লিভার সিরোসিস –আমাদের শরীরে লিভার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। তাই সার্বিক সুস্বাস্থ্যের জন্য লিভারকে সুস্থ রাখতে হবে। কিন্তু আমাদের জীবনযাপনে ত্রুটি থাকলে লিভার সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে। লিভারকে সুস্থ রাখতে চাইলে কিছু খাবারের প্রতি মনোযোগী হওয়ার পাশাপাশি কিছু খাবারকে উপেক্ষা করতে হবে।
এখানে আপনাদের জন্য দেওয়া হলো কেন হয় লিভার সিরোসিস, লিভার সিরোসিস রোগের লক্ষণ, লিভার সিরোসিস রোগী কি কি খাবার খাবেন না, সিরোসিস রোগী কি কি খাবার খাবেন তার একটি তালিকা।
কেন হয় লিভার সিরোসিস
স্বাভাবিক অবস্থায় লিভারের কোষকলা নরম ও মসৃণ। সিরোসিস হলে লিভারের কলাগুলো শক্ত ও দানাদার হয়ে যায়। লিভারের গঠনগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এর কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে লোপ পেতে থাকে এবং একসময় অকার্যকর হয়ে পড়ে।
করোনা রোগীর খাবার এবং করোনা রোগী কোন কোন খাবার বাদ দিবেন
নানা কারণে লিভার সিরোসিস হতে পারে। উন্নত বিশ্বে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ অতিরিক্ত মদ্যপান। আবার অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোয় হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি এবং হেপাটাইটিস ডি ভাইরাসের দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণের কারণে সাধারণত মানুষের লিভার সিরোসিস হয়ে থাকে। বাংলাদেশে লিভার সিরোসিসের প্রধান কারণ হেপাটাইটিস বি ভাইরাস।
লিভার সিরোসিস অনেকাংশেই প্রতিরোধ করা সম্ভবলিভার সিরোসিস অনেকাংশেই প্রতিরোধ করা সম্ভব ,এ ছাড়া পৃথিবীজুড়ে লিভার সিরোসিসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ ফ্যাটি লিভার থেকে সৃষ্ট ন্যাশ (নন অ্যালকোহলিক স্টিয়াটো হেপাটাইটিস)। আমাদের দেশেও ফ্যাটি লিভারের প্রচুর রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এর বাইরে লিভার সিরোসিসের কিছু বিরল কারণের মধ্যে আছে উইলসন ডিজিজ, হেমোক্রোমাটোসিস এবং আলফা-ওয়ান অ্যান্ট্রিপসিন ডেফিসিয়েন্সি।
হেপাটাইটিস বি ও সি রক্তবাহিত রোগ। সাধারণত অনিরাপদ রক্ত গ্রহণের মাধ্যমে এগুলো ছড়িয়ে থাকে। তাই রক্ত গ্রহণের প্রয়োজন হলে রক্তদাতার রক্তে হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস আছে কি না, সেটা অবশ্যই দেখে নিতে হবে।
দীর্ঘদিনের খাবার হজমের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়
পেশাদার রক্তদাতার কাছ থেকে রক্ত নেওয়া যাবে না। একই সুচ-সিরিঞ্জ ব্যবহার করলেও এ দুটি ভাইরাস ছড়াতে পারে। সেলুনের কাঁচি, রেজর ইত্যাদি জীবাণুমুক্ত না করে ব্যবহার করলেও এসব ভাইরাস ছড়াতে পারে। অনিরাপদ যৌন মিলনও হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস সংক্রমণের কারণ।
লিভার সিরোসিস অনেকাংশেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। লিভার সিরোসিসের কারণগুলো প্রতিহত করা গেলেই তা সম্ভব হবে
অ্যালকোহলজনিত সিরোসিস আমাদের দেশে আগে খুব একটা বেশি ছিল না। তবে আজকাল ধীরে ধীরে এর হারও বাড়ছে। ফ্যাটি লিভার ডিজিজের হারও দ্রুত বাড়ছে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ শর্করা বিশেষ করে ট্রাইগ্লিসারাইড, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস এবং অতিরিক্ত শারীরিক ওজন ফ্যাটি লিভারের অন্যতম কারণ।
লিভার সিরোসিস রোগের লক্ষণ
১।লিভার সিরোসিস নানা ধরনের উপসর্গ নিয়ে উপস্থিতি জানান দিতে পারে। ক্লান্তি ও দুর্বলতা, অরুচি, ওজন হ্রাস একেবারে প্রাথমিক লক্ষণ। জন্ডিস হতে পারে। কখনো জন্ডিস এত মৃদু হয় যে রুটিন পরীক্ষা–নিরীক্ষায় হঠাৎ লিভার ফাংশন টেস্ট করলে ধরা পড়ে।
২।পরিস্থিতি জটিল হলে পেটে পানি জমে ফুলে যায়, পায়েও পানি আসতে পারে।
৩।সিরোসিসের রোগীর রক্তে বিপাকজনিত বর্জ্য জমে যায় বলে মস্তিষ্কে এনকেফালোপ্যাথি হয়, ফলাফলস্বরূপ রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।
৪। অনেকেরই রক্তবমি এবং পায়খানার সঙ্গে কালো রক্ত যেতে পারে।
৫।লিভার সিরোসিস থেকে ক্রমে লিভারে ক্যানসার হওয়া অস্বাভাবিক নয়। সে ক্ষেত্রে পেটে শক্ত চাকা আর পানি জমে।
লিভার সিরোসিস রোগী কি কি খাবার খাবেন না
১। চর্বিযুক্ত খাবার: লিভারকে সুস্থ রাখার ডায়েটে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ ও বার্গারের মতো চর্বিযুক্ত খাবার স্থান পাওয়ার যোগ্য নয়। লিভারে সমস্যা থাকলে এসব খাবার খাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। স্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার বেশি পরিমাণে খেলে লিভারের পক্ষে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
সময়ের আবর্তনে প্রদাহ সৃষ্টি হয়ে লিভারে সিরোসিস নামক স্কার তৈরি হতে পারে। তাই লিভারে সমস্যা থাকুক কিংবা না থাকুক, চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
২। চিনিযুক্ত খাবার: বেশি পরিমাণে চিনি খেলে পরিণামে লিভারকে ভুগতে হতে পারে। বিশেষ করে লিভারে রোগ থাকলে চিনিযুক্ত খাবার অবশ্যই সীমিত করতে হবে অথবা এড়িয়ে চলতে হবে। লিভার চিনিকে চর্বিতে রূপান্তর করে। তাই বেশি চিনি খেলে লিভার বেশি চর্বি তৈরি করবে। এটা দীর্ঘসময় পর ফ্যাটি লিভার ডিজিজে আক্রান্ত করতে পারে। মাঝেমধ্যে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
৩। মদ জাতীয় পানীয়: অতিরিক্ত মদপানে লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। সময় পরিক্রমায় মাদকাসক্ত লোকের লিভারে সিরোসিস হতে পারে। এমনকি মাঝেমধ্যে মদপানও ক্ষতিকারক হতে পারে। বৈশ্বিক গবেষণা মতে, এই ধরনের পানীয় পানের নিরাপদ মাত্রা নেই। তাই লিভারকে রক্ষার্থে মদপানের অভ্যাস ছাড়ার প্রতিজ্ঞা করুন।
৪।প্যাকেটজাত স্ন্যাকস: প্যাকেটজাত স্ন্যাকস হলো তুমুল জনপ্রিয় খাবার। এই জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ হলো, এটা যে লিভারের ক্ষতি করে তা সম্পর্কে সচেতনতার অভাব। সাধারণত চিপস ও বেকড ফুডসের মতো প্যাকেটজাত স্ন্যাকসে প্রচুর চিনি, লবণ ও চর্বি থাকে। এর পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খাওয়ার চেষ্টা করুন, যেমন- আপেল ও বাদাম।
লিভার সিরোসিস রোগী কি কি খাবার খাবেন
১।ওটমিল: যেসব খাবারে প্রচুর আঁশ রয়েছে তা লিভারকে সর্বোত্তম কাজ করতে সহায়তা করে। তাই লিভারকে সুস্থ রাখার প্রয়াসে ওটমিলের মতো আঁশ সমৃদ্ধ খাবার দিয়ে দিন শুরু করতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, ওটমিল খেলে ওজন ও পেটের চর্বি কমে। এটা হলো লিভারের রোগ প্রতিরোধের একটি ভালো উপায়।
২। কফি: যারা কফি ছাড়া চলতে পারেন না তাদের জন্য সুখবর রয়েছে। কফি পানে লিভার উপকৃত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন দুই থেকে তিন কাপ কফি পান করলে অ্যালকোহল বা অস্বাস্থ্যকর খাবার জনিত ক্ষতি থেকে লিভার রক্ষা পেতে পারে। কফি পানে লিভার ক্যানসারের ঝুঁকিও কমতে পারে।
৩।গ্রিন টি: গ্রিন টি পান করলে প্রচুর ক্যাটেচিনস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাবেন। গবেষণা ধারণা দিয়েছে যে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিছু ক্যানসার থেকে সুরক্ষা দিতে পারে, যেখানে লিভার ক্যানসারও রয়েছে। নিজে চা বানিয়ে গরম অবস্থায় পান করলে বেশি ক্যাটেচিন পাবেন। রেডি-টু-ড্রিংক গ্রিন টি বা ঠান্ডা চায়ে ক্যাটেচিন কম থাকে।
৪। আমন্ড বাদাম: বাদামে (বিশেষ করে আমন্ড বাদামে) প্রচুর ভিটামিন ই পাওয়া যায়। গবেষণা বলছে, ভিটামিন ই ফ্যাটি লিভার ডিজিজ থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে। আমন্ড বাদাম হার্টের জন্যও ভালো। তাই প্রতিদিন স্ন্যাকস হিসেবে একমুঠো আমন্ড বাদাম খেতে পারেন।
৫।পালংশাক: সবুজ শাকে গ্লুটাথিয়োন নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টটি লিভারকে সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। তাই লিভারের কার্যক্রমে বিঘ্নতা প্রতিরোধে গ্লুটাথিয়োন সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। গ্লুটাথিয়োনের একটি ভালো উৎস হলো পালংশাক। এছাড়া ঢেঁড়স ও শতমূলীতেও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টটি পাওয়া যায়।
ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার দেহের সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
৬। ব্লুবেরি: ব্লুবেরি লিভারের স্বাস্থ্যে ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে। এই ফলের পলিফেনলস লিভারের সমস্যা তথা নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ প্রতিরোধ করতে পারে। উচ্চ কোলেস্টেরল ও স্থূল শরীরের মানুষদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি। তারা ঝুঁকি কমাতে পলিফেনলস সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন, যেমন- জলপাই, ডার্ক চকলেট, প্লাম ও ব্লুবেরি।
প্রশ্ন ও উত্তরঃ
১।প্রশ্ন: লিভারের অসুখ কি সত্যিই বাড়ছে?
উত্তর: এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সারা পৃথিবীতে ‘লাইফ স্টাইল’ পাল্টাচ্ছে। দ্রুত নগরায়ন হচ্ছে। মানুষ গ্রাম থেকে শহরে আসছেন। মানুষের শারীরিক পরিশ্রম কমছে। ডায়াবিটিস বাড়ছে হু হু করে।
২০২৫ সালের মধ্যে ভারত গোটা পৃথিবীর ডায়াবিটিস রাজধানী হবে বলে আশঙ্কা। সব মিলিয়ে একটা সামাজিক বদল ঘটছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে যে অঙ্গটি সবথেকে বেশি ধাক্কা খাচ্ছে, তা হল লিভার।
শরীরের সঙ্গে ভাইরাসের যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে সৈনিক শরীরকে রক্ষা করার চেষ্টা করে তা লিভার। ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া শরীরে ঢুকলে লড়াইয়ের মূল সুরটা বাঁধে লিভার। তাই লিভার কমজোরি হলে তার ফল কিন্তু ভালই ভোগ করতে হয়।
২।প্রশ্ন: লিভারের অসুখ হওয়া মানেই কি বেশ ভয়ের ব্যাপার?
উত্তর: কোনও অসুখই তো হেলাফেলা করার নয়। তাই ভয়ের নয় তা বলতে পারব না। তবে যাঁদের ওজন খুব বেশি কিংবা ডায়াবিটিস রয়েছে, তাঁদের লিভারের ক্ষতি হলে সেটা বেশ ভয়ের।
৩।প্রশ্ন: তাঁদের ক্ষেত্রে বাড়তি কী ধরনের সতর্কতা নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে?
উত্তর: একটাই পরামর্শ। খুব পরিশ্রম করুন। শরীরটাকে ভাল করে খাটান। যাঁদের কাজের ধরনটাই এমন যে খুব বেশি শারীরিক ধকল হয় না, তাঁদের বিকল্প ভাবতে হবে। প্রচুর ব্যায়াম করুন। বাড়িতেই হোক বা জিম-এ, প্রচুর শারীরিক পরিশ্রম দরকার।
৪।প্রশ্ন: ইদানিং তো আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করলেই যে কোনও লোকের ফ্যাটি লিভার পাওয়া যাচ্ছে। এই ফ্যাটি লিভার ব্যাপারটা কী?
উত্তর: লিভার ফ্যাট তৈরি করে। রক্তের মধ্যে দিয়ে তা পেশিতে পৌঁছয়। লিভার যতটা ফ্যাট তৈরি করছে, আর যতটা খরচ করছে তার মধ্যে যদি ভারসাম্য না থাকে, অর্থাৎ ফ্যাট উদ্বৃত্ত হয়ে যায়, তা হলে সেটা লিভারে জমে। এটাই ফ্যাটি লিভার।
৫।প্রশ্ন: এটা নিয়ে কি বেশি চিন্তা করার মতো কিছু রয়েছে?
উত্তর: শুধু ফ্যাটি লিভার হলে তেমন আতঙ্কের কিছু নেই। নিয়মিত ব্যায়াম করলে আর অতিরিক্ত তেল-ঘি খাওয়া বন্ধ করলে সেটা ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু যদি কারও এসজিপিটি বেশি থাকে, ওজন বেশি হয় এবং তিনি ডায়াবিটিক হন, তা হলে কিন্তু সতর্ক হওয়াটা জরুরি। নিয়ন্ত্রণ না করলে লিভারের বারোটা বাজবে।
৬।প্রশ্ন: নিয়ন্ত্রণ মানে কি মদ্যপান বন্ধ করা?
উত্তর: বন্ধ করতে পারলে তো খুবই ভাল। কিন্তু সেটা তো সহজ নয়। তাই পরিমিত মদ্যপানের পরামর্শ দিই। অর্থাৎ, প্রতি দিন যদি কেউ এক পেগ মদ্যপান করেন, তা হলে সমস্যা নেই। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষেরই এই পরিমিতিবোধটা তো হারিয়ে যায়। সমস্যাটা সেখানেই।
৭।প্রশ্ন: সিরোসিস বাড়ছে কেন?
উত্তর: কারণ মদ নিয়ে ট্যাবুটা চলে যাচ্ছে। যত সিরোসিস-এর রোগী পাচ্ছি, তাঁদের অধিকাংশই প্রচুর মদ্যপান করেন।
৮।প্রশ্ন: সিরোসিস মানেই কি সব শেষ?
উত্তর: একেবারেই তা নয়। আজ থেকে ১৫ বছর আগে সিরোসিস মানেই ছিল অবধারিত মৃত্যু। চোখের সামনে শুধু দেবদাসের ছবি ভাসত! এখন পরিস্থিতিটা বদলেছে। অনেক নতুন ওষুধ এসেছে। এখন সিরোসিসের চিকিৎসা রয়েছে, বহু ক্ষেত্রে রোগটা সেরেও যায়।
গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন*
তবে এ সব ওষুধের দাম কিন্তু যথেষ্ট বেশি। আর, একটা পর্যায়ের পর সারানোটা কঠিন। তাই চিকিৎসা হাতের নাগালে রয়েছে বলে রোজ আকন্ঠ মদ খেয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা যদি কেউ করেন, তিনি ধনেপ্রাণে মরবেন।
৯।প্রশ্ন: সিরোসিস মানেই কি লিভার ক্যানসার?
উত্তর: একেবারেই না। সিরোসিস হল ঝড়ে ভাঙা ঘর। তার কোনও এক প্রান্তে জীবন পড়ে রয়েছে। চিকিৎসকের কাজ হল সেই জীবনটাকে খুঁজে বার করা। লিভারে প্রচুর কোষ থাকে। সিরোসিস হলে কিছু কোষ নষ্ট হয়ে যায়।
ভিটামিন এ জাতীয় খাবারের তালিকা
সেই মরা কোষগুলো আঁটির মতো বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকে। তবে আশার কথা, লিভার খুব দ্রুত রিজেনারেট করে। মৃত্যুর পাশাপাশি জীবনের প্রবাহ জারি থাকে। যে কারণে লিভারের অংশ অন্যকে দিয়ে তার লিভার প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করা যায়। কারণ, ওই অংশটুকু লিভার নিজেই খুব দ্রুত গড়ে তুলবে।
১০।প্রশ্ন: কোন কোন উপসর্গ দেখলে লিভারের অসুখ হয়েছে বুঝে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত?
উত্তর: সমস্যা তো এটাই যে লিভারের অসুখ অনেকটা ছড়িয়ে পড়ার পরে ধরা পড়ে। তবে এখন অনেক ধরনের চিকিৎসা বেরিয়েছে। তাই দেরিতে ধরা পড়লেও ঠিকঠাক চিকিৎসায় সেরে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
১১।প্রশ্ন: এখন তো গ্যাস-অম্বলের সমস্যা ঘরে ঘরে। তাঁদের জন্য কোনও পরামর্শ?
উত্তর: গোড়াতেই একটা কথা বলে রাখি, গ্যাসের সঙ্গে লিভারের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। গায়ে সাদা দাগ, চুল সাদা হয়ে যাওয়া সব কিছুর জন্যই লিভার দায়ী, এমন একটা ধারণা রয়েছে অনেকেরই।
এ বার আসি গ্যাস-অম্বলের প্রসঙ্গে। অতিরিক্ত তেল-মশলাদার খাবার, অসময়ে খাওয়া, বহু সময়ের ব্যবধানে খাওয়াদাওয়া এ সবের জন্য গ্যাস-অম্বল হয় অনেকেরই। টানা বেশ কিছু দিন এমন চলতে থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলা উচিত।
আপনার জন্য –
সুষম খাবার কাকে বলে? সুষম খাবারের উপাদান সহ সুষম খাবার সম্পর্কে সকল তথ্য
৬ মাস থেকে ৫ বছরের বাচ্চার খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তা দিন শেষ
বাচ্চার পুষ্টি নিয়ে ভাবছেন?অধিক পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ বাচ্চার খাবার তালিকা
নবজাতক শিশুর যত্ন ও পরিচর্যায় বাবা-মার করণীয়
SS IT BARI– ভালোবাসার টেক ব্লগের যেকোন ধরনের তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের মেইল টি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন
সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!
”তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালিখি করি। এর আগে বিভিন্ন পোর্টালের সাথে যুক্ত থাকলেও, SS IT BARI-আমার হাতেখড়ি। তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিশ্লেষণ বাংলায় জানতে ভিজিট করুন http://ssitbari.com
Important news
Veray good advised
Onek kicchu janteh parlam thank you
this kind of information is very helpful to me