শবে মেরাজের ঘটনা –সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ২৩ বছরের নবুয়াতি জীবনের অন্যতম অলৌকিক ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হলো শবে মেরাজ। মেরাজে গমন করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আদেশ সহ ইসলামী সমাজ পরিচালনার বিধি-বিধান নিয়ে আসেন।
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশ্ব মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামকে একটি পূর্ণাঙ্গ ও সার্বজনীন জীবন ব্যবস্থা হিসেবে রূপ দেওয়ার জন্য তিনি আল্লাহতালার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা পেয়েছিলেন মেরাজ রাজনীতিতে। এই জন্য এই রাতটি মুসলমানের কাছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ রাত।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু প্রিয় পাঠক পাঠিকা বন্ধুরাSS IT BARI-ভালোবাসার টেক ব্লগ এর পক্ষ থেকে সবাইকে জানাচ্ছি আজকের আর্টিকেলে স্বাগতম। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছ সবে মেরাজের ইতিহাস ও শবে মেরাজের আমল নিয়ে।এ বিষয়ে যাদের ধারণা কম তারা আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিজেদের ধারণা বৃদ্ধি করতে পারেন।
চলুন বন্ধুরা আজকের মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
শবে মেরাজ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের বাণী
পবিত্র কুরআনে শবে মেরাজ সম্পর্কে সূরা বনী ইসরাইলের বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।মহান আল্লাহপাক সূরা বনী ইসরাইলের ১ নং আয়াতে এরশাদ করেন, তিনি পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রিতে ভ্রমণ করিয়েছিলেন। মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত যার চতুর্দিকে আমি বরকতময়তার বিস্তার করেছি ।তাকে আমার নিদর্শন হতে প্রদর্শনের জন্য নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা সর্বদ্রষ্টা।
মাহে রমজানের রোজা ভাঙ্গার কারণ গুলো কি কি
আমি রাতের কিছু অংশে আমার হাবিব মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম কে ঊর্ধ্ব জগতে ভ্রমণ করিয়েছি।তা বড়ই আশ্চর্যজনক বিষয়?
এখন যদি মেরাজ শুধু আতদিক বা স্বপ্নযোগে সংঘটিত হতো তবে এতে আশ্চর্যের কি আছে স্বপ্নে তো প্রত্যেক ব্যক্তি দেখতে পারে যে সে আকাশে মনের আনন্দে উড়ছে। বাংলাদেশের মানুষ মুহূর্তের মধ্যে আমেরিকা শহরে বিচরণ করছে এমন কথা মানুষ শুনে সাধারণভাবে গ্রহণ করে কারণ বিষয়টি এমন কোন আশ্চর্যজনক বিষয় নয় যার আলোচনা করা যায়।
দ্বিতীয় বিষয় হলো আল্লাহপাক আলোচ্য আয়াতে (আব্দুন) শব্দ ব্যবহার করেছেন। আব্দুন শব্দের শাব্দিক অর্থ হলো বান্দা গোলাম বা দাস। শুধু ডাকে দাস বা গোলাম বলে না বরং দেহের সমষ্টিকে বান্দা বা দাস বলে আলোচ্য বিষয় দ্বারা বোঝা গেল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর মেরাজ শুধু ছিল না বরং দৈহিক ছিল।
ইসরা ও মিরাজের সমগ্র সফরে যে শুধু আতদিক ছিলনা বরং সাধারণ মানুষের সফরের মতো দৈহিক ছিল একথা পবিত্র কোরআন পাকের বক্তব্য ও অনেক মতাওয়াতির হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।
শবে মেরাজের ইতিহাস
ইবনে কাইয়ুম লিখেছেন সঠিক বর্ণনা অনুযায়ী জানা যায় যে নবী সাইয়েদুল মুরসালিনকে স্বশরীরে বরাকে তুলে হযরত জিবরাঈল আঃ এর সঙ্গে মসজিদে হারাম থেকে প্রথমে বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত ভ্রমণ করানো হয়। প্রিয় নবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে মসজিদের দরজায় খুঁটির সাথে বোরাক বেঁধে যাত্রার বিরতি করেন এবং সকল নবীর ইমাম হয়ে নামাজ আদায় করেন।
এরপর রাতেই তাকে বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে প্রথম আসমানে নিয়ে যাওয়া হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আদম আলাইহিস সালামকে দেখে সালাম করেন। হযরত আদম আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে মারহাবা বলে সালামের জবাব দেন। তার নবুওয়াতের স্বীকারোক্তি করেন সে সময় আল্লাহতালা হযরত আদম আলাইহিস সালাম এর ডান দিকে নেককার ও বাম দিকে পাপীদের রুহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখান।
২০২৩ সালের রোজার খাবার তালিকা
নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামদ্বিতীয় আকাশে হযরত ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও হযরত ইয়াহিয়া আলাইহিস সালাম ও কতিপয় ফেরেশতার সাথে দেখা করেন।
তৃতীয় আকাশে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুদর্শন নবী হযরত ইউসুফ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে দেখা করেন। তিনি বিশাল প্রশস্ত বাহরুননাকাম এক সাগর দেখতে পান। যেই সাগর এর পানি দিয়ে হযরত নূহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময়ে মহাপ্লাবন হয়েছিল।
চতুর্থ আকাশে মহানবী সাঃ নবী হযরত ইদ্রিস আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ফেরেশতা আজরাইল এর সাথে দেখা করেন।
পঞ্চম আকাশে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম হযরত হারুন আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে দেখা করেন ও কয়েকজন ফেরেশতার সাথে তিনি এখানে বাহারুশ সাক নামক জলন্ত অগ্নিসমুদ্র দেখতে পান। যেই সাগরের পানি দিয়ে পৃথিবীতে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় হয়ে থাকে।
ষষ্ঠ আকাশে নবী করিম সাঃ হযরত মূসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও কয়েকজন অতি দীর্ঘকায় ফেরেশতার সাথে দেখা করেন। যাদের নাম হল কাররুবিন ও মহান আল্লাহর সৃষ্টি কিছু জীবন্ত প্রাণীও দেখতে পান।
সপ্তম আকাশে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম এর সাথে দেখা করেন ও এখানে তিনি তিনটি বিশুদ্ধ পানির নহর /ঝর্ণা দেখতে পান ও তিনি ফেরেশতাদের প্রার্থনা মঞ্জিল বায়তুল মামুর পরিদর্শন করেন।
এরপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সপ্তম আকাশের শেষ প্রান্ত সিদরাতুল মুনহা তে পৌঁছান।এরপর নবী করিম সাঃ ফেরেশতাদের সাতটি মঞ্জিল পরিদর্শন করেন যেখানে ফেরেশতারা মহান আল্লাহর প্রার্থনায় রত ছিল।
এরপর মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম ৭০ হাজার নূরের পর্দা অতিক্রম করেন যা আরশে আজিম দ্বারা বিস্তৃত ছিল ও রফ রফ এর সাহায্যে কাবা কাউসাইন পরিদর্শন করেন তিনি আল্লাহর এত কাছাকাছি পৌঁছান যে উভয়ের মধ্য দুটি ধনুক বা তারও কম ব্যবধান ছিল। সেই আল্লাহ রহমানুর রহিম তার যা কিছু দেবার দিয়ে দেন যা ইচ্ছা ওহী নাযিল করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেন।
শবে মেরাজের আমল
শবে মেরাজের রাতে জাগ্রত থেকে আল্লাহর ইবাদত তথা কোরআন তেলাওয়াত করা অধিক হারে দুরুদ পাঠ করা এবং নফল নামাজ আদায় করা যেতে পারে।কারণ এই রাতে মহান আল্লাহ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমে উম্মতের জন্য নামাজ ফরজ করেন। হাদিস শরীফে এরশাদ হয়েছে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব হবে।তাই ফরজ নামাজ ঠিক রেখে নফল নামাজ যত বেশি পড়া যায় ততই আল্লাহর রহমতের ছায়াতলে ঠাই পাওয়া সহজ হবে।
এক হাদীসে রয়েছে ফরজের পর নফল নামাজের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর রহমতের যত নিকটবর্তী হয় অন্য কোন আমলে তা সম্ভব হয়না। তাই এই রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া যেতে পারে। তবে নামাজের জন্য রাকাত সংখ্যা আর কোন বাধ্যবাধকতা নেই। বরং এই রাতে সমর্থ্য অনুযায়ী জামাত ব্যতীত অনির্দিষ্ট ভাবে নফল নামাজ পড়া এবং নিজের ও সকল মুসলমানের জন্য দোয়া করা উচিত।
শবে মেরাজের নামাজের রাকাত সংখ্যা বাড়ানোর মধ্যে প্রকৃত পূণ্যতা নয় বরং একাগ্রো ও আন্তরিকতা সহকারে অল্প সংখ্যক নামাজী আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যথেষ্ট। তাছাড়া সকল প্রকার নামাজেই সূরা ফাতিহা ব্যতীত অন্য কোন সূরা নির্দিষ্ট নেই। যার কাছে যেভাবে সহজ মনে হবে সেভাবেই নামাজ আদায় করে নিবেন।
শবে মেরাজের পর দিন অর্থাৎ ২৭ রজব নফল রোজা রাখা যেতে পারে। বর্ণিত আছে, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মিরাজ ভ্রমণের যান তখন তিনি রোজা অবস্থায় ছিলেন। তাই তার স্মরণে রোজা পালন করা অবশ্যই ফজিলত হিসেবে গণ্য হবে। তবে যে কোন নফল রোজার ক্ষেত্রে শরীয়তের বিশেষ মূলনীতি হলো অন্তত একসঙ্গে দুটি রোজা রাখা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এরশাদ করেছেন, ইহুদিরা একটি রোজা রাখে তোমরা তাদের বিরোধিতা ও আল্লাহর অধিক সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত অন্তত দুইটি রোজা রাখো। তাই রজবের 26 থেকে 27 বা 27 থেকে 28 তারিখে এই রোজা রাখা উত্তম।
শবে মেরাজ সংঘটিত হওয়ার সময় কাল
মেরাজ সংঘটিত হওয়ার সঠিক তারিখ বা দিনক্ষণ সম্পর্কে মুহাদ্দিসিন ওলামায়ে কেরামের মাঝে মতো পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। আর রাহীকুল মাখতুম এর লিখক শফিউর রহমান মোবারক পুরী এ বিষয়ে ছয়টি মতামত উল্লেখ করেছেন। যথা:
১) নবুওয়াত প্রাপ্তির বছর।
২) পঞ্চম নববী বর্ষে।
৩) দশম নববী বর্ষে।
৪) কেউ কেউ বলেছেন হিজরতের ১৬ মাস পূর্বে ১২ নববী বর্ষের রমজান মাসে।
৫) কেউ কেউ হিজরতের চৌদ্দ মাস পূর্বে ১৩ নববী বর্ষের মহাররম মাসে।
৬) কেউ বলেছেন হিজরতের এক বছর পূর্বে ১৩ নববী বর্ষের রবিউল আউয়াল মাসে।
তবে কারো মতে ৬২০ বা ৬২১ খ্রিস্টাব্দে নবুওয়াতের দশম বছরের রজব মাসের ২৭ তারিখ রাতে মিরাট সংগঠিত হয়েছে।
মাহে রমজানের রোজা সম্পর্কে হাদিসের কথা
হাফেজ ইবনু কাসির রহঃ খ্যাতনামা জ্যৈষ্ঠ তবেঈ ইবনু শিহাব জুহুরীর বরাতে বলেন, হিজরতের এক বছর পূর্বে মিরাজ সংঘটিত হয়েছিল। অতএব নির্দিষ্টভাবে 27 শে রজব দিবাগত রাতে মিরাজ হয়েছিল বলে যে কথা পাক ভারত উপমহাদেশে প্রচলিত আছে তা নিতান্তই দলিলবিহীন।অন্যান্য ধর্মের লোকের ন্যায় মুসলমানরাও যাতে ধর্মের নামে অহেতুক আনুষ্ঠানিকতায় বন্দী না হয়ে পড়ে সে কারণে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর জন্মদিন লাইলাতুল কদর ইত্যাদি ন্যায় লাইলাতুল মেরাজের দিন তারিখ কেউ ভুলে যাওয়ার মধ্য মহান আল্লাহর পূর্ণ কৌশল নিহিত আছে বলে অনুমিত হয়।
শবে মেরাজের দোয়া
রজব মাস শুরু হলেই প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দোয়া খুব বেশি করে পড়তেন-
اللهم بارك لنا في رجب والشبا وبلغنا رمضان
অর্থ:হে আল্লাহ পাক আপনি আমাদেরকে রজব ও সাবান মাসে বরকত দান করুন এবং রমজান শরীফ পর্যন্ত পৌঁছে দেন।
মাঝেমধ্যেও কিছু সময় আসে টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। বাঁচামরা সমান হয়ে যায়। বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া কে বেশি সহজ মনে হয় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে নবী সাঃ সমাধান দিয়ে গেছেন-
তিনি বলেন,তোমরা বিপদে পড়লে মৃত্যু কামনা করবে না। যদি একান্তই এমন কিছু করতে হয় তাহলে বেশি চেয়ে বেশি এটুকু বলতে পারো, হে আল্লাহ! যতদিন আমার বেঁচে থাকাটা কল্যাণকর ততদিন আমাকে বাঁচিয়ে রাখুন। আর যদি মৃত্যুই আমার জন্য কল্যাণব হয় তবে মৃত্যু দিয়ে দিন। (মুত্তাফাকুন আলাইহি)
গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন
ইসলাম ধর্ম মতে লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রাত যা সচরাচর শবে মেরাজ হিসেবে আখ্যায়িত হয়। এই রাতে নবী মোহাম্মদ সাঃ ঐশ্বরিক উপায়ে উর্দ্ধ আকাশে আহরণ করেছিলেন এবং স্রষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেন।অনেক মুসলমান এবাদত বন্দেগীর মধ্য দিয়ে এই রাত্রি উদযাপন করেন আবার অনেকে এই রাত উদযাপন করেন না বরং এই রাত উদযাপন করাকে বিদআত মনে করেন।
ইসলামে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব আছে।কেননা এই মেরাজের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের পঞ্চম স্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ নামাজ মুসলমানদের জন্য অত্যাবশক ফরজ করা হয় এবং এই রাতেই দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মুসলমানদের জন্য নিয়ে আসেন নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
সচরাচর জিজ্ঞাসা
প্রশ্ন: মেরাজের জন্য সৌভাগ্যবান কে হন?
উত্তর:মেরাজ ইসলামের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। এটি মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশেষ মোজেজা ও বৈশিষ্ট্য। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাড়া অন্য কোন নবী এই সৌভাগ্য লাভ করতে পারেনি।
প্রশ্ন:মেরাজ শব্দের অর্থ কি?
উত্তর:মেরাজ শব্দটি আরবি শব্দ।এর অর্থ সিঁড়ি। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে যে অলৌকিক সিঁড়ির মাধ্যমে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সপ্তম আসমানের উপরে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে নিয়ে যাওয়া হয় সেই সিঁড়িকে মেরাজ বলা হয়।
প্রশ্ন:মেরাজে সকল নবীর ইমামতি করেন কে?
উত্তর: শবে মেরাজে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল নবীর ইমামতি করে সালাত আদায় করেন।
সুপ্রিয় SS IT BARI-ভালোবাসার টেক ব্লগ এর সম্মানিত ভিজিটর বন্ধুরা আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি আপনারা শেষ পর্যন্ত পড়েছেন। আপনাদের জানার সুবিধার্থে আমাদের আজকের আরজিক্যালিটি শবে মেরাজের ইতিহাস ও আমল নিয়ে লিখা হয়েছে।
আমাদের আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ে যাদের সামান্যতম উপকারে এসেছে তারা অবশ্যই বন্ধুদের সাথে আমাদের ওয়েবসাইটটির কথা শেয়ার করতে ভুলবেন না।আপনাদের যেকোনো বিষয়ে জানার থাকলে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন আমরা আপনাদের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ সবাইকে।
পোস্ট ট্যাগ-
শবে মেরাজের ইতিহাস,শবে মেরাজের আমল,শবে মেরাজের দোয়া,নবীজির মেরাজের ঘটনা,মেরাজের ঘটনা pdf,শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত,মেরাজের ঘটনা বিজ্ঞান,পবিত্র শবে মেরাজ,মেরাজ অর্থ কি,নবীজির মেরাজের ঘটনা ওয়াজ,মিরাজের ঘটনা
আপনার জন্য আরো –
- ইংলিশে স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন।
- ফ্রিল্যান্সারদের স্বপ্ন পূরণের ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন।
- ব্লগিং,ইউটিউবিং,ফেসবুকিং থেকে ইনকাম সম্পর্কিত ভিডিও পেতে – এখানে ভিজিট করুন।
আরও পড়ুন –
রোজা থাকা অবস্থায় ঘুমের মতো স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভঙ্গ হবে কিনা?
শাওয়ালের ছয় রোজা কোন নিয়মে রাখতে হয়
রোজা রাখার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া ২০২৩
SS IT BARI– ভালোবাসার টেক ব্লগের যেকোন ধরনের তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের মেইলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন.
সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!
”প্রতিদিন আপডেট পেতে আমাদের নিচের দেয়া এই লিংক এ যুক্ত থাকুন
SS IT BARI- ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
SS IT BARI- ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এখানে ক্লিক করুন।।
SS IT BARI- ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে :এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
SS IT BARI- টুইটার থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।।
SS IT BARI- লিংকদিন থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।।
SS IT BARI- ইনস্টাগ্রাম থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।।
SS IT BARI- টুম্বলার (Tumblr)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে :এখানে ক্লিক করুন।।
SS IT BARI- পিন্টারেস্ট (Pinterest)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।।

SS IT BARI-ভালোবাসার টেক ব্লগ টিম