ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাউদ রোগের চিকিৎসা –দাউদ একটি ফাঙ্গাল জাতীয় চর্মরোগ। শরীরের বিভিন্ন স্থানে এই রোগ দেখা দিতে পারে। দাউদ রোগটি একটি ছোঁয়াচে ছত্রাক বা ফাঙ্গাল ইনফেকশনের কারণঘটিত রোগ। দাউদ একটি ভয়াবহ রোগ না হলেও এই রোগে ভোগান্তি অনেক বেশি। স্যাঁতে পরিবেশ অপরিচ্ছন্নতার কারণে এই রোগের সংক্রমণ বেশি। দাউদ একটি সাধারন রোগ হলেও সময়মতো চিকিৎসা না হলে এই রোগটি প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। তবে অনেক সময় ঘরোয়া উপায়ে এই রোগের চিকিৎসা বেশ কার্যকারী হয়।
দাউদ খুবই অস্বস্তিকর একটি রোগ। অন্যান্য চর্ম রোগের মতো এটিও লুকাবার কোন অবকাশ নেই। যেহেতু এই রোগটি স্যাঁতস্যাঁতে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে ঘটে তাই অনেকেই এই রোগ হলে সমাজে লজ্জা বোধ করেন তা প্রকাশ করতে। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান রোগীরা।
আমাশয় রোগের লক্ষণ এবং ঘরোয়া চিকিৎসা
আপনি কি দাউদ রোগের ভুগছেন?দাউদ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি কি কোন ঘরোয়া উপায় বা পদ্ধতির খোঁজ করছেন? যদি আপনি দাউদের ভুক্তভোগী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ে নিন। কারন এই আর্টিকেলে দাউদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা এবং কি ধরনের ক্রিম বা মলম ব্যবহার করে দাউদ থেকে মুক্তি পাবেন সেই বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে। শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ে বিষয়গুলো জেনে নিন এবং সাথে থাকুন।
দাউদ রোগ কি
দাউদ একটি চর্মরোগ। শরীরের বিভিন্ন স্থানের ত্বকে এই রোগ দেখা দিতে পারে। ইংরেজিতে দাউদ রূপকে বলা হয় রিং ওয়ার্ম। দাউদ রোগটি স্ক্রিনে ফাঙ্গাসের কারণে হয়ে থাকে। এছাড়াও অপরিষ্কার স্যাঁতস্যাঁতে ময়লাযুক্ত পরিবেশে থাকলে দাউদ রোগ হতে পারে। যদিও এই রোগটিকে একটি সাধারণ রোগ হিসেবে চিহ্নিত করা যায় কিন্তু এর ভুক্তভোগীরা খুবই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যান। দাউদ রোগের ক্ষতিকর ফলাফল থেকে রক্ষা পেতে যথাসময়ে এ রোগের চিকিৎসা নেওয়া উচিত। সর্বমোট 40 টি প্রজাতির ফাঙ্গাসের কারণে দাউদ রোগ হতে পারে।
দাউদ রোগের কারণ
দাউদ মূলত ত্বকের ফাঙ্গাস জনিত রোগ। স্যাঁতস্যাঁতে ময়লাযুক্ত স্থানে বসবাসের কারণে এই রোগ বেশি হয়। দাউদ একটি সংক্রমিত রোগ। দাউদ রোগীর সংস্পর্শে থাকার কারণে অন্যেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অস্বাস্থ্যকর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বসবাসের কারণে অনেকেই এই রোগে ভুগেন। বিভিন্ন পশুর শরীরেও দাউদ রোগেরঅস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায় তাই এইসব পশুর সংস্পর্শে কোন মানুষ থাকলে তারও দাওধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেকোনো বয়সের মানুষের দাউদ রোগ হতে পারে। শরীরের যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাহলে এই রোগে যে কেউ সহজেই আক্রান্ত হতে পারে।
দাউদ রোগের উপসর্গ
খুবই সাধারণ উপসর্গ দেখে বোঝা যায় দাউদ রোগ হয়েছে। যেহেতু এটি চর্ম জাতীয় রোগ তাই বাহ্যিকভাবেই এই রোগটি প্রকাশ পায়। দাউদ শরীরের যে কোন স্থানে হতে পারে। দাওতো রোগীর ক্ষেত্রে যে উপসর্গগুলো সাধারণভাবে পরিলক্ষিত হয় সেগুলো হচ্ছে;
১) প্রথমে দাউদ রোগটি ছোট একটি ব্রনের ন্যায় হয়ে থাকে।
২) যে স্থানে ছোট ব্রণ বা ফোঁড়া আকারে কিছু দেখা যায় সেখানে অনবরত চুলকাতে থাকে।
৩) ছোট পড়া থেকে ধীরে ধীরে গোল হয়ে বড় আকার ধারণ করে।
৪) গোলাকার অংশে চারপাশ সাধারণত ফুলে থাকে এবং চারপাশে ছোট ছোট ব্রনের ন্যায় লাল লাল দেখা যায়।
৫) যে স্থানের দাউদ হয় সেখানে চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া হয়।
৬) যথাসময়ে চিকিৎসা না করলে এটি আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে এবং শরীরের অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়ে।
৭) মাথায় যদি দাউদ হয় তাহলে আক্রান্ত স্থানের চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন
দাউদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
দাউদ খুবই সাধারণ এবং অতি পরিচিত একটি ফাংগাল ইনফেকশন বা সংক্রমণ। শরীরের বিভিন্ন স্থানে যেমন; হাত পা পিঠ পায়ের আঙ্গুল হাতের আঙ্গুল এবং মাথার তালুতেও এটি হতে পারে। এটি খুবই সংক্রামক এবং খুব সহজে একজন থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়েয়ে পড়তে পারে। এই রোগটি হলে ত্বকের ওপর গোলাকার দাগ সৃষ্টি হয় চুলকানি হয় এবং আশের মতো উঠতে থাকে এই লাল গোলাকার রিং এর মত চেহারার জন্যই এই ছত্রাক সংক্রমনের নাম রিওয়ার্ড। ঘরোয়া কিছু উপাদান ব্যবহার করে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক তাদের সমস্যার ঘরোয়া প্রতিকারগুলো সম্পর্কে-
মধু
মধু ছত্রাকের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে যার কারণে এটি দাউদ রোগের জন্য অন্যতম একটি ঘরোয়া চিকিৎসা। মধুতে রয়েছে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ও ছত্রাক নাশক উপাদান। একটি পরিষ্কার তুলার মধ্য কিছু মধু লাগিয়ে আক্রান্ত জায়গায় আস্তে আস্তে লাগিয়ে দিন যাতে সম্পূর্ণ দাদের স্থানটি ঢাকা পড়ে। যতদিন পর্যন্ত দাউদ সেরে না যায় ততদিন পর্যন্ত এটি ব্যবহার করতে থাকুন।
অ্যালোভেরা
ছত্রাক নাশক উপাদান হিসেবে এলোভেরা খুবই উপকারী। অ্যালোভেরা তেল রেসিং রয়েছে যা দাউদ চুলকানি যন্ত্রণা ও প্রদাহ হ্রাস করতে সহায়তা করে। এলোভেরা পাতা থেকে পানি বের করে আক্রান্ত স্থানে না গেলে উপকার পাওয়া যাবে। তবে এটি যতদিন পর্যন্ত দাও ঠিক না হয় ততদিন পর্যন্ত লাগাতে হবে।
রসুন
রসুন অনেক রোগের ওষুধ হিসেবে কার্যকারী। দাউদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসায় রসুন একটি অন্যতম উপাদান। রসুন এ রয়েছে ছত্রাক রোধি উপাদান এজোউইন যা বিভিন্ন প্রকার ছত্রাক ধ্বংস করতে সহায়তা করে। এক দুই কোয়া রসুন ভালো করে থেঁতে এর সঙ্গে তিন টেবিল চামচ মধু ও তিন টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মিশ্রণটি আক্রান্ত স্থানে লাগায়ে এক ঘন্টা রেখে দিতে হবে তারপর উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।অন্তত দুই সপ্তাহ দিনে দুই তিনবার মিশ্রণটি ব্যবহার করতে হবে।
তুলসী পাতা
তুলসী পাতায় রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লামমেটরি ও এন্টিফাঙ্গাল উপাদান যা দাউদের মতো সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়াকে প্রতিহত করতে পারে। এছাড়াও দাউদের উপসর্গ দূর করতেও এটি সাহায্য করে। তুলসী পাতা চুলকানি ও র্যাশ দূর করতে সহায়তা করে। এজন্য তুলসী পাতার রস করে আক্রান্ত স্থানে লাগালে উপকার পাওয়া যাবে।
কাঁচা হলুদ
কাঁচা হলুদ রিওয়ার্ম বা দাউদের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে। কাঁচা হলুদের রস আক্রান্ত স্থানে লাগালে হলুদে থাকা এন্টিসেপটিক ও এন্টিফাঙ্গাল উপাদান দাউদের সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়াকে প্রতিহত করতে পারে।
জায়ফল
জয়ফল গুড়া করে পানির সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে এই পেস্ট দাউদের স্থানে লাগালে এতে দ্রুত দাউদ সেরে যাবে। জায়ফলের অ্যান্টিসেপটিক এবং এন্টিইনফ্লামেটরি উপাদান দাউদ নিরাময়ে খুবই কার্যকর।
দাউদের চিকিৎসায় কার্যকারী বিভিন্ন ক্রিম এবং মলম
দাউদের চিকিৎসায় চিকিৎসকরা বেশিরভাগ বিভিন্ন ধরনের ক্রিম এবং মলম আক্রান্ত স্থানে লাগানোর জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। দাউদের পরিমাণ যদি বেশি হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ক্রিম বা মলম ব্যবহার করা উচিত।সাধারণভাবে কেউ যদি কোন ক্রিম বা মলম ব্যবহার করতে চায় তাহলে নির্ধারিত দাউদের চিকিৎসায় বিভিন্ন ধরনের ক্রিম এবং মলম রয়েছে যেগুলোর নাম নিচে তুলে ধরা হলো-
Netrum sulphuricum + sepia
দাউদ ভালো হওয়ার জন্য বিভিন্ন মলম রয়েছে যা ব্যবহার করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আর হোমিও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই দুটি মলম যেকোনো একটা ২০০ শক্তি সেব্য।
রিংগার্ড মলম
দাউদের চিকিৎসায় ডক্টররা দাউদের সমস্যা থেকে সাধারণভাবে মুক্তির জন্য রিংগার্ড মলম সাজেস্ট করে থাকেন। দাউদের জন্য রিংগার্ড মলম ব্যবহার করুন আরাম পাবেন।
Econazole nitrate cream
এই ক্রিমটি দাউদের চিকিৎসার জন্য অন্যতম একটি ক্রিম এটি আক্রান্ত স্থানে লাগালে আরাম পাওয়া যায় এবং এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এভিসন
দাউদের চিকিৎসার জন্য এভিসন ক্রিমটি ব্যবহার করলে কিছুদিনের মধ্যেই দাউদের সমস্যা ভালো হয়ে যায়।
ডেরোবিন
ডরোবিন মলমটি আক্রান্ত স্থানে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করলেই ফলাফল পাওয়া যাবে।
পেভিসন ক্রিম
দাউদের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পেভিসন ক্রিম ব্যবহার করুন। আক্রান্ত স্থানের দিনে দুইবার ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
দাউদের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে এবং দাওয়াতের সমস্যা প্রতিরোধ করতে অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। ময়লা আবর্জনা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। স্যাঁতসেতে ময়লাযুক্ত স্থানে যেহেতু এই রোগের সংক্রমণ বেশি থাকে তাই সবসময় সচেতনতার সাথে জীবন যাপনের চেষ্টা করুন। দাউদের সমস্যা যদি অতি তীব্র আকার ধারণ করে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন।
সচরাচর জিজ্ঞাসা
দাউদ কি ধরনের রোগ?
উত্তর: দাউদ একটি ফাঙ্গাস জনিত চর্মরোগ।
ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে কি দাওয়াত ভালো হয়?
উত্তর:দাউদের সমস্যা যদি সাধারণ পর্যায়ে থাকে তাহলে ঘরোয়া কিছু টোটকা বা ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে দাউদের সমস্যা ভালো হয়। কিন্তু যদি তীব্র আকার ধারণ করে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই উচিত।
দাউদ কি একটি সংক্রমিত রোগ?
উত্তর: হ্যাঁ দাওয়াত একটি সংক্রমিত রোগ। এটি একজনের থেকে অন্য জনের শরীরে ছড়াতে পারে। একজনের ব্যবহার যে জিনিস এবং তার সংস্পর্শে থাকলে দাউদ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
শেষ কথা-
দাউদ রোগের লক্ষণ এবং দাউদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা এর বিস্তারিত বিষয়গুলো অবশ্যই আপনারা আজকের আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পেরেছেন। এছাড়াও দাউদ রোগ সম্পর্কে এবং অন্য কোনো বিষয় নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাদের জানাতে পারেন আমরা যথাসাধ্য উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
আমাদের ওয়েবসাইটের নতুন নতুন আর্টিকেলগুলো পেতে অবশ্যই ওয়েবসাইটের সাথে থাকবেন এবং আপনাদের বন্ধুদের সাথে আমাদের ওয়েবসাইটটির কথা শেয়ার করবেন। আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
পোস্ট ট্যাগ-
দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম,দাউদ কিভাবে ভালো হয়,দাউদ এর ঔষধ,দাউদ এর লক্ষণ,দাউদ এর ঔষধ এর নাম,দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম,দাউদ এর ছবি।
আপনার জন্য-
যক্ষা বা টিবি রোগের লক্ষণ
ক্যান্সার রোগের যেসব লক্ষণ এড়িয়ে যাবেন না
শ্বেতী রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নিন
আয়রন যুক্ত খাবার
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে কি কি খাবার খাওয়া উচিত
কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
বমি হলে কি খাওয়া উচিত
থ্যালাসেমিয়া রোগীর জন্য উপযোগী খাবার
সিজারিয়ান মায়ের খাদ্য তালিকা
সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাবার গ্রহণ
কিডনি পরিষ্কার রাখার ৯টি খাবার সম্পর্কে জেনে নেই
SS IT BARI– ভালোবাসার টেক ব্লগের যেকোন ধরনের তথ্য সম্পর্কিত আপডেট পেতে আমাদের মেইল টি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।
সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!
”
প্রতিদিন আপডেট পেতে আমাদের নিচের দেয়া এই লিংক এ যুক্ত থাকুন
SS IT BARI- ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
SS IT BARI- ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এখানে ক্লিক করুন।।
SS IT BARI- ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে :এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
SS IT BARI- টুইটার থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।।
SS IT BARI- লিংকদিন থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।।
SS IT BARI- ইনস্টাগ্রাম থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।।
SS IT BARI- টুম্বলার (Tumblr)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে :এখানে ক্লিক করুন।।
SS IT BARI- পিন্টারেস্ট (Pinterest)থেকে আমাদের খবর সবার আগে পেতে : এখানে ক্লিক করুন।।

SS IT BARI-ভালোবাসার টেক ব্লগ টিম