসিয়াম। আমিষ। প্রাণীজ আমিষ। আঁশ জাতীয় খাবারের তালিকা সহ বিস্তারিত
সুষম খাবার কাকে বলে? সুষম খাবারের উপাদান সহ সুষম খাবার সম্পর্কে সকল তথ্য
প্রোটিন জাতীয় খাবার সহ গর্ভবতী মায়ের খাবার সম্পর্কে বিস্থারিত জানুন
৬ মাস থেকে ৫ বছরের বাচ্চার খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তা দিন শেষ
বাচ্চার পুষ্টি নিয়ে ভাবছেন?অধিক পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ বাচ্চার খাবার তালিকা
নবজাতক শিশুর যত্ন ও পরিচর্যায় বাবা-মার করণীয়
SS IT BARI– ভালোবাসার টেক ব্লগের যেকোন ধরনের তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের মেইল টি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন
সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!
”
প্রতিদিন আপডেট পেতে আমাদের নিচের দেয়া এই লিংক এ যুক্ত থাকুন
SS IT BARI- ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
SS IT BARI- ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
SS IT BARI- ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এএখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
SS IT BARI-সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
SS IT BARI- ভালবাসার টেক ব্লগ এ হেলথ/স্বাস্থ্য/স্কিন কেয়ার এবং ইতিহাস বিষয়ক লেখালিখি করি। এর আগে বিভিন্ন পোর্টালের সাথে যুক্ত থাকলেও, SS IT BARI-আমার হাতেখড়ি। হেলথ/স্বাস্থ্য/স্কিন কেয়ার বিষয়ক বিশ্লেষণ বাংলায় জানতে ভিজিট করুন http://ssitbari.com