থাইরয়েড রোগীর খাবার-থাইরয়েডের সমস্যা থাকলেও বেশিরভাগ মানুষ এটিকে গুরুত্ব দেয় না। তবে চিকিৎসকরা জানান ভিন্ন কথা। সময় মতো চিকিৎসা না করালে ধীরে ধীরে তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এ রোগে শুধু ওষুধ খেলেই হয় না যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টিকর খাবারও খেতে হয়।
থাইরয়েড গ্রন্থি সঠিকভাবে কাজ না করলে হরমোনাল গ্রন্থিগুলো এর দ্বারা প্রভাবিত হয়। কিন্তু এটা জানাও গুরুত্বপূর্ণ যে থাইরয়েড গ্রন্থির কাজ কম বেশি হলে তা আমাদের শরীরে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবফেলে।অনিয়ম জীবনযাপন ও খাদ্য-পান থাইরয়েডের সমস্যার কারণ হতে পারে। আজ আপনাদের জানাবো থাইরয়েড রোগীর খাবার তালিকা, থাইরয়েডে নিষিদ্ধ খাবার ও কিডনী রোগীর খাবার সম্পর্কে।
থাইরয়েড রোগীর খাবার তালিকা
থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে হরমোন প্রয়োজনের তুলনায় কম বের হলে বা ঘাটতি হলে হাইপোথাইরয়েডিজম হয়। দেহে থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি হলে হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া, চামড়া খসখসে হয়ে যাওয়া, মুখ ফুলে যাওয়া, কাজকর্মে ধীরগতি চলে আসা ইত্যাদি সমস্যা হয়।
শিশুদের কোন বয়সে কি খাবার খাওয়াবেন ?
তবে কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি পূরণে কাজ করবে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপটেন হোম রেমিডি জানিয়েছে এসব খাবারের নাম।
১. নারকেল তেল
নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর মিডিয়াম চেইন ফ্যাটি এসিড। এটি থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। এটি থাইরয়েড হরমোনকে উদ্দীপ্ত করে; গ্রন্থির কার্যক্রমে ভালো করে। নারকেল তেলকে রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন চকলেট, স্মুদিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে প্রতিদিন তিন টেবিল চামচের বেশি নারকেল তেল খাবেন না।
২. দই
ভিটামিন-ডি থাকার কারণে দই থাইরয়েড স্বাস্থ্যের জন্য আরেকটি ভালো খাবার। ভিটামিন-ডি-এর ঘাটতিতে হাসহিমোটোস রোগ হয়। এটি হাইপোথাইরয়েডিজমের একটি বড় কারণ।
৩. স্যামন মাছ
স্যামন মাছ থাইরয়েড স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে বেশ ভালো খাবার। এর মধ্যে আছে প্রদাহরোধী উপাদান। আর ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকার কারণে স্যামন মাছ অনেক উপকারী।
৪. বাদামি ভাত
কার্বোহাইড্রেট সরাসরি থাইরয়েডের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলে। তাই স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট খাওয়া জরুরি। এ জন্য লাল চালের ভাত বা বাদামি ভাত খেতে পারেন। এটি হজমের সমস্যা সমাধান করবে। অনেক সময় থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি হলে হজমের সমস্যা হয়। তবে থাইরয়েড ওষুধ খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে এটি খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
৫. ডিম
ডিম তিনটি পুষ্টির খুব ভালো উৎস—টাইরোসিন, আয়োডিন ও সেলেনিয়াম। এগুলোর অভাবে থাইরয়েডে সমস্যা হয়। ডিম খেলে থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যক্রম ভালোভাবে হয়।
৬. গ্লুটেইন মুক্ত শস্য
গ্লুটেইন হল এক ধরনের প্রোটিন যা খাদ্যশস্যে থাকে। আটা বা ময়দা পানিতে গোলানোর পর যে আঠালো ভাব হয় তার প্রধান কারণ গ্লুটেইন।
ওটস ও ভাত ইত্যাদি গম বা গ্লুটেইন ধর্মী খাবারের চেয়ে থাইরয়েডের ক্ষেত্রে বেশি কার্যকর।
৭.মাশরুম
প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ডি’য়ের সবচেয়ে ভালো উৎস হল সূর্যালোক। আর খাবারের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি রয়েছে মাশরুমে। এটা ভিটামিনের সবচেয়ে ভালো ভেষজ উৎস যা থাইরয়েডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া ডিমের কুসুম সামুদ্রিক খাবার যেমন- টুনা ও স্যামন মাছ এবং দুগ্ধ-জাতীয় খাবারও এই ভিটামিনের ভালো উৎস।
থাইরয়েডে নিষিদ্ধ খাবার
থাইরয়েড হলো গলার সামনে অবস্থিত প্রজাপতি আকৃতির গ্রন্থি। এটি খাবার থেকে আয়োডিন নিয়ে থাইরয়েড হরমোন উৎপাদন করে। থাইরয়েড হরমোন শরীরের প্রায় সকল কার্যক্রমে সহযোগিতা করে, যেমন- হার্ট রেট, লিভার ফাংশন, সার্কুলেশন, মেটাবলিজম ও ইন্টারনাল ক্লক।
কিছু খাবার যেমন থাইরয়েড সুরক্ষায় কাজ করে, তেমনি কিছু খাবার গ্রন্থিটিকে বিপদে ফেলতে পারে। বিশেষ করে এমনকিছু খাবার রয়েছে যা গ্রন্থিটিতে সমস্যা হলে খাওয়া উচিত নয়। এখানে থাইরয়েড রোগীর জন্য বিপজ্জনক হতে পারে এমনকিছু খাবারের তালিকা দেয়া হলো।
১।ক্রুসিফেরাস শাকসবজি
নিঃসন্দেহে বাঁধাকপি ও ফুলকপি পুষ্টিকর খাবার। এসব খাবার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। কিন্তু নিউ জার্সির এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. রোজেনফেল্ড জানান যে, ক্রুসিফেরাস পরিবারের সকল শাকসবজিতে গয়ট্রোজেনস রয়েছে বলে এগুলো বেশি খাওয়া উচিত নয়, বিশেষ করে থাইরয়েড সমস্যা থাকলে।
গয়ট্রোজেনস থাইরয়েড গ্রন্থির আয়োডিন ব্যবহারের ওপর প্রভাব ফেলে। একসময়ে প্রচুর ক্রুসিফেরাস শাকসবজি খেলে সুস্থ থাইরয়েডও অতি ক্রিয়াশীল বা কম ক্রিয়াশীল হতে পারে। আপনার গোপন থাইরয়েড সমস্যা থাকলে এসব খাবার খেলে সমস্যা আরো বেড়ে যাবে।
সেক্স বৃদ্ধির খাবার সুমহ এবং প্রাকৃতিক ভাবে বীর্য উৎপাদন করার উপায় গুলো যেনে নিন
ক্রুসিফেরাস শাকসবজিকে রান্না করে খেলে নিরাপদ। কিন্তু অনেকেরই সালাদ হিসেবে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে, যা থাইরয়েড সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। ভার্জিনিয়ার ডায়েটিশিয়ান ও নিউট্রিশন কোচ চেরিল হ্যারিস বলেন, ‘আপনার থাইরয়েড গ্রন্থি পর্যাপ্ত হরমোন উৎপাদন না করলে ও কাঁচা ক্রুসিফেরাস শাকসবজি খেলে থাইরয়েড কার্যক্রম ব্যাহত হবে।’
২।সয়াবিন
গয়ট্রোজেনস সমৃদ্ধ আরেকটি খাবার হলো সয়াবিন। এটা খেলে থাইরয়েড সমস্যার মাত্রা বেড়ে যাবে, যদি শরীর ইতোমধ্যে আয়োডিন ঘাটতিতে ভুগে। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট’স থাইরয়েড ডিজিজ স্টেট নেটওয়ার্কের সভাপতি জন উডি সিসট্রাঙ্ক বলেন, ‘প্রধান সমস্যা হলো, সয়াবিন থাইরয়েড রোগীদের থাইরয়েড হরমোন শোষণে বাধা দেয়। তাই সমস্যাটি এড়াতে খালিপেটে থাইরয়েড হরমোন সেবন করুন ও খাদ্যতালিকা থেকে সয়াবিন বাদ দিয়ে দিন।’
৩।গ্লুটেনযুক্ত খাবার
অনেক থাইরয়েড রোগীর সেলিয়াক রোগও থাকে। সেলিয়াক রোগ হলো একটি অটোইমিউন ডিসঅর্ডার যা গ্লুটেন খেলে প্ররোচিত হয়। একারণে ডা. রোজেনফেল্ড ও ডা. সিসট্রাঙ্ক উভয়েই থাইরয়েড সমস্যা থাকলে গ্লুটেনযুক্ত খাবার না খেতে পরামর্শ দিয়েছেন। তবে সেলিয়াক রোগের অনুপস্থিতিতে থাইরয়েড কার্যক্রমের ওপর প্রভাব পড়ে এমন প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।
৪।চিনি
স্বাস্থ্যের ওপর কুপ্রভাব ফেলার কারণে চিনি ইতোমধ্যে যথেষ্ট দুর্নাম কুড়িয়েছে। এখন আরেকটি তথ্য জানলে চিনির প্রতি আপনার আগ্রহ আরো কমে যাবে: থাইরয়েড রোগে টাইপ ২ ডায়াবেটিস ও হার্ট-রক্তনালীর ঝুঁকি বেড়ে যায়। এসময় বেশি চিনি খেলে রোগগুলোর ঝুঁকি আকাশচুম্বী হয়। তাই ঝুঁকি কমাতে চিনি সীমিত করুন।
৫।কৃত্রিম সুইটেনার
আপনি হয়তো ভাবছেন যে চিনির পরিবর্তে কৃত্রিম সুইটেনার খাবেন। কিন্তু না, চিনির মতো কৃত্রিম সুইটেনারও থাইরয়েড রোগীর জন্য ভালো নয়। ডা. হ্যারিস বলেন, ‘কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, কৃত্রিম সুইটেনার থাইরয়েড কার্যক্রমে বিঘ্নতা ঘটাচ্ছে।’
৬।সাধারণ লবণ
সমস্যাটা লবণের কোনো উপাদান নিয়ে নয়, সমস্যা হলো লবণে কি নেই তা নিয়ে। আপনি সম্ভবত ইতোমধ্যে জানেন যে থাইরয়েড গ্রন্থির সঠিক কার্যক্রমের জন্য আয়োডিনের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু সাধারণ লবণে এই মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট থাকে না। কিন্তু আয়োডিনের অভাবে পর্যাপ্ত থাইরয়েড হরমোন উৎপাদন হয় না।
৭।বাজরা ও শিমুল আলু
দিনদিন বাজরা ও শিমুল আলুর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বাজরার জনপ্রিয়তা বাড়ার অন্যতম কারণ হলো এতে গ্লুটেন নেই। বাজরার মতো শিমুল আলুও গ্লুটেনমুক্ত। কিন্তু থাইরয়েড রোগীর জন্য দুঃসংবাদ হলো, উভয় খাবারেই গয়ট্রোজেনস রয়েছে। আয়োডিন ঘাটতি অথবা থাইরয়েড সমস্যা থাকলে এসব খাবার না খাওয়াই উত্তম।
৮।প্রক্রিয়াজাত খাবার
বর্তমানে থাইরয়েড রোগ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কালপ্রিট ভাবা হচ্ছে প্রক্রিয়াজাত খাবারের অ্যাডিটিভ ও কেমিক্যালকে। ডা. হ্যারিস বলেন, ‘গবেষকরা ধারণা করছেন যে অ্যাডিটিভ কারাগ্রিন ও পলিসরবেট ৮০ এর সঙ্গে অনেক অটোইমিউন রোগের যোগসূত্র রয়েছে।
কোন বয়সে কি পরিমাণ আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত
এসবের সঙ্গে থাইরয়েড রোগেরও যোগসূত্র থাকতে পারে।’ তাই থাইরয়েড সমস্যার মাত্রা বাড়াতে না চাইলে প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। প্রক্রিয়াজাত খাবার না খাওয়ার আরেকটি কারণ হলো, এটি থাইরয়েড রোগের সমন্বয়ে টাইপ ২ ডায়াবেটিস ও হার্ট-রক্তনালী রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
কিডনির রোগীর খাবার
দিন দিন কিডনি রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মানুষের জীবনযাপনে পরিবর্তন, খাদ্যে ভেজাল ও নানাবিধ কারণে এই সমস্যা হচ্ছে। অনেকের অল্প বয়সেই কিডনি বিকল হয়ে যাচ্ছে।
কিডনি সমস্যা দেখা দিলে জীবনযাপনে বদল আনতে হবে। খাবার খেতে হবে হিসাব করে। রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বৃদ্ধিকে ধীর গতিতে রাখার জন্য সঠিক খাবার খাওয়া জরুরি।
পটাশিয়াম যুক্ত খাবার
সঠিক পথ্য মেনে চললে রক্তে ক্রিয়েটিনের মাত্রাকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। রোগী ভেদে কিডনির পথ্য নির্ধারণে ভিন্নতা থাকে। রক্তে ইলেকট্রোলাইটসের পরিমাণ, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা, ইউরিয়া ও ইউরিক এসিডের পরিমাণ, রক্ত ও ইউরিনে এলবুমিনের পরিমাণ এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ভেদে পথ্যকে সাজাতে হয়।
১।সবজি
রক্তে পটাশিয়াম, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা, ফসফরাস ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে সবজি হিসাব করা হয়। কিডনি সমস্যা দেখা দিলে অতিরিক্ত পিউরিন ও পটাশিয়ামসমৃদ্ধ শাকসবজি, পিচ্ছিল ও গাঢ় লাল রঙের শাকসবজি এড়িয়ে যেতে হবে।
কিডনি রোগীদের জন্য চালকুমড়া, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা ইত্যাদি পানীয় সবজি উপকারী। উপকারী হলেও এগুলোর পরিমাণ মেনে চলাও গুরুত্বপূর্ণ। কাঁচাসবজির সালাদ, সবজি স্যুপ ইত্যাদি কিডনি রোগীদের এড়িয়ে চলতে হয়।
২।ফল
অনেকেই কিডনি রোগ হলে ফল খাওয়া বন্ধ করে দেন, যা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এ ক্ষেত্রে রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বিবেচনা করে ফল নির্ধারণ করতে হবে। তবে কিডনি রোগীদের ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হয়। অক্সালিক অ্যাসিড, ইউরিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম, রক্তচাপ ছাড়াও আরও অনেক কিছু বিবেচনা করে ফল নির্ধারণ করা হয়। তিন-চারটি ফল রোগী ভেদে সীমিত আকারে দেওয়া হয়। যেমন : আপেল, পাকা পেঁপে, পেয়ারা ইত্যাদি।
৩।লবণ
লবণ বা সোডিয়াম নিয়ন্ত্রিত পথ্য কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে জরুরি। রক্তচাপ, রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা, ইডিমা বা শরীরের পানি পরিমাপের ওপর ভিত্তি করে লবণের পরিমাপ করা হয়। সাধারণত দুই থেকে পাঁচ গ্রাম লবণ নির্ধারণ করা হয়, যা নির্ভর করবে আপনার শারীরিক অবস্থা ও ডায়েটেশিয়ানের ওপর।
আলাদা লবণ গ্রহণ পরিহার করতে হবে এবং অতিরিক্ত সোডিয়ামযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন— চিপস, পাপড়, চানাচুর, আচার ইত্যাদি, যা শুধু কিডনি রোগীর চিকিৎসায় নয়, কিডনি রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
৪।তরল বা পানীয়
কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে তরল খাবার নিয়ন্ত্রণ জরুরি। চা, দুধ, পানি সব মিলিয়ে তরলের হিসাব করা হয়। কোন রোগীকে কতটুকু তরল বরাদ্দ করা হবে, তা নির্ভর করবে রোগীর অবস্থার ওপর। খুব গাঢ় করে জাল দিয়ে দুধ পান করা যাবে না।
গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন
শরীরের ইডিমা, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা, সোডিয়ামের মাত্রা, ইজিএসআর- এসবের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে এক থেকে দেড় লিটার, কখনও কখনও দুই লিটার পর্যন্ত তরল বরাদ্দ হয়। অনেকেই অসুস্থ কিডনিকে সুস্থ করার জন্য অতিরিক্ত পানি খান— এটি ভুল।
কিডনি রোগীরা যেদিকে দৃষ্টি দেবেন
চিচিঙ্গা, লাউ, করলা, বিচি ছাড়া শশা, সজনা, ডাঁটাশাক, লালশাক, কচুশাক, ঝিংগা, পেঁপে, হেলেঞ্চা শাক ইত্যাদি শাক-সবজি খাবেন।
যেসব সবজি খাবেন না
ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালংশাক, কচু, মুলা, পুঁইশাক, ঢেঁড়স, গাজর, কাঁঠালের বিচি, শিমের বিচি, মুলাশাক ইত্যাদি।
প্রাণিজ আমিষ, যেমন- মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদি সীমিত পরিমাণে খাবেন।
ডাব, কলা, আঙুর একেবারেই খাবেন না, কেননা, এতে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি। কিডনি রোগীদের রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়তে থাকে।
কম পটাশিয়ামযুক্ত ফল; যেমন— আপেল, পেয়ারা, পাকা পেঁপে, নাসপাতি ইত্যাদি।
রোগীর খাদ্যতালিকায় প্রোটিন রাখতে হবে রোগের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে। যেমন- রোগীর রক্তের ক্রিয়েটিনিন, শরীরের ওজন, ডায়ালাইসিস করেন কিনা, করলেও সপ্তাহে কয়টা করেন তার ওপর নির্ভর করে প্রোটিনের মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে।
যেমন- কিডনি রোগ শনাক্ত হওয়ার পর প্রতিকেজি দৈহিক ওজনের জন্য প্রোটিনের প্রয়োজন ০.৫-০.৮ গ্রাম। গুরুতর রোগীর জন্য ০.৫ গ্রাম।
হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে
আয়রনের অভাবে হিমোগ্লোবিন কমে যায়। তাই এ সময় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।
হিমোগ্লোবিনের স্তর বাড়ানোর কি কি খাবার খাওয়া উচিত।
শরীরে হিমোগ্লোবিনের অভাব দেখা দিলে নানা রোগ ভোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়। একজন মহিলার শরীরে ১২ গ্রাম ডেসিলিটার হিমোগ্লোবিন থাকা জরুরি। শরীরে আয়রনের অভাব হলে হিমোগ্লোবিনের স্তর কমতে থাকে।
পটাশিয়াম যুক্ত খাবার
শরীরে এর অভাবে মাথা ঘোরা, মুখে ঘা হওয়া, দুর্বলতা অনুভব করা, ক্লান্তি অ্যানিমিয়া, হাত ও পা ফুলে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, ত্বকের রঙ পরিবর্তন হওয়া, পিরিয়ডসে অধিক ব্লিডিং হওয়া, হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। প্রাকৃতিক উপায় ও খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ানো যায়। কীভাবে, জেনে নিন—
১।আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান
আয়রনের অভাবে হিমোগ্লোবিন কমে যায়। তাই এ সময় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। মুরগির লিভার, ডিম, আপেল, বেদানা, ডালিম, তরমুজ, কুমড়োর বীজ, খেজুর, জলপাই, কিশমিশ খেলে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ানো যায়।
২।ভিটামিন সি-এই ভিটামিনের অভাবে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে। আবার ভিটামিন সি ছাড়া আয়রনের শোষণ সম্ভব হয় না। পেঁপে, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, গোলমরিচ, সবুজ ফুলকপি, আঙুর, টমেটো, টক ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে।
৩।ফলিক অ্যাসিড– এটি এক ধরনের ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। লাল রক্তকণিকা তৈরিতে এই ফলিক অ্যাসিড সাহায্য করে। সবুজ শাকসবজি, লিভার, ভাত, শিমের বীজ, বাদাম, কলা, ব্রকোলি ফলিক অ্যাসিডের উল্লেখযোগ্য উৎস।
৪।বিট- হিমোগ্লোবিনের স্তর বৃদ্ধির জন্য বিটের রস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেক চিকিৎসক। আয়রন, ফলিক অ্যাসিড ফাইবার ও পটাশিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস বিট।
থাইরয়েড রোগ নিয়ে প্রশ্ন ও উত্তরঃ
১। প্রশ্নঃথাইরয়েড কি?
উত্তরঃ থাইরয়েড রোগটি মূলত হরমোন জনিত সমস্যা। এ থাইরয়েড হরমন কমে গেলে থাইরয়েড রোগটি হয়ে থাকে।
আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরণের গ্রন্থি থাকে। এগুলো থেকে হরমন রস নিঃসৃত হয়। তেমনি হচ্ছে থাইরয়েড গ্লান্ড।
এটি গলার সামনে থাকে এবং প্রজাপতির মতো গ্লান্ড। এই গ্লান্ড থেকে বিভিন্ন ধরণের রস নিঃসৃত হয়ে গলের ভিতরে প্রবেশ করে নানা ধরণের সমস্যার সৃষ্টি করে।
২। প্রশ্নঃথাইরয়েড রোগ কত প্রকার?
উত্তরঃ মূলত থাইরয়েড হরমোনটি যদি সঠিক মাত্রায় না থাকে, তাহলেই থাইরয়েড রোগটি দেখা যাবে।
১. Hypo Tyroidisom: থাইরয়েড হরমোন কমে গেলে তাকে বলা হয় হাইপো থাইরয়েডিজম।
২. Hyper Thyroidisom: থাইরয়েড হরমোন বৃদ্ধি পেলে তাকে বলা হয় হাইপার থাইরয়েডিজম।
৩।হাইপো থাইরয়েড রোগের লক্ষণ কি কি?
উত্তরঃ থাইরয়েড হরমোন কমে গেলে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হচ্ছেঃ অনেকের ওজন কমে যায়, অনেকের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, বেশি বেশি ঘুম পায়, অনেকের কাজ করতে গেলে কথা ভুলে যায়, অনেকের চুল পড়ে যায়।
এগুলো সাধারণত দেখা যায় হরমোন কমে গেলে। এছাড়াও আরও বড় সমস্যা দেখা যায়। যা হচ্ছেঃ অনিয়মিত মাসিক ও বেশি মাত্রায় রক্তক্ষরণ এবং ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যাত্বতা।
আরও কিছু সমস্যা দেখা দেয় যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগা ইত্যাদি।
৪।প্রশ্নঃ হাইপো থাইরয়েড রোগের চিকিৎসা কি?
উত্তরঃ যখন হাইপো থাইরয়েড নিয়ে কোন রোগী ডাক্তারের কাছে যান সাধারণত তখন ডাক্তাররা রোগীকে একটা চার্ট পড়তে দেন। সেইটা পড়ার পর তারা রোগীদের চিকিৎসা শুরু করেন।
থাইরয়েডের চিকিৎসাতে ডোজের একটা বিষয় থাকে রোগী যদি বাচ্চা হয়ে থাকে, তাহলে চিকিৎসা হবে একরকম। আবার রোগী যদি পূর্ণ বয়স্ক হয়ে থাকে, তাহলে চিকিৎসা হবে আরেক রকম।
থাইরয়েডের চিকিৎসার সময় প্রেগন্যান্ট মহিলারা থাইরয়েড চিকিৎসা করাতে চান না। তারা প্রশ্ন করেন যে যেহেতু প্রেগন্যান্সি টাইমে যেকোন ঔষুধ বাচ্চা বা মায়ের ক্ষতি করতে পারে, তাই তারা ট্রিটমেন্ট করাতে চান না।
থাইরয়েড হরমোনের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ঔষধ রয়েছে। এগুলো সেবনেরও আরও বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে। থাইরয়েড হরমোনের ওষুধ খাওয়ার পরে পরবর্তী দুই ঘন্টা আর কোনো কাজ বা ওষুধ খাওয়া যাবে না।
৫।প্রশ্নঃ হাইপার থাইরয়েডের লক্ষণ কি কি?
উত্তরঃ হাইপার থাইরয়েডে হরমোনের আধিক্য দেখা যায়। এতে করে যেসব লক্ষণ প্রকাশ পায় তা হচ্ছে অস্থির লাগে, অতিরিক্ত ঘামে, বুক ধড়পড় করে, হাতের তালু ঘামে, অতিরিক্ত পায়খানা হয়, খাওয়ার অনেক রুচি থাকার পরও ওজন কমে যাওয়া, অনিয়মিত মাসিক ইত্যাদি।
আবার অনেকের ক্ষেত্রে চুল পড়ে যায় এবং চোখ সামনের দিকে চলে আসে।
৬।প্রশ্নঃ হাইপার থাইরয়েডের চিকিৎসা কি?
উত্তরঃ হাইপার থাইরয়েডের চিকিৎসায় অনেক ঔষধ ব্যবহার হয়ে থাকে। এক্ষেত্রেও অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে যে কতদিন যাবত ওষুধ গুলো তাকে খেতে হবে।
ডাক্তাররা সাধারণত বলে থাকেন যদি কোন রোগী টানা দুই বছর এ রোগের চিকিৎসার ওষুধ নিয়ে থাকে, তাহলে এ রোগ থেকে নিরাময় পাওয়া যাবে।
এ রোগের চিকিৎসায় প্রথমদিকে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ঔষধ দেয়া হয়ে থাকে এবং ধীরে ধীরে রোগীর অবস্থা অনুযায়ী তা কমানো হয়ে থাকে।
অনেক ক্ষেত্রেই এতেই রোগটি নিরাময় হয়ে থাকে। আবার অনেক ক্ষেত্রে সার্জারিরও প্রয়োজন হয়ে থাকে। আবার অনেক ক্ষেত্রে থেরাপিও দেওয়া হয়ে থাকে।
৭।প্রশ্ন: থায়রয়েড গ্লান্ড এবং এর রোগ এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর: থায়রয়েড গ্লান্ড মানব শরীরের প্রধান বিপাকীয় হরমোন তৈরিকারী গ্লান্ড। সময়মতো নির্ণয় করতে পারলে এ রোগ সফলভাবে চিকিৎসা করা সম্ভব।
গর্ভকালীন অবস্থায়: মায়ের হাইপোথায়রয়েডিজমের কারণে বাচ্চার শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। এছাড়া বাচ্চার মধ্যে থায়রয়েড গ্লান্ড তৈরি বা কার্যকর না হলে কনজেনিটাল হাইপোথাইরয়ডিজম দেখা যায়।
ক্রিটিনিজমের লক্ষণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মাংসপেশী ও হাড় এবং স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক বর্ধন না হওয়া। এর ফলে শিশু বেঁটে হয়, বোকা বা বৃদ্ধিহীন হয়ে থাকে। জিহ্বা বড় ও মুখ থেকে বেরিয়ে আসে এবং নাভির হার্ণিয়া (Hernia) হয়।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হরমোনটি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখে; থায়রয়েড গ্রন্থি ঠিকমতো কাজ না করলে শারীরিক এবং মানসিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। একজন শিশু যদি ছোটবেলা থেকে এর অভাবে ভোগে তাহলে সে প্রতিবন্ধী হয়ে বড় হবে। যদি তাকে চিকিৎসা দেওয়া না হয় সে বুদ্ধি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে যাবে।
বড়দের ক্ষেত্রে প্রজননে অক্ষমতা, মহিলাদের মাসিক সমস্যা; বাচ্চা পেটে নষ্ট হওয়াসহ নানা সমস্যা হতে পারে।
৮।প্রশ্ন: আয়োডিনের সাথে থায়রয়েড গ্লান্ডের সম্পর্ক কী?
উত্তর: আয়োডিন থায়রয়েড হরমোন তৈরির বিশেষ একটি উপাদান। আয়োডিন যদি কম থাকে গ্রন্থি চেষ্টা করবে শরীরের হরমোনকে স্বাভাবিক রাখতে। সেক্ষেত্রে আস্তে আস্তে বড় হয়ে যাবে।
যাকে হাইপাট্রোফি বলা হয়। গ্রন্থি বড় হয়ে যাবে এবং হরমোন স্বাভাবিকভাবে বের করার চেষ্টা করবে। করতে করতে এক সময় আর স্বাভাবিকভাবে তৈরি করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে হাইপোথায়রয়েডডজম হয়ে যাবে।
আয়োডিনের অভাবজনিত কারণে নিম্নলিখিত বিশৃঙ্খলাগুলো ঘটতে পারে:
থায়রয়েড গ্রন্থির বৃদ্ধি।
মানসিক অসুস্থতা: ক্ষীণ বুদ্ধিমত্তা, মানসিক প্রতিবন্ধকতা, শিশুদের জ্ঞান সম্পর্কীয় উন্নয়নে বিকলতা।
স্নায়ুপেশিগত দুর্বলতা ও স্প্যাস্টিসিট (পেশি শক্ত হয়ে যাওয়া)।
গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে মৃত শিশুর প্রসব এবং স্বাভাবিক ভ্রূণমোচন।
মূকবধিরত্ব (কথা বলতে অক্ষমতা) ও ডোয়ারফিজমের বা বামনত্ব (অস্বাভাবিক)।
(শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি) জন্মগত অস্বাভাবিকতা।
দেখা, শোনা ও কথা বলায় অস্বাভাবিকতা।
৯।প্রশ্ন: থায়রয়েড রোগ নির্ণয়ের জন্য নিউক্লিয়ার মেডিসিনে পাঠানো হয় কেন?
উত্তর: নিউক্লিয়ার মেডিসিনে নির্দিষ্ট পরিমাণ তেজস্ক্রিয় আয়োডিন রোগীকে খাওয়ানোর পরে নির্দিষ্ট সময় পর কত শতাংশ অপটেক হচ্ছে থায়রয়েড গ্রন্থিতে এটি দেখা হয়। দেখে বলা যায় এর কার্যকারিতা কম না বেশি।
এছাড়া থাইরয়েডের স্ক্যান করা হয়, এখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ তেজস্ক্রিয় টেকনেশিয়াম রোগীকে দেয়া হয়। এটি দেওয়ার নির্দিষ্ট সময় পরে গামা ক্যামেরা দিয়ে স্ক্যান করা হয়। গামা ক্যামেরা হলো এমন একটি ক্যামেরা যে গামা-রে দিয়ে ছবি নিতে পারে। স্ক্যানের মাধ্যমে দেখা হয় থায়রয়েড গ্রন্থির বিভিন্ন সমস্যা। আর যদি কোনো নডিউল থাকে এর কার্যকারিতা কেমন সেটিও দেখা যায়।
১০।প্রশ্ন: হাইপোথায়রয়েডডজম বা হাইপার থায়রয়েডডজমের বেলায় কি চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিউক্লিয়ার মেডিসিনের কোন প্রভাব রয়েছে?
উত্তর: সাধারণত হাইপোথায়রয়েডডজমে চিকিৎসা হলে থায়রয়েড হরমোন পরিপূর্ণ। এই চিকিৎসা একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং একজন এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট বা হরমোন বিশেষজ্ঞ করতে পারে।
এখানে নিউক্লিয়ার মেডিসিনের আলাদা করে কোনো ভূমিকা নেই। তবে যখন হাইপার থায়রয়েডডজম বা ক্যান্সারের বিষয়টি আসে, সেখানে শুধুমাত্র রোগ নির্ণয়ের জন্য এবং গ্লান্ড নষ্ট।
আপনার জন্য –
শর্করা । অ্যালার্জি। ভিটামিন সি। ক্যালসিয়াম। আমিষ। প্রাণীজ আমিষ। আঁশ জাতীয় খাবারের তালিকা সহ বিস্তারিত
সুষম খাবার কাকে বলে? সুষম খাবারের উপাদান সহ সুষম খাবার সম্পর্কে সকল তথ্য
প্রোটিন জাতীয় খাবার সহ গর্ভবতী মায়ের খাবার সম্পর্কে বিস্থারিত জানুন
৬ মাস থেকে ৫ বছরের বাচ্চার খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তা দিন শেষ
বাচ্চার পুষ্টি নিয়ে ভাবছেন?অধিক পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ বাচ্চার খাবার তালিকা
নবজাতক শিশুর যত্ন ও পরিচর্যায় বাবা-মার করণীয়
SS IT BARI– ভালোবাসার টেক ব্লগের যেকোন ধরনের তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের মেইল টি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন
সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!
”
প্রতিদিন আপডেট পেতে আমাদের নিচের দেয়া এই লিংক এ যুক্ত থাকুন
SS IT BARI- ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
SS IT BARI- ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
SS IT BARI- ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এএখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
SS IT BARI-সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
SS IT BARI- ভালবাসার টেক ব্লগ এ হেলথ/স্বাস্থ্য/স্কিন কেয়ার এবং ইতিহাস বিষয়ক লেখালিখি করি। এর আগে বিভিন্ন পোর্টালের সাথে যুক্ত থাকলেও, SS IT BARI-আমার হাতেখড়ি। হেলথ/স্বাস্থ্য/স্কিন কেয়ার বিষয়ক বিশ্লেষণ বাংলায় জানতে ভিজিট করুন http://ssitbari.com