তারাবির নামাজ কত রাকাত সহীহ হাদিস সহ তারাবির নামাজের বিস্তারিত

তারাবির নামাজ কত রাকাত-আল্লাহতায়ালার অপার কৃপায় আমরা পবিত্র মাহে রমজানের রহমতের মাস অতিবাহিত করছি, আলহামদুলিল্লাহ। রমজান মাস এলে রোজার সঙ্গে সঙ্গে যে ইবাদতটির নাম সর্বাগ্রে আসে, তা হলো তারাবির নামাজ। তারাবি শব্দের আভিধানিক অর্থ বিশ্রাম বা আরাম।

তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা অর্থসহ এবং তারাবির নামাজ সম্পর্কিত সকল বিষয়

তারাবির নামাজে চার রাকাত নামাজ পড়ার পর কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নেওয়া হয়, তাই পরিভাষাগতভাবে এ নামাজকে তারাবির নামাজ বলা হয়। ইসলামি স্কলাররা অধিকহারে কল্যাণ কামনায় তারাবির নামাজের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।

তারাবির নামাজ কত রাকাত সহীহ হাদিস,

অনেকের মতে, তারাবির নামাজ আসলে তাহাজ্জুদ নামাজেরই আরেকটি নাম, কিন্তু রমজান মাসে সর্ব সাধারণ যেন এ থেকে অধিকহারে কল্যাণমণ্ডিত হতে পারে এ জন্য সাধারণ মানুষকে রাতের প্রথম ভাগে অর্থাৎ এশার নামাজের পরপরই এ নামাজ পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আজ আপনাদের তারাবির নামাজ কত রাকাত সহীহ হাদিস মতে, দলিল সহ তারাবির নামাজ কত রাকাত, তারাবির নামাজের দোয়া অথসহ, তারাবির নামাজ ২০ না ৮ রাকাত বিস্তারিত সব জানাবো।

তারাবির নামাজ কত রাকাত সহীহ হাদিস

তারাবির নামাজ সুন্নত। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন, তাবে তাবেয়ীন ও মুসলিম উম্মাহর অবিচ্ছিন্ন কর্মধারা হল তারাবির ২০ রাকাত নামাজ।

তারাবি সম্পর্কে অসংখ্য হাদিস সমূহ থেকে কিছু সহিহ হাদিস দলিল এখানে উপস্থাপন করা হল-

১ নং দলিলঃ

ইমাম বুখারি ও ইমাম মুসলিম (রহ.) এর উস্তাদ ইমাম আবু বকর ইবনে শায়বা (রহ.) বর্ণনা করেন,  হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজান মাসে ২০ রাকাত তারাবি এবং বিতর পড়তেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ২/ ৩৯৪, হাদিস নং ৭৬৯০; সুনানে কুবরা ২/৪৯৮; মুজামে কাবির ১১/৩৯৬; আল-মুনতাখাব হাদিস নং ৬৫৩; মুজামে আওসাত ১/৪৪৪, হাদিস নং ৮০৭।)

২ নং দলিলঃ

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা আমার সুন্নতকে এবং সৎপথ প্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নতকে মজবুত ভাবে আঁকড়ে ধর। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৬০৭; সুনানে তিরমিযি, হাদিস নং ২৬৭৬; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং ১৬৬৯২; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪২; সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং ৫; মেশকাত ১/২৯)

সহিহ সনদে প্রমাণিত যে, খুলাফায়ে রাশেদীন বিশ রাকাত তারাবি পড়তেন। এ প্রসঙ্গে ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহ.) বলেন- বিশ রাকাত তারাবি খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নতের দ্বারা প্রমাণিত। (মাজামুউল ফাতাওয়া ২৩/১১৩)তারাবির নামাজ কত রাকাত সহীহ হাদিস,

৩ নং দলিলঃ

রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবিদের নিয়ে মাত্র তিন দিন জামাতের সাথে তারাবি আদায় করার পর ফরজ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় জামাতের সাথে তারাবি পড়া ছেড়ে দিলেন। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.) এর বাকী জীবনে, আবু বকর (রা.) এর খিলাফতকালে এবং উমর (রা.) এর খিলাফতের প্রথম দিকে এ অবস্থাই বিদ্যমান ছিল। (সহিহ বুখারি ১/২৬৯, সহিহ মুসলিম ১/২৫৯; সুনানে আবু দাউদ ১/১৯৫)

?? গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন ??

রমজান মাসের কোন এক রাতে (১৪ হিজরীতে) হযরত উমর (রা.) মসজিদে নববিতে গেলেন এবং দেখতে পেলেন যে, মসজিদের বিভিন্নস্থানে ছোট ছোট জামাত হচ্ছে। তিনি ভাবলেন সকল নামাজিকে এক ইমামের পিছনে একত্র করে দেওয়া উচিত। তখন তিনি জামাতে তারাবি পড়ার নির্দেশ জারি করেন এবং হযরত উবাই ইবনে কা’ব (রা.) কে ইমাম বানিয়ে দেন। আর তিনি সাহাবিদেরকে নিয়ে বিশ রাকাত তারাবি পড়াতে লাগলেন। (সহিহ বুখারি হাদিস নং ২০১০; সুনানে আবু দাউদ হাদিস নং ১৩৭১; ইলাউস সুনান ৭/৬১)

৪ নং দলিলঃ

ইমাম বায়হাকী (রহ.) বর্ণনা করেন, ‘বিখ্যাত সাহাবি সায়েব ইবনে ইয়াযিদ (রা.) বলেন, আমরা হযরত উমর রা. এর যুগে বিশ রাকাত তারাবি এবং বিতর পড়তাম।’

হাদিসটি সহিহ। সহিহ হওয়ার ব্যাপারে সুস্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন বিখ্যাত মুহাদ্দিস, হাফেযুল হাদিস ইমাম নববি, ইমাম ওলিউদ্দীন ইরাকি, ইমাম তাকীউদ্দন সুবকি, ইমাম আইনি, ইমাম সুয়ূতি, ইমাম কাসতালানি, ইমাম যায়লায়ি প্রমুখ হাদিস বিশেষজ্ঞগণ। (উমদাতুল কারি শরহে সহিহ বুখারি ৭/১৭৮; ইরশাদুস সারি শরহে সহিহ বুখারি ৪/৫৭৮; মারেফাতুস সুনান ২/৩০৫; সুনানে কুবরা, বায়হাকী ১/২৬৭; আল-মাজমু শরহুল মুহাযযাব ৩/৫২৭; তুহফাতুল আখইয়ার ১০৮)

৫ নং দলিলঃ

হযরত উসমান (রা.) এর খিলাফতকালে বিশ রাকাত তারাবি পড়া হত। হযরত ইয়াযিদ ইবনে খুসাইফা রহ. থেকে বর্ণিত, প্রখ্যাত সাহাবি সায়েব ইবনে ইয়াযীদ রা. বলেন, হযরত উমর রা. এর যুগে তারা (সাহাবায়ে কেরাম) বিশ রাকাত তারাবি পড়তেন এবং শতাধিক আয়াত বিশিষ্ট সূরা সমূহ পড়তেন। আর হযরত উসমান রা. এর যুগে দীর্ঘ দন্ডায়মান থাকার কারণে তারা লাঠিতে ভর দিতেন। হাদিসটি সহিহ।

যেসকল হাদিস বিশেষজ্ঞগণ হাদিসটিকে সহিহ হিসেবে অভিহিত করেছেন তারা হলেন- হাফেজুল হাদিস ইমাম নিমাভি, ইমাম নববি, ইমাম সুবকি, ইমাম যায়লায়ি, প্রমূখ মুহাদ্দিসগণ। (সুনানে কুবরা, বায়হাকি ২/৪৯৬; আসারুস সুনান ২/৪৭৩, হাদিস নং ৭৭৭; আত-তালীকুল হাসান ২/৫৪; নাসবুর রায়াহ ২/১৫১; ইলাউস সুনান ৭/৬৯) উল্লিখিত হাদিসটি স্পষ্ট প্রমাণ বহন করে যে, তৃতীয় খলীফা হযরত উসমান রা. এর খিলাফতকালেও বিশ রাকাত তারাবি পড়া হত।

৬ নং দলিলঃ

হযরত আলী (রা.) তার খেলাফতকালে বিশ রাকাত তারাবি পড়ার আদেশ দিয়েছেন। প্রখ্যাত তাবেয়ি আবু আব্দুর রহমান বলেন, ‘হযরত আলী (রা.) রমজান মাসে বিজ্ঞ কারীদেরকে ডাকলেন এবং তাদের একজনকে আদেশ দিলেন, যেন তিনি লোকদেরকে নিয়ে বিশ রাকাত তারাবি পড়েন।’ হাদিসটি হাসান এবং সহিহ।

৭ নং দলিলঃ

পবিত্র কুরআনে এসেছে, ‘যারা আনসার ও মুহাজির সাহাবিদের অনুসরণ করে আল্লাহতায়ালা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন জান্নাত’। (সুরা তাওবা, আয়াত- ১০০-১০১) আর সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে, আনসার ও মুহাজির সাহাবায়ে কেরাম বিশ রাকাত তারাবি পড়তেন। (সুনানে

৮ নং দলিলঃ

‘সকল সাহাবি জান্নাতি, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট। তাদের আমল ও আদর্শের অনুসরণে আখেরাতে জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাত লাভ।’ (সুরা হাদীদ, আয়াত ১০; সূরা আম্বিয়া, আয়াত ১০২; সুনানে তিরমিযি, মেশকাত ২/৫৫৪; তাফসিরে মারেফুল কুরআন ১২৭৫ পৃ:)

মসজিদে নববিতে ১৪ হিজরিতে হযরত উমর (রা.) এর নির্দেশে বিখ্যাত সাহাবি উবাই ইবনে কা’ব (রা.) সাহাবিদেরকে নিয়ে জামাতে বিশ রাকাত তারাবি পড়া আরম্ভ করেন। আর এর উপর সাহাবিদের ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়। (আত-তামহীদ ৮/১০৮-১০৯)

এ প্রসঙ্গে ইমাম ইবনে তাইমিয়া ও হাফেযুল হাদিস ইবনে আব্দুল বার (রহ.) বলেন, ‘হযরত উবাই ইবনে কা’ব (রা.) রমজান মাসে সাহাবিদেরকে নিয়ে বিশ রাকাত তারাবি এবং তিন রাকাত বিতর পড়তেন। এতে কোন একজন সাহাবিও দ্বিমত পোষণ করেননি। (আল-ইস্তিযকার ৫/১৫৭; মাজমুউল ফাতাওয়া ২৩/১১২-১১৩; সুনানে তিরমিযী ১/১৬৬)

৯ নং দলিলঃ

‘হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, ইবনে আবী মুলাইকা আমাদের কে নিয়ে রমজান মাসে বিশ রাকাত তারাবি পড়তেন।’ হাদিসটি সহিহ। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ২/৩৯৩; আসারুস সুনান ২/২৫৩, হাদিস নং ৭৮৪; আওজাযুল মাসালেক ২/৩০৫)

১০ নং দলিলঃ

হাফেজুল হাদিস ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) সহিহ সনদে বর্ণনা করেন যে, রমজানের প্রথম রাত যখন আগমন করত তখন ইমাম বুখারি র. এর নিকটে তার ছাত্র ও ভক্তবৃন্দরা একত্রিত হত। তিনি তাদেরকে নিয়ে তারাবির নামাজ আদায় করতেন। প্রতি রাকাতে বিশ আয়াত করে তেলাওয়াত করতেন। আর এভাবেই তিনি তারাবিতে কুরআন খতম করতেন। (মুকদ্দমায়ে ফাতহুল বারী শরহে সহিহ বুখারি ৫৬৫ পৃ: ১৫ নং লাইন)তারাবির ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের আমল ও আদর্শ ৮ রাকাত নয়, বিশ রাকাত।

সুতরাং আখেরাতে যারা জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাতে প্রবেশ করতে চায় তাদের উচিত হল রাসুলুল্লাহ (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের আমল ও আদর্শের অনুসরণে ও অনুকরণে বিশ রাকাত তারাবি আদায় করা এবং নাজাত প্রাপ্ত দলের অন্তর্ভুক্ত হওয়া।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে সহিহ হাদিস অনুযায়ী আমল করার তৌফিক দান করুন।

তারাবির নামাজ কত রাকাত দলিলসহ

১।আবু সালামা ইবনে আবদুর রহমান (রাঃ) বলেন-

তিনি একদা আয়েশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেন যে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রমজানের রাতের সালাত কেমন ছিল। উত্তরে তিনি বলেন, রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রামাযান মাসে এবং রামাযানের বাইরে ১১ রাকাতের বেশি ছালাত আদায় করতেন না। তিনি প্রথমে (২+২) চার রাকাত পড়তেন। তুমি (আবু সালামা) তার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করাে না। অতঃপর তিনি (২+২) চার রাকাত পড়তেন। তুমি তার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করাে না। অতঃপর তিনি তিন রাকাত (বিতর) পড়তেন।তারাবির নামাজ কত রাকাত সহীহ হাদিস,

সহীহ মুসলিম ২০১৩

হাদীসটি প্রায় সকল হাদীস গ্রন্থেই বর্ণিত হয়েছে। এর বিশুদ্ধতা সম্পর্কে আলোচনার প্রশ্নই উঠে না। কারণ ইমাম বুখারী (১৯৪-২৫৬ হিঃ) ও মুসলিম (২০৪-২৬১ হিঃ) স্ব স্ব সহীহ গ্রন্থে এটি বর্ণনা করেছেন। বিশেষ করে ইমাম বুখারী (রহঃ) হাদীছটি তারাবীর সালাত অধ্যায়ে বর্ণনা করেছেন। তিনি রামাযান ও অন্য মাসে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রাত্রির সালাত অধ্যায়েও হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও অন্য আরেকটি অধ্যায়ে ভিন্ন সনদে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন।

 পড়ুন-আহলান সাহলান মাহে রমজান

উল্লেখ্য যে, ইমাম বুখারী (রহঃ) উক্ত শিরোনাম উল্লেখ করলেও ভারত উপমহাদেশের ছাপা সহীহ বুখারী থেকে তা মুছে দেওয়া হয়েছে। কারণ হল, তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ পৃথক সালাত, তারাবীহ ২০ রাকাত আর তাহাজ্জুদ ১১ রাকাত, আয়েশা (রাঃ)-এর হাদীসে তাহাজ্জুদের কথা বলা হয়েছে ইত্যাদি যে সমস্ত মিথ্যা কথা প্রচলিত আছে উক্ত শিরোনামের মাধ্যমে সেগুলো ভ্রান্ত বলে প্রমাণিত হয়েছে।

এছাড়া উপমহাদেশে ছহীহ বুখারীর পাঠদান ও পাঠগ্রহণকারী লক্ষ লক্ষ শিক্ষক-ছাত্র ও কেরামের নিকট বিষয়টি যখন পরিস্কার হয়ে যাবে, তখন তাদের মনে চিরতরে বদ্ধমূল হয়ে যাবে যে, তারাবীহর ছালাত ৮ রাকআত; ২০ রাকআত নয়।

তারাবির নামাজের দোয়া -তারাবির নামাজ কত রাকাত?

কারণ তখন ইমাম বুখারীর উপরে অন্য কোন ব্যক্তির প্রাধান্য থাকবে না। তাই এই ন্যক্কারজনক কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। আমরা দৃঢ় বিশ্বাস করি যে, ছল-চাতুরী করে ইসলামী শরীআতকে কখনাে গােপন করা যায় না। ছহীহ বুখারী শুধু উপমহাদেশেই ছাপা হয় না; বরং বিশ্বের বহু দেশে আল্লাহ তাআলা তা ছাপানাের ব্যবস্থা রেখেছেন।

তাই সিরিয়া, মিসর, কুয়েত, লেবানন, সউদী আরবসহ অন্যান্য দেশে ছহীহ বুখারী যত বার ছাপানাে হয়েছে ,সেখানেই উক্ত শিরােনাম বহাল রয়েছে, তা পুরাতন হােক আর নতুন হােক। আফসােস! হককে গোপন করার এই কৌশলী ব্যবসা আর কত দিন চলবে! উক্ত হাদিস থেকে স্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত হয় যে, রামাযান মাসে হোক আর অন্য মাসে হােক রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাত্রির সালাত ১১ রাকাতের বেশি কখনাে পড়তেন না। যার মধ্যে আট রাকাত তারাবীহ বা তাহাজ্জুদ আর তিন রাকাত বিতর ।

আরো প্রমাণিত হল যে, তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ একই সালাত, ভিন্ন কোন সালাত নয়। তাই ইমাম বুখারী হাদীছটি ‘তাহাজ্জুদ’ সালাতের অধ্যায়েও বর্ণনা করেছেন। উক্ত হাদীছের বিশুদ্ধতা সম্পর্কে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলা যায় যে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রাত্রির সালাত অর্থাৎ তারাবীহ ও তাহাজ্জুদের রাকাত সংখ্যার ব্যাপারে এর চেয়ে অধিক বিশুদ্ধ হাদীস পৃথিবীতে আর নেই।

এছাড়া আয়েশা (রাঃ)-কে আবু সালামা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রমজান মাসের রাতের সালাত সম্পর্কেই জিজ্ঞেস করেছিলেন। আর তারই জবাবে তিনি ১১ রাকাতের কথা উল্লেখ করেন।

আরো স্পষ্ট হয় যে, হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে মা আয়েশা (রাঃ)-এর মাধ্যমে। আর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রাত্রির অবস্থা সম্পর্কে অন্যদের চেয়ে তিনিই বেশি জানবেন এটাই স্বাভাবিক। অতএব দ্বীনের প্রকৃত অনুসারীদের জন্য এই একটি হাদীস ই যথেষ্ট।

২।জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রাঃ বলেন-

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমজান মাসে আমাদের সাথে ৮ রাকআত সালাত আদায় করেছেন এবং বিতর পড়েছেন।

নফল রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া বাংলা সহ নফল রোজার বিস্তারিত

সহীহ ইবনে খুযায়মাহ ১০৭০

হাদীছটি কয়েকটি সূত্রে হাসান সনদে বর্ণিত হয়েছে; আল্লামা যাহাবী (৬৭৩-৭৪৮ হিঃ) তার মীযানুল ইতিদাল গ্রন্থে হাদীসটি উল্লেখ করার পর বলেন, হাদিসটির সনদ উত্তম স্তরের অর্থাৎ হাসান; শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) বলেন, হাদিসটির সনদ হাসান; ইবনে খুযায়মার মুহাক্কিক ড. মুহাম্মাদ মুস্তাফা আল আজামী বলেন, এর সনদ হাসান; উল্লেখ্য, হাদীসটিকে কেউ কেউ ত্রুটিপূর্ণ বলতে চাইলেও তা সঠিক নয়; কারণ ইমাম যাহাবী এর সম্পর্কে হাসান বলে মন্তব্য করেছেন; তাই সাধারণত অন্যের মন্তব্যের অপেক্ষা রাখে না।

সরাসরি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পক্ষ থেকে মারফু সূত্রে বর্ণিত উপরিউক্ত ছহীহ হাদীছ সমূহের মাধ্যমে অকাট্য ভাবে প্রমাণিত হল যে, তারাবীহর সালাত ৮ রাকাতের বেশি নয়।

তাই শায়খ আলবানী উক্ত দলিল সমূহ পেশ করার পর বলেন,

যা পূর্বে উল্লিখিত হয়েছে তাতে আমাদের নিকট স্পষ্ট হয়েছে যে, রাত্রির সালাতের রাকাত সংখ্যা হল ১১, যা রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আমল থেকে সহীহ দলিলের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।

সুতরাং উম্মতে মুহাম্মদীর উপর অপরিহার্য কর্তব্য হল, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এই সুন্নাতকে শক্ত ভাবে হাতে দাঁতে আঁকড়ে ধরা। কারণ তিনি কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিলে সে বিষয়ে মুসলিম নর-নারীর স্বেচ্ছা প্রণোদিত হয়ে কিছু করার অধিকার থাকে না।

যদি কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সিদ্ধান্তের বাইরে যায় তাহলে তার পরিণতি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ।

৩।আল্লাহ তাআলা বলেন-

আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিলে কোন মুমিন পুরুষ বা কোন মুমিন নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন সিদ্ধান্তের অধিকার থাকে না; যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করবে সে স্পষ্টই পথভ্রষ্ট হবে।

সূরা আহযাব আয়াত নং ৩৬

জিলহজ্জ মাসের রোজা। জিলহজ্জ মাসের রোজার ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত

৪।অন্যত্র মহান আল্লাহ বলেন-

আপনার প্রতিপালকের শপথ! তারা মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের বিবাদ-বিসম্বাদের বিচার ভার আপনার উপর অর্পণ না করবে; অতঃপর আপনার দেওয়া সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে তাদের মনে কোন দ্বিধা থাকবে না এবং সর্বান্তকরণে মেনে নেবে।

সূরা আন নিসা আয়াত নং ৬৫

এছাড়া আরো নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে যে, কোন বিষয়ে মতানৈক্য দেখা দিলে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সিদ্ধান্তের দিকে ফিরে যেতে হবে।

৫।আল্লাহ তাআলা বলেন-

হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর এবং তোমাদের মধ্যে যিনি শাসক তার; তোমাদের মাঝে কোন বিষয়ে মতভেদ হলে সেটাকে আল্লাহ ও রাসূলের দিকে ফিরিয়ে দাও; যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক; এটাই কল্যাণকর ও পরিণতির দিক থেকে উত্তম।

সূরা আন নিসা আয়াত নং ৫৯

উক্ত দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা সত্ত্বেও যদি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নাতের বিরোধিতা করা হয় তাহলে ইহকালে ও পরকালে এর পরিণতি হবে অত্যন্ত মর্মান্তিক।

৬। মহান আল্লাহ বলেন-

অতএব যারা রাসূলের আদেশের বিরুদ্ধাচারণ করে তারা এ বিষয়ে সতর্ক হােক যে, তাদেরকে মহা বিপর্যয় পাকড়াও করবে (দুনিয়াতে) অথবা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি তাদেরকে গ্রাস করবে।

সূরা আন নূর আয়াত নং ৬৩

মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আদর্শের বিরােধী হওয়ার কারণেই আজ বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহর এই মহা বিপর্যয়। তাদের পরকাল হবে আরো ভয়াবহ।

সাহাবীদের যুগে তারাবির নামাজ

মুসলিম সমাজে প্রচার করা হয় যে, ওমর ও আলী (রাঃ) উভয়েই বিশ (২০) রাকাত তারাবি চালু করেছিলেন; এটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা; মর্যাদাশীল জান্নাতি সাহাবীগণের বিরুদ্ধে এগুলো মিথ্যা অপবাদ মাত্র; কারণ তারা কখনো রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আমলের বিপরীতে ২০ রাকাত তারাবীহ পড়েননি, নির্দেশও দেননি; নিম্নে এ বিষয়ে আলোকপাত করা হল-

১।সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) হতে বর্ণিত-

তিনি বলেন, ওমর (রাঃ) উবাই ইবনে কা’ব ও তামীম আদ-দারী (রাঃ)-কে লােকদেরকে নিয়ে ১১ রাকাত সালাত আদায় করার নির্দেশ প্রদান করেন।

আশুরার রোজার নিয়ত

মুয়াত্তা মালেক ১/১১৫ পৃঃ, রামাযান মাসে রাত্রির সালাত’ অনুচ্ছেদ; সহীহ ইবনে খুযায়মা ৪/৬৯৮ পৃঃ; সাঈদ ইবনু মানসূর, আস-সুনান; কিয়ামুল লাইল, পৃঃ ৯১; আবু বকর আন-নিশাপুরী, আল ফাওয়ায়েদ ১/১৩৫ পৃঃ; বায়হাকী আল-মারেফা; ফির ইয়াবী ১/৭৬ পৃঃ ও ২/৭৫ পৃঃ; আলবানী, তাহক্বীক্ব মিশকাত (বৈরূত: আল-মাকতাবুল ইসলামী, ১৯৮৫/১৪০৫), ১/৪০৭ পৃঃ হা/১৩০২-এর টীকা সহ দ্রঃ; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, ৩/১৫২ পৃঃ, হা/১২২৮ রমজানের রাতের সালাত অনুচ্ছেদ।

উপরিউক্ত হাদীছটি অনেকগুলো হাদিস গ্রন্থে বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে তার সবগুলােই সহীহ।

আল্লামা নীমভী হানাফী (রহঃ) তাঁর আছারুস সুনান গ্রন্থে হাদিসটির সনদ সম্পর্কে বলেন, এই হাদীসের সনদ ছহীহ।তারাবির নামাজ কত রাকাত সহীহ হাদিস,

শায়খ আলবানী বলেন, এই হাদীসের সনদ অতীব বিশুদ্ধ; কারণ সায়িব ইবনু ইয়াযীদ একজন সাহাবী, তিনি ছােটতে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে হজ্জ করেছেন।

অন্যত্র তিনি বলেন, আমি বলছি, এই হাদীসের সনদ অত্যন্ত ছহীহ; কেননা এর রাবী মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ ইমাম মালেক (রহঃ)-এর উস্তাদ; সকলের ঐকমত্যে তিনি একজন অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য রাবী; তাছাড়া ইমাম বুখারী ও মুসলিম তার হাদীস থেকে দলীল গ্রহণ করেছেন।

উল্লেখ্য যে, মুয়াত্তার ভাষ্যকার আল্লামা যারকানী ইবনু আব্দিল বার-এর বক্তব্য উদ্ধৃত করেছেন যে, ইমাম মালেক ছাড়া অন্যরা কেউ ১১ রাকাতের কথা বর্ণনা করেননি; বরং সবাই ২১ রাকাত বর্ণনা করেছেন, যা মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাকে বর্ণিত হয়েছে; অবশ্য পরেই তিনি এই বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছেন; ২১ রাকাত সংক্রান্ত উক্ত বক্তব্য চরম বিভ্রান্তির; কারণ ইমাম মালেক ছাড়াও অনেকেই ১১ রাকাতের উক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন; আবু বকর নিশাপুরী, ফিরইয়াবী, বায়হাক্বী, ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ আল-ক্বাত্বান,২৪ ইসমাঈল ইবনে উমাইয়া, উসামা ইবনে যায়েদ, মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক, ইসমাইল ইবনে জাফর প্রমুখ ওমর (রাঃ) নির্দেশিত ১১ রাকাতের হাদীস বর্ণনা করেছেন।

আলহামদুলিল্লাহ অর্থ কি? আলহামদুলিল্লাহ বলার ফজিলত সহ বিস্তারিত

২।আব্দুর রহমান মুবারকপুরী উক্ত বক্তব্যের বিরুদ্ধে বলেন-

আমি বলছি, ১১ রাকাত ত্রুটিপূর্ণ’ ইবনে আব্দুল বার-এর এই বক্তব্য আমার নিকট অতীব ভ্রান্তিপূর্ণ।

শায়খ আল্লামা ওবায়দুল্লাহ মুবারকপুরী (মৃঃ ১৯৯৪ খৃঃ) তার মিশকাতুল মাসাবীহ-এর জগদ্বিখ্যাত ভাষ্য ‘মিরআতুল মাফাতীহ’ গ্রন্থে উক্ত হাদীসের আলোচনায় বলেন,

ওমর (রাঃ) রমজানের রাতের সালাতের জন্য লােকদেরকে যে একত্রিত করেছিলেন এবং তিনি যে তাদেরকে বিতর সহ ১১ রাকাত করে পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন, এই হাদীস তার প্রামাণ্য দলীল। এছাড়া তার যুগে সকল সাহাবা ও তাবেয়ীগণ যে তারাবীর সালাত ১১ রাকআতই পড়তেন এটা তারও সুস্পষ্ট প্রমাণ। কারণ এ হাদীছটি পূর্বে বর্ণিত আয়েশা (রাঃ)-এর হাদীসের সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্যশীল এবং জাবির (রাঃ) বর্ণিত হাদীসের সাথেও সামঞ্জস্যশীল।

মুহাম্মদ ইবনু ইউসুফ রাঃ বলেন, সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ)-কে জানানো হয়েছে যে, ওমর (রাঃ) উবাই ও তামীম আদ-দারীর মাধ্যমে লােকদের একত্রিত করেন। অতঃপর তারা উভয়ে ১১ রাক’আত ছালাত আদায় করান।

মুহাম্মাদ ইবনু আবী শায়বা আল-কুফী, আল-মুসান্নাফ (বৈরুত: দারুল ফিকর, ১৯৮৯/১৪০৯ হিঃ), ২/২৮৪ পৃঃ, হা/৭৭২৭, রামাযান মাসে রাতের সালাত অনুচ্ছেদ।

হাদীছটি সম্পর্কে আল্লামা ওবায়দুল্লাহ মুবারকপুরী (রহঃ) বলেন, হাদিসটির সনদ ছহীহ।

মুহাদ্দিসগণের পক্ষ থেকে সহীহ বলে স্বীকৃত উক্ত হাদীস দ্বয়ের মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে, দ্বিতীয় খলিফা ওমর (রাঃ) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সালাতের ন্যায় ১১ রাকাত তারাবিহ পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এক্ষণে আমরা জানব, ওমর (রাঃ)-এর যুগে কত রাকআত তারাবীহ পড়া হত।

৩।মুহাম্মদ ইবনু ইউসুফ (রাঃ) বলেন-

আমি সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি তিনি বলেছেন, আমরা ওমর (রাঃ)-এর যামানায় ১১ রাকাত সালাত আদায় করতাম।

সাঈদ ইবনু মানছুর, আস-সুনান, আওনুল মাবুদ ৪/১৭৫, হা/১৩৭২-এর আলােচনা দ্রঃ।

হাদিসটির সনদ সম্পর্কে শায়খ আলবানী ও আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ূতী (৮৪৯৯১১ হিঃ) বলেন, হাদিসটির সনদ ছহীহ পর্যায়ভুক্ত।

৪।সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) বলেন-

আমরা ওমর (রাঃ)-এর যামানায় রামাযান মাসে ১৩। রাকাত সালাত পড়তাম।

মুহাম্মাদ ইবনু নাছর, কিয়ামুল লাইল; ফাৎহুল বারী ৪/৩১৯ পৃঃ।

উক্ত বর্ণনাতে ফজরের দুই রাকাত সুন্নত সহ বর্ণিত হয়েছে; আয়েশা (রাঃ)-এর হাদীছের সাথে সামঞ্জস্য রয়েছে যেখানে ফজরের দুই রাকাত সুন্নত সহ এসেছে; সেই সাথে ইমাম মালেক বর্ণিত ওমর (রাঃ)-এর নির্দেশিত ১১ রাকআতের হাদীসের সাথেও মিল রয়েছে।

৫।তাই আল্লামা নীমভী হানাফী এ সম্পর্কে বলেন-

ইমাম মালেক মুহাম্মাদ ইবনু ইউসুফ থেকে যা বর্ণনা করেছেন, এ হাদীসটি তার অতীব নিকটবর্তী অর্থাৎ সহীহ।

ইবনে হাজার আসকালানী বলেন, হাদীছটি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রাত্রির সালাতের ব্যাপারে বর্ণিত মা আয়েশা (রাঃ)-এর হাদীসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

ইবনে ইসহাক বলেন, তারাবীর সালাত সম্পর্কে আমি যা শুনেছি তার মধ্যে এটিই সর্বাধিক বলিষ্ঠ বর্ণনা।

আমরা এতক্ষণ আট বা এগারো রাকাতের পক্ষে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবীগণ এবং তাদের যুগ পর্যন্ত যে হাদীসগুলো পেশ করলাম তার সবগুলোই সহীহ। রিজাল শাস্ত্র বিদগণ এবং বিশ্ব বিখ্যাত মুহাদ্দিস গণের বলিষ্ঠ উক্তির মাধ্যমে যা প্রমাণিত হয়েছে।

তারাবির নামাজের দোয়া বাংলা অর্থসহ

রমজানের রাতের নামাজকে তারাবিহ বলে। আর আরবিতে তারাবিহ (تَرَاوِيْح) শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘বিশ্রাম করা’। লম্বা কেরাতে প্রতি ৪ রাকাআত নামাজ পড়ার পর পর একটু বিশ্রাম গ্রহণ করার মাধ্যমে রাত জেগে যে নামাজ পড়া হয় মূলত তা হচ্ছে তারাবিহ নামাজ।

রাতের এ নামাজের রয়েছে অনেক ফজিলত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রাতের (তারাবিহ) নামাজ ঈমানের সঙ্গে সাওয়াবের নিয়তে পড়বে, তার জীবনের আগের সব গোনাহ মাফ করে দেয়া হয়।’

তারাবিহ নামাজের নিয়ত

নিয়ত আরবিতে করতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আরবি কিংবা বাংলায় নিয়ত করলে তা হয়ে যাবে।

তারাবিহ’র দুই রাকাআত নামাজ ক্বেবলামুখী হয়ে আল্লাহর জন্য (এ ইমামের পেছনে) পড়ছি- (اَللهُ اَكْبَر) আল্লাহু আকবার।

২ রাকাআত করে আলাদা নিয়তে ৪ রাকাআত নামাজ পড়া। ৪ রাকাআত পড়ার পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়া। সেসময় তাসবিহ-তাহলিল, তাওবা-ইসতেগফার পড়া। গোনাহ মাফে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা।

খানিক বিশ্রামের পর আবার ২/২ রাকাআত করে ৪ রাকাআত নামাজ আদায় করা। আবার কিছু বিশ্রাম করে আবার নামাজের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা।

প্রত্যেক ৪ রাকাআত নামাজ পড়ার পর বিশ্রামের সময় অনেকেই আল্লাহর কাছে দোয়া করে থাকেন। অনেকে মুনাজাতও করে থাকেন। প্রতি ৪ রাকাতে মুনাজাত না করে একেবারে শেষে করলেও কোনো সমস্যা নেই।

তারাবিহ নামাজের দোয়া

তারাবিহ নামাজের পর মুনাজাতের জন্য নির্দিষ্ট কোনো দোয়া নেই। তবে গোনাহমুক্ত জীবন লাভে তাওবা-ইসতেগফারের বিকল্প নেই।

তবে আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত একটি দোয়া রয়েছে, যা তারাবিহ নামাজে পড়া হয়। আর এ দোয়াটি ব্যাপকভাবে পড়ার কারণে অনেক মানুষই তা মুখস্ত জানে। চাইলে এ দোয়াটিও প্রতি ৪ রাকাআত পর পর পড়া যেতে পারে। আর তাহলো-

سُبْحانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ سُبْحانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدَ سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنا وَرَبُّ المْلائِكَةِ وَالرُّوْحِ

উচ্চারণ: ‘সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইয্যাতি ওয়াল আঝমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিব্রিয়ায়ি ওয়াল ঝাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুত আবাদান আবাদ; সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রূহ।’

তারাবিহ নামাজের ৪ রাকাআত পর পর শুধু এ দোয়াটিই পড়তে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যে কোনো দোয়া-ই পড়া যেতে পারে। এতে তারাবিহ নামাজেরও কোনো অসুবিধা হবে না।

তারাবিহ শেষে মুনাজাত

আবার তারাবিহ নামাজ শেষ হলেও সবাই সমবেতভাবে মুনাজাত করে। আবার অনেকে একাকি মুনাজাত করে। এ মুনাজাত সমবেত হোক আর একাকি হোক যে কোনো দোয়া দিয়ে তা করা যেতে পারে।মনের একান্ত কথাগুলো যেভাবে ইচ্ছা আল্লাহর কাছে তুলে ধরায় কোনো অসুবিধা নেই। তবে তারাবিহ নামাজের দোয়ার মতো মুনাজাতেরও একটি ব্যাপক প্রচলিত দোয়া রয়েছে। ইচ্ছা করলে এ দোয়াটিও পড়া যায়। আর তাহলো-

اَللَهُمَّ اِنَّا نَسْئَالُكَ الْجَنَّةَ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ يَا خَالِقَ الْجَنَّةَ وَالنَّارِ- بِرَحْمَتِكَ يَاعَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا كَرِيْمُ يَا سَتَّارُ يَا رَحِيْمُ يَاجَبَّارُ يَاخَالِقُ يَابَارُّ – اَللَّهُمَّ اَجِرْنَا مِنَ النَّارِ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ- بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّحِمِيْنَ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনাননার। ইয়া খালিক্বাল জান্নাতি ওয়ান নার। বিরাহমাতিকা ইয়া আঝিঝু ইয়া গাফফার, ইয়া কারিমু ইয়া সাত্তার, ইয়া রাহিমু ইয়া ঝাব্বার, ইয়া খালিকু ইয়া বার্রু। আল্লাহুম্মা আঝিরনা মিনান নার। ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝির। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।’

– অনেকে রমজানজুড়ে এ দোয়াও বেশি বেশি পড়ে থাকেন-

اَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇﻧَّﻚَ ﻋَﻔُﻮٌّ ﺗُﺤِﺐُّ اﻟْﻌَﻔْﻮَ ﻓَﺎﻋْﻒُ ﻋَﻨِّﻲ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’ফু আ’ন্নি।

– তাছাড়া তারাবিহ নামাজের পর সাইয়্যিদুল ইসতেগফারও পড়া যেতে পারে-

اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ

উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্বতানি; ওয়া আনা আ’বদুকা ওয়া আনা আ’লা আ’হদিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাসতাত্বা’তু, আউজুবিকা মিন শাররি মা সানা’তু আবুউলাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়া; ওয়া আবুউ বিজামবি ফাগফিরলি ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আনতা।

মুসলিম উম্মাহর জন্য এক মহাঅনুগ্রহের মাস রমজান। এ মাসের মর্যাদা অন্য মাসের তুলনায় অনেক বেশি।

তারাবির নামাজের ২০ রাকাত না রাকাত

আপনি তারাবির নামাজ ২০ রাকাতও পড়তে পারেন। এটি ওলামায়েকেরামের বক্তব্য রয়েছে এবং এ বিষয়ে সাপোর্ট রয়েছে এবং এর পক্ষে দলিলও রয়েছে। ৮ রাকাতও আপনি পড়তে পারেন। ৮ রাকাতের বিষয়ে ওলামায়েকেরামের ইস্তিহাদ রয়েছে তারাবির সালাতের বিষয়ে।

আপনি যে কথা বলেছেন, রাসুলুল্লা (স.) কখনো তারাবির নামাজ ২০ রাকাত পড়েননি, এ কথা সত্য বলেছেন। রাসুলুল্লাহ (স.)-এর কোনো সহিহ হাদিসের মাধ্যমে এটি সাব্যস্ত হয়নি রাসুলুল্লাহ (স.) ২০ রাকাত পড়েছেন।তারাবির নামাজ কত রাকাত সহীহ হাদিস,

তারাবির সালাত দুই দুই রাকআত করে যেকোনো সংখ্যক রাকআত পড়া হয়।  তারাবির নামাজের রাকআত নির্দিষ্ট করা হয়নি। হানাফি, শাফিয়ি ও হাম্বলি ফিকহের অনুসারীগণ ২০ রাকআত, মালিকি ফিকহের অনুসারীগণ ৩৬ রাকআত এবং আহলে হাদীসরা ৮ রাকআত তারাবির পড়েন।

তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল?

তারাবির নামায নারী-পুরুষ সকলের জন্য সুন্নতে মুয়াক্কাদা। (সুন্নতে মুআক্কাদা ওয়াজিবের মতই। অর্থাৎ ওয়াজিবের ব্যাপারে যেমন জবাবদিহী করতে হবে, তেমনি সুন্নতে মুআক্কাদার ক্ষেত্রে জবাবদিহী করতে হবে। তবে ওয়াজিব তরককারীর জন্য সুনিশ্চিত শাস্তি পেতে হবে, আর সুন্নতে মুআক্কাদা ছেড়ে দিলে কখনো মাফ পেয়ে যেতেও পারে। তবে শাস্তিও পেতে পারে। – আল্লামা জুরজানী রাহ)

তারাবির নামাজ নিয়ে প্রশ্ন ও উত্তর

১। প্রশ্ন:তারাবিহ শব্দের অর্থ কি?

উত্তরঃ তারাবিহ শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘বিশ্রাম করা’।

২। প্রশ্ন:তারাবির নামাজ  কি?

প্রতি চার রাকাআত নামাজ শেষ করে যাতে একটু বিশ্রাম গ্রহণ করা যায় তাই একে তারাবির নামাজ বলা হয়।

৩।প্রশ্ন: তারাবির নামাজ কত রাকাত?

উত্তরঃ  হানাফি, শাফিয়ি ও হাম্বলি ফিকহের অনুসারীগণ ২০ রাকআত, মালিকি ফিকহের অনুসারীগণ ৩৬ রাকআত এবং আহলে হাদীসরা ৮ রাকআত তারাবির পড়েন।

৪।প্রশ্ন: তারাবির নামাজ কি সুন্নত না নফল?

উত্তর: তারাবির নামায নারী-পুরুষ সকলের জন্য সুন্নতে মুয়াক্কাদা।

৫।প্রশ্ন: খতম তারাবীহ এবং সূরা তারাবীহ কি?

উত্তর: বাংলাদেশে তারাবীহর নামাজের দুটি পদ্ধতি প্রচলিত। একটি খতম তারাবীহ আর অন্যটি সূরা তারাবীহ। খতম তারাবীহর ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ কুরআন পাঠ করা হয়। খতম তারাবীহর জন্য কুরআনের হাফিযগণ ইমামতি করেন। সূরা তারাবীহর জন্য যেকোন সূরা বা আয়াত পাঠের মাধ্যমে সূরা তারাবীহ আদায় করা হয়।

৬।প্রশ্ন:তারাবির নামাজ কেন পড়ব?ফযিলত কি?

উত্তর;রাসূল(সাঃ) বলেছেন,”যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াব পাওয়ার আশায় রমজানের রাতে তারাবি নামাজ আদায় করে ,তার অতিতকৃত পাপগুলো ক্ষমা করা হয়।(বুখারি ও মুসলিম)

হাদিস দ্বারা তারাবির নামাজের অশেষ সওয়াবের কথা প্রমানিত।

৭।প্রশ্ন:তারাবি নামাজ না পড়লে গুনাহ হবে?

উত্তর:অবশ্যই গুনাহ হবে।কারন তারাবির নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদ্দাহ(নামাজে যেসব সুন্নত পালন না করলে নামাজ মাকরুহ হয়) ।বিনা ওজরে তারাবির নামাজ ছেড়ে দিলে কবিরা গুনাহ হবে।

৮।প্রশ্ন:তারাবির নামাজ না পড়লে কি রোজা হবে?

উত্তর:রোজা হবে।কারন রোজা ফরয ইবাদত এর সাথে তারাবির সংযোগ আছে কিন্তু তুলনা করাটা বোকামো।বিনা ওজরে তারাবি ছেড়ে দিলে রোজা মাকরুহ হবে।

৯।প্রশ্ন:  তারাবির সালাতে বা তাহাজ্জুদের সালাতে সুরা ফাতিহার পরে একাধিক ছোট সুরা পড়লে নামাজ শুদ্ধ হবে কি না?

উত্তর: না, এতে কোনো অসুবিধা নেই। আপনি একাধিক সুরা একসঙ্গে মিলিয়ে পড়তে পারেন বা এক সুরা আপনি বারবার পড়তে পারেন অথবা আপনি কোরআনের মুসহাব থেকে তিলাওয়াত করতে পারবেন। এটা আপনার জন্য জায়েজ রয়েছে। তবে উত্তম হচ্ছে, যদি মুখস্থ থাকে, তাহলে বড় সুরা পড়া।

১০।প্রশ্নঃ আমাদের দেশে কত ধরণের তারাবি প্রচলিত আছে?

উত্তরঃআমাদের দেশে দুই ধরণের তারাবি প্রচলিত আছে। যথা-

১।একটি হলো সুরা তারাবি

এবং

২।অন্যটি হলো খতম তারাবি।

১১।প্রশ্নঃআমাদের কোনো কোনো মসজিদে তারাবির নামাজ ২০ রাকাত পড়া হয় আবার কোনো কোনো মসজিদে ৮ রাকাত পড়া হয়। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যারা ৮ রাকাত পড়েন তাঁরা বলেন,  রাসুলুল্লা (স.) কখনো ২০ রাকাত তারাবির নামাজ পড়েননি। আমি জানতে চাচ্ছিলাম তারাবির নামাজ কোনটা সঠিক, ২০ রাকাত না ৮ রাকাত?

উত্তরঃ আপনি তারাবির নামাজ ২০ রাকাতও পড়তে পারেন। এটি ওলামায়েকেরামের বক্তব্য রয়েছে এবং এ বিষয়ে সাপোর্ট রয়েছে এবং এর পক্ষে দলিলও রয়েছে। ৮ রাকাতও আপনি পড়তে পারেন। ৮ রাকাতের বিষয়ে ওলামায়েকেরামের ইস্তিহাদ রয়েছে তারাবির সালাতের বিষয়ে।

আপনি যে কথা বলেছেন, রাসুলুল্লা (স.) কখনো তারাবির নামাজ ২০ রাকাত পড়েননি, এ কথা সত্য বলেছেন। রাসুলুল্লাহ (স.)-এর কোনো সহিহ হাদিসের মাধ্যমে এটি সাব্যস্ত হয়নি রাসুলুল্লাহ (স.) ২০ রাকাত পড়েছেন।

১২।প্রশ্ন: তারাবির নামাজ আসলে কী? আমরা কি এটিকে সালাতের সঙ্গে তুলনা করব?

উত্তর: তারাবির সালাত এক ধরনের নফল সালাত। এটির নির্দিষ্ট কোনো সালাতের কথা বলা হয়নি, দুই রাকাত করে ৮ রাকাত, ১০ রাকাত, ১২ রাকাত, ১৬ রাকাত, ২০ রাকাত, ২৪ রাকাত, ৩০ রাকাত  যার যতটুকু সমর্থ রয়েছে তিনি ততটুকু পড়বেন। তারাবির সালাত মূলত রাতের নামাজ এবং রাতের নামাজের মধ্যে রাসুলুল্লাহ (স.)-এর নির্দেশনা হচ্ছে দুই রাকাত, দুই রাকাত করে আদায় করা।

কত রাকাত, রাসুলুল্লাহ (স.) তা নির্ধারণ করে যাননি। কেউ যদি ২০ রাকাত পড়েন তাহলে পড়তে পারেন, কেউ যদি ৮ রাকাত পড়েন তাহলে সেটাও পড়তে পারেন।

আরও আপনার জন্য-

রিযিকের মালিক আল্লাহ

অর্থ বুঝে নামাজ পড়ি

আত্মীয়তার সম্পর্ক

সালামের ফযিলত সম্পর্কে বিস্তারিত

আজান অর্থ কি? আজানের জবাব এবং ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত

আলহামদুলিল্লাহ অর্থ কি? আলহামদুলিল্লাহ বলার ফজিলত সহ বিস্তারিত

আসতাগফিরুল্লাহ দোয়া-ক্ষমা প্রার্থনার নিয়ম ও ৫ দোয়া

মোনাজাতের দোয়া বাংলা উচ্চারণ । দোয়া কবুলের আমল-রিজিক বৃদ্ধির দোয়া-আয়না দেখার দোয়া

তওবাতুন নাসুহা, সঠিক পথে আসুন

SS IT BARI– ভালোবাসার টেক ব্লগের যেকোন ধরনের তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের মেইল টি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 505 other subscribers

প্রতিদিন আপডেট পেতে আমাদের নিচের দেয়া এই লিংক এ যুক্ত থাকুন

SS IT BARI- ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন

SS IT BARI- ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
SS IT BARI- ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এএখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
SS IT BARI-সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে

স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কিত ইংলিশে সকল সঠিক তথ্য জানতে আমাদের SS IT BARI- ভালোবাসার টেক ব্লকের আরেকটি সংস্করণ, US IT BARI- All About Healthy Foods ওয়েব সাইট টি ভিজিট করতে পারেন।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন –www.usitbari.com

Leave a Comment